Friday, September 27, 2024

শান্তিময় জীবনের কিছু প্রয়োজনীয় মিষ্টি উপদেশ

শান্তিময় জীবনের কিছু প্রয়োজনীয় মিষ্টি উপদেশ

  • মাঝে মাঝে কিছু সময় একাকী নির্জনে থাকা। প্রতিদিন নির্দিষ্ট কিছু সময় একাকী নির্জনে বসে আল্লাহর ধ্যান এবং আল্লাহ তায়ালার জিকির করার জন্য নির্ধারণ করে রাখা।
  • আবশ্যক পরিমাণ এলমে দ্বীন শিক্ষা করা দরকার হয়। সেটা হোক কিতাব/বই পড়ে বা কোন আলেমে তত্ত্বাবধানে থেকে অথবা আলেমদের থেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। অর্থাৎ প্রতিনিয়ত ধর্ম জ্ঞান বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।
  • যে কোন প্রকারে গুনাহ হতে বেঁচে থাকা দরকার।
  • কারো কোন হক নষ্ট করা যাবে না। কাউকে কোন কথা বা কাজে কষ্ট দেয়া যাবে না। কারো গীবত নিন্দা করা যাবে না।
  • নিজেকে অন্যের চেয়ে বড় মনে না করা অর্থাৎ অন্য থেকে কোন প্রকার সাহায্য সহযোগিতা বা খেদমত পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা না করা বরং অন্য সকলের সহযোগিতা এবং খেদমত করার মানসিকতা রাখার প্রচেষ্টা করা।


  • কখনো যদি কোন কথায় ভুল হয়ে যায় এবং নিজের ভুল বুঝা যায় অথবা কেউ ভুল ধরিয়ে দেয় তাহলে তাৎক্ষণিক ভুল স্বীকার করে নেয়া এবং প্রয়োজনে ক্ষমা চাওয়া ও আল্লাহর কাছে তওবা করা।
  • প্রয়োজন ছাড়া কোথাও ভ্রমণ না করা। কারণ ভ্রমণের মধ্যে সব কাজ ঠিকমতো করা যায় না। রুটিন ঠিক থাকে না। অনেক প্রয়োজনীয়/জরুরী কাজ ছুটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই অযথাই কোথাও ভ্রমণ করা থেকে বিরত থাকা ভালো।
  • ঝগড়া, কলহ-বিবাদ এড়িয়ে চলা। কারো সাথে তর্ক বিতর্কে লিপ্ত না হওয়া।
  • নামাজ-রোজা এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতের মধ্যে কখনো অলসতা না করা।
  • প্রয়োজন ছাড়া মানুষের সঙ্গে মেলামেশা না করা। প্রয়োজনমতো দেখা-সাক্ষাৎ মেলামেশা করে আবার নিজের কাজে লিপ্ত হওয়া।


  • যখন অন্যান্য লোকদের সাথে মিলিয়ে থাকা বা চলার দরকার পড়ে তখন সকলের সামনে নিজেকে ছোট মনে করিয়া সকলের খেদমত করা।
  • অন্যের উপকার করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করতে হবে। তা দ্বীনের হোক বা দুনিয়ার হোক। তা আপন কারো হোক বা পর কারো হোক। সেটা শত্রুর হোক অথবা মিত্রের হোক। প্রত্যেকের উপকার করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করতে হবে।
  • অপেক্ষাকৃত বড় লোক অথবা ধনীদের সাথে কম মেলামেশা করা। গরিবের সাথে মিল মহব্বত বেশি রাখা।
  • যে লোক শরীয়ত মোতাবেক চলে না অর্থাৎ ধর্মের বিরুদ্ধে চলে বা ধর্মের বিরুদ্ধে কথা বলে তার থেকে যথাসম্ভব দূরে থাকা।
  • নিজের দোষ আগে দেখা, পরের দোষ না দেখা। নিজের দোষ দেখে তা সংশোধন করার চেষ্টা করা। কারো প্রতি খারাপ ধারণা পোষণ না করা।


  • সবসময় মিষ্টি ভাষায় নম্রভাবে সকলের সাথে কথা বলা এবং নম্র ব্যবহার করা।
  • রুটিন মোতাবেক চলা। প্রতিটি কাজের জন্য সময় নির্দিষ্ট করে রাখা। অর্থাৎ সময়ের সঠিক ব্যবহার করা। কোনভাবেই অনিয়ম করা যাবে না এবং সময় নষ্ট করা যাবে না।
  • যদি কখনো রোগ-শোক, অসুস্থতা, অভাব-অভিযোগ, বিপদ আপদ আসে তাহলে অস্থির হওয়া যাবে না। ধৈর্য্য হারানো যাবেনা। সবকিছুই আল্লাহর তরফ থেকে হয়েছে মনে করতে হবে এবং এতে অবশ্যই কল্যাণ রয়েছে এরকম মনে রাখতে হবে। সকল অবস্থায় ধৈর্য ধারণ করতে হবে। অধৈর্য হওয়া যাবে না। আল্লাহর প্রতি কোন অভিযোগ তোলা যাবে না।

  • খাবার কখনোই এত বেশি খাওয়া যাবে না, যাতে করে শরীরে অলসতার দেখা দেয়।  লোভ-লালসা বৃদ্ধি পায়, রিপু বৃদ্ধি পায়। আবার এত কম পরিমাণে খাওয়া যাবেনা যাতে শরীর দুর্বল হয়ে যায় বা স্বাস্থ্য খারাপ হয়ে যায়। ক্ষুধা লাগলে খেতে হবে। নিয়ম করে খেতে হবে। অযথা যেকোনো সময় খাওয়া-দাওয়া করা যাবে না। পেট কিছুটা খালি রেখেই খাওয়া-দাওয়া শেষ করতে হবে। পেট পুরোপুরি পরিপূর্ণ করে খাওয়া যাবেনা।

Related Articles

Stay Connected

0FansLike
3,606FollowersFollow
0SubscribersSubscribe
- Advertisement -spot_img

Latest Articles