পৃষ্টিগুণে ভরপুর জাতীয় ফল কাঁঠাল
সুস্বাদু রসালো ফল, জাতীয় ফল কাঁঠাল। নানান পৃষ্টিগুণে ভরপুর কাঁঠাল। এর রয়েছে নানা পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা। কাঁঠালে বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন এ, সি, বি-১, বি-২ পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়ামসহ নানা রকমের পুষ্টি ও খনিজ উপাদান পাওয়া যায়। এই সকল উপাদান আমাদের শরীরকে সুস্থ ও সবল রাখতে সাহায্যে করে। এর পাশাপাশি ভিটামিনের চাহিদাও পূরণ করে কাঁঠাল।
কাঁঠাল পুষ্টি সমৃদ্ধ ফল। এতে আছে থায়ামিন, রিঝোফ্লাভিন, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, আয়রন, সোডিয়াম, জিঙ্ক এবং নায়াসিনসহ বিভিন্ন প্রকার পুষ্টি উপাদান। অন্যদিকে কাঁঠালে প্রচুর পরিমাণে আমিষ, শর্করা ও ভিটামিন থাকায় তা মানব দেহের জন্য বিশেষ উপকারী।
সুস্বাদু রসালো ফল কাঁঠালের উপকারিতা
- কাঁঠালে আশেঁর পরিমাণ বেশী থাকায় এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে।
- কাঁঠাল পটাশিয়ামের উৎকৃষ্ট উৎস। কাঁঠালে পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্যে করে। এ জন্যে কাঁঠালে উচ্চ রক্তচাপের উপশম হয় ।
- কাঁঠালে প্রচুর ভিটামিন-এ আছে যা রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে ।
- কাঁঠালে রয়েছে ভিটামিন ”সি” । ভিটামিন “সি” শরীরকে নানা রকম ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস থেকে রক্ষা করে।
- তাছাড়া এই ভিটামিনটি সর্দি-কাশি ও জ্বর প্রতিরোধ করে । এটি তৃক, দাঁত ও হাড়ের সুস্থতা বজায় রাখে । এছাড়াও ভিটামিন “সি” এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোষকে নানা রকম ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।
- টেনশন এবং নার্ভাসনেস কমাতে কাঁঠাল বেশ কার্যকরী ।
- বদহজম রোধ করে কাঁঠাল।
- কাঁঠাল গাছের শিকড় হাঁপানী উপশম করে । শেকড়, সেদ্ধ করলে যে উৎকৃষ্ট পুষ্টি উপাদান নিঃসরিত হয় তা হাঁপানীর প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে সক্ষম।
- চর্মরোগের সমস্যা সমাধানেও কাঁঠালের শিকড় কার্যকরী। জ্বর এবং ডায়রিয়া নিরাময় করে কাঁঠালের শেকড় ।
- কাঁঠালে আছে বিপুল পরিমাণে খনিজ উপাদান ম্যাঙ্গানিজ যা রক্তে শর্করা বা চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্যে করে।
- কাঁঠালে বিদ্যমান ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম হাড়ের গঠন ও হাড় শক্তিশালীকরণে ভূমিকা পালন করে।
- কাঁঠালে বিদ্যমান ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস-আলসার, ক্যান্সার, উচ্চ রক্তচাপ এবং বার্ধক্য প্রতিরোধে সক্ষম ৷
- কাঁঠালে আছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের দেহকে ক্ষতিকর ফ্রি র্যাডিকেলস থেকে রক্ষা করে ।
- কাঁঠালে আছে ভিটামিন বি যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
- কাঠাল বিদ্যমান ক্যালসিয়াম কেবল হাড়ের জন্য উপকারী নয় রক্ত সংকোচন প্রক্রিয়া সমাধানেও ভূমিকা রাখে।
আরো পড়তে পারেন: অনুসরণীয় 30টি সাধারণ স্বাস্থ্য পরামর্শ আপনার জন্য
- ছয় মাস বয়সের পর থেকে মায়ের দুধের পাশাপাশি শিশুকে কাঁঠালের রস খাওয়ালে শিশুর ক্ষুধা নিবারণ হয়। অন্যদিকে তার প্রয়োজনীয় ভিটামিন অভাব পূরণ হয়।
- চিকিৎসাশাস্ত্র মতে প্রতিদিন ২০০ গ্রাম তাজা পাকা কাঁঠাল খেলে গর্ভবতী মহিলা ও তার গর্ভধারণকৃত শিশুর ভিটামিন ও মিনারেলস এর অভাব পুরণে সাহায্য করে । গর্ভবতী মহিলারা কাঁঠাল খেলে তার স্বাস্থ্য স্বাভাবিক থাকে এবং গর্ভস্থ সন্তানের স্বাভাবিক বৃদ্ধি হয়। দুগ্ধদানকারী মা তাজা পাকা কাঁঠাল খেলে দুধের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।
- এই ফল আঁশালো হওয়ায় কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় ।
- কাঁঠালে রয়েছে খনিজ উপাদান আয়রন যা দেহের রক্তাল্পতা দূর করে।
তথ্য সূত্র
বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (বারটান)