Thursday, April 25, 2024
Homeবিজ্ঞান ও প্রযুক্তিব্লগিং বা ফ্রিল্যান্সিং এর নিশ (Niche) সিলেকশন

ব্লগিং বা ফ্রিল্যান্সিং এর নিশ (Niche) সিলেকশন

নিশ কাকে বলে? কোন ধরনের নিশ (Niche) এর আনিং বেশি? কিভাবে নিশ খুঁজে পাবো? লাভজনক কয়েকটি ব্লগিং নিশ/বিষয়ের নাম বলবেন কি? বাংলাতে কোন নিস এ কাজ করলে সফল হওয়ার সম্ভবনা বেশি? ২০২১ সালের গুরুত্বপূর্ণ ব্লগিং নিশগুলো কী কী? -এই প্রশ্ন গুলো বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করেছি। আর পুরো লেখাটিতে নিশ নিয়ে মোটামুটি ধারণা দেয়ার চেষ্টা করেছি। লেখাটি পড়লে আশাকরি সবগুলো প্রশ্নের উত্তর আপনি নিজেই দিয়ে দিতে পারবেন।

নিশ কাকে বলে? কোন ধরনের নিশ (Niche) এর আনিং বেশি? কিভাবে নিশ খুঁজে পাবো? লাভজনক কয়েকটি ব্লগিং নিশ/বিষয়ের নাম বলবেন কি? বাংলাতে কোন নিস এ কাজ করলে সফল হওয়ার সম্ভবনা বেশি? ২০২১ সালের গুরুত্বপূর্ণ ব্লগিং নিশগুলো কী কী? -এই প্রশ্ন গুলো বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করেছি। আর পুরো লেখাটিতে নিশ নিয়ে মোটামুটি ধারণা দেয়ার চেষ্টা করেছি। লেখাটি পড়লে আশাকরি সবগুলো প্রশ্নের উত্তর আপনি নিজেই দিয়ে দিতে পারবেন।

নিশ (Niche) সিলেকশন কি?

একজন ইন্টারনেট প্রফেশনাল (Internet Professional) হওয়ার জন্য নিশ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। হোক সেটা ব্লগিং (Blogging), অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate marketing), সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং (Social media marketing) বা ফ্রিল্যান্সির (Freelancing)। উদাহরণ স্বরূপ বললাম, আমি ফ্রিল্যান্সার হতে চাই। এজন্য ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস আপওয়ার্ক-এ একাউন্ট তৈরি করলাম। তারপর…? একাউন্ট ক্রিয়েট করলেই শেষ! এরকম হাজার হাজার ইনঅ্যাকটিভ একাউন্ট রয়েছে মার্কেটপ্লেসগুলোতে। যারা একাউন্ট করেছে কিন্তু কোন কাজ পারে না। কোন কাজ করে না।

কোন একটা কাজ তো করতে হবে! নাকি আপওয়ার্ক এমনি এমনি পেমেন্ট দিয়ে দিবে! আর আপনি ঘরে বসে তা খাবেন। আর্টিকেল রাইটিং (Article writing) অথবা গ্রাফিক্স ডিজাইন (Graphics design) অথবা ওয়েব ডেভেলপমেন্ট (Web development) যে কোন একটা কাজ করতে হবে।

আমি কোন কাজটা করবো সেটা আগে ঠিক করে নিতে হবে। তারপর সে কাজটা শিখতে হবে। সেভাবে আপওয়ার্ক-এ আমার প্রোফাইল সাজাতে হবে। সেই নির্দিষ্ট কাজগুলোতে বিড করতে হবে। তবেই তো ফ্রিল্যান্সার। আর কোন কাজটা করবেন সেই কাজটা-ই হলো নিশ (niche)।

নিশ সিলেকশনের গুরুত্ব

আমরা এখানে ব্লগের নিশ নিয়ে আলোচনা করবো। উদাহরণ দিতে গিয়ে ফ্রিল্যান্সিং এর নিশের কথা উল্লেখ করলাম। তবে যে কাজের জন্যই নিশ সিলেক্ট করেন, এই প্রসেস এর মাধ্যমেই করতে পারবেন। যেমন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, ই-মেইল মার্কেটিং ইত্যাদির জন্য নিশ সিলেকশন। আর পুরো ইন্টারনেট জগতে রয়েছে হাজার হাজার নিশ। যেমন-

