হাত, নাক, কপাল রাখা।
عن ابن عباس، أمر النبي صلى الله عليه وسلم أن يسجد على سبعة أعضاء، ولا يكف شعرا ولا ثوبا: الجبهة، واليدين، والركبتين، والرجلين.
ـ أخرجه البخاري في «صحيحه» (809) ، وفي وجه آخر لهذا الحديث عند البخاري (812) : أن ابن عباس رضي الله عنهما، قال: قال النبي صلى الله عليه وسلم: «أمرت أن أسجد على سبعة أعظم على الجبهة، وأشار بيده على أنفه…اهـ وروى الترمذي في «سننه» (270) عن أبي حميد الساعدي، أن النبي صلى الله عليه وسلم كان إذا سجد أمكن أنفه وجبهته من الأرض … قال الترمذي : حديث أبي حميد حديث حسن صحيح.
অর্থ: হযরত ইবনে আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত, হুযূর ﷺ সাতটি অঙ্গের উপর সিজদা করতে এবং চুল ও কাপড়কে বাধা না দিতে (অর্থাৎ এ দুটোকে স্বাভাবিক অবস্থায় ছেড়ে দিতে) নির্দেশিত হয়েছেন; (অঙ্গগুলো হলো) কপাল, দুই হাত, দুই হাঁটু, দুই পা। -সহীহ বুখারী (৮০৯)
সহীহ বুখারীতে (৮১২) এই হাদীসেরই আরেকটি সূত্রে সাত অঙ্গের বিবরণ দিতে গিয়ে কপালের উল্লেখ করেছেন। এরপর নাকের উপর হাত বুলিয়ে দেখিয়েছেন। এর দ্বারা এটা বুঝানো উদ্দেশ্য যে, কপালের সাথে নাকও সিজদার মধ্যে মাটিতে রাখা কর্তব্য। এছাড়া সুনানে তিরমিযীতে (২৭০) হযরত আবু হুমাইদ রাযি. এর হাদীসে আছে যে, হুযূর ﷺ সিজদায় নাক ও কপাল মজবুতভাবে যমীনে রাখতেন। এ সকল দলীলের আলোকে হানাফী ফুকাহাগণের মতামত হলো যে, বিনা কারণে নাক যমীনে না রাখা মাকরুহ। আর বিনা উযরে শুধু নাক রেখে কপাল না রাখলে তা না-জায়িয হবে। (দুররে মুখতার ও ফাতাওয়ায়ে শামী ১/৮৯৪)
عن عبد الله بن يسارـ وفي رواية ابن أبي شيبة وابن حبان: عبد الله بن مسلم بن يسار عن أبيه ـ، «إذا سجد وضع ركبتيه ثم يديه ثم وجهه، فإذا أراد أن يقوم رفع وجهه، ثم يديه، ثم ركبتيه». قال عبد الرزاق: وما أحسنه من حديث وأعجب به.
ـ رواه عبد الرزاق في «مصنفه» (2944)عن معتمر بن سليمان التيمي (ثقة)، عن كهمس (ثقة)، عن عبد الله بن مسلم بن يسار (ذكره ابن حبان في الثقات)؛ ورواه ابن أبي شيبة في «مصنفه» (2721) وابن حبان في “الثقات”(2325) فذكرا: عن أبيه (وهو مسلم بن يسار ثقة تابعي من فقهاء البصرة)
قال الزيلعي:قالوا: إذا أراد السجود يضع أولا ما كان أقرب إلى الأرض فيضع ركبتيه أولا ثم يديه، ثم أنفه ثم جبهته، وكذا إذا أراد الرفع يرفع أولا جبهته، ثم أنفه، ثم يديه، ثم ركبتيه. (تبيين الحقائق شرح كنز الدقائق 1/ 116) وممن اختار تقديم الأنف صاحب البحر وصاحب الدر المختار. وذهب صاحب البدائع وغيره إلى تقديم الجبهة على الأنف. [راجع للتفصيل: الدر المختار مع الرد المحتار 1/498]
অর্থ: আব্দুল্লাহ ইবনে মুসলিম রহ. বলেন, (বসরার বিশিষ্ট ফকীহ তাবেয়ী) হযরত মুসলিম ইবনে ইয়াসার রহ. যখন সিজদা করতেন তখন প্রথমে দুই হাঁটু এরপর দুই হাত অতঃপর চেহারা রাখতেন। এমনিভাবে যখন উঠার ইচ্ছা করতেন তখন প্রথমে চেহারা এরপর দুই হাত অতঃপর দুই হাঁটু উঠাতেন। ইমাম আব্দুর রাযযাক রহ. হাদীসটি বর্ণনা-শেষে বলেন, হাদীসটি কতইনা সুন্দর! কতইনা চমৎকার!
-মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক (২৯৪৪), মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা (২৭২১), সিকাতে ইবনে হিব্বান (২৩২৫), এই বর্ণনার রাবীগণ নির্ভরযোগ্য।
বি.দ্র. উল্লিখিত হাদীসে নাক ও কপালের মধ্যে প্রথমে নাক রাখার কথা সরাসরি উল্লেখ না থাকলেও প্রথমে হাঁটু রাখা এরপর হাত রাখার তারতীবের উপর ভিত্তি করে ফুকাহায়ে কেরাম সিজদায় যাওয়ার সময় প্রথমে নাক অতঃপর কপাল রাখা মুস্তাহাব বলেন। (তাবয়ীনুল হাকায়েক ১/১১৬)
অবশ্য কোন কোন ফকীহ সিজদায় যাওয়ার সময় কপাল আগে রেখে পরে নাক রাখার কথাও বলেছেন। (রদ্দুল মুহতার ১/৪৯৮)
কিন্তু যমীনের কাছাকাছি হওয়ার ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা যেহেতু সিজদায় যাওয়ার ক্ষেত্রে বিবেচ্য (অর্থাৎ যে অঙ্গ যমীনের যত কাছে সিজদায় যাওয়ার ক্ষেত্রে সে অঙ্গ তত আগে যমীনে রাখবে), তাই আমরা নাক আগে রাখার মত অবলম্বন করেছি। তবে কেউ কপাল আগে রাখলে তাও বিধিসম্মত।