Saturday, February 22, 2025

ব্লগ থেকে টাকা আয়ের পূর্ণ গাইডলাইন

বাংলা ব্লগিং | Bangla Blogging

ইন্টারনেটে নিজের মত প্রকাশ তথা দৈনন্দিন জীবনের সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা ও শেয়ারিং (Sharing) করার অন্যতম মাধ্যম হলো ব্লগিং (Blogging)। বর্তমানে প্রযুক্তি সচেতন মানুষের মধ্যে ব্লগিং শুধুমাত্র লেখালেখি বা মত প্রকাশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই, টাকা উপার্জনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে বহুল ব্যবহৃত হচ্ছে।

ব্লগিং কি? | What is blogging?

ব্লগ একটি ইংরেজী শব্দ। ভার্চুয়াল ডায়েরী বা ইন্টারনেটে ব্যক্তিগত দিনলিপি হলো যার আভিধানিক অর্থ। ”Blog” শব্দটি ইংরেজি ”Weblog” শব্দের সংক্ষিপ্ত রূপ। জোম বার্গার নামে একজন মার্কিন নাগরিক ১৯৯৭ সালে সর্বপ্রথম ”Weblog” শব্দটি উদ্ভাবন করেন। পরবর্তীতে ১৯৯৯ সালের মে মাসে পিটার মেরহোলজ সর্বপ্রথম ‘weblog’ শব্দটিকে ছোট করে ‘blog’ বলে সম্বোধন করেন। তারপর থেকে ‘blog’ শব্দটি  প্রচলিত হয়ে আসছে।

ব্লগ ও ওয়েবসাইটের মধ্যে পার্থক্য কি?

এখানে একটি বিষয় সংক্ষেপে আলোচনা করি, টেকনিক্যালভাবে নয়- সাধারণভাবে। সেটা হলো ব্লগ ও ওয়েবসাইটের মধ্যে পার্থক্য কি? বা ব্লগ ওয়েবসাইট কি? এই প্রশ্নটা ব্লগ বা ওয়েব সাইট নিয়ে প্রসঙ্গ আসলে অনেকের মনে উঁকি দেয়। আসলে মূল বিষয় হলো ওয়েব সাইট। ওয়েব সাইট বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। ওয়েব সাইটের শ্রেণী বিন্যাসটি অনেক বড় হওয়ায় এই তা উপস্থাপন করছি না। সংক্ষেপে ওয়েব সাইটের কিছু প্রকারভেদ করতে পারি, বোঝার জন্য। যেমন-

  • ব্লগ ওয়েবসাইট | Blog website ➔ জনপ্রিয় ২০টি ওয়েব সাইটের তালিকা  | ফ্রি ৫টি ব্লগ সাইটের ডেমো ডাউনলোড
  • নিশ ওয়েবসাইট | Niche website
  • পোর্টফোলিও ওয়েবসাইট | Portfolio website
  • বিজনেস ওয়েবসাইট | Business website
  • ফোরাম ওয়েবসাইট | Forum website
  • সরকারি ওয়েবসাইট | Government website
  • রিভিউ ওয়েবসাইট | Review website
  • সোস্যাল ওয়েবসাইট | Social website
  • নিউজ ওয়েবসাইট | News website
  • গেমিং ওয়েবসাইট | Gaming website
  • ডেটিং ওয়েবসাইট | Dating website
  • নন-প্রফিট ওয়েবসাইট | Non-profit website
  • ফান্ডিং ওয়েবসাইট ইত্যাদি | Funding website etc.

এগুলোর মধ্যে ব্লগ ছাড়া অন্যান্য ওয়েবসাইটগুলোকে আমরা সাধারণ ওয়েবসাইট হিসেবে ধরে নিচ্ছি। তাহলেই ব্লগ ও ওয়েবসাইটের মধ্যে পার্থক্য বোঝা সহজ হবে।

ব্লগ এবং অন্যান্য ধরণের ওয়েবসাইটের মধ্যে আসল পার্থক্য হলো ব্লগসাইটগুলি নিয়মিতভাবে নতুন কনটেন্ট (Content) দিয়ে আপডেট করা হয়। যেটাকে আমরা পোস্ট নামে অভিহিত করে থাকি। এই পোস্টগুলো সাইটের বিভিন্ন সেকশনে তারিখের ক্রম, পাঠক জনপ্রিয়তার ক্রম, বিষয়ের ক্রম অনুসারে প্রদর্শিত হয়। উদাহরণস্বরূপ তিলটনি.কম একটি ব্লগ সাইট। এরকম আরো শত হাজার ব্লগ সাইট রয়েছে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন ভাষায়।

আর সাধারণ ওয়েবসাইটগুলোতে যে তথ্য/ কনটেন্ট থাকে তা প্রায়শই আপডেট করা হয় না। নির্দিষ্ট সময় পর সেগুলোতে সংযোগ-বিয়োজন করে আপডেট করা হয়। যদিও সোস্যাল সাইট এবং ইনফরমেশন সাইটে প্রতিনিয়তই কনটেন্ট আপডেট হচ্ছে। যেমন ফেসবুক একটি সোস্যাল সাইট এবং ওয়াল্ডোমিটার একটি ইনফরমেশন সাইট। বর্তমানে পোর্টফোলিও সাইটগুলোতে একটা ব্লগ সেকশন বা পেজ রাখার প্রবণতা বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। অনেকেই তার ব্যক্তিগত ওয়েব সাইটে নিজের তথ্য এবং যোগাযোগ সুবিধাসহ নিজের মতো করে ব্লগ লিখছেন। সেই সাথে বিভিন্ন পণ্য ও সেবা প্রতিষ্ঠানের ওয়েব সাইটে সেই নির্দিষ্ট পণ্য ও সেবার বিষয়ে একটি ব্লগ পেজ রাখা হচ্ছে। এতে পণ্য বা সেবা গ্রহীতাগণ সেই পণ্য বা সেবা সম্পর্কে বিভিন্ন ধরণের তথ্য পাচ্ছে এবং খোলামেলা আলোচনা করতে পারছে। ক্রেতাদের জন্য খুবই ভালো একটি সুযোগ যে তারা পণ্য সম্পর্কে জেনে যাচাই করে কেনার সুযোগ পাচ্ছে।

বাংলা ব্লগিং এর বিস্তারিত | Details of Bangla blogging

আগে একটা সময় ছিল যখন আমাদের দেশের কিছু সংখ্যক মানুষ ব্লগ পড়তো। তবে তা ইংরেজিতে। বাংলা ভাষায় তেমন ব্লগ সাইট ছিলো না, মানুষ বাংলা ব্লগ তেমন পড়তোও না। আমাদের দেশে ২০১০ সালের দিক থেকে বাংলায় ব্লগ জনপ্রিয় হতে থাকে। সেই সাথে ব্লগ থেকে টাকা আয় করার প্রক্রিয়াও শুরু হয়। কিন্তু তখন ব্লগ থেকে টাকা আয়ের জনপ্রিয় মাধ্যম গুগল এডসেন্স বাংলার জন্য অনুমোদিত ছিল না। ফলে ব্লগ লিখে আয় করাটা অনেক কঠিন ছিল। দেশীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের স্পন্সরশীপ ছিল আয়ের একমাত্র উৎস। তাই এই পদ্ধতিতে ব্লগ লিখে আয় করাটা সাধারণ মানুষের পক্ষে সম্ভবপর হতো না। সবাই অপেক্ষা করছিল গুগল কবে বাংলায় এডসেন্স এর অনুমোদন দিবে। কিছুদিন পর ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে গুগল বাংলা কনটেন্টকে এডসেন্সের জন্য সাপোর্টেড ভাষা হিসেবে ঘোষণা করে ব্লগ থেকে টাকা আয়ের পথকে অনেক সহজ করে দেয়। এডসেন্স এর মাধ্যমে যে কেউ ব্লগ লিখে ঘরে বসে টাকা ইনকাম করতে পারে।

ব্লগ তৈরি করে আয় বা ব্লগ লিখে আয় | Income from Blog

ব্লগ লিখে ইনকাম করা যায়, এই বিষয়টা এখন সবাই জানে। বিশেষ করে ব্লগ থেকে এডসেন্সের মাধ্যমে টাকা আয় করা। ব্লগের ইনকাম শুধু এডসেন্সই নয়, এছাড়াও অনেকভাবে আপনার ব্লগ থেকে টাকা উপার্জন করতে পারেন। অনেক ক্ষেত্রে এডসেন্স থেকে বেশি পরিমাণ টাকা আয় করার সুযোগও রয়েছে। ব্লগ থেকে আয় করার জন্য আপনাকে অবশ্যই ব্লগিং এর ৫টি আইন মেনে ব্লগ লিখতে হবে এবং ওয়েব সাইট তৈরির ১০টি বিষয় খুবই গুরুত্বের সাথে ফলো করতে হবে। অন্যথায় আপনার পরিশ্রম, সে অনুযায়ী আপনাকে টাকায় প্রতিদান দিবে না।

স্পষ্ট করে বলতে গেলে, আপনার ব্লগ সাইটকে যে প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে মনিটাইজ করে ইনকাম করবেন সে প্ল্যাটফর্মের নির্দিষ্ট রুল মেনে আপনার ব্লগ সাইট ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট করতে হবে এবং কনটেন্ট পাবলিশ করতে হবে। সেটা এডসেন্স হোক আর অন্য যে কোন প্ল্যাটফর্ম হোক। রুল অনুযায়ী সম্পূর্ণভাবে ব্লগ তৈরির পর মনিটাইজ করার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম থেকে যে কোন একটি বাছাই করে নিতে পারেন আয়ের জন্য। ওয়েবসাইট বা ব্লগের মাধ্যমে গুগল এডসেন্স থেকে টাকা আয় করার জন্য বিস্তারিত আরেকটি লেখা রয়েছে, পড়ে নিবেন।

ব্লগে আয় করার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ইংরেজি ব্লগ। যারা ইংরেজিতে দক্ষ তারা ইংরেজি ভাষায় ব্লগ লিখলে বাংলার তুলনায় অনেক বেশি পরিমাণ আয় করতে পারবেন। ইংরেজিতে আপনার কনটেন্ট এর ভিউয়ার হবে সারা পৃথিবীর সবদেশের মানুষ। এতে আপনার কনটেন্ট ছড়িয়ে পড়বে সারা বিশ্বে। অনেক অপশন পাবেন মনিটাইজ করার। সাইটের ট্রাফিক বাড়বে। এতে আয়ও বাড়বে। যদিও ইংরেজি কনটেন্ট নিয়ে কাজ করা খুবই কঠিন। আপনি যে নিশটাতেই যাবেন দেখবেন হাজারো অথরিটি সম্পন্ন র‌্যাংক করা সাইট। বেশি চ্যালেঞ্জিং বলেই সাকসেস রিটার্নটাও বেশি। একটি বাংলা সাইটের তুলনায় ইংরেজি সাইটকে গুগল র‌্যাংক করানো অনেক কঠিন। তবে র‌্যাংক করাতে পারলে সাকসেসফুল। তাই যারা ইংরেজিতে দক্ষ এবং ভালো এসইও জানেন তারা ইংরেজি ব্লগ সাইট, নিশ সাইট অথবা রিভিউ সাইট নিয়ে কাজ করবেন।

কিভাবে ব্লগিং শুরু করবো? | How to start blogging

কিভাবে ব্লগ তৈরী করব বা কিভাবে ব্লগার হওয়া যায়? প্রশ্নগুলো খুবই সাধারণ। এইপ্রশ্নগুলোর উত্তর পাওয়ার আগে আপনাকে কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। প্রশ্নগুলো হলো-

  1. ব্লগের জন্য আপনার যথেষ্ট সময় বা র্ধৈয্য আছে?
  2. আপনি কি ব্লগ তৈরি করে সেখান থেকে টাকা আয় করতে চান?
  3. ব্লগ তৈরি করার জন্য কিছু টাকা বিনিয়োগ করার সামর্থ আছে?

সবগুলো প্রশ্নের উত্তর যদি “হ্যাঁ” হয়, তাহলে আপনি একজন প্রফেশনাল ব্লগার হতে চাচ্ছেন। অনলাইনে ইনকাম করার যতগুলো পদ্ধতি রয়েছে তার মধ্যে ব্লগিং বর্তমানে বেশ জনপ্রিয়। ব্লগিং করে যথেষ্ট ভাল এমাউন্ট আয় করার সুযোগ রয়েছে। তাই প্রফেশনাল ব্লগিং শুরু করতে খুবই গুরুত্বের সাথে নিচের কাজগুলো ধাপ অনুযায়ী করতে হবে-

  1. নিশ সিলেকশন বা বিষয় নির্ধারণ
  2. কি-ওয়ার্ড রিসার্চ। অর্থাৎ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও) শেখা
  3. ডোমেইন হোস্টিং কেনা
  4. ওয়েব সাইট ডিজাইন ও ডেভেলপ করা
  5. মান সম্পন্ন আদর্শ পোস্ট তৈরি বা আর্টিকেল লেখা

তবে প্রফেশনালি ব্লগিং শুরু করার আগে অর্থাৎ কোন ইনভেস্ট করার আগে ফ্রি ব্লগিং করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। এক্ষেত্রে সহজেই ব্লগারে আপনার ওয়েবসাইট তৈরি করে কোন ইনভেস্টমেন্ট ছাড়াই ব্লগিং করতে পারেন। এমনকি মনিটাইজ করে টাকাও উপার্জন করতে পারেন সেখান থেকে। পরবর্তীতে ব্লগিং এর অভিজ্ঞতা অর্জন করে নিজেই প্রফেশনালি ব্লগিং শুরু করতে পারবেন। ফ্রিতে ব্লগিং করার আরেকটি জনপ্রিয় মাধ্যম হলো ওয়ার্ডপ্রেস.কম। এখানেও আপনি ব্লগার.কম এর মতো করে ব্লগিং শিখতে এবং ‍উপার্জন করতে পারবেন।

ব্লগার কাকে বলে? | What is blogger?

শেষ করার আগে আরেকটি বিষয় বলা প্রয়োজন। সেটি হলো ব্লগার কাকে বলে? সাধারনত যিনি ব্লগে লিখেন/পোস্ট করেন তাকে ব্লগার বলার হয়। ব্লগাররা প্রতিনিয়ত ব্লগে তাদের লেখা/তথ্য/ছবি/ভিডিও প্রকাশ করেন। ব্যবহারকারীরা তাদের প্রয়োজনীয় তথ্য সেখান থেকে সংগ্রহ করেন এবং তাদের নিজস্ব মন্তব্য বা অভিবাক্তি প্রকাশ করেন। সাম্প্রতিক ঘটনাসমূহ নিয়ে অনেকেই ব্লগ তৈরি করছেন ইদানিং। ব্লগিংয়ের একটি রূপ ফ্রিল্যান্স সাংবাদিকতা ইতিমধ্যে জনপ্রিয় একটি পেশায় রূপান্তরিত হয়েছে। বাংলাদেশে অনেক ব্লগ হয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে। একটু ঘেটে দেখলেই বুঝতে পারবেন।

ব্লগিং করে মাসে কত টাকা আয় করা যায়?

খুবই কম একটি প্রশ্ন। সবারই মনে এই প্রশ্ন জাগে। বিশেষ করে বাংলা ব্লগিং করে মাসে কত টাকা আয় করা যায়? এই প্রশ্নটা প্রাসঙ্গিক। তবে এই প্রশ্নটার উত্তর সরাসরি দেওয়া সুন্দর হবে না। কারণ এখানে অনেকগুলো বিষয় রয়েছে ইনকাম করার জন্য। কিওয়ার্ড, লোকেশন, সময়- এরকম বিভিন্ন ফ্যাক্টরের উপর ভিত্তি করে ইনকামের ভিন্নতা হতে পারে। যারা এডসেন্সের মাধ্যমে ইনকামের বিষয়টি জানতে চান তাদের জন্য মোটামুটি একটা ধারণা দেয়া যায়। যেমন প্রতি ১ হাজার ভিজিটরে ১ ডলার পাবেন। সেটা যদি কিওয়ার্ডের ভেলু কম হয়। আর ভালো সিপিসির কিওয়ার্ড হয় তাহলে প্রতি ১ হাজার ভিজিটে ২/৩ ডলারও পেতে পারেন। তবে এটা নির্ধারিত নয় আগেই বলেছি। মোটামুটি একটা সাধারণ ধারণা মাত্র।

আসলে আমরা সহজে বোঝানোর জন্য, ভিউয়ারের উপর হিসাব করে ইনকাম দেখাই। কিন্তু এটা আদৌ ঠিক না। আসলে ভিউয়ারের উপর ইনকাম হয় না। আবার ভিউয়ার ছাড়াও ইনকাম হবে না। এখানে অনেকগুলো টেকনিক্যাল টার্ম রয়েছে। আমরা সেগুলো এক্সপ্লেইন না করে ভিউয়ার দিয়ে হিসেব করে আনুমানিক একটা ইনকাম রেঞ্জ দেখিয়ে থাকি।

একেক বিজ্ঞাপনের পিপিসি রেট একেক রকম। যেমন অর্থ বা ব্যাংক রিলেটেড কিওয়ার্ড হলে প্রতি ক্লিকে আপনি ১০-৫০ ডলার পর্যন্ত পেতে পারেন। আবার অঞ্চলভেদেও পিপিসি রেট ভিন্ন হতে পারে। যা আগেই বলেছি একবার। ইউএসএ থেকে ক্লিক হলে তার সিপিসি রেট বাংলাদেশ এর ক্লিক রেট থেকে বেশি হয়।

তবে ব্লগ থেকে ইনকামের জন্য আপনাকে এই এস্টিমেট এর ‍উপর নির্ভর করা একেবারেই বোকামির কাজ হবে। কারণ এই ফিগারটি মনে রাখলে আপনি কাজের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন। আসলে ব্লগ থেকে ইনকাম করার জন্য অনেক ধৈযের্র প্রয়োজন রয়েছে। যখন আপনার সাইটে অনেক কনটেন্ট থাকবে। রেগুলার কনটেন্ট দিবেন। তখন সাইটের ভিজিটর বাড়তে থাকবে। এভাবে ইনকাম দিনে দিনে বাড়তে থাকবে।

আর একজন ব্লগার শুধুমাত্র এডসেন্সের আনির্ং এর ‍উপর নির্ভর করবে কেন? তার আনির্ং এর জন্য অনেক সোর্স রয়েছে। এডসেন্সের পাশাপাশি স্পন্সরশীপ, এফিলিয়েশন এর মাধ্যমে আপনার ইনকাম বাড়াতে পারবেন।

মূল কথা হলো আপনার কাজ, ভালো ব্লগ করা। ইনকাম চিন্তাটা প্রথমে মাথা থেকে বাদ দিন। চিন্তা করুন ব্লগটি কতো অথরিটিভ করা যায়। সেখানে ফোকাস দিন। আমরা অথরিটি, কোয়ালিটি এসব বিষয় নিয়ে যতটা না চিন্তা করি, তার চেয়ে বেশি চিন্তা করি ইনকাম নিয়ে। অযথ ইনকাম কত হবে, কিভাবে হবে? এই বিষয়গুলো নিয়ে পরে ভাববেন। আগে ভালো ব্লগ তৈরি করুন। আপনার ব্লগের অথরিটি তৈরি করে তারপর ইনকামের চিন্তা করুন। দেখবেন, পিছনে ফিরে তাকাতে হবে না।

একটু আশার কথা বলে শেষ করি। বাংলায় ব্লগিং করে অনেকেই প্রতিমাসে লাখ টাকারও বেশি ইনকাম করছে। আপনিও পারবেন। চেষ্টা করুন, লেগে থাকুন।

Related Articles

Stay Connected

0FansLike
3,606FollowersFollow
0SubscribersSubscribe
- Advertisement -spot_img

Latest Articles