অনুসরণীয় 30টি সাধারণ স্বাস্থ্য পরামর্শ আপনার জন্য
আজকের দ্রুত-গতির বিশ্বে আমাদের নিজের স্বাস্থ্য এবং সুস্থতার কথা ভুলে যাওয়া খুবই স্বাভাবিক। তবে আমাদের স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়ার বিষয়টি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হওয়া উচিত। কারণ এটি সরাসরি আমাদের পরিপূর্ণ জীবনযাপন করার ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে।
আমাদের স্বাস্থ্যের প্রতি সচেতন হওয়া গুরুত্বপূর্ণ কারণগুলির মধ্যে একটি। স্বাস্থ্যের প্রতি অবহেলা করা গুরুতর পরিণতির দিকে ধাবিত করতে পারে। একটি উদাসীন জীবনধারা এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস স্থূলতা, হৃদরোগ এবং অন্যান্য দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতার কারণ হতে পারে। অন্যদিকে, নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম এবং সুষম খাদ্য খাওয়া এই অবস্থার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে সক্ষম।
তাই আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কতগুলো বিষয় মেনে চলা জরুরী আমাদের ভালো জন্য। একগুলোই এখানে উল্লেখ করা হলো। যদি আমরা শারীরিকভাবে সুস্থ থাকি, তখন আমরা আরও বেশি উত্পাদনশীল হয়ে থাকি, আরও শক্তি পাই এবং একটি ভাল মেজাজ নিয়ে কাজের প্রতি পূর্ণ মনোযোগী হতে পারি।
আরো পড়তে পারেন: প্রতিদিন কতটুকু ক্যালসিয়াম দরকার?
অনুসরণীয় 30টি সাধারণ স্বাস্থ্য পরামর্শ
- সুষম এবং বৈচিত্র্যময় খাদ্য গ্রহণের অভ্যাস গড়ে তুলুন।
- প্রতিদিন পরিমিত পরিমাণ পানি পান করে হাইড্রেটেড থাকুন। (জেনে নিন প্রতিদিন কতটুকু পানি পান করা প্রয়োজন)
- শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখতে নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
- মানসিক এবং শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম নিশ্চিত করুন।
- ধূমপান এড়িয়ে চলুন এবং অ্যালকোহল সেবন সীমিত করুন।
- নিয়মিত শারীরিক চেক-আপ এবং স্ক্রিনিং করতে ভুলবেন না।
- স্বাস্থ্যবিধিগুলো মেনে চলার অভ্যাস করুন, যেমন সঠিকভাবে নিয়মিত হাত ধোয়া ইত্যাদি।
- বাহিরে গেলে ক্ষতিকারক UV রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করতে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
- রোগ প্রতিরোধের জন্য সময় মত টিকা নিন।
- যৌন সংক্রামক সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে নিরাপদ যৌন অভ্যাস গড়ে তুলুন।
- গাড়ি চালানোর সময় সিট বেল্ট এবং সাইকেল চালানোর সময় হেলমেট ব্যবহার করুন।
- ওষুধ এবং অন্যান্য ক্ষতিকারক পদার্থ এড়িয়ে চলুন।
- সিপিআর এবং প্রাথমিক প্রাথমিক চিকিৎসা সম্বন্ধে জ্ঞান রাখুন।
- দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা এড়িয়ে চলুন। কিছুক্ষণ পর পর কাজের বিরতি দিন। প্রয়োজনে সামান্য ব্যয়াম করার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
- ডায়েট এবং ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীরের জন্য ভারসাম্যপূর্ণ স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখুন।
- অসুস্থতার প্রাথমিক লক্ষণগুলি সামান্য হলেও উপেক্ষা করবেন না এবং অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
- পরিবেশ দূষণকারীর এক্সপোজার সীমিত করুন।
- সূর্যালোক বা পরিপূরক থেকে প্রচুর ভিটামিন ডি গ্রহণ নিশ্চিত করুন।
- মানসিক সুস্থতার জন্য শক্তিশালী সামাজিক সংযোগ বজায় রাখুন।
- উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ কার্যকলাপ এড়িয়ে চলুন, যার ফলে আঘাত হতে পারে।
- চোখের চাপ এড়াতে স্ক্রিন টাইম থেকে নিয়মিত বিরতি নিন।
- সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে চিনিযুক্ত এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার সীমিত করুন।
- মৌখিক স্বাস্থ্য বজায় রাখতে নিয়মিত দাঁতের চেক-আপ করুন।
- মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য গভীর শ্বাস এবং মননশীলতার অনুশীলন করুন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের তৈরি