ঈমান শক্তিশালী বা দুর্বল হয় কিভাবে
আল্লাহ তা‘আলা মানব জাতিকে আশরাফুল মাখলুকাত হিসেবে সৃষ্টি করে সমগ্র বিশ্ব জগতকে তাদের সেবায় নিয়োজিত করেছেন। মানব সৃষ্টির একমাত্র উদ্দেশ্য হচ্ছে, ইবাদত করা। এই ইবাদত তথা সহীহ ঈমান ও নেক আমলের মধ্যেই মানুষের শান্তি ও কল্যাণ নিহিত। আর বিরুদ্ধাচরণের পরিণতিতে বেইজ্জতি, ধ্বংস ও জাহান্নাম অনিবার্য। মানব সৃষ্টির সূচনা লগ্নে আল্লাহ তা‘আলা নিজ পরিচয় ও কুদরতের বর্ণনা দিয়ে তাদের থেকে নিজের প্রভুত্বের স্বীকারোক্তিমূলক অঙ্গীকার নেয়ার পর দুনিয়াতে তা পুনরায় স্মরণ করিয়ে দেয়ার জন্য যুগে যুগে প্রেরণ করেছেন অসংখ্য নবী, রাসূল ও পয়গাম্বর আ.। সকল পয়গাম্বরের মৌলিক শিক্ষা ছিল এক ও অভিন্ন। তাঁরা সকলেই এক আল্লাহর প্রতি ও হাশর-নাশরের প্রতি ঈমান এবং নেক আমল ইত্যাদি বিষয়ে দাওয়াত দিয়েছেন।
যেভাবে ঈমান শক্তিশালী হয়
নিম্নলিখিত বিষয়গুলো দ্বারা ঈমান শক্তিশালী অর্থাৎ ঈমানের মধ্যে নূর পয়দা হয় এবং তা মজবুত হয়।
- ঈমানের আলোচনা দ্বারা।
- ঈমানদারদের সাহচর্য দ্বারা।
- আমল দ্বারা। [ঈমানের শাখাগুলোর ওপর আমল দ্বারা]
যেভাবে ঈমান দুর্বল হয়
পক্ষান্তরে ঈমান দুর্বল হয়ে যায় এবং ঈমানের নূর কমে যায় এমনকি কখনো কখনো ঈমান নষ্ট পর্যন্ত হয়ে যায় নিচে বর্ণিত কারণে।
- কুফর দ্বারা
- শিরক দ্বারা
- বিদ‘আত দ্বারা
- কু-সংস্কার ও কু-প্রথা পালন করার দ্বারা।
- গুনাহ করার দ্বারা।
তথ্যসূত্র
- এসো ঈমান শিখি • লেখক: মুফতী মনসূরুল হক