আগে দীনী ইলম শিক্ষা তারপর পার্থিব শিক্ষা
সন্তানকে ফরজে আইন পরিমাণ দীনী তালীম দেয়ার পর দুনিয়া হাসিল করার জন্য কেউ যদি পার্থিব বিষয় শিক্ষা দেয় তাহলে এটা শরী’আতের দৃষ্টিতে নিষেধ নয়। বরং সম্পূর্ণ জায়িয। কিন্তু আফসোস, বর্তমানে ফরজে আইন থেকে সম্পূর্ণ বঞ্চিত রেখে সন্তানদের পার্থিব যাবতীয় বিষয় শিক্ষা দেয়া হচ্ছে আর তার পরিণতিতে পিতামাতা ও সন্তান উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
👉 আরো পড়তে পারেন: আল্লাহর সিফাতী বা গুণবাচক ৯৯টি নাম বা আসমাউল হুসনা
অনেক সন্তান বেদীন-নাস্তিক হয়ে যাচ্ছে; আর দীনের ব্যাপারে এদের অজ্ঞতা সমগ্র মুসলিম মিল্লাতের বিপর্যয়ের কারণও হয়ে দাঁড়াচ্ছে সহীহ ইলম না থাকায় আল্লাহ ও রাসূল যে সব বস্তুকে মুসলমানদের ধ্বংসের কারণ বলে চিহ্নিত করেছেন, সেগুলোকেই তাড়া উন্নতি ও প্রগতির আশায় একের পর এক গ্রহণ করে চলছে।
ফলে নেমে আসছে ধ্বংস-বিপর্যয়। যেমন, ইংরেজ তথা ইয়াহুদী-খৃষ্টানদের অনুকরণকে হাদীসের ভাষায় ধ্বংসের এক নম্বর কারণ বলা হয়েছে। অথচ দীনী ইলম না থাকায় পার্থিব বিদ্যা শিক্ষা করার সাথে সাথে অধিকাংশ ক্ষেত্রে পার্থিব লাইনের শিক্ষার্থীরা নকলভাবে হলেও ইংরেজ হয়ে যাচ্ছে অর্থাৎ ইংরেজদের চিন্তা-চেতনা, নিয়ম-নীতি, বেশ-ভূষাকেই মনে প্রাণে গ্রহণ করছে এবং ইংরেজদের তোষামোদ ও অনুকরণের মধ্যেই কল্যাণ খুঁজছে।
আর তাদের নিজস্ব ধর্মকে তারা সেকেলে মনে করছে। আর পিতামাতাকে সেই ধর্মের আচরণে অভ্যস্ত দেখলে তাদেরকে বেওকুফ প্রতিক্রিয়াশীল ভাবছে এবং সেই ধর্ম ও ধর্মের অনুসারী উলামা ও দীনদার ব্যক্তিবর্গকে মৌলবাদী ও অবুঝ মনে করে নিজেকেই নিজে নির্বোধ ও বেকুব প্রমাণিত করছে। পবিত্র কুরআন ও শরী’আত নিয়ে উপহাস করছে। এমনকি যারা ইসলাম বরদাশত করে না, অনেকে তাদের সাথে হাত মিলিয়ে ইসলামের প্রথম কাতারের দুশমনদের দলভুক্ত হয়ে ধ্বংস হচ্ছে। (নাউযুবিল্লাহ)