সূরা আল ফাতির পবিত্র কোরআন-এর ৩৫ নম্বর সূরা। ফাতির শব্দের অর্থ হলো আদি স্রষ্টা। সর্বমোট ৪৫টি আয়াত বিশিষ্ট এই সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে।
(ফাতির – ১)
اَلۡحَمۡدُ لِلّٰہِ فَاطِرِ السَّمٰوٰتِ وَالۡاَرۡضِ جَاعِلِ الۡمَلٰٓئِکَۃِ رُسُلًا اُولِیۡۤ اَجۡنِحَۃٍ مَّثۡنٰی وَثُلٰثَ وَرُبٰعَ ؕ یَزِیۡدُ فِی الۡخَلۡقِ مَا یَشَآءُ ؕ اِنَّ اللّٰہَ عَلٰی کُلِّ شَیۡءٍ قَدِیۡرٌ
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, যিনি আসমান ও যমীনের স্রষ্টা এবং ফেরেশতাগণকে করেছেন বার্তাবাহক-তারা দুই দুই, তিন তিন ও চার চার পাখাবিশিষ্ট। তিনি সৃষ্টি মধ্যে যা ইচ্ছা যোগ করেন। নিশ্চয় আল্লাহ সর্ববিষয়ে সক্ষম।
(ফাতির – ২)
مَا یَفۡتَحِ اللّٰہُ لِلنَّاسِ مِنۡ رَّحۡمَۃٍ فَلَا مُمۡسِکَ لَہَا ۚ وَمَا یُمۡسِکۡ ۙ فَلَا مُرۡسِلَ لَہٗ مِنۡۢ بَعۡدِہٖ ؕ وَہُوَ الۡعَزِیۡزُ الۡحَکِیۡمُ
আল্লাহ মানুষের জন্য অনুগ্রহের মধ্য থেকে যা খুলে দেন, তা ফেরাবার কেউ নেই এবং তিনি যা বারণ করেন, তা কেউ প্রেরণ করতে পারে না তিনি ব্যতিত। তিনি পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়।
(ফাতির – ৩)
یٰۤاَیُّہَا النَّاسُ اذۡکُرُوۡا نِعۡمَتَ اللّٰہِ عَلَیۡکُمۡ ؕ ہَلۡ مِنۡ خَالِقٍ غَیۡرُ اللّٰہِ یَرۡزُقُکُمۡ مِّنَ السَّمَآءِ وَالۡاَرۡضِ ؕ لَاۤ اِلٰہَ اِلَّا ہُوَ ۫ۖ فَاَنّٰی تُؤۡفَکُوۡنَ
হে মানুষ, তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ কর। আল্লাহ ব্যতীত এমন কোন স্রষ্টা আছে কি, যে তোমাদেরকে আসমান ও যমীন থেকে রিযিক দান করে? তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। অতএব তোমরা কোথায় ফিরে যাচ্ছ?
(ফাতির – ৪)
وَاِنۡ یُّکَذِّبُوۡکَ فَقَدۡ کُذِّبَتۡ رُسُلٌ مِّنۡ قَبۡلِکَ ؕ وَاِلَی اللّٰہِ تُرۡجَعُ الۡاُمُوۡرُ
তারা যদি আপনাকে মিথ্যাবাদী বলে, তবে আপনার পূর্ববর্তী পয়গম্বরগণকেও তো মিথ্যাবাদী বলা হয়েছিল। আল্লাহর প্রতিই যাবতীয় বিষয় প্রত্যাবর্তিত হয়।
(ফাতির – ৫)
یٰۤاَیُّہَا النَّاسُ اِنَّ وَعۡدَ اللّٰہِ حَقٌّ فَلَا تَغُرَّنَّکُمُ الۡحَیٰوۃُ الدُّنۡیَا ٝ وَلَا یَغُرَّنَّکُمۡ بِاللّٰہِ الۡغَرُوۡرُ
হে মানুষ, নিশ্চয় আল্লাহর ওয়াদা সত্য। সুতরাং, পার্থিব জীবন যেন তোমাদেরকে প্রতারণা না করে। এবং সেই প্রবঞ্চক যেন কিছুতেই তোমাদেরকে আল্লাহ সম্পর্কে প্রবঞ্চিত না করে।
(ফাতির – ৬)
اِنَّ الشَّیۡطٰنَ لَکُمۡ عَدُوٌّ فَاتَّخِذُوۡہُ عَدُوًّا ؕ اِنَّمَا یَدۡعُوۡا حِزۡبَہٗ لِیَکُوۡنُوۡا مِنۡ اَصۡحٰبِ السَّعِیۡرِ ؕ
শয়তান তোমাদের শত্রু; অতএব তাকে শত্রু রূপেই গ্রহণ কর। সে তার দলবলকে আহবান করে যেন তারা জাহান্নামী হয়।
(ফাতির – ৭)
اَلَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا لَہُمۡ عَذَابٌ شَدِیۡدٌ ۬ؕ وَالَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَعَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ لَہُمۡ مَّغۡفِرَۃٌ وَّاَجۡرٌ کَبِیۡرٌ ٪
যারা কুফর করে তাদের জন্যে রয়েছে কঠোর আযাব। আর যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে, তাদের জন্যে রয়েছে ক্ষমা ও মহা পুরস্কার।
(ফাতির – ৮)
اَفَمَنۡ زُیِّنَ لَہٗ سُوۡٓءُ عَمَلِہٖ فَرَاٰہُ حَسَنًا ؕ فَاِنَّ اللّٰہَ یُضِلُّ مَنۡ یَّشَآءُ وَیَہۡدِیۡ مَنۡ یَّشَآءُ ۫ۖ فَلَا تَذۡہَبۡ نَفۡسُکَ عَلَیۡہِمۡ حَسَرٰتٍ ؕ اِنَّ اللّٰہَ عَلِیۡمٌۢ بِمَا یَصۡنَعُوۡنَ
যাকে মন্দকর্ম শোভনীয় করে দেখানো হয়, সে তাকে উত্তম মনে করে, সে কি সমান যে মন্দকে মন্দ মনে করে। নিশ্চয় আল্লাহ যাকে ইচ্ছা পথভ্রষ্ট করেন এবং যাকে ইচছা সৎপথ প্রদর্শন করেন। সুতরাং আপনি তাদের জন্যে অনুতাপ করে নিজেকে ধ্বংস করবেন না। নিশ্চয়ই আল্লাহ জানেন তারা যা করে।
(ফাতির – ৯)
وَاللّٰہُ الَّذِیۡۤ اَرۡسَلَ الرِّیٰحَ فَتُثِیۡرُ سَحَابًا فَسُقۡنٰہُ اِلٰی بَلَدٍ مَّیِّتٍ فَاَحۡیَیۡنَا بِہِ الۡاَرۡضَ بَعۡدَ مَوۡتِہَا ؕ کَذٰلِکَ النُّشُوۡرُ
আল্লাহই বায়ু প্রেরণ করেন, অতঃপর সে বায়ু মেঘমালা সঞ্চারিত করে। অতঃপর আমি তা মৃত ভূ-খন্ডের দিকে পরিচালিত করি, অতঃপর তদ্বারা সে ভূ-খন্ডকে তার মৃত্যুর পর সঞ্জীবিত করে দেই। এমনিভাবে হবে পুনরুত্থান।
(ফাতির – ১০)
مَنۡ کَانَ یُرِیۡدُ الۡعِزَّۃَ فَلِلّٰہِ الۡعِزَّۃُ جَمِیۡعًا ؕ اِلَیۡہِ یَصۡعَدُ الۡکَلِمُ الطَّیِّبُ وَالۡعَمَلُ الصَّالِحُ یَرۡفَعُہٗ ؕ وَالَّذِیۡنَ یَمۡکُرُوۡنَ السَّیِّاٰتِ لَہُمۡ عَذَابٌ شَدِیۡدٌ ؕ وَمَکۡرُ اُولٰٓئِکَ ہُوَ یَبُوۡرُ
কেউ সম্মান চাইলে জেনে রাখুন, সমস্ত সম্মান আল্লাহরই জন্যে। তাঁরই দিকে আরোহণ করে সৎবাক্য এবং সৎকর্ম তাকে তুলে নেয়। যারা মন্দ কার্যের চক্রান্তে লেগে থাকে, তাদের জন্যে রয়েছে কঠোর শাস্তি। তাদের চক্রান্ত ব্যর্থ হবে।
(ফাতির – ১১)
وَاللّٰہُ خَلَقَکُمۡ مِّنۡ تُرَابٍ ثُمَّ مِنۡ نُّطۡفَۃٍ ثُمَّ جَعَلَکُمۡ اَزۡوَاجًا ؕ وَمَا تَحۡمِلُ مِنۡ اُنۡثٰی وَلَا تَضَعُ اِلَّا بِعِلۡمِہٖ ؕ وَمَا یُعَمَّرُ مِنۡ مُّعَمَّرٍ وَّلَا یُنۡقَصُ مِنۡ عُمُرِہٖۤ اِلَّا فِیۡ کِتٰبٍ ؕ اِنَّ ذٰلِکَ عَلَی اللّٰہِ یَسِیۡرٌ
আল্লাহ তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন মাটি থেকে, অতঃপর বীর্য থেকে, তারপর করেছেন তোমাদেরকে যুগল। কোন নারী গর্ভধারণ করে না এবং সন্তান প্রসব করে না; কিন্তু তাঁর জ্ঞাতসারে। কোন বয়স্ক ব্যক্তি বয়স পায় না। এবং তার বয়স হ্রাস পায় না; কিন্তু তা লিখিত আছে কিতাবে। নিশ্চয় এটা আল্লাহর পক্ষে সহজ।
(ফাতির – ১২)
وَمَا یَسۡتَوِی الۡبَحۡرٰنِ ٭ۖ ہٰذَا عَذۡبٌ فُرَاتٌ سَآئِغٌ شَرَابُہٗ وَہٰذَا مِلۡحٌ اُجَاجٌ ؕ وَمِنۡ کُلٍّ تَاۡکُلُوۡنَ لَحۡمًا طَرِیًّا وَّتَسۡتَخۡرِجُوۡنَ حِلۡیَۃً تَلۡبَسُوۡنَہَا ۚ وَتَرَی الۡفُلۡکَ فِیۡہِ مَوَاخِرَ لِتَبۡتَغُوۡا مِنۡ فَضۡلِہٖ وَلَعَلَّکُمۡ تَشۡکُرُوۡنَ
দু’টি সমুদ্র সমান হয় না-একটি মিঠা ও তৃষ্ণানিবারক এবং অপরটি লোনা। ঊভয়টি থেকেই তোমরা তাজা গোশত (মৎস) আহার কর এবং পরিধানে ব্যবহার্য গয়নাগাটি আহরণ কর। তুমি তাতে তার বুক চিরে জাহাজ চলতে দেখ, যাতে তোমরা তার অনুগ্রহ অন্বেষণ কর এবং যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।
(ফাতির – ১৩)
یُوۡلِجُ الَّیۡلَ فِی النَّہَارِ وَیُوۡلِجُ النَّہَارَ فِی الَّیۡلِ ۙ وَسَخَّرَ الشَّمۡسَ وَالۡقَمَرَ ۫ۖ کُلٌّ یَّجۡرِیۡ لِاَجَلٍ مُّسَمًّی ؕ ذٰلِکُمُ اللّٰہُ رَبُّکُمۡ لَہُ الۡمُلۡکُ ؕ وَالَّذِیۡنَ تَدۡعُوۡنَ مِنۡ دُوۡنِہٖ مَا یَمۡلِکُوۡنَ مِنۡ قِطۡمِیۡرٍ ؕ
তিনি রাত্রিকে দিবসে প্রবিষ্ট করেন এবং দিবসকে রাত্রিতে প্রবিষ্ট করেন। তিনি সূর্য ও চন্দ্রকে কাজে নিয়োজিত করেছেন। প্রত্যেকটি আবর্তন করে এক নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত। ইনি আল্লাহ; তোমাদের পালনকর্তা, সাম্রাজ্য তাঁরই। তাঁর পরিবর্তে তোমরা যাদেরকে ডাক, তারা তুচ্ছ খেজুর আঁটিরও অধিকারী নয়।
(ফাতির – ১৪)
اِنۡ تَدۡعُوۡہُمۡ لَا یَسۡمَعُوۡا دُعَآءَکُمۡ ۚ وَلَوۡ سَمِعُوۡا مَا اسۡتَجَابُوۡا لَکُمۡ ؕ وَیَوۡمَ الۡقِیٰمَۃِ یَکۡفُرُوۡنَ بِشِرۡکِکُمۡ ؕ وَلَا یُنَبِّئُکَ مِثۡلُ خَبِیۡرٍ ٪
তোমরা তাদেরকে ডাকলে তারা তোমাদের সে ডাক শুনে না। শুনলেও তোমাদের ডাকে সাড়া দেয় না। কেয়ামতের দিন তারা তোমাদের শেরক অস্বীকার করবে। বস্তুতঃ আল্লাহর ন্যায় তোমাকে কেউ অবহিত করতে পারবে না।
(ফাতির – ১৫)
یٰۤاَیُّہَا النَّاسُ اَنۡتُمُ الۡفُقَرَآءُ اِلَی اللّٰہِ ۚ وَاللّٰہُ ہُوَ الۡغَنِیُّ الۡحَمِیۡدُ
হে মানুষ, তোমরা আল্লাহর গলগ্রহ। আর আল্লাহ; তিনি অভাবমুক্ত, প্রশংসিত।
(ফাতির – ১৬)
اِنۡ یَّشَاۡ یُذۡہِبۡکُمۡ وَیَاۡتِ بِخَلۡقٍ جَدِیۡدٍ ۚ
তিনি ইচ্ছা করলে তোমাদেরকে বিলুপ্ত করে এক নতুন সৃষ্টির উদ্ভব করবেন।
(ফাতির – ১৭)
وَمَا ذٰلِکَ عَلَی اللّٰہِ بِعَزِیۡزٍ
এটা আল্লাহর পক্ষে কঠিন নয়।
(ফাতির – ১৮)
وَلَا تَزِرُ وَازِرَۃٌ وِّزۡرَ اُخۡرٰی ؕ وَاِنۡ تَدۡعُ مُثۡقَلَۃٌ اِلٰی حِمۡلِہَا لَا یُحۡمَلۡ مِنۡہُ شَیۡءٌ وَّلَوۡ کَانَ ذَا قُرۡبٰی ؕ اِنَّمَا تُنۡذِرُ الَّذِیۡنَ یَخۡشَوۡنَ رَبَّہُمۡ بِالۡغَیۡبِ وَاَقَامُوا الصَّلٰوۃَ ؕ وَمَنۡ تَزَکّٰی فَاِنَّمَا یَتَزَکّٰی لِنَفۡسِہٖ ؕ وَاِلَی اللّٰہِ الۡمَصِیۡرُ
কেউ অপরের বোঝা বহন করবে না। কেউ যদি তার গুরুতর ভার বহন করতে অন্যকে আহবান করে কেউ তা বহন করবে না-যদি সে নিকটবর্তী আত্নীয়ও হয়। আপনি কেবল তাদেরকে সতর্ক করেন, যারা তাদের পালনকর্তাকে না দেখেও ভয় করে এবং নামায কায়েম করে। যে কেউ নিজের সংশোধন করে, সে সংশোধন করে, স্বীয় কল্যাণের জন্যেই আল্লাহর নিকটই সকলের প্রত্যাবর্তন।
(ফাতির – ১৯)
وَمَا یَسۡتَوِی الۡاَعۡمٰی وَالۡبَصِیۡرُ ۙ
দৃষ্টিমান ও দৃষ্টিহীন সমান নয়।
(ফাতির – ২০)
وَلَا الظُّلُمٰتُ وَلَا النُّوۡرُ ۙ
সমান নয় অন্ধকার ও আলো।
(ফাতির – ২১)
وَلَا الظِّلُّ وَلَا الۡحَرُوۡرُ ۚ
সমান নয় ছায়া ও তপ্তরোদ।
(ফাতির – ২২)
وَمَا یَسۡتَوِی الۡاَحۡیَآءُ وَلَا الۡاَمۡوَاتُ ؕ اِنَّ اللّٰہَ یُسۡمِعُ مَنۡ یَّشَآءُ ۚ وَمَاۤ اَنۡتَ بِمُسۡمِعٍ مَّنۡ فِی الۡقُبُوۡرِ
আরও সমান নয় জীবিত ও মৃত। আল্লাহ শ্রবণ করান যাকে ইচ্ছা। আপনি কবরে শায়িতদেরকে শুনাতে সক্ষম নন।
(ফাতির – ২৩)
اِنۡ اَنۡتَ اِلَّا نَذِیۡرٌ
আপনি তো কেবল একজন সতর্ককারী।
(ফাতির – ২৪)
اِنَّاۤ اَرۡسَلۡنٰکَ بِالۡحَقِّ بَشِیۡرًا وَّنَذِیۡرًا ؕ وَاِنۡ مِّنۡ اُمَّۃٍ اِلَّا خَلَا فِیۡہَا نَذِیۡرٌ
আমি আপনাকে সত্যধর্মসহ পাঠিয়েছি সংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে। এমন কোন সম্প্রদায় নেই যাতে সতর্ককারী আসেনি।
(ফাতির – ২৫)
وَاِنۡ یُّکَذِّبُوۡکَ فَقَدۡ کَذَّبَ الَّذِیۡنَ مِنۡ قَبۡلِہِمۡ ۚ جَآءَتۡہُمۡ رُسُلُہُمۡ بِالۡبَیِّنٰتِ وَبِالزُّبُرِ وَبِالۡکِتٰبِ الۡمُنِیۡرِ
তারা যদি আপনার প্রতি মিথ্যারোপ করে, তাদের পূর্ববর্তীরাও মিথ্যারোপ করেছিল। তাদের কাছে তাদের রসূলগণ স্পষ্ট নিদর্শন, সহীফা এবং উজ্জল কিতাবসহ এসেছিলেন।
(ফাতির – ২৬)
ثُمَّ اَخَذۡتُ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا فَکَیۡفَ کَانَ نَکِیۡرِ ٪
অতঃপর আমি কাফেরদেরকে ধৃত করেছিলাম। কেমন ছিল আমার আযাব!
(ফাতির – ২৭)
اَلَمۡ تَرَ اَنَّ اللّٰہَ اَنۡزَلَ مِنَ السَّمَآءِ مَآءً ۚ فَاَخۡرَجۡنَا بِہٖ ثَمَرٰتٍ مُّخۡتَلِفًا اَلۡوَانُہَا ؕ وَمِنَ الۡجِبَالِ جُدَدٌۢ بِیۡضٌ وَّحُمۡرٌ مُّخۡتَلِفٌ اَلۡوَانُہَا وَغَرَابِیۡبُ سُوۡدٌ
তুমি কি দেখনি আল্লাহ আকাশ থেকে বৃষ্টিবর্ষণ করেন, অতঃপর তদ্দ্বারা আমি বিভিন্ন বর্ণের ফল-মূল উদগত করি। পর্বতসমূহের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন বর্ণের গিরিপথ-সাদা, লাল ও নিকষ কালো কৃষ্ণ।
(ফাতির – ২৮)
وَمِنَ النَّاسِ وَالدَّوَآبِّ وَالۡاَنۡعَامِ مُخۡتَلِفٌ اَلۡوَانُہٗ کَذٰلِکَ ؕ اِنَّمَا یَخۡشَی اللّٰہَ مِنۡ عِبَادِہِ الۡعُلَمٰٓؤُا ؕ اِنَّ اللّٰہَ عَزِیۡزٌ غَفُوۡرٌ
অনুরূপ ভাবে বিভিন্ন বর্ণের মানুষ, জন্তু, চতুস্পদ প্রাণী রয়েছে। আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে জ্ঞানীরাই কেবল তাঁকে ভয় করে। নিশ্চয় আল্লাহ পরাক্রমশালী ক্ষমাময়।
(ফাতির – ২৯)
اِنَّ الَّذِیۡنَ یَتۡلُوۡنَ کِتٰبَ اللّٰہِ وَاَقَامُوا الصَّلٰوۃَ وَاَنۡفَقُوۡا مِمَّا رَزَقۡنٰہُمۡ سِرًّا وَّعَلَانِیَۃً یَّرۡجُوۡنَ تِجَارَۃً لَّنۡ تَبُوۡرَ ۙ
যারা আল্লাহর কিতাব পাঠ করে, নামায কায়েম করে, এবং আমি যা দিয়েছি, তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, তারা এমন ব্যবসা আশা কর, যাতে কখনও লোকসান হবে না।
(ফাতির – ৩০)
لِیُوَفِّیَہُمۡ اُجُوۡرَہُمۡ وَیَزِیۡدَہُمۡ مِّنۡ فَضۡلِہٖ ؕ اِنَّہٗ غَفُوۡرٌ شَکُوۡرٌ
পরিণামে তাদেরকে আল্লাহ তাদের সওয়াব পুরোপুরি দেবেন এবং নিজ অনুগ্রহে আরও বেশী দেবেন। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাশীল, গুণগ্রাহী।
(ফাতির – ৩১)
وَالَّذِیۡۤ اَوۡحَیۡنَاۤ اِلَیۡکَ مِنَ الۡکِتٰبِ ہُوَ الۡحَقُّ مُصَدِّقًا لِّمَا بَیۡنَ یَدَیۡہِ ؕ اِنَّ اللّٰہَ بِعِبَادِہٖ لَخَبِیۡرٌۢ بَصِیۡرٌ
আমি আপনার প্রতি যে কিতাব প্রত্যাদেশ করেছি, তা সত্য-পূর্ববর্তী কিতাবের সত্যায়ন কারী নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর বান্দাদের ব্যাপারে সব জানেন, দেখেন।
(ফাতির – ৩২)
ثُمَّ اَوۡرَثۡنَا الۡکِتٰبَ الَّذِیۡنَ اصۡطَفَیۡنَا مِنۡ عِبَادِنَا ۚ فَمِنۡہُمۡ ظَالِمٌ لِّنَفۡسِہٖ ۚ وَمِنۡہُمۡ مُّقۡتَصِدٌ ۚ وَمِنۡہُمۡ سَابِقٌۢ بِالۡخَیۡرٰتِ بِاِذۡنِ اللّٰہِ ؕ ذٰلِکَ ہُوَ الۡفَضۡلُ الۡکَبِیۡرُ ؕ
অতঃপর আমি কিতাবের অধিকারী করেছি তাদেরকে যাদেরকে আমি আমার বান্দাদের মধ্য থেকে মনোনীত করেছি। তাদের কেউ কেউ নিজের প্রতি অত্যাচারী, কেউ মধ্যপন্থা অবলম্বনকারী এবং তাদের মধ্যে কেউ কেউ আল্লাহর নির্দেশক্রমে কল্যাণের পথে এগিয়ে গেছে। এটাই মহা অনুগ্রহ।
(ফাতির – ৩৩)
جَنّٰتُ عَدۡنٍ یَّدۡخُلُوۡنَہَا یُحَلَّوۡنَ فِیۡہَا مِنۡ اَسَاوِرَ مِنۡ ذَہَبٍ وَّلُؤۡلُؤًا ۚ وَلِبَاسُہُمۡ فِیۡہَا حَرِیۡرٌ
তারা প্রবেশ করবে বসবাসের জান্নাতে। তথায় তারা স্বর্ণনির্মিত, মোতি খচিত কংকন দ্বারা অলংকৃত হবে। সেখানে তাদের পোশাক হবে রেশমের।
(ফাতির – ৩৪)
وَقَالُوا الۡحَمۡدُ لِلّٰہِ الَّذِیۡۤ اَذۡہَبَ عَنَّا الۡحَزَنَ ؕ اِنَّ رَبَّنَا لَغَفُوۡرٌ شَکُوۡرُۨ ۙ
আর তারা বলবে-সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, যিনি আমাদের দূঃখ দূর করেছেন। নিশ্চয় আমাদের পালনকর্তা ক্ষমাশীল, গুণগ্রাহী।
(ফাতির – ৩৫)
الَّذِیۡۤ اَحَلَّنَا دَارَ الۡمُقَامَۃِ مِنۡ فَضۡلِہٖ ۚ لَا یَمَسُّنَا فِیۡہَا نَصَبٌ وَّلَا یَمَسُّنَا فِیