Running: The Miracle Cure for Insomnia

Hey there, sleepyhead! Have you been tossing and turning, counting sheep until dawn breaks? Well, fear not, because I’ve got some exciting news for you: running might just be the miracle cure for your insomnia!

The Insomnia Struggle

Let’s face it, we’ve all been there. You crawl into bed, hoping for a night of restful slumber, only to find yourself staring at the ceiling, your mind racing a mile a minute. Insomnia is no joke; it can leave you feeling exhausted, irritable, and downright miserable. But before you reach for those sleeping pills, consider lacing up your running shoes instead.

The Power of Running

Believe it or not, running isn’t just about getting fit or shedding those extra pounds. It’s also a powerful tool for improving your sleep quality. Here’s how:

Physical Exhaustion

When you engage in a good run, your body expends a significant amount of energy. You push yourself to the limit, feeling the burn in your muscles and the sweat dripping down your brow. By the time you finish your run, your body is craving rest, making it much easier to drift off into a deep, restorative sleep.

Stress Relief

Life can be stressful, and stress is one of the biggest culprits behind insomnia. But guess what? Running is an excellent stress reliever. As you pound the pavement or hit the treadmill, your body releases feel-good chemicals called endorphins. These little guys work wonders for your mood, helping to melt away stress and anxiety, and paving the way for a peaceful night’s sleep.

Regulation of Circadian Rhythm

Your body operates on a natural clock known as the circadian rhythm. This internal clock regulates your sleep-wake cycle, telling you when it’s time to hit the hay and when it’s time to rise and shine. Guess what helps keep that clock ticking smoothly? You guessed it: exercise! Running regularly can help regulate your circadian rhythm, making it easier for you to fall asleep and wake up feeling refreshed.

Tips for Running to Beat Insomnia

Ready to lace up those running shoes and bid farewell to sleepless nights? Here are some tips to help you get started:

  • Start Slow: If you’re new to running, don’t push yourself too hard too soon. Start with a gentle jog or brisk walk, and gradually increase the intensity and duration of your runs as your fitness improves.
  • Find Your Rhythm: Some people prefer to run in the morning to kickstart their day, while others find that an evening run helps them unwind before bed. Experiment with different times of day to see what works best for you.
  • Create a Routine: Consistency is key when it comes to reaping the sleep benefits of running. Try to establish a regular running routine and stick to it as much as possible.
  • Mix It Up: Running the same route day after day can get boring fast. Mix things up by exploring new trails, running with a friend, or trying out different types of terrain.
  • Listen to Your Body: Pay attention to how your body feels during and after your runs. If you’re feeling tired or sore, give yourself permission to take a rest day. It’s all about finding balance.

Final Thoughts

So there you have it, my friend. Running isn’t just good for your body; it’s also a powerful antidote to insomnia. By lacing up your running shoes and hitting the pavement, you can banish those sleepless nights and wake up feeling refreshed, rejuvenated, and ready to take on the day. So what are you waiting for? Lace up those shoes and run your way to better sleep!

সূরা মায়েদার ৩৮নং আয়াতের তাফসির করুন।

প্রশ্ন: সূরা মায়েদার ৩৮নং আয়াতের তাফসির করুন। বিষয়: IST-601 : Study of Al Tafsir কোর্স: এমএ ইন ইসলামিক স্টাডিজ (ফাইনাল)



সূরা মায়েদার ৩৮নং আয়াতের তাফসির করুন।

সূরা মায়েদার ৩৮নং আয়াত ও আয়াতের অর্থ

وَالسَّارِقُ وَالسَّارِقَۃُ فَاقۡطَعُوۡۤا اَیۡدِیَہُمَا جَزَآءًۢ بِمَا کَسَبَا نَکَالًا مِّنَ اللّٰہِ ؕ وَاللّٰہُ عَزِیۡزٌ حَکِیۡمٌ

অর্থ: যে পুরুষ ও যে নারী চুরি করে, তাদের উভয়ের হাত কেটে দাও, যাতে তারা নিজেদের কৃতকর্মের প্রতিফল পায় (এবং) আল্লাহর পক্ষ হতে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়। আল্লাহ ক্ষমতাবান, প্রজ্ঞাময়।

সূরা মায়েদার ৩৮নং আয়াতের তাফসির করুন।

সূরা মায়েদার ৩৮নং আয়াতের তাফসির

অর্থাৎ হাত কেটে দেওয়াটা চোরাই মালের বদলা নয়, বরং চুরি করার সাজা এবং এটা এমনই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, যা দেখে অন্যরাও সাবধান হয়ে যাবে, কেউ চুরি করার সাহস করবে না। ফলে মানুষের অর্থ-সম্পদ নিরাপদ থাকবে। আল্লাহ তা‘আলা তাঁর হাকীম (প্রজ্ঞাময়) গুণটির উল্লেখ দ্বারা ইঙ্গিত করছেন, আপাতদৃষ্টিতে এ দ- কঠিন মনে হলেও মানুষের আর্থ-সামাজিক নিরাপত্তা বিধানের জন্য এরচেয়ে কার্যকর কোন ব্যবস্থা নেই। তাই তিনি তাঁর অপার হিকমতের দৃষ্টিতেই এ বিধান দিয়েছেন। এতে জুলুমের কোন অবকাশ নেই। পূর্ববর্তী আয়াতসমূহে ডাকাতি ও বিদ্রোহের শাস্তি এবং তার বিস্তারিত বিধি উল্লিখিত হয়েছে। পরবর্তী তিন আয়াতের পর চুরির শাস্তি বর্ণিত হবে। মাঝখানে তিন আয়াতে আল্লাহ্তৰ্ভীতি, ইবাদত ও জিহাদের প্রতি উৎসাহদান এবং কুফরী, নাফরমানী ও পাপের ধ্বংসকারিতা বিবৃত হয়েছে। কোরআনের এ বিশেষ পদ্ধতি সম্পর্কে চিন্তা করলে বোঝা যাবে যে, কোরআন শাসকের ভঙ্গিতে শুধু দণ্ড ও শাস্তির আইন ব্যক্ত করেই ক্ষান্ত হয় না, বরং অভিভাবকসুলভ ভঙ্গিতে অপরাধপ্রবণতা থেকে বিরত থাকার প্রতিও উদ্বুদ্ধ করে। আল্লাহ্ ও পরকালের ভয় এবং জান্নাতের চিরস্থায়ী নিয়ামত ও প্রশান্তিকে কল্পনায় উপস্থিত করে অপরাধীদের অন্তরকে অপরাধের প্রতি বীতশ্রদ্ধ করে তোলে। এ কারণেই অধিকাংশ অপরাধ ও দণ্ডবিধির সাথে সাথে আল্লাহকে ভয় কর ইত্যাদি বাক্যের পুনরাবৃত্তি করা হয়। এখানেও প্রথম আয়াতে তিনটি বিষয়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।



• IST-601 : Study of al Tafsir (Tafsir Ibn Kathir : Surah-al-Maieda verse 1 to 77) • IST-602 : Study of al-Fiqh • IST-603 : Philosophy of religion and Comparative Religion • IST-604 : History of Sufism in Bangladesh and some prominent • IST-605 : Trade, Commerce and Business Studies in Islam

সূরা মায়েদার ০৪নং আয়াতের তাফসির করুন।

প্রশ্ন: সূরা মায়েদার ০৪নং আয়াতের তাফসির করুন। বিষয়: IST-601 : Study of Al Tafsir কোর্স: এমএ ইন ইসলামিক স্টাডিজ (ফাইনাল)



সূরা মায়েদার ০৪নং আয়াতের তাফসির করুন।

সূরা মায়েদার ০৪নং আয়াত ও আয়াতের অর্থ

یَسۡـَٔلُوۡنَکَ مَاذَاۤ اُحِلَّ لَہُمۡ ؕ قُلۡ اُحِلَّ لَکُمُ الطَّیِّبٰتُ ۙ وَمَا عَلَّمۡتُمۡ مِّنَ الۡجَوَارِحِ مُکَلِّبِیۡنَ تُعَلِّمُوۡنَہُنَّ مِمَّا عَلَّمَکُمُ اللّٰہُ ۫ فَکُلُوۡا مِمَّاۤ اَمۡسَکۡنَ عَلَیۡکُمۡ وَاذۡکُرُوا اسۡمَ اللّٰہِ عَلَیۡہِ ۪ وَاتَّقُوا اللّٰہَ ؕ اِنَّ اللّٰہَ سَرِیۡعُ الۡحِسَابِ

অর্থ: লোকে তোমাকে জিজ্ঞেস করে, তাদের জন্য কোন জিনিস হালাল। বলে দাও, তোমাদের জন্য সমস্ত উপাদেয় জিনিস হালাল করা হয়েছে। আর যেই শিকারী পশুকে তোমরা আল্লাহর শেখানো পন্থায় শিখিয়ে শিখিয়ে (শিকার করার জন্য) প্রশিক্ষিত করে তুলেছ, তারা যে জন্তু (শিকার করে) তোমাদের জন্য ধরে আনে, তা থেকে তোমরা খেতে পার। আর তাতে আল্লাহর নাম উচ্চারণ করো ৮ এবং আল্লাহকে ভয় করে চলো। আল্লাহ দ্রুত হিসাব গ্রহণকারী।

সূরা মায়েদার ০৪নং আয়াতের তাফসির করুন।

সূরা মায়েদার ০৪নং আয়াতের তাফসির

শিকারী কুকুর, বাজপাখি ইত্যাদির মাধ্যমে হালাল প্রাণী শিকার করে খাওয়া যে সকল শর্ত সাপেক্ষে হালাল, তা বর্ণনা করা হচ্ছে। প্রথম শর্ত হল শিকারী প্রাণীটিকে প্রশিক্ষণ দিয়ে নিতে হবে। তার প্রশিক্ষিত হওয়ার আলামত বলা হয়েছে এই যে, সে যে জন্তু শিকার করবে তা নিজে খাবে না; বরং মনিবের জন্য ধরে আনবে। দ্বিতীয় শর্ত হল, শিকারকারী ব্যক্তি শিকারী কুকুরকে কোনও জন্তুকে লক্ষ্য করে ছাড়ার সময় আল্লাহর নাম উচ্চারণ করবে অর্থাৎ বিসমিল্লাহ বলবে।

পূর্ববর্তী আয়াতে হালাল ও হারাম জন্তুর বর্ণনা ছিল। আলোচ্য আয়াতে এ সম্পর্কেই একটি প্রশ্নের জবাব দেওয়া হয়েছে। কোন কোন সাহাবী রাসূলুল্লাহ্ (সা)-কে শিকারী কুকুর ও বাজপাখী দ্বারা শিকার করা সম্পর্কে প্রশ্ন করেছিলেন। আয়াতে তারই উত্তর বর্ণিত হয়েছে।



• IST-601 : Study of al Tafsir (Tafsir Ibn Kathir : Surah-al-Maieda verse 1 to 77) • IST-602 : Study of al-Fiqh • IST-603 : Philosophy of religion and Comparative Religion • IST-604 : History of Sufism in Bangladesh and some prominent • IST-605 : Trade, Commerce and Business Studies in Islam

সূরা মায়েদার ০১নং আয়াতের তাফসির করুন।

প্রশ্ন: সূরা মায়েদার ০১নং আয়াতের তাফসির করুন। বিষয়: IST-601 : Study of Al Tafsir কোর্স: এমএ ইন ইসলামিক স্টাডিজ (ফাইনাল)



সূরা মায়েদার ০১নং আয়াতের তাফসির করুন।

সূরা মায়েদার ০১নং আয়াত ও আয়াতের অর্থ

یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اَوۡفُوۡا بِالۡعُقُوۡدِ ۬ؕ اُحِلَّتۡ لَکُمۡ بَہِیۡمَۃُ الۡاَنۡعَامِ اِلَّا مَا یُتۡلٰی عَلَیۡکُمۡ غَیۡرَ مُحِلِّی الصَّیۡدِ وَاَنۡتُمۡ حُرُمٌ ؕ اِنَّ اللّٰہَ یَحۡکُمُ مَا یُرِیۡدُ

অর্থ: হে মুমিনগণ! তোমরা অঙ্গীকার পূরণ করো। তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে চতুষ্পদ গবাদি পশু (ও তদসদৃশ জন্তু), সেইগুলি ছাড়া যা তোমাদেরকে পড়ে শোনানো হবে, তবে তোমরা যখন ইহরাম অবস্থায় থাকবে, তখন শিকার করাকে বৈধ মনে করো না। আল্লাহ যা ইচ্ছা করেন আদেশ দান করেন।

সূরা মায়েদার ০১নং আয়াতের তাফসির করুন।

সূরা মায়েদার ০১নং আয়াতের তাফসির

  1. এই আয়াতে ‘বাহীমা’ বলতে যে-কোনও চার পা বিশিষ্ট প্রাণীকে বোঝায়, কিন্তু তার মধ্যে হালাল কেবল গৃহপালিত (বা গবাদি) পশু, অর্থাৎ গরু, উট, ছাগল, ভেড়া অথবা যে-গুলো গবাদি পশুর সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ, যেমন হরিণ, নীল গাই ইত্যাদি।
  2. সামনে ৩নং আয়াতে যে হারাম জিনিসসমূহের তালিকা দেওয়া হয়েছে, এটা তার প্রতি ইঙ্গিত।
  3. অর্থাৎ গবাদি পশু-সদৃশ জন্তু যদিও হালাল, কিন্তু কেউ হজ্জ বা উমরার ইহরাম বেঁধে ফেললে তার পক্ষে এসব পশু শিকার করা হারাম হয়ে যায়।
  4. মানুষ কেবল নিজ সীমিত বুদ্ধির উপর নির্ভর করে শরয়ী বিধানাবলী সম্পর্কে যেসব প্রশ্ন তোলে এ বাক্যটি তার মূলোৎপাটন করেছে, যেমন এই প্রশ্ন যে, জীব-জন্তুর যখন প্রাণ আছে, তখন তাদেরকে যবাহ করে খাওয়া বৈধ করা হল কেন, বিশেষত যখন এর দ্বারা এক প্রাণীকে কষ্ট দেওয়া হয়? কিংবা এই প্রশ্ন যে, কেন অমুক প্রাণীকে হালাল করা হল এবং অমুক প্রাণীকে হারাম? আয়াতের এ বাক্যটিতে অতি সংক্ষেপে, অথচ পূর্ণাঙ্গ ও বস্তুনিষ্ঠভাবে তার উত্তর দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, আল্লাহ তা‘আলা বিশ্ব-জগতের স্রষ্টা ও প্রতিপালক। তিনি নিজ হিকমত ও প্রজ্ঞার ভিত্তিতে যে জিনিসের ইচ্ছা করেন হুকুম দিয়ে দেন। সন্দেহ নেই যে, তার প্রতিটি হুকুমেই কোনও না কোনও হিকমত ও তাৎপর্য নিহিত থাকে, কিন্তু প্রতিটি হুকুমের হিকমত ও তাৎপর্য যে মানুষের বোধগম্য হতেই হবে এটা অনিবার্য নয়। সুতরাং মানুষের কাজ কেবল বিনা বাক্যে তার প্রতিটি হুকুম পালন করে যাওয়া।

সূরা মায়েদা সর্বসম্মতিক্রমে মদীনায় অবতীর্ণ। মদীনায় অবতীর্ণ সূরাসমূহের মধ্যে এটি শেষ দিককার সূরা। এমনকি, কেউ কেউ একে কোরআন মজীদের সর্বশেষ সূরাও বলেছেন।



• IST-601 : Study of al Tafsir (Tafsir Ibn Kathir : Surah-al-Maieda verse 1 to 77) • IST-602 : Study of al-Fiqh • IST-603 : Philosophy of religion and Comparative Religion • IST-604 : History of Sufism in Bangladesh and some prominent • IST-605 : Trade, Commerce and Business Studies in Islam

চুরির শাস্তির বিধান বিস্তারিতভাবে বর্ণনা দিন।

প্রশ্ন: চুরির শাস্তির বিধান বিস্তারিতভাবে বর্ণনা দিন। বিষয়: IST-601 : Study of Al Tafsir কোর্স: এমএ ইন ইসলামিক স্টাডিজ (ফাইনাল)



চুরির শাস্তির বিধান বিস্তারিতভাবে বর্ণনা দিন।

ভূমিকা

অন্যের মাল হেফাজতকৃত ও সংরক্ষিত স্থান থেকে বিনা অনুমতিতে গোপনে নিয়ে যাওয়াকে ইসলামের পরিভাষায় চুরি বলা হয়। চুরি করা বড় অন্যায়। ইসলাম চুরি করাকে হারাম বলেছে। মহান আল্লাহ বলেন, তোমরা অন্যের সম্পদ অন্যায়ভাবে ভক্ষণ করো না। কেউ যেন অন্যের ধন-সম্পদ চুরি করার সাহস না পায় এজন্য ইসলামে চোরের জন্য শাস্তি নির্ধারণ করা হয়েছে।

ইসলামে চুরির শাস্তির বিধান

কারোর ব্যাপারে তার নিজস্ব স্বীকারোক্তি অথবা গ্রহণযোগ্য যে কোন দু’জন সাক্ষীর মাধ্যমে চুরির বিষয়টি প্রমাণিত হলে অথচ চোরা বস্ত্তটি যথাযোগ্য হিফাযতে ছিলো এবং বস্ত্তটি তার মালিকানাধীন হওয়ার ব্যাপারে তার কোন সন্দেহ ছিলো না এমনকি বস্ত্তটি সোয়া চার গ্রাম স্বর্ণ অথবা পৌনে তিন গ্রাম রূপা সমমূল্য কিংবা এর চাইতেও বেশি ছিলো তখন তার ডান হাত কব্জি পর্যন্ত কেটে ফেলা হবে, আবার চুরি করলে তার বাম পা, আবার চুরি করলে তার বাম হাত এবং আবার চুরি করলে তার ডান পা কেটে ফেলা হবে। এটাই ইসলামী শরীয়াতের বিধান। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ্ তায়ালা সূরা মায়েদার ৩৮ নম্বর আয়াতে বলেন,

«وَالسَّارِقُ وَالسَّارِقَةُ فَاقْطَعُوْا أَيْدِيَهُمَا جَـزَاءً بِمَا كَسَبَا نَكَالًا مِّنَ اللهِ، وَاللهُ عَزِيْزٌ حَكِيْمٌ

অর্থ: তোমরা চোর ও চুন্নির (ডান) হাত কেটে দিবে তাদের কৃতকর্মের (চৌর্যবৃত্তি) দরুন আল্লাহ্ তা‘আলার পক্ষ থেকে শাস্তি সরূপ। বস্তত আল্লাহ্ তা‘আলা অতিশয় ক্ষমতাবান মহান প্রজ্ঞাময়।

চুরির শাস্তির বিধান বিস্তারিতভাবে বর্ণনা দিন।

হযরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ইরশাদ করেন, ‘সিকি দিনার তথা এক গ্রাম থেকে একটু বেশি স্বর্ণ (অথবা উহার সমমূল্য) এবং এর চাইতে বেশি চুরি করলেই কোন চোরের হাত কাটা হয়, নতুবা নয়।’

আব্দুল্লাহ্ বিন্ ’উমর (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, ‘রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) জনৈক চোরের হাত কাটলেন একটি ঢাল চুরির জন্য যার মূল্য ছিলো তিন দিরহাম তথা প্রায় নয় গ্রাম রূপা কিংবা উহার সমমূল্য’।

কারোর চুরির ব্যাপারটি যদি বিচারকের নিকট না পৌঁছায় এবং সে এতে অভ্যস্তও নয় এমনকি সে উক্ত কাজ থেকে অতিসত্বর তাওবা করে নেক আমলে মনোনিবেশ করে তখন আল্লাহ্ তা‘আলা তার তাওবা কবুল করবেন। এমতাবস্থায় তার ব্যাপারটি বিচারকের নিকট না পৌঁছানোই উত্তম। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ তায়ালা সূরা মায়েদার ৩৯ নম্বর আয়াতে বলেন,


فَمَنْ تَابَ مِنْۢ بَعْدِ ظُلْمِهٖ وَاَصْلَحَ فَاِنَّ اللهَ یَتُوْبُ عَلَیْهِ ؕ اِنَّ اللهَ غَفُوْرٌ رَّحِیْمٌ ﴿۳۹﴾

অর্থ: অতঃপর যে ব্যক্তি নিজ সীমালংঘনমূলক কার্যক্রম থেকে তাওবা করবে এবং নিজেকে সংশোধন করে নেবে, আল্লাহ তার তাওবা কবুল করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

আর যদি কোন ব্যক্তি চুরিতে অভ্যস্ত হয় এবং সে চুরিতে কারোর হাতে ধরাও পড়েছে তখন তার ব্যাপারটি বিচারকের নিকট অবশ্যই জানানো প্রয়োজন। যাতে সে শাস্তিপ্রাপ্ত হয়ে অপকর্মটি ছেড়ে দেয়।

কারোর নিকট কোন কিছু আমানত রাখার পর সে তা আত্মসাৎ করলে এবং কেউ কারোর কোন সম্পদ লুট অথবা ছিনতাই করে ধরা পড়লে চোর হিসেবে তার হাত খানা কাটা হবে না। পকেটমারের বিধানও তাই। তবে তারা কখনোই শাস্তি পাওয়া থেকে একেবারেই ছাড় পাবে না। এদের বিধান হত্যাকারীর বিধানাধীন উল্লেখ করা হয়েছে।

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ইরশাদ করেন, ‘আমানত আত্মসাৎকারী, লুটেরা এবং ছিনতাইকারীর হাতও কাটা হবে না।’

কেউ কারোর কোন ফলগাছের ফল গাছ থেকে ছিঁড়ে খেয়ে ধরা পড়লে তার হাতও কাটা হবে না। এমনকি তাকে কোন কিছুই দিতে হবে না। আর যদি সে কিছু সাথে নিয়ে যায় তখন তাকে জরিমানাও দিতে হবে এবং যথোচিত শাস্তিও ভোগ করতে হবে। আর যদি গাছ থেকে ফল পেড়ে নির্দিষ্ট কোথাও শুকাতে দেয়া হয় এবং সেখান থেকেই কেউ চুরি করলো তখন তা হাত কাটার সমপরিমাণ হলে তার হাতও কেটে দেয়া হবে।

আব্দুল্লাহ্ বিন্ ‘আমর বিন্ ‘আস্ব (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: একদা রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে গাছের ফল সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘কেউ প্রয়োজনের খাতিরে সাথে কিছু না নিয়ে (কারোর কোন ফলগাছের ফল) শুধু খেলে তাকে এর জরিমানা স্বরূপ কিছুই দিতে হবে না। আর যে শুধু খায়নি বরং সাথে কিছু নিয়ে গেলো তাকে ডবল জরিমানা দিতে হবে এবং যথোচিত শাস্তিও ভোগ করতে হবে। আর যে ফল শুকানোর জায়গা থেকে চুরি করলো এবং তা ছিলো একটি ঢালের সমমূল্য তখন তার হাত খানা কেটে দেয়া হবে। আর যে এর কম চুরি করলো তাকে ডবল জরিমানা দিতে হবে এবং যথোচিত শাস্তিও ভোগ করতে হবে’।

অনেকেই রাষ্ট্রীয় তথা জাতীয় সম্পদ চুরি করতে একটুও দ্বিধা করে না। তাদের ধারণা, সবাই তো করে যাচ্ছে তাই আমিও করলাম। এতে অসুবিধে কোথায়? মূলত এ ধারণা একেবারেই ঠিক নয়। কারণ, জাতীয় সম্পদ বলতে রাষ্ট্রের সকল মানুষের সম্পদকেই বুঝানো হয়। সুতরাং এর সাথে বহু লোকের অধিকারের সম্পর্ক রয়েছে। বিশেষভাবে তাতে রয়েছে গরিব, দু:খী, ইয়াতীম, অনাথ ও বিধবাদের অধিকার। তাই ব্যক্তি সম্পদের তুলনায় এর গুরুত্ব অনেক বেশি এবং এর চুরিও খুবই মারাত্মক।

আবার কেউ কেউ কোন কাফিরের সম্পদ চুরি করতে এতটুকুও দ্বিধা করে না। তাদের ধারণা, কাফিরের সম্পদ আত্মসাৎ করা একেবারেই জায়িয। মূলত এরূপ ধারণাও সম্পূর্ণটাই ভুল। বরং শরীয়তের দৃষ্টিতে এমন সকল কাফিরের সম্পদই হালাল যাদের সঙ্গে এখনো মুসলিমদের যুদ্ধাবস্থা বিদ্যমান। মুসলিম এলাকায় বসবাসরত কাফির ও নিরাপত্তাপ্রাপ্ত কাফির এদের অন্তর্ভুক্ত নয়।

উপসংহার

সব ধর্মেই চুরি একটি জঘন্যতম অপরাধ। সব ধর্মই চুরি নিষিদ্ধ করেছে। তবে ইসলাম দেখিয়েছে তা কিভাবে অর্জন করতে হয়। শয়তানের ধোঁকায় চুরি করে ফেললে তাকে অবশ্যই আল্লাহ্ তা‘আলার নিকট খাঁটি তাওবা করে চুরিত বস্ত্তটি উহার মালিককে ফেরৎ দিতে হবে। চাই সে তা প্রকাশ্যে দিক অথবা অপ্রকাশ্যে। সরাসরি দিক অথবা কোন মাধ্যম ধরে। যদি অনেক খোঁজাখুঁজির পরও উহার মালিক বা তার ওয়ারিশকে পাওয়া না যায় তা হলে সে যেন বস্ত্তটি অথবা বস্ত্তটির সমপরিমাণ টাকা মালিকের নামে সাদাকা করে দেয়। যার সাওয়াব মালিকই পাবে, সে নয়।



• IST-601 : Study of al Tafsir (Tafsir Ibn Kathir : Surah-al-Maieda verse 1 to 77) • IST-602 : Study of al-Fiqh • IST-603 : Philosophy of religion and Comparative Religion • IST-604 : History of Sufism in Bangladesh and some prominent • IST-605 : Trade, Commerce and Business Studies in Islam

উযু কখন ফরয হয়? উযুর ফরয কয়টি ও কি কি? আলোচনা করুন।

প্রশ্ন: উযু কখন ফরয হয়? উযুর ফরয কয়টি ও কি কি? আলোচনা করুন। বিষয়: IST-601 : Study of Al Tafsir কোর্স: এমএ ইন ইসলামিক স্টাডিজ (ফাইনাল)



উযু কখন ফরয হয়? উযুর ফরয কয়টি ও কি কি? আলোচনা করুন।

ভূমিকা

উযু পবিত্রতা অর্জন ও নামাজ আদায়ের প্রধান মাধ্যম। উযুর আভিধানিক অর্থ- সৌন্দর্য, পরিষ্কার ও স্বচ্ছতা। উযুর মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জন করা হয়। আল্লাহর সন্তুষ্টিও লাভ হয়। উযু না থাকলে নামায হয় না। তাই নামাযের জন্য উযু আবশ্যক। শরিয়তের পরিভাষায় পবিত্রতা অর্জনের নিয়তে নির্দিষ্ট অঙ্গসমূহে পানি ব্যবহার করাকে উযু বলে। ইসলামী শরীয়াতে অযুকে নামাজের চাবি হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। অজু তিন প্রকার—ফরজ, ওয়াজিব ও মোস্তাহাব।

উযু কখন ফরয হয়? উযুর ফরয কয়টি ও কি কি? আলোচনা করুন।

উযু কখন ফরয হয়

উযু না থাকা ব্যক্তির জন্য চার অবস্থায় উযু ফরয হয়। অর্থাৎ চারটি কাজ করার জন্য আবশ্যিকভাবে উযু করার প্রয়োজন হয়। যা নিম্নে উল্লেখ করা হলো-

  • যেকোনো নামাজ আদায়ের জন্য উযু ফরয হয়। ফরজ, ওয়াজিব কিংবা নফল নামায। যে কোন প্রকারের নামাযই হোক না কেন, নামায আদায়ের জন্য উযু করা আবশ্যক বা ফরয।
  • জানাজার নামাজ আদায় করার জন্য উযু ফরয। যদিও জানাযা এক প্রকারের দোয়া, মৌলিক কোনো নামায নয়।
  • সিজদায়ে তিলাওয়াতের জন্য। অর্থাৎ কোরআনের যেসব নির্দিষ্ট আয়াত তেলাওয়াত করলে বা শুনলে সিজদা দেওয়া ওয়াজিব, সেই সিজদা আদায়ের জন্য উযু করা ফরয।
  • পবিত্র কোরআন স্পর্শ করার জন্য উযু করা ফরয। অনুরূপভাবে অজু ছাড়া ব্যক্তি যদি পবিত্র কোরআনের আয়াত-লিখিত— দেয়াল, কাগজ, টাকা ও অন্যান্য যেসব কিছু-ই ছুঁতে চাইবে, তার জন্য উযু করা ফরয।

উযুর ফরয কয়টি ও কি কি

উযুর ফরয মোট ০৪টি। ফকীহগণ নিম্নবর্ণিত ০৪টি কাজকে উযুর ফরয বলেছেন,

  1. সমস্ত মুখমণ্ডল ধৌত করা,
  2. দুই হাত কনুই পর্যন্ত ধৌত করা,
  3. মাথা মাসেহ করা,
  4. দুই পা গিরাসহ ধৌত করা।

কোন কোন ফিকাহবদি নিম্নবর্ণিত ২টি কাজও উযুর ফরয হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করেছেন। যেমন-

  1. ধারাবাহিকতা রক্ষা করা। অর্থাৎ ওযূর অঙ্গ ধৌত করার সময় ক্রমধারা ভঙ্গ না করা। আরবীতে এ সিরিয়ালকে বলা হয় তারতীব;
  2. এক অঙ্গ শুকিয়ে যাওয়ার পূর্বেই পরবর্তী অঙ্গ ধৌত করা। এটাকে আরবীতে বলা হয় মুওয়ালাহ।

উপসংহার

উযু নামাযের চাবি। তাই উযু ঠিক মতো না হলে নামাযও আদায় হবে না। তাই সঠিকভাবে উযু আদায় করা জরুরী। এছাড়াও উযু করার উঁচু স্থানে বসা, যাতে পানির ছিটা গায়ে না আসে, কিবলার দিকে বসে অজু করা, প্রয়োজন ছাড়া কথা না বলা, নাকের ময়লা দূর করার জন্য বাঁ হাত ব্যবহার করা ইত্যাদি বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য উযু করা খুবই প্রয়োজন।



• IST-601 : Study of al Tafsir (Tafsir Ibn Kathir : Surah-al-Maieda verse 1 to 77) • IST-602 : Study of al-Fiqh • IST-603 : Philosophy of religion and Comparative Religion • IST-604 : History of Sufism in Bangladesh and some prominent • IST-605 : Trade, Commerce and Business Studies in Islam

তায়াম্মুমের ফরয কয়টি ও কি কি? তায়াম্মুম করার নিয়ম আলোচনা করুন।

প্রশ্ন: তায়াম্মুমের ফরয কয়টি ও কি কি? তায়াম্মুম করার নিয়ম আলোচনা করুন। বিষয়: IST-601 : Study of Al Tafsir কোর্স: এমএ ইন ইসলামিক স্টাডিজ (ফাইনাল)



ভূমিকা

ইসলাম মানব কল্যাণ মুখী জীবন ব্যবস্থা। সর্বক্ষেত্রে ইসলাম মানুষের জন্য সহজ বিধান প্রবর্তন করেছে। তায়াম্মুমের বিধান তার-ই একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। ইসলামে অসুস্থ কিংবা অফারেগ ব্যক্তিদের জন্য জোরজবরদস্তি নেই। অসুস্থ ব্যক্তির জন্য রয়েছে অসুস্থ ব্যক্তির বিধান। যদি কোন ব্যক্তি পানি ব্যবহারে অক্ষম হয় তাহলে তার তায়াম্মুম এর বিধান।

তায়াম্মুম কাকে বলে

তায়াম্মুম শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো ইচ্ছা করা, সংকল্প করা, ইচ্ছা পোষণ করা ইত্যাদি। ইসলামী শরীয়তের পরিভাষায় পবিত্রতা অর্জনের লক্ষ্যে মাটি ব্যবহারের ইচ্ছা পোষণ করে তা বাস্তবায়ন করার নাম তায়াম্মুম। আল-মুজাম্মল ওসিয়ত গ্রন্থে বলা হয়েছে, মাটি দ্বারা মুখমন্ডল ও উভয় হাত মাসেহ করাকে তায়াম্মুম বলে।

তায়াম্মুমের ফরয কয়টি ও কি কি? তায়াম্মুম করার নিয়ম আলোচনা করুন।

তায়াম্মুমের ফরয

তায়াম্মুমের ফরয তিনটি। যথা- ১. নিয়ত করা, ২. মুখমন্ডল মাসেহ করা, ৩. উভয় হাত কনুই পর্যন্ত মাসেহ করা।

আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনের সূরা মায়েদার ৬ নম্বর আয়াতে তায়াম্মুমের কথা উল্লেখ করে বলেন,


یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْۤا اِذَا قُمْتُمْ اِلَی الصَّلٰوۃِ فَاغْسِلُوْا وُجُوْهَكُمْ وَاَیْدِیَكُمْ اِلَی الْمَرَافِقِ وَامْسَحُوْا بِرُءُوْسِكُمْ وَ اَرْجُلَكُمْ اِلَی الْکَعْبَیْنِ ؕ وَ اِنْ كُنْتُمْ جُنُبًا فَاطَّهَّرُوْا ؕ وَ اِنْ كُنْتُمْ مَّرْضٰۤی اَوْ عَلٰی سَفَرٍ اَوْجَآءَ اَحَدٌ مِّنْكُمْ مِّنَ الْغَآئِطِ اَوْ لٰمَسْتُمُ النِّسَآءَ فَلَمْ تَجِدُوْا مَآءً فَتَیَمَّمُوْا صَعِیْدًا طَیِّبًا فَامْسَحُوْا بِوُجُوْهِكُمْ وَاَیْدِیْكُمْ مِّنْهُ ؕ مَایُرِیْدُ اللهُ لِیَجْعَلَ عَلَیْكُمْ مِّنْ حَرَجٍ وَّلٰکِنْ یُّرِیْدُ لِیُطَهِّرَكُمْ وَلِیُتِمَّ نِعْمَتَهٗ عَلَیْكُمْ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُوْنَ ﴿۶﴾

হে মুমিনগণ! তোমরা যখন নামাযের জন্য উঠবে তখন নিজেদের চেহারা ও কনুই পর্যন্ত নিজেদের হাত ধুয়ে নিবে, নিজেদের মাথাসমূহ মাসেহ করবে এবং টাখনু পর্যন্ত নিজেদের পা (-ও ধুয়ে নেবে)। তোমরা যদি জানাবত অবস্থায় থাক তবে নিজেদের দেহ (গোসলের মাধ্যমে) ভালোভাবে পবিত্র করে নেবে। তোমরা যদি পীড়িত হও বা সফরে থাক কিংবা তোমাদের মধ্যে কেউ শৌচস্থান থেকে আসে অথবা তোমরা স্ত্রীদের সাথে দৈহিক মিলন করে থাক এবং পানি না পাও, তবে পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম করবে এবং তা (মাটি) দ্বারা নিজেদের চেহারা ও হাত মাসেহ করবে। আল্লাহ তোমাদের উপর কোনও কষ্ট চাপাতে চান না; বরং তিনি তোমাদেরকে পবিত্র করতে চান এবং তোমাদের প্রতি স্বীয় নিয়ামত পরিপূর্ণ করতে চান, যাতে তোমরা শুকরগোযার হয়ে যাও।

তায়াম্মুমের পদ্ধতি

তায়াম্মুম করার ইচ্ছাকারী ব্যক্তি উভয় হাতের কাপড়গুলো কনুইয়ের ওপরে উঠিয়ে নেবে। তায়াম্মুম দ্বারা নামাজ পড়ার নিয়ত করে বিসমিল্লাহ পাঠ করবে। নিজের উভয় হাতের তালুকে আঙুলগুলো খোলা রেখে মাটির ওপর রাখবে। হাতকে মাটির ওপর সামান্য ঘষবে। তারপর উভয় হাত উঠিয়ে ঝেড়ে ফেলবে। এরপর পুরো মুখমণ্ডল মাসেহ করবে। অতঃপর আগের মতো উভয় হাতের তালু আঙুল খোলা রেখে মাটির ওপর রেখে সামান্য ঘষবে। এরপর নিজের বাঁ হাত দ্বারা ডান হাত কনুই পর্যন্ত মাসেহ করবে। এরপর ডান হাত দ্বারা বাঁ হাত কনুই পর্যন্ত মাসেহ করবে। তাতে তায়াম্মুম পরিপূর্ণ হয়ে যাবে। এরপর তা দ্বারা ফরজ, নফল সব ধরনের ইবাদত আদায় করতে পারবে।

উপসংহার

পানির অভাব কিংবা পানি ব্যবহারে অপারগতার ক্ষেত্রে মাটি দ্বারা পবিত্রতা অর্জনের বিধান সত্যিকার অর্থে মুসলিমদের জন্য ইসলামের একটি অনন্য সহজ বিধান। সুতরাং ইসলামী শরীয়তের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিটি বিধান পালন করা সকল মুসলিমের জন্য অপরিহার্য।



• IST-601 : Study of al Tafsir (Tafsir Ibn Kathir : Surah-al-Maieda verse 1 to 77) • IST-602 : Study of al-Fiqh • IST-603 : Philosophy of religion and Comparative Religion • IST-604 : History of Sufism in Bangladesh and some prominent • IST-605 : Trade, Commerce and Business Studies in Islam

ওয়াদা পালনের গুরুত্ব কুরআন ও সুন্নাহের আলোকে আলোচনা করুন।

প্রশ্ন: ওয়াদা পালনের গুরুত্ব কুরআন ও সুন্নাহের আলোকে আলোচনা করুন। বিষয়: IST-601 : Study of Al Tafsir কোর্স: এমএ ইন ইসলামিক স্টাডিজ (ফাইনাল)



ভূমিকা

একজন মুমিন মুসলমানের যে গুণগুলো থাকা প্রয়োজন তার মধ্যে অঙ্গীকার তথা ওয়াদা পূর্ণ করা অন্যতম। প্রকৃত মুমিন হওয়ার জন্য এই মহৎ সিফাত বা গুণটি থাকা প্রয়োজন। ওয়াদা পালন ইসলামের অন্যতম একটি অধ্যায়। ওয়াদা শব্দের অর্থ অঙ্গীকার, চুক্তি, প্রতিশ্রুতি, প্রতিজ্ঞা ইত্যাদি। পরিভাষায় বলতে গেলে, কারো সাথে কোনো অঙ্গীকার করলে তা পালন করার নাম ওয়াদা। সামাজিকভাবে প্রকৃত মানুষ চেনা যায় ওয়াদা পালনের মাধ্যমে। ওয়াদা পালনের মাধ্যমে মানুষের মাঝে ভ্রাতৃত্ববোধ সৃষ্টি হয়।

ওয়াদা পালনের গুরুত্ব কুরআন ও সুন্নাহের আলোকে আলোচনা করুন।

কুরআনে ওয়াদা পালনের গুরুত্ব

ওয়াদা আমানত স্বরূপ। ইসলামে ওয়াদা পালনের গুরুত্ব অনেক বেশি। ওয়াদা পালনের ব্যাপারে পবিত্র কোরআনে সূরা মায়েদার ০১ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন,


یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْۤا اَوْفُوْا بِالْعُقُوْدِ ۬ؕ اُحِلَّتْ لَكُمْ بَهِیْمَۃُ الْاَنْعَامِ اِلَّا مَا یُتْلٰی عَلَیْكُمْ غَیْرَ مُحِلِّی الصَّیْدِ وَاَنْتُمْ حُرُمٌ ؕ اِنَّ اللهَ یَحْكُمُ مَا یُرِیْدُ ﴿۱﴾

অর্থ: হে মুমিনগণ! তোমরা অঙ্গীকার পূরণ করো। তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে চতুষ্পদ গবাদি পশু (ও তদসদৃশ জন্তু), সেইগুলি ছাড়া যা তোমাদেরকে পড়ে শোনানো হবে, তবে তোমরা যখন ইহরাম অবস্থায় থাকবে, তখন শিকার করাকে বৈধ মনে করো না। আল্লাহ যা ইচ্ছা করেন আদেশ দান করেন।

এখানে মহান আল্লাহ তায়ালা মুমিনদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন তারা যেন ওয়াদা বা অঙ্গীকার পূরণ করে। এ বিষয়ে পবিত্র আল কোরআনের সূরা আনফাল এর ২৭ নম্বর আয়াতে আরো বলা হয়েছে,


یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا لَا تَخُوْنُوا اللهَ وَالرَّسُوْلَ وَتَخُوْنُوْۤا اَمٰنٰتِكُمْ وَاَنْتُمْ تَعْلَمُوْنَ ﴿۲۷﴾

অর্থ: হে মুমিনগণ! আল্লাহ ও রাসূলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করো না এবং জেনে-শুনে নিজেদের আমানতের খেয়ানত করো না।

অর্থাৎ অঙ্গীকা বা ওয়াদাও একটি আমানত। আর আমানতের খেয়ানত যে করবে অর্থাৎ যে ব্যক্তি অঙ্গীগার পূরণ করবে না সে ব্যক্তি মুমিন হতে পারে না। এ বিসয়ে সূরা নিসা এর ৫৮ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন,

اِنَّ اللهَ یَاْمُرُكُمْ اَنْ تُؤَدُّوا الْاَمٰنٰتِ اِلٰۤی اَهْلِهَا ۙ وَ اِذَا حَکَمْتُمْ بَیْنَ النَّاسِ اَنْ تَحْكُمُوْا بِالْعَدْلِ ؕ اِنَّ اللهَ نِعِمَّا یَعِظُكُمْ بِهٖ ؕ اِنَّ اللهَ کَانَ سَمِیْعًۢا بَصِیْرًا ﴿۵۸﴾

অর্থ: (হে মুসলিমগণ!) নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদেরকে আদেশ করছেন যে, তোমরা আমানতসমূহ তার হকদারকে আদায় করে দেবে এবং যখন মানুষের মধ্যে বিচার করবে, তখন ইনসাফের সাথে বিচার করবে। আল্লাহ তোমাদেরকে যে বিষয়ে উপদেশ দেন, তা কতই না উৎকৃষ্ট। নিশ্চয়ই আল্লাহ সবকিছু শোনেন, সবকিছু দেখেন।

ওয়াদার বিভিন্ন প্রকারভেদ রয়েছে। যথা : মহান আল্লাহর সঙ্গে কৃত ওয়াদা, বান্দার সঙ্গে কৃত ওয়াদা, সামাজিক দায়বদ্ধতার ওয়াদা, আশরাফুল মাখলুকাত হিসেবে অন্যান্য প্রাণীদের হক আদায়ের ওয়াদা ইত্যাদি। একজন মুত্তাকীর অন্যতম দায়িত্ব হলো, সে সব ধরনের ওয়াদাই পূরণ করবে এবং অন্যরাও যেন এ বিষয়ে সচেতন হয় তা নিশ্চিত করবে। কেননা, মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন কঠিন হাশরের ময়দানে অঙ্গীকারের ব্যাপারে গোটা মানবজাতির থেকে হিসাব নেবেন। পবিত্র কোরআনের সূরা বনি ইসরাঈল এর ৩৪ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন,


وَلَا تَقْرَبُوْا مَالَ الْیَتِیْمِ اِلَّا بِالَّتِیْ هِیَ اَحْسَنُ حَتّٰی یَبْلُغَ اَشُدَّهٗ ۪ وَ اَوْفُوْا بِالْعَهْدِ ۚ اِنَّ الْعَهْدَ کَانَ مَسْـُٔوْلًا ﴿۳۴﴾

অর্থ: এবং ইয়াতীম যতক্ষণ না পরিপক্কতায় উপনীত হয়, তার সম্পদের কাছেও যেও না, তবে এমন পন্থায় যা (তার পক্ষে) উত্তম। আর অঙ্গীকার পূরণ করো। নিশ্চয়ই অঙ্গীকার সম্পর্কে (তোমাদের) জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

হাদিসে ওয়াদা পালনের গুরুত্ব

পবিত্র কোরআনে যেমন ওয়াদা পালনের গুরুত্বারোপ করা হয়েছে, ঠিক তেমনি রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর বিভিন্ন হাদিসেও ওয়াদা পালনের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

হযরত আব্দুল্লাহ বিন আমর (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) ফরমান, চারটি স্বভাব যার মধ্যে থাকে, সে সুস্পষ্ট মুনাফিক। আর যার মধ্যে এ স্বভাবগুলোর কোনো একটি থাকে, তা ত্যাগ না করা পর্যন্ত তার মধ্যে মুনাফেকির একটি দোষ রয়ে যায়। আর মুনাফেকীর আলামতগুলো হলো : তার কাছে কেউ কোনো কিছু আমানত রাখলে, তা খেয়ানত করে। সে কথা বললে, মিথ্যা বলে। ওয়াদা করলে, তা ভঙ্গ করে। এবং ঝগড়া করলে, গাল-মন্দ করে।

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আবু হাসমা (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নবুওয়াত লাভের পূর্বে একদা আমি তাঁর কাছ থেকে কেনাকাটা করি। যার কিছু মূল্য পরিশোধ করতে বাকি রয়ে গিয়েছিল। আমি তার সাথে ওয়াদা করেছিলাম যে, আমি অবশিষ্ট দাম নিয়ে তার নির্ধারিত স্থানে এসে হাজির হব। আমি এই প্রতিশ্রুতির কথা ভুলে গেলাম। তিন দিন পরে আমার স্মরণ হলো। এসে দেখলাম তিনি সেই নির্দিষ্ট স্থানে আছেন। আমাকে দেখে তিনি বললেন, তুমি আমাকে খুব বিপদে ফেলেছিলে। আমি তিন দিন যাবৎ তোমার অপেক্ষা করছি।

উক্ত হাদিসের দ্বারা বোঝা যায় রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ওয়াদা পালনে কত সোচ্চার ছিলেন। এর থেকে আমাদের শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত। অথচ আমরা খেল-তামাশায় ওয়াদা ভঙ্গ করে ফেলি।

অনেক সময় আমরা অনেকেই কথার ছলে বিভিন্ন ওয়াদা করে ফেলি। যেমন, তোমাকে এটা দেব, ওইটা দেব বা আমি এটা করব, ওইটা করব ইত্যাদি। এইভাবে বললেও যদি তা পালন না করা হয়, তাহলে অবশ্যই গুনাহগার হবে।

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমের (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা আমার মা আমাকে ডাকলেন। তখন রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদের ঘরে বসা ছিলেন। মা বললেন, এদিকে এসো। তোমাকে আমি কিছু দেব। তখন রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মাকে বললেন, তুমি তাকে কি দিতে ইচ্ছা পোষণ করেছ? তিনি বললেন, আমি তাকে একটি খেজুর দিতে ইচ্ছা করেছি। তখন রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাকে বললেন, সাবধান! যদি তুমি তাকে কিছু না দিতে, তবে তোমার আমলনামায় একটি মিথ্যা কথা বলা লেখা হতো।

হযরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সাল্লাল্লাহু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ইরশাদ করেন, মুনাফিকের আলামত তিনটি। (১) কথা বললে মিথ্যা কথা বলে। (২) ওয়াদা করলে তা ভঙ্গ করে। (৩) আমানত রাখলে তা খেয়ানত করে।

উক্ত হাদিসের মাধ্যমে বোঝা যায়, ইসলামে কতটা গুরুত্বারোপ করা হয়েছে ওয়াদা পালনের ব্যাপারে। তবে হ্যাঁ, যদি কোনো বিশেষ সমস্যার কারণে ওয়াদা পালন করতে না পারে তাহলে এক্ষেত্রে ছাড় রয়েছে। যেমন-

হযরত যায়েদ ইবনে আরকাম (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, কোনো ব্যক্তি ওয়াদা করার সময় যদি তা পূরণের নিয়ত রাখে কিন্তু পরে (কোনো বিশেষ অসুবিধার কারণে) তা পূরণ করতে না পারে, তবে এতে তার অপরাধ হবে না।

উপসংহার

আমাদের ব্যক্তি জীবনের সব ক্ষেত্রেই এমন খেল-তামাশায় বা দুষ্টামির ছলে এমন কাজ করা হতে বিরত থাকতে হবে। কেননা এর ভয়াবহতা খুব কঠোর। ওয়াদা করার পর ভঙ্গ করা মুনাফিকের আলামত। সমাজে সম্মানের সাথে জীবনযাপন করতে হলে অবশ্যই ওয়াদা পালনে সোচ্চার হতে হবে। সামাজিক কর্মনীতিতে ওয়াদার গুরুত্ব অপরিসীম। পবিত্র কোরআনের পাশাপাশি হাদিস শরিফের অসংখ্য জায়গায় ওয়াদা রক্ষা করার গুরুত্ব সম্পর্কে তাগিদ দেয়া হয়েছে।



• IST-601 : Study of al Tafsir (Tafsir Ibn Kathir : Surah-al-Maieda verse 1 to 77) • IST-602 : Study of al-Fiqh • IST-603 : Philosophy of religion and Comparative Religion • IST-604 : History of Sufism in Bangladesh and some prominent • IST-605 : Trade, Commerce and Business Studies in Islam

হারাম মাস কয়টি ও কি কি? ‘হারাম মাস’ নামকরণের কারণ কী?

প্রশ্ন: হারাম মাস কয়টি ও কি কি? ‘হারাম মাস’ নামকরণের কারণ কী? বিষয়: IST-601 : Study of Al Tafsir কোর্স: এমএ ইন ইসলামিক স্টাডিজ (ফাইনাল)



ভূমিকা

মহান আল্লাহ তায়ালা মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে সকল মানুষ আর নবী রাসূলগণের মধ্যে শ্রেষ্ঠত্ব প্রদান করেছেন। তেমনি ভাবে সপ্তাহের ৭টি দিনের মধ্যে জুম‘আর দিনকে, রাতগুলোর মধ্যে ক্বদরের রাতকে, পৃথিবীর স্থানগুলোর মধ্যে হারামাইনের মতো বিশেষ কিছু স্থানকে শ্রেষ্ঠত্ব প্রদান করেছেন। ঠিক একই ভাবেই আল্লাহ তায়ালা ১২টি মাসের মধ্যে অধিক মর্যাদা দিয়েছেন ৪টি মাসকে। এই ০৪টি মাস হারাম মাস হিসেবে পরিচিত।

হারাম মাস কয়টি ও কি কি? ‘হারাম মাস’ নামকরণের কারণ কী?

হারাম মাস কয়টি ও কি কি

মহান আল্লাহ মুমিনদের জন্য ইবাদাতের মাঝেও বৈচিত্রতা দিয়ে রেখেছেন। সারা বছরের বিভিন্ন দিন, মাসের প্রাধান্য তার একটি নমুনা। কতগুলি মৌলিক কাজসহ প্রতিটি হারাম মাসের একটি বিশেষ দিক নির্দেশনা রয়েছে। হারাম মাসের সংখ্যা ০৪টি। মাসগুলো হলো — রজব, জিলকদ, জিলহজ্জ এবং মুহাররম।

মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র আল কোরআনের সূরা মায়েদার ০২ নম্বর আয়াতে বলেন,

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تُحِلُّوا شَعَائِرَ اللَّهِ وَلَا الشَّهْرَ الْحَرَامَ .

অর্থ: হে ঈমানদার বান্দারা, তোমরা আল্লাহ তা’লার নিদর্শনসমূহের অসম্মান করো না, সম্মানিত মাসগুলোকেও না।

রাসূলে কারীম (সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, নিশ্চয়ই আবর্তনের পথ ধরে মহাকাল আজ তার সেই প্রারম্ভিক বিন্দুতে প্রত্যাবর্তন করেছে, যেখানে সে আল্লাহ কর্তৃক আকাশ ও পৃথিবীর সৃষ্টির দিনে ছিল। আল্লাহর কাছে মাস সুনিশ্চিতভাবেই বারোটাই। যখন আল্লাহ আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন তখন থেকেই তাঁর অদৃষ্ট লিপিতে মাসের সংখ্যা এভাবেই লেখা রয়েছে। এগুলোর মধ্যে চারটি মাস নিষিদ্ধ। তিনটি মাস ধারাবাহিক – জিলকদ, জিলহজ্জ ও মুহাররম। আর একটির অবস্থান একাকী অর্থাৎ রজব মাস, যা জমাদিউস সানী ও শা’বানের মাঝখানে অবস্থিত।

‘হারাম মাস’ নামকরণের কারণ

নির্ধারিত এই মাসগুলোতে যুদ্ধ-বিগ্রহ নিষেধ। তবে শত্রুপক্ষ আগে আঘাত করলে সেক্ষেত্রে প্রতিরক্ষার জন্য প্রতিরোধ করতে পারবে। স্বাভাবিক ভাবে গুনাহের কাজ করা সব সময়ই হারাম ও নিষিদ্ধ। কিন্তু হারাম হিসেবে উল্লেখ করে এই মাসগুলোতে অন্য সময়ের তুলনায় আরো জোড়ালোভাবে নিষেধ করা হয়েছে। মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনের সূরা আত-তওবার ৩৬ নম্বর আয়াতে বলেন,

إِنَّ عِدَّةَ الشُّهُورِ عِنْدَ اللَّهِ اثْنَا عَشَرَ شَهْرًا فِي كِتَابِ اللَّهِ يَوْمَ خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ مِنْهَا أَرْبَعَةٌ حُرُمٌ ذَلِكَ الدِّينُ الْقَيِّمُ فَلَا تَظْلِمُوا فِيهِنَّ أَنْفُسَكُمْ

অর্থ: আসমানসমূহ ও পৃথিবীর সৃষ্টির দিন থেকেই আল্লাহ তা’লার বিধানে মাসের সংখ্যা লেখা ছিল বারোটি, এই (বারোটির) মধ্যে চারটি হচ্ছে (যুদ্ধ-বিগ্রহের জন্যে) নিষিদ্ধ মাস। এটা (আল্লাহর প্রণীত) নির্ভুল ব্যবস্থা। অতএব এই সময়ের ভিতরে তোমরা নিজেদের উপর যুলুম করো না।

ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন, এই আয়াতে সবগুলো (১২ টি) মাসের ইতিহাস বলা হচ্ছে এবং এরপর সেখান থেকে আল্লাহ তায়ালা ৪টি মাসকে খাস করেছেন এবং সেগুলোকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন। সেগুলোর নিষিদ্ধতাকে গুরুতর বলে উল্লেখ করেছেন, সে মাসসমূহের গুনাহকে মহা অপরাধ গণ্য করেছেন এবং সে মাসসমূহের নেক কাজ ও সওয়াবকেও মহান করেছেন।

কাতাদাহ রহিমাহুল্লাহ বলেন, নিশ্চয় হারাম মাসসমূহে যুলুম করা অন্য মাসসমূহে যুলুম করার চেয়ে অধিক মারাত্মক গুনাহ। যদিও যুলুম সবসময়ই মারাত্মক। কিন্তু, আল্লাহ্‌ তাআলা নিজ ইচ্ছায় তাঁর কোন কোন নির্দেশনাকে অতি মহান করে থাকেন।

উপসংহার

এই পবিত্র মাসগুলোতে যেন আমরা গুনাহের কাজে না জড়িয়ে পড়ি তার প্রতি বিশেষ নজর রাখতে হবে যদিও সবসময়েও গুনাহ থেকে দূরে থাকতে হবে। নেতিবাচক কাজ যা নিজের উপর যুলুম হয় তা থেকেও দূরে থাকার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।



• IST-601 : Study of al Tafsir (Tafsir Ibn Kathir : Surah-al-Maieda verse 1 to 77) • IST-602 : Study of al-Fiqh • IST-603 : Philosophy of religion and Comparative Religion • IST-604 : History of Sufism in Bangladesh and some prominent • IST-605 : Trade, Commerce and Business Studies in Islam

হদ্দ কী?

প্রশ্ন: হদ্দ কী? বিষয়: IST-601 : Study of Al Tafsir কোর্স: এমএ ইন ইসলামিক স্টাডিজ (ফাইনাল)



হদ্দ শব্দটি আরবি। এর বাংলা প্রতিশব্দ হচ্ছে, বস্তুর শেষ সীমা, শাস্তি, কোন বস্তুর চার পার্শ্বের পাতলা সীমা, নিষেধ করা, এক বস্তু থেকে অপরবস্তু আলাদা করা ইত্যাদি। এর পারিভাষিক সংজ্ঞা দিতে গিয়ে ইমামগণ বলেছেন,

মুজামুল ওয়াসিত গ্রন্থাকার বলেন, ব্যভিচারীর উপর অত্যাবশ্যকীয় নির্ধারিত শাস্তিকে হদ্দ বলা হয়।

হদ্দ কী?

ইবনে হাজার আসকালানী (রহ.) বলেন, হদ্দকে এ নামকরণ করা হয়েছে এ জন্য যে, হদ্দ বিধানদাতা আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে নির্ধারিত, যাতে বেশি বা কম করা যাবে না।

Islamic Jurisprudence গ্রন্থে বলা হয়েছে, Hudud in Islam like a gatekeeper who obstructs from entering. It expresses the correction and specified by laws on account of right of Allah.

মানুষের জীবন অবাধ, সুন্দর ও গতিশীল করার জন্যই ইসলামের তথা কুরআনের বিধান প্রণীত হয়েছে।  আল্লাহ তায়ালা মানুষের জন্য কল্যাণকর এসব বিধান প্রবর্তন করে দিয়েছেন, যাতে মানুষ সুন্দর জীবনযাপনের পাশাপাশি একাগ্র চিত্তে আল্লাহর হুকুম পালন তথা ইবাদাত করতে পারে। ইসলামে শাস্তির বিধান প্রবর্তনের উদ্দেশ্য এটাই। তাই হদ্দ এমন একটি ব্যবস্থার নাম, যার পূর্ণাঙ্গ বিধানাবলি সম্পূর্ণ আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত।



• IST-601 : Study of al Tafsir (Tafsir Ibn Kathir : Surah-al-Maieda verse 1 to 77) • IST-602 : Study of al-Fiqh • IST-603 : Philosophy of religion and Comparative Religion • IST-604 : History of Sufism in Bangladesh and some prominent • IST-605 : Trade, Commerce and Business Studies in Islam