ইসলামী শরীয়াতের মধ্যে যতগুলো ফরজ ইবাদাত রয়েছে তার মধ্যে নামায অন্যতম গুরুত্ববহ। বলা হয়েছে, কবরে সবার আগে নামাযের হিসাব নেয়া হবে। তাই প্রত্যেকটা মুমিন মুসলমান মানুষের প্রয়োজন নামাযের প্রতি যত্নবান হওয়া। অর্থাৎ সঠিকভাবে নামায আদায় করা। আর সঠিকভাবে নামায আদায় করার জন্য অবশ্যই নামায তথা নামাযের নিয়ম-কানুন, মাসয়ালা-মাসায়িল শিক্ষা করা জরুরী। এখানে মুফতী মনসূরুল হক লিখিত কুরআন ও সুন্নাহর আলোকের নবীজীর (সা.) নামায বইটি (অংশ বিশেষ) তুলে ধরা হলো সাধারণ মানুষের নামায শিক্ষার খেদমতে।
মাসনূন কিরা‘আত পড়া
ফজরে তিওয়ালে মুফাসসাল (সূরা হুজুরাত থেকে সূরা বুরূজ পর্যন্ত), যুহরে তিওয়াল বা আওসাতে মুফাসসাল (সূরা ত্বারেক থেকে সূরা বাইয়িনাত পর্যন্ত), আসরে আওসাতে মুফাসসাল, মাগরিবে কিসারে মুফাসসাল (সূরা যিলযাল থেকে সূরা নাস পর্যন্ত) এবং ইশায় আওসাতে মুফাসসাল থেকে প্রতি রাকা‘আতে কোন একটি সূরা বা কোনো কোনো সময় অন্য জায়গা থেকে এ পরিমাণ কিরা‘আত পড়া।
عن سليمان بن يسار أنه سمع أبا هريرة قال: «ما صليت وراء أحد أشبه صلاة برسول الله صلى الله عليه وسلم، من فلان» .قال سليمان: «كان يطيل الركعتين الأوليين من الظهر، ويخفف الأخريين، ويخفف العصر، ويقرأ في المغرب بقصار المفصل ويقرأ في العشاء بوسط المفصل، ويقرأ في الصبح بطوال المفصل». ـأخرجه النسائي في الكبرى (1056)، وأخرجه ابن حبان في «صحيحه» (1838).
অর্থ: হযরত সুলাইমান ইবনে ইয়াসার রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি হযরত আবু হুরাইরা রাযি.-কে বলতে শুনেছেন যে, আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সঙ্গে অধিক সাদৃশ্যপূর্ণ নামায অমুক ব্যক্তি অপেক্ষা (একজন সাহাবীর প্রতি ইঙ্গিত করলেন যিনি তৎকালে মদীনার আমীর ছিলেন) আর কারো পেছনে পড়িনি। (হযরত আবু হুরাইরা রাযি.-এর ছাত্র সুলাইমান ইবনে ইয়াসার রহ. বলেন, (এ কথা শুনে আমি ঐ ব্যক্তির পিছনে নামায পড়লাম।) তিনি যুহরের প্রথম দুই রাকা‘আতকে দীর্ঘ করতেন। আর শেষের দুই রাকা‘আতকে ছোট করতেন। আসরকেও ছোট করতেন। মাগরিবে কিসারে মুফাসসাল, ইশায় আওসাতে মুফাসসাল ও ফজরে তিওয়ালে মুফাসসাল পড়তেন। -সুনানে কুবরা নাসায়ী (১০৫৬), সহীহ ইবনে হিব্বান (১৮৩৮)।
উল্লেখ্য, এ হাদীসে যুহর ও আসরের কিরা‘আতের পরিমাণ পরিস্কারভাবে উল্লেখ নেই। এটুকু আছে যে, যুহরে কিরা‘আত লম্বা হত। আর আসরের কিরা‘আত যুহরে তুলনায় ছোট হত। যুহর ও আসরের কিরা‘আতের পরিমাণের জন্য সামনে হযরত আবু সাঈদ খুদরী, জাবের রাযি. এর হাদীস এবং উমর রাযি. এর চিঠি দ্রষ্টব্য।
عَنْ أَبِي بَرْزَةَ، كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي الصُّبْحَ وَأَحَدُنَا يَعْرِفُ جَلِيسَهُ، وَيَقْرَأُ فِيهَا مَا بَيْنَ السِّتِّينَ إِلَى المِائَةِ.
رواه الإمام البخاري في «صحيحه» (541) ومسلم في «صحيحه» (647،461)
অর্থ: হযরত আবু বারযা রাযি. থেকে বর্ণিত, নবীজী ﷺ ফজরের নামায এমন পড়তেন যখন আমাদের কেউ তার সঙ্গীকে (আলোকিত হওয়ার কারণে) চিনতে পারত। আর তিনি ফজরের নামাযে ষাট থেকে একশ’ আয়াত পড়তেন। -সহীহ বুখারী (৫৪১), সহীহ মুসলিম (৪৬১, ৬৪৭)
এ হাদীসে ফজরের কিরা‘আতের পরিমাণ উল্লেখ করা হয়েছে; তবে তিওয়ালে মুফাসসালের কথা নেই। তিওয়ালে মুফাসসালের কথা আগের হাদীসে গিয়েছে। সামনে উমর রাযি. এর চিঠিতেও এর উল্লেখ আছে। অতএব উল্লিখিত পরিমাণ তিওয়ালে মুফাসসাল থেকেও পড়া যায়, কখনো এর বাইরে থেকেও পড়া যায়। দ্বিতীয়ত, এখানে বলা হয়েছে- ষাট থেকে একশ’ আয়াত পড়তেন। কত আয়াত পড়তেন তা নির্দিষ্টভাবে বলা হয়নি। ফুকাহায়ে কেরাম বলেন, পরিমাণের এই কমবেশি- সময়, প্রেক্ষাপট এবং মুক্তাদীদের অবস্থা-বিবেচনায় হত।
وعن أبي سعيد الخدري، أن النبي صلى الله عليه وسلم كان يقرأ في صلاة الظهر في الركعتين الأوليين في كل ركعة قدر ثلاثين آية، وفي الأخريين قدر خمس عشرة آية ـ أو قال نصف ذلك ـ، وفي العصر في الركعتين الأوليين في كل ركعة قدر قراءة خمس عشرة آية وفي الأخريين قدرنصف ذلك.
ـأخرجه مسلم في «صحيحه» )452) .
قال السندي في حاشية مسند أحمد (10986): ولا يخفى ما في الحديث من الدلالة على أنه صلى الله عليه وسلم كان يزيد في الاخريين على الفاتحة أحيانا. والله أعلم..
অর্থ: হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাযি. থেকে বর্ণিত, নবীজী ﷺ যুহরের প্রথম দুই রাকা‘আতের প্রতি রাকা‘আতে ত্রিশ আয়াত পরিমাণ পড়তেন। আর শেষের দুই রাকা‘আতে পনের আয়াত পরিমাণ পড়তেন। (বর্ণনাকারী এখানে সন্দেহ করে বলেন) অথবা তিনি বলেছেন যে, প্রথম দুই রাকা‘আতের তুলনায় শেষের দুই রাকা‘আতে অর্ধেক পড়তেন। আসরের প্রথম দুই রাকা‘আতের প্রতি রাকা‘আতে পনের আয়াত পরিমাণ ও পরের দুই রাকা‘আতে তার অর্ধেক পড়তেন। -সহীহ মুসলিম (৪৫২)
লক্ষণীয় যে, এই বর্ণনায় যুহর এবং আসরের কিরা‘আতের পরিমাণ উল্লেখ করা হয়েছে। এখানে যে ৩০ আয়াতের কথা বলা হয়েছে তা সূরা ফাতিহা ছাড়াই; যা সহীহ মুসলিমে (৪৫২) এই হাদীসেরই আরেকটি সূত্রে পরিস্কারভাবে উল্লেখ আছে।
আল্লামা আবুল হাসান সিন্ধী রহ. মুসনাদে আহমাদের টীকায় (হা.ন. ১০৯৮৬) বলেন, এই হাদীস থেকে বুঝা যায় যে, আল্লাহর রাসূল ﷺ কখনো কখনো ফরজ নামাযের দ্বিতীয় দুই রাকা‘আতে সূরা ফাতিহার পর কিরা‘আত পড়েছেন।
قال ابن أبي شيبة: ثنا أبو داود ، عن حماد بن سلمة ، عن سماك بن حرب ،عن جابر بن سمرة أن النبي صلى الله عليه وسلم كان يقرأ في الظهر والعصر بـ”والسماء والطارق” “والسماء ذات البروج”.
ـ رواه ابن أبي شيبة في «مصنفه» (3606) ورواه الترمذي في «سننه»(307) وقال : حديث جابر بن سمرة حديث حسن. وفي بعض النسخ حسن صحيح. وفي رواية مسلم (459) من حديث ابن مهدي عن شعبة عن سماك: كان يقرأ في الظهر بـ”والليل إذا يغشى”وفي العصر نحو ذلك، وفيه أيضا (460) من رواية الطيالسي عن شعبة به قال : كان يقرأ في الظهر بـ”سبح اسم ربك الأعلى”.
অর্থ: হযরত জাবের ইবনে সামুরা রাযি. থেকে বর্ণিত, নবীজী ﷺ যুহর এবং আসরে সূরা ত্বারেক এবং সূরা বুরূজ পড়তেন। আরেক সূত্রে আছে, যুহরে সূরা লাইল এবং আসরে এ জাতীয় কোন সূরা পড়তেন। অন্য একটি সূত্রে আছে, যুহরে সূরা আ’লা পড়তেন। -মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা (৩৬০৬), সুনানে তিরমিযী (৩০৭), ইমাম তিরমিযী বলেন, হাদীসটি হাসান। সহীহ মুসলিম (৪৫৯, ৪৬০)
উল্লেখ্য, এখানে উল্লিখিত সূরা বুরূজ তিওয়ালে মুফাসসালের অন্তর্ভুক্ত, বাকী সূরাগুলো আওসাতে মুফাসসালের অন্তর্ভুক্ত। এ হাদীস থেকে বুঝা যায় যে, আল্লাহর রাসূল ﷺ যুহর এবং আসরে কখনো মধ্যম আকারের এবং একই ধরনের কিরা‘আত পড়তেন। আর আগের কয়েকটি হাদীসে গিয়েছে যে, আসরে যুহরের অর্ধেক কিরা‘আত পড়তেন। বলা বাহুল্য, মুক্তাদীদের অবস্থা, সময় এবং প্রেক্ষাপট-বিবেচনায় এই পার্থক্য হত।
عبد الرزاق ، عن الثوري ، عن علي بن زيد بن جدعان، عن الحسن وغيره قال كتب عمر إلى أبي موسى أن اقرأ في المغرب بقصار المفصل وفي العشاء بوسط المفصل ، وفي الصبح بطوال المفصل.
ـأخرجه في «مصنفه» (2672)، وفي إسناده علي بن زيد وهو صدوق فيه لين. وقد رواه ابن أبي داود في “المصاحف” صـ353من حديث أبي حذيفة عن سفيان عن علي بن علي الرفاعي عن الحسن مثله.
والرفاعي هذا لا بأس به. ولكن فيه احتمال التصحيف ، لأن أبا حذيفة موسى بن مسعود كان يصحف. وأخرج ابن أبي شيبة قصة المغرب والعشاء متفرقة من حديث علي بن زيد عن زرارة بن أوفى (3594،3611). وعلق الترمذي في «سننه» (307) فقال : وروي عن عمر أنه كتب إلى أبي موسى أن اقرأ في الظهر بأوساط المفصل، وفي (308): أن اقرأ في المغرب بقصار المفصل.
في “الأصل” 1/137: يقرأ [في الفجر] بأربعين آية مع فاتحة الكتاب في الركعتين جميعا. قال: يقرأ [في الظهر] بنحو من ذلك أو دونه . قلت : فكم يقرأ في الركعتين من العصر؟ قال : بعشرين آية مع فاتحة الكتاب.
قال: يقرأ [في المغرب] في الركعتين في كل ركعة بسورة قصيرة خمس آيات أو ست آيات مع فاتحة الكتاب. قال: يقرأ [في العشاء] في الركعتين جميعا بعشرين آية مع فاتحة الكتاب. قلت: وكل ما ذكرت فهو بعد فاتحة الكتاب ؟ قال: نعم. انتهى. وذكر محمد في “الجامع الصغير” في الفجر: بأربعين خمسين ستين. وروي الحسن في “المجرد” عن أبي حنيفة [في الفجر] ما بين ستين إلى مئة؟ وروى الحسن أيضا : يقرأ في الظهر بـ”عبس وإذا الشمس كورت” في الأولى. وفي الثانية بـ ” لا أقسم أو الشمس وضحىها”. وفي العصر يقرأ في الأولى “والضحى أوالعاديات” وفي الثانية بـ” ألهاكم وويل لكل همزة”. وفي المغرب في الأولى مثلما في العصر . وفي العشاء في الأوليين مثلما في الظهر. [كذا في «البدائع»2/38-41] قال الكاساني في الفجر : وإنما اختلفت الروايات لاختلاف الأخبار.
অর্থ: হযরত উমর রাযি. হযরত আবু মুসা আশআরী রাযি.-কে এ মর্মে চিঠি লিখেন যে, মাগরিবের নামাযে কিসারে মুফাসসাল, ইশায় আওসাতে মুফাসসাল এবং ফজরের নামাযে তিওয়ালে মুফাসসাল থেকে পড়বেন।
-মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক (২৬৭২), মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা (৩৬১১, ৩৫৯৪), মাসাহেফে ইবনে আবি দাঊদ (পৃ.৩৫৩)। হাদীসটির সনদে সামান্য দুর্বলতা আছে, তবে অনেক ফকীহ ও মুহাদ্দিস এ হাদীস গ্রহণ করেছেন। ইমাম তিরমিযী রহ. সনদ উল্লেখ না করে যুহরের ব্যাপারেও উমর রাযি.-এর নির্দেশনা বর্ণনা করেছেন যে, যুহরে আওসাতে মুফাসসাল পড়বে। সুনানে তিরমিযী (৩০৭)
ফজরের প্রথম রাকা‘আত দ্বিতীয় রাকা‘আত অপেক্ষা লম্বা করা, এছাড়া অন্যান্য ওয়াক্তে (সাধারণভাবে) উভয় রাকা‘আতের কিরা‘আত সমান রাখা।
عن أبي قتادة، قال: «كان النبي صلى الله عليه وسلم يقرأ في الركعتين الأوليين من صلاة الظهر بفاتحة الكتاب، وسورتين يطول في الأولى، ويقصر في الثانية ويسمع الآية أحيانا، وكان يقرأ في العصر بفاتحة الكتاب وسورتين، وكان يطول في الأولى، وكان يطول في الركعة الأولى من صلاة الصبح، ويقصر في الثانية».
ـأخرجه الإمام البخاري في «صحيحه» (759،778،779) ومسلم في «صحيحه» (451).
يشكل هنا أن في الحديث ذكر تطويل الأولى في الظهر والعصر والصبح، كما هو مذهب الإمام محمد أن يفضل الأولى في كل صلاة. أجيب عنه من قبل أبي حنيفة بأن الحديث محمول على الإطالة من حيث الثناء والتعوذ وبما دون ثلث آيات. وتشبيه الفجر بغيرها في أصل الإطالة لا قدرها. كذا في “فتح القدير” (1/293). وقال العلامة الكشميري في “فيض الباري” (2/518): والأحسن أن يستوي بينهما (أي في غير الفجر) إلا إذا رجا إدراك الناس ، فيطول على ما هو في الحديث. انتهى. ويؤيد كلام الكشميري ما في بعض طرق هذا الحديث: فظننا أنه يريد بذلك أن يدرك الناس الركعة الأولى. [كما في مصنف عبد الرزاق (2675) وسنن أبي داود (600) بإسناد صحيح]، وهذا الأمر [أي رجاء إدراك الناس الركعة] في غير الفجر ليس كما هو في الفجر [لنومهم وغفلتهم بخلاف غير الفجر] مع ما جاء من الآثار في استواء القراءتين في غير الفجر. [انظر الحديث الآتي] فلذا عمم حكم تطويل الأولى في الفجر دون غيره. والله أعلم.
অর্থ: হযরত আবু কাতাদা রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ যুহরের নামাযের প্রথম দুই রাকা‘আতে সূরা ফাতিহা এবং দু’টি সূরা পড়তেন। তিনি প্রথম রাকা‘আতে কিরা‘আত লম্বা করতেন আর দ্বিতীয় রাকা‘আতে খাটো করতেন। এবং কখনও আমাদেরকে আয়াত শুনিয়ে পড়তেন। তিনি আসরের নামাযে ফাতিহা ও দু’টি সূরা পড়তেন এবং প্রথম রাকা‘আতে লম্বা করতেন। ফজরে তিনি প্রথম রাকা‘আত লম্বা ও দ্বিতীয় রাকা‘আত খাটো করতেন। -সহীহ বুখারী (৭৫৯, ৭৭৮, ৭৭৯), সহীহ মুসলিম (৪৫১)।
বি.দ্র. এই হাদীসে যদিও তিন ওয়াক্ত নামাযে প্রথম রাকা‘আত লম্বা করতেন বলে উল্লেখ আছে, তবে যুহর ও আসরের ব্যাপারে উভয় রাকা‘আত বরাবর করতেন মর্মেও রেওয়ায়াত আছে। (সামনের হাদীস দ্রষ্টব্য) আল্লামা কাশ্মীরী রহ. বলেন, উত্তম হল দুই রাকা‘আত (ফজর ছাড়া অন্য ওয়াক্তে) সমান রাখবে। তবে লোকজনের রাকা‘আত পেতে সুবিধা হবে এমন আশা থাকলে প্রথম রাকা‘আত (সামান্য) লম্বা করবে যেমনটি এই হাদীসে বলা হয়েছে। (ফয়যুল বারী ২/৫২৮)
وعن أبي سعيد الخدري، أن النبي صلى الله عليه وسلم كان يقرأ في صلاة الظهر في الركعتين الأوليين في كل ركعة قدر ثلاثين آية، وفي الأخريين قدر خمس عشرة آية ـ أو قال نصف ذلك ـ، وفي العصر في الركعتين الأوليين في كل ركعة قدر قراءة خمس عشرة آية وفي الأخريين قدرنصف ذلك.
ـأخرجه مسلم في «صحيحه» (452) . وفي رواية مسلم أيضا (877) من حديث أبي هريرة أن النبي صلى الله عليه وسلم كان يقرأ في الجمعة بسورة الجمعة وسورة المنافقون، وهما في الآي مستويتان.
অর্থ: হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাযি. থেকে বর্ণিত, নবীজী ﷺ যুহরের প্রথম দুই রাকা‘আতের প্রতি রাকা‘আতে ত্রিশ আয়াত পরিমাণ পড়তেন। আর শেষের দুই রাকা‘আতে পনের আয়াত পরিমাণ পড়তেন। (বর্ণনাকারী এখানে সন্দেহ করে বলেন) অথবা তিনি বলেছেন যে, প্রথম দুই রাকা‘আতের তুলনায় শেষের দুই রাকা‘আতে অর্ধেক পড়তেন। আসরের প্রথম দুই রাকা‘আতের প্রতি রাকা‘আতে পনের আয়াত পরিমাণ ও পরের দুই রাকা‘আতে তার অর্ধেক পড়তেন। -মুসলিম (৪৫২)
সহীহ মুসলিমে (৮৭৭) হযরত আবু হুরাইরা রাযি. থেকে আরেক বর্ণনায় আছে, হুযূর ﷺ জুমআর প্রথম রাকা‘আতে সূরা জুমআ আর দ্বিতীয় রাকা‘আতে সূরা মুনাফিকুন পড়তেন। লক্ষণীয় যে, এ দুটি সূরাও বরাবর।
নামাযের ১০০ মাসায়িল
- পায়ের আঙ্গুলসমূহ কিবলার দিকে সোজাভাবে রাখা। ➔ বিস্তারিত…
- উভয় পায়ের মাঝখানে স্বাভাবিক (চার আঙ্গুল, ঊর্ধ্বে এক বিঘত) পরিমাণ ফাঁকা রাখা। ➔ বিস্তারিত…
- উভয় পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলি ও গোড়ালির মাঝে সমান দূরত্ব রাখা। ➔ বিস্তারিত…
- তাকবীরে তাহরীমা শুরু করা পর্যন্ত হাত ছেড়ে রাখা। ➔ বিস্তারিত…
- সম্পূর্ণ সোজা হয়ে দাঁড়ানো। ➔ বিস্তারিত…
- ঘাড় স্বাভাবিক রাখা। চেহারা জমিনের দিকে না ঝোঁকানো। ➔ বিস্তারিত…
- সিজদার জায়গার দিকে নজর রাখা। ➔ বিস্তারিত…
- তাকবীরে তাহরীমার সময় হাত চাদরের ভেতরে থাকলে বাইরে বের করা। ➔ বিস্তারিত…
- হাত উঠানোর সময় মাথা না ঝোঁকানো। ➔ বিস্তারিত…
- হাত কান পর্যন্ত উঠানো (উভয় হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলির মাথা কানের লতি বরাবর উঠানো)। ➔ বিস্তারিত…
- হাতের আঙ্গুলগুলো স্বাভাবিক রাখা। ➔ বিস্তারিত…
- হাতের তালু সম্পূর্ণ কিবলামুখী করে রাখা, আঙ্গুলের মাথা বাঁকা না রাখা, বরং আকাশমুখী করে রাখা। ➔ বিস্তারিত…
- তাকবীরে তাহরীমার আগে নামাযের নিয়ত করা। ➔ বিস্তারিত…
- তারপর তাকবীরে তাহরীমা শুরু করা। তাকবীর সংক্ষিপ্ত করা, লম্বা না করা। ➔ বিস্তারিত…
- তাকবীরে তাহরীমা বলার পর হাত না ঝুলিয়ে সরাসরি হাত বাঁধা। ➔ বিস্তারিত…
- ডান হাতের তালু বাম হাতের পিঠের উপর রাখা। ➔ বিস্তারিত…
- ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি ও কনিষ্ঠাঙ্গুলি দ্বারা বাম হাতের কব্জি ধরা ➔ বিস্তারিত…
- বাকি আঙ্গুলগুলো বাম হাতের উপর স্বাভাবিক অবস্থায় রাখা ➔ বিস্তারিত…
- নাভীর নীচে হাত বাঁধা। ➔ বিস্তারিত…
- সানা পড়া। ➔ বিস্তারিত…
- পূর্ণ আঊযুবিল্লাহ পড়া। ➔ বিস্তারিত…
- পূর্ণ বিসমিল্লাহ পড়া। ➔ বিস্তারিত…
- সূরা ফাতিহা পড়া। ➔ বিস্তারিত…
- সূরা ফাতিহা পড়ার পর নীরবে আমীন বলা। ➔ বিস্তারিত…
- সূরা মেলানো। ➔ বিস্তারিত…
- সূরার শুরু থেকে মিলালে বিসমিল্লাহ পড়া। ➔ বিস্তারিত…
- মাসনূন কিরা‘আত পড়া। ➔ বিস্তারিত…
- তাকবীর বলতে বলতে রুকুতে যাওয়া। ➔ বিস্তারিত…
- উভয় হাত দ্বারা হাঁটু ধরা। ➔ বিস্তারিত…
- হাতের আঙ্গুলসমূহ ফাঁক করে রাখা। ➔ বিস্তারিত…
- উভয় হাত সম্পূর্ণ সোজা রাখা, কনুই বাঁকা না করা। ➔ বিস্তারিত…
- মাথা, পিঠ ও কোমর একসমান রাখা। ➔ বিস্তারিত…
- পায়ের গোছা, হাঁটু ও উরু সোজা রাখা। ➔ বিস্তারিত…
- পায়ের দিকে নজর রাখা। ➔ বিস্তারিত…
- রুকুতে কমপক্ষে তিনবার রুকুর তাসবীহ ‘সুবহানা রব্বিয়াল আযীম’ পড়া সুন্নাত। ➔ বিস্তারিত…
- রুকু করা ফরয এবং রুকুতে কমপক্ষে এক তাসবীহ পরিমাণ দেরী করা ওয়াজিব। ➔ বিস্তারিত…
- রুকু থেকে সোজা হয়ে দাঁড়ানো এবং দাঁড়ানোর মধ্যে স্থিরতা অর্জনের জন্য এক তাসবীহ পরিমাণ বিলম্ব করা। ➔ বিস্তারিত…
- রুকু থেকে উঠার সময় “সামি‘আল্লাহু লিমান হামিদাহ” বলা। ➔ বিস্তারিত…
- রুকু থেকে উঠার সময় মুক্তাদীর “রাব্বানা ওয়ালাকাল হামদ” বলা। ➔ বিস্তারিত…
- তাকবীর বলতে বলতে সিজদায় যাওয়া। ➔ বিস্তারিত…
- (প্রথমে) উভয় হাঁটু মাটিতে রাখা। ➔ বিস্তারিত…
- হাতের আঙ্গুলগুলো মিলিয়ে রাখা। ➔ বিস্তারিত…
- দাঁড়ানো থেকে স্বাভাবিকভাবে সিজদায় যাওয়া, নুয়ে না যাওয়া। ➔ বিস্তারিত…
- আঙ্গুলের মাথাগুলো কিবলামুখী করে সোজাভাবে রাখা। ➔ বিস্তারিত…
- উভয় বাহু পাঁজর থেকে দূরে রাখা। ➔ বিস্তারিত…
- ঊরু সোজা রাখা যেন পেট ঊরু থেকে পৃথক থাকে। ➔ বিস্তারিত…
- উভয় হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলির মাথা কানের লতি বরাবর রাখা ➔ বিস্তারিত…
- হাত, নাক, কপাল রাখা। ➔ বিস্তারিত…
- নাকের অগ্রভাগের দিকে নজর রাখা। ➔ বিস্তারিত…
- দুই হাতের মধ্যখানে চেহারা রাখা যায় এ পরিমাণ ফাঁক রাখা। হাত চেহারার সাথে মিলিয়ে না রাখা ➔ বিস্তারিত…
- ঊরু সোজা রাখা যেন পেট ঊরু থেকে পৃথক থাকে। ➔ বিস্তারিত…
- উভয় বাহু পাঁজর থেকে দূরে রাখা ➔ বিস্তারিত…
- কনুই মাটিতে বিছিয়ে না দেওয়া এবং রান থেকে পৃথক রাখা ➔ বিস্তারিত…
- হাতের আঙ্গুলগুলো মিলিয়ে রাখা। ➔ বিস্তারিত…
- উভয় পায়ের পাতা খাড়া রাখা। ➔ বিস্তারিত…
- পায়ের আঙ্গুলের মাথাগুলো যথাসম্ভব কিবলার দিকে মুড়িয়ে রাখা। ➔ বিস্তারিত…
- দুই পায়ের আঙ্গুল যমীন থেকে না উঠানো ➔ বিস্তারিত…
- দুই পায়ের মধ্যখানে ফাঁক রাখা, গোড়ালি না মেলানো ➔ বিস্তারিত…
- কমপক্ষে তিনবার সিজদার তাসবীহ্ “সুবহানা রাব্বিয়াল আ’লা” পড়া সুন্নাত ➔ বিস্তারিত…
- সিজদা করা ফরয এবং সিজদায় কমপক্ষে এক তাসবীহ পরিমাণ দেরী করা ওয়াজিব। ➔ বিস্তারিত…
- তাকবীর বলতে বলতে সিজদা থেকে উঠা। ➔ বিস্তারিত…
- (প্রথমে) কপাল, (তারপর) নাক, (তারপর) উভয় হাত উঠানো ➔ বিস্তারিত…
- দুই সিজদার মাঝখানে সোজা হয়ে স্থিরভাবে বসা ➔ বিস্তারিত…
- বাম পা বিছিয়ে বসা, ডান পা সোজাভাবে খাড়া রাখা। ➔ বিস্তারিত…
- ডান পায়ের আঙ্গুলসমূহ কিবলার দিকে মুড়িয়ে রাখা ➔ বিস্তারিত…
- উভয় হাত ঊরুর উপর (হাতের আঙ্গুলের মাথা) হাঁটু বরাবর বিছিয়ে রাখা (ও হাতের আঙ্গুলসমূহ স্বাভাবিক অবস্থায় রাখা।) ➔ বিস্তারিত…
- নজর দুই হাঁটুর মাঝের দিকে রাখা ➔ বিস্তারিত…
- (নফল নামাযে) বসা অবস্থায় দু‘আ পড়া ➔ বিস্তারিত…
- তাকবীর বলা অবস্থায় পূর্বের নিয়মে দ্বিতীয় সিজদা করা ➔ বিস্তারিত…
- দ্বিতীয় সিজদার পর তাকবীর বলা অবস্থায় পরবর্তী রাকা‘আতের জন্য পায়ের অগ্রভাগে ভর করে দাঁড়ানো ➔ বিস্তারিত…
- হাঁটুর উপর হাত রেখে দাঁড়ানো। বিনা ওযরে যমীনে ভর না দেওয়া ➔ বিস্তারিত…
- সিজদা হতে সিনা ও মাথা স্বাভাবিক সোজা রেখে সরাসরি দাঁড়ানো, শরীরের উপরিভাগ নুইয়ে না দেওয়া ➔ বিস্তারিত…
- উভয় হাত ঊরুর উপর (হাতের আঙ্গুলের মাথা) হাঁটু বরাবর বিছিয়ে রাখা। (হাতের আঙ্গুলসমূহ স্বাভাবিক অবস্থায় রাখা।) ➔ বিস্তারিত…
- বসা অবস্থায় মাথা ও পিঠ স্বাভাবিক সোজা রেখে নজর দুই হাঁটুর মাঝের দিকে রাখা ➔ বিস্তারিত…
- আত্তাহিয়্যাতু পড়া। ➔ বিস্তারিত…
- ‘আশহাদু’ বলার সঙ্গে সঙ্গে মধ্যমা ও বৃদ্ধাঙ্গুলির মাথা একসাথে মিলিয়ে এবং অনামিকা ও কনিষ্ঠাঙ্গুল মুড়িয়ে রেখে হালকা (গোলক/ বৃত্ত) বাঁধা। ➔ বিস্তারিত...
- ‘লা ইলাহা’ বলার সময় শাহাদাত আঙ্গুল সামান্য উঁচু করে কিবলার দিকে ইশারা করা। অতঃপর ‘ইল্লাল্লাহ’ বলার সময় (হাতের বাঁধন না খুলে) স্বাভাবিকভাবে নামিয়ে রাখা (এতে শাহাদাত আঙ্গুলের মাথা হাঁটুতে লাগবে না)। ➔ বিস্তারিত…
- বৈঠক শেষ হওয়া পর্যন্ত হাত হালকা (বৃত্ত) বাঁধা অবস্থায় রাখা এবং শেষ বৈঠকে উভয় সালামের পরে খোলা। ➔ বিস্তারিত…
- আখেরী বৈঠকে আত্তাহিয়্যাতুর পর দুরূদ শরীফ পড়া। ➔ বিস্তারিত…
- দু‘আয়ে মাসূরা পড়া ➔ বিস্তারিত…
- উভয় সালামের সময় সালাম করার নিয়ত করা ➔ বিস্তারিত…
- উভয় সালাম কিবলার দিক থেকে শুরু করা এবং সালাম বলতে বলতে চেহারা ঘোরানো। ➔ বিস্তারিত…
- প্রথমে ডান দিকে অতঃপর বাম দিকে সালাম ফিরানো। ➔ বিস্তারিত…
- চেহারা ঘোরানোর সময় নজর কাঁধের দিকে রাখা ➔ বিস্তারিত…
- সালামের সময় ডানে-বামে শুধু চেহারা ফিরানো ➔ বিস্তারিত…
- উভয় সালাম সংক্ষিপ্ত করা এবং দ্বিতীয় সালাম প্রথম সালামের তুলনায় নীচু শব্দে বলা ➔ বিস্তারিত…
- ইমামের সাথে সাথে সালাম ফেরানো ➔ বিস্তারিত…
- মাসবুকের জন্য ইমামের দ্বিতীয় সালাম শেষ করা পর্যন্ত অপেক্ষা করা ➔ বিস্তারিত…
- মাঝের তাকবীরগুলো পূর্ববর্তী রুকন থেকে আরম্ভ করে পরবর্তী রুকনে পৌঁছে শেষ করা। ➔ বিস্তারিত…
- প্রত্যেক রুকনের আমল পূর্ণ হওয়ার পর পরের রুকনে যেতে বিলম্ব না করা। ➔ বিস্তারিত…
- হাই এলে যথাসম্ভব দমিয়ে রাখা এবং মুখে হাত রাখা ➔ বিস্তারিত…
- হাঁচি এলে হাত বা কাপড় দিয়ে মুখ ঢেকে নেওয়া এবং যথাসম্ভব নীচু শব্দে হাঁচি দেওয়া ➔ বিস্তারিত…
- নামাযের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অন্তরে নামাযের খেয়াল রাখা ➔ বিস্তারিত…