Makeup | Fashion | Fashion Accessories | Cosmetics | Beauty Products | Extreme Workouts | Body Building | Anti-Aging Products | Meditation | Inspirational Books | Inspirational Speaking | Volunteering | Dating | Relationship Tips | Wedding Planning | Marriage Advice | Video Games | Board Games | Jewelry for Her

সহজ বাংলায় নিশগুলো বলতে গেলে এরকম হবে- কুকিং | ট্রাভেল | টিপস এন্ড ট্রিকস  | স্বাস্থ্য  | শিক্ষা  | আত্ম উন্নয়ন | প্রযুক্তি  | শিশু লালন পালন  | এন্টারটেইনমেন্ট  | খেলাধুলা  | প্রোডাক্ট রিভিউ  | পার্সোনাল ভ্লগ  | আর্ট  | নিউজ  | কিডস লার্নিং  | ফান ইত্যাদি। এভাবে বলে শেষ করা যাবে না।

এরকম হাজারো নিশ থেকে যে কোন একটি নিয়ে কাজ করতে পারেন। এর প্রত্যেকটির ভিতর রয়েছে আরো অনেক অনেক টপিক বা নিশ।

মার্কেটিং এর ভাষায়, নির্দিষ্ট একটি পণ্য নিয়ে, নির্দিষ্ট কোন জনগোষ্ঠীর, নির্দিষ্ট কোন চাহিদা পূরণ করার উদ্দেশ্যে ওই পণ্যের প্রচার বা প্রমোশন করাকে নিশ মার্কেটিং বলা হয়।

নিশ মার্কেটিং (Niche marketing) এর এই সংজ্ঞা পড়ে নিশ্চয় বুঝতে পারছেন নিশ বিষয়টা কতো গুরুত্বপূর্ণ। অর্থাৎ নিশ হতে হবে নির্দিষ্ট। তাই কাজে নামার আগে নিশ নির্দিষ্ট করুন। আপনার ব্লগ সাইটের ভবিষ্যৎ কেমন হবে তার প্রায় পুরোটাই নির্ভর করছে এর উপর। নিশ এর কম্পিটিশন কেমন, এই নিশে আপনার দক্ষতা কেমন, আর্নিং পটেনশিয়াল কেমন- এগুলো দেখতে হবে। তেমনি দেখতে হবে আপনার বাজেট অনুযায়ী নিশটিতে কাজ করার সুযোগ কতটুকু।

নিশ সিলেকশনের পদ্ধতি

নিশ সিলেকশনের (Niche selection) জন্য আমরা দুটি ধাপ অনুসরণ করবো। একটি হলো মানসিকভাবে (Mentally) স্থির করা। অপরটি হলো টেকনিক্যালভাবে (Technically) নির্ধারণ করা।

প্রথমেই নিশ সিলেকশনের মানসিক ধাপ

ব্লগিং এর জন্য নিশ সিলেক্ট। অর্থাৎ কোন বিষয়টি নিয়ে কাজ করবেন তা মানসিকভাবে স্থির করতে হবে। এর জন্য কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে।

প্রথমত, কোন কাজটি করতে আপনি ভালোবাসেন। আপনার হবি কোনটি। সেদিকে খেয়াল করুন। ব্লগিং এর জন্য হাজারো নিশ রয়েছে। যেমন প্রযুক্তি একটা বড় নিশ। এর আরো অনেক নিশ রয়েছে। যেমন কম্পিউটারের সমস্যা, সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যার, গেমিং, প্রোগ্রামিং, ফ্রিল্যান্সিং, মোবাইল রিভিউ, অনলাইন আনিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, ব্লগিং, সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, স্মার্টফোন আটডেট ইত্যাদি হাজারো নিশ। এর মধ্যে যে বিষয়টি আপনার সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে সেই কাজটিকে নিশ হিসেবে বাছাই করবেন।

এগুলোর মধ্যে একটি নিশ হার্ডওয়্যার (Hardware niche)। ধরে নিলাম আপনি হার্ডওয়্যার নিয়ে কাজ করতে পছন্দ করেন। হার্ডওয়্যারে আপনার দক্ষতা রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে বেশির ভাগই ডিজিটাল মার্কেটিং (Digital marketing) বা সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং নিয়ে কাজ করছে। এটাই হচ্ছে বর্তমান ট্রেন্ড। সময়ে সাথে যদিও এই ট্রেন্ড পরিবর্তিত হয়। হয়তো ১০ বছর পরে অ্ন্য কোন একটি নিশ ট্রেন্ডে থাকবে। বর্তমানে হার্ডওয়্যার নিয়ে তেমন বেশি কাজ হচ্ছে না। তাহলে আপনি কোনটা বাছাই করবেন? হার্ডওয়্যার নাকি ডিজিটাল মার্কেটিং?

অবশ্যই আপনি হার্ডওয়্যার বাছাই করবেন। সবাই কি নিয়ে দৌড়াচ্ছে সেটা বিষয় না। আপনার ভাললাগা কোনটাতে সেটা বিষয়। আপনার দক্ষতা কোনটাতে সেটা গুরুত্বপূর্ণ। তাই এই ডিজিটাল মার্কেটিং এর যুগেও আপনি হার্ডওয়্যার নিয়ে কাজ করবেন। হার্ডওয়্যার উদাহরণ দিলাম। এরকমভাবে আপনার যেটা পছন্দ সেটা নিয়েই কাজ করার জন্য মনস্থির করবেন।

দ্বিতীয়ত, নিশ সিলেকশনের টেকনিক্যাল ধাপ

দ্বিতীয় পর্যায়টি হলো যে নিশটি মানসিকভাবে নির্ধারণ করেছেন সেটার ফিজিবিলিটি (feasibility) যাচাই। এটাকে বলা হয় কিওয়ার্ড রিসার্চ (keyword research)। সার্চ ইঞ্জিনে মানুষ যেসব বিষয় খোঁজে (search করে) সেগুলো থেকে প্রয়োজনীয় সার্চ টার্ম/কিওয়ার্ড/তথ্য বের করা হচ্ছে কিওয়ার্ড রিসার্চ। মানুষ সার্চ ইঞ্জিনে (Search engine) যা খোঁজে তাই কিওয়ার্ড আর সেগুলো থেকে কাজ করার মতো কিওয়ার্ড গুলো বাছাই করাই হলো কিওয়ার্ড রিসার্চ। অর্থাৎ আপনি হার্ডওয়্যার নিশটি নিয়েছেন, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখবেন সেটি ঠিক আছে কিনা। আপনার জন্য উপযুক্ত কিনা। আপনি এই নিশটি নিয়ে এগুতে পারবেন কিনা। এগুলে লাভবান হবেন কিনা এসব। আর এটাই হচ্ছে টেকনিক্যাল ধাপ। এই ধাপে এসে আপনাকে অনেক সময় দিতে হবে। রিসার্চ করতে হবে। তারপর পরীক্ষা নিরীক্ষার ফলাফল বের করে সিদ্ধান্ত পাকা করতে হবে। সে জন্য নিচের কাজগুলো অনুসরণ করুন-

কিওয়ার্ড রিসার্চ

> গুগলে হার্ডওয়্যার রিলেটেড কতগুলো কিওয়ার্ড লিখে সার্চ করুন। হার্ডওয়্যার সম্পর্কে আপনার মনের মধ্যে যা আসে তা-ই লিখে গুগলে সার্চ দিন। সার্চ করার সময় কোন একটি শব্দ লিখার পর গুগল যে সাজেশনগুলো দেয় সেগুলো খেয়াল করুন। সেখান থেকে আরো নতুন কিওয়ার্ড আইডিয়া (Keyword idea) পাবেন। উদাহরণ স্বরূপ কিওয়ার্ডগুলো হতে পারে এরকম-

হার্ডওয়্যার কি | হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার এর মধ্যে পার্থক্য | monitor power problem | best hard disk in bd | printer problem | কম্পিউটার হার্ডওয়্যার পরিচিতি | Cpu এর বিভিন্ন অংশের নাম | হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার মিলে কি তৈরি হয় | computer hardware components | computer hardware pdf | types of computer hardware | computer hardware parts and functions

এধরনের কিওয়ার্ড লিখে গুগলে সার্চ করুন। প্রথম পৃষ্ঠায় যে রেজাল্টগুলো (Search results) আসবে সেসব সাইটে যান। গিয়ে দেখুন তারা কি ধরণের কনটেন্ট দিয়েছে। কনটেন্টে কি তথ্য দিয়েছে। শিরোনাম কিভাবে লিখেছে। লেখার সাথে ভিডিও, ছবি বা কি কি মিডিয়া সংযুক্ত করেছে। তারা যে কনটেন্ট দিয়েছে, আপনি তার চেয়ে ভালো কনটেন্ট তৈরি করতে পারবেন কিনা। যদি মনে হয় আপনি আরো ভালো কনটেন্ট তৈরি করতে পারবেন তাহলে বুঝে নিন নিশটি আপনার জন্য। তাদের কনটেন্টের কোন জায়গায় সমস্যা রয়েছে। সেটা খুজে বের করুন। দেখুন কোন সমস্যা আছে কিনা। হোক সেটা একটা বানানগত ভুল। হোক সেটা ডিজাইনের কোন সমস্যা। হোক সেটা আর্টিকেল লেখায় উপস্থাপনার সমস্যা। এসব ভুল আপনার চোখে ধরা পড়লে বুঝবেন নিশটি আপনার জন্য।

সেই সাথে এই কিওয়ার্ডগুলো ইউটিউবের সার্চবারে লিখে সার্চ করুন। সংশ্লিষ্ট কতগুলো ভিডিও দেখুন। সেখান থেকে ধারনা নিন। ইউটিউবের ভিডিওগুলোতে ইউটিউবাররা কি ধরনের তথ্য দিচ্ছে। সাইটগুলোর কনটেন্ট আর ইউটিউবের কনটেন্ট এর মধ্যে পার্থক্য বের করুন। আইডিয়া এক্সট্রাক্ট করুন।

>  এবার গুগল ক্রোম (google chrome) ব্রাউজারে moz extension লিখে সার্চ করুন। এখান থেকে এক্সটেনশনটি ব্রাউজারে ইন্সটল করে নিন। তারপর ব্রাউজার রিস্টার্ট করে আবার গুগলে যান। সার্চ বক্সে “কম্পিউটার যন্ত্রাংশের নাম ও দাম” লিখে সার্চ করুন। অর্থাৎ আপনার কিওয়ার্ডগুলো লিখে সার্চ করুন। সার্চ রেজাল্ট আসলে একটু খেয়াল করে দেখুন। সার্চ বক্সের ডান পাশে Monthly searches: 0 | CPC: $0 দেখাচ্ছে (আপনার প্রদত্ত কিওয়ার্ডের ক্ষেত্রে বাস্তবে এগুলোর ভ্যালু ভিন্ন হতে পারে। উদাহরণ হিসেবে এখানে 0 দেখানো হয়েছে)। এখান থেকে এই কিওয়ার্ডটি মাসে কতবার (Monthly search volume) গুগলে সার্চ করা হয় তা জানতে পারবেন। আপনি যে বিষয়টি নিয়ে কাজ করতে চান সেই কী-ওয়ার্ডটির মাসিক সার্চ ভলিউম জানতে পারলেন। আর সিপিসি (CPC- Cost Per Click) কত তা জানতে পারবেন। মানে টাকায় এর মূল্য কত বা এই কিওয়ার্ডটি নিয়ে কাজ করলে কিরকম ইনকাম হতে পারে তা জানতে পারবেন। দেখা যাচ্ছে মাসে একবারও এই কিওয়ার্ডটি সার্চ করা হয় না। কী-ওয়ার্ডটির সিপিসিও শূন্য। অর্থ দাড়াচেছ এই নিশটি নিয়ে কাজ না করাই ভালো।

আবার অনেকেই বেশি সার্চ ভলিউম এবং হাই সিপিসি কিওয়ার্ড বা নিশ সিলেক্ট করেন। এটাও উচিত হবে না। সার্চ ভলিউম বেশি হলে কম্পিটিটরও বেশি। অভিজ্ঞরা সেগুলো নিয়ে কাজ করছে। তাদের সাথে পাল্লা দিয়ে একজন নিউবি তার সাইটকে র‌্যাঙ্ক করাতে পারবে না। তাই নতুন হিসেবে মোটামুটি সার্চ ভলিউম এবং সিপিসির নিশ নিয়ে কাজ করতে হবে।

টেকনিক্যাল পর্যায়ের এই কাজটি মোজবারের মাধ্যমে এখানে করে দেখানো হয়েছে। এটাই ডিসিশন নেয়ার জন্য পূর্ণাঙ্গ নয়। অর্থাৎ এই মোজবারের মাধ্যমে কী-ওয়ার্ড ভলিউম বা সিপিসি দেখে সিদ্ধান্ত নিবেন না। এটা একেবারেই প্রাথমিক ধাপ। আপনার আরো গভীরে গিয়ে এনালিসিস করতে হবে।

আর এটি ফ্রি একটি টুল। এরকম আরো অনেক টুল (Keyword Research Tools) রয়েছে। যেমন-

এই টুলগুলো দিয়ে আপনার নিশটির অবস্থা জেনে নিবেন। সেই সাথে এসব টুল ব্যবহারে আরো অনেক নতুন বিষয় নিজেই জানতে পারবেন। এগুলো বেশির ভাগ ফ্রি। এমনকি ফ্রিতে এগুলো ব্যবহার করে যথেষ্ট পরিমাণ তথ্য বের করে নিয়ে আসতে পারবেন। কিওয়ার্ড নিয়ে গবেষণা করতে পারবেন।

পারলে টুলগুলোর পেইড ভার্সন কিনে নিয়ে রিসার্চ করতে পারেন। পেইডটুল হলে অনেক বেশি তথ্য পাবেন। অনেক কম সময়ের মধ্যে ডিসিশন নিয়ে নিতে পারবেন। আমার পরামর্শ হলো, প্রথমেই টুল কিনতে যাবেন না। প্রথমে ফ্রি ভার্সনে সময় দিন। দেখুন কিভাবে টুলগুলো ব্যবহার করতে হয়। তারপর প্রয়োজন বোধ করলে কিনে নিবেন।

কিওয়ার্ড রিসার্চ করার জন্য ইউটিউবে অনেক টিউটোরিয়াল পারবেন। সময় নিয়ে এগুলো দেখবেন। ভিডিওগুলোতে এসব ফ্রি টুলগুলো কিভাবে ব্যবহার করতে হয় বিস্তারিত দেখানো হয়েছে। সেগুলো থেকে কিওয়ার্ড রিসার্চ শিখতে পারবেন। কিওয়ার্ড রিসার্চের জন্য বাছাই করা কতগুলো ভিডিও লিংক রাখা রয়েছে এখানে, দেখে নিবেন। অবশ্যই সময় নিয়ে দেখবেন। তাড়াহুড়ো করবেন না। স্কিপ করে যাবেন না।

চূড়ান্ত নিশ সিলেকশন, সিদ্ধান্ত গ্রহণ

এবার নিশ সিলেকশনের মানসিক ধাপ এবং টেকনিক্যাল ধাপ মিলিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার পালা। কি সিদ্ধান্ত নেয়া যায়! এখানে মানসিকভাবে আপনি কম্পিউটার হার্ডওয়্যার নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী। কিন্তু টেকনিক্যাল রিসার্চ করে পাওয়া গেল এই নিশটি নিয়ে কাজ করা যাবে না। তাই সর্বশেষ ডিসিশন হলো এই নিশটি বাদ দিতে হবে। এখন প্রশ্ন আসবে, তাহলে পরবর্তী করণীয় কি? আমি তো নিশ খুঁজে পেলাম না। পরবর্তী করণীয় হলো- এই রকমভাবে অন্য একটি নিশ বের করা যেটা মানসিক ধাপে এবং টেকনিক্যাল ধাপে, উভয় ধাপেই মিলে যাবে। মূল কথা অন্য একটি নিশ নিয়ে পুনরায় আগের মতো করে রিসার্চ করবেন। মিলে গেলে ফাইনাল। আপনার নিশ পেয়ে গেছেন। এবার আপনার সাইটের জন্য বাজেট তৈরি করুন। আর যদি না পেয়ে থাকেন তাহলে আগে নিয়ম মেনে রিসার্চ করুন। না পাওয়ার আগ পর্যন্ত আপনাকে নিশ পরিবর্তন করে রিসার্চ চালিয়ে যেতে হবে।

x

নারুল মিয়া
নারুল মিয়াhttps://tiltony.com
নারুল মিয়া আমার ডাকনাম। যদিও এই নামে দু’একজনের বেশি আমাকে চিনেন না। আমার দূর সম্পর্কের এক নানী খুব আদর করে এই নামে ডাকতেন। আমার আসল নাম মো. মনিরুজ্জামান। লিখতে ভালোবাসি। চলার পথে যেসব বিষয়ের সম্মুখীন হয়েছি সাধারণত সেগুলো নিয়ে লিখি, নিজের মতো করে।
RELATED ARTICLES
- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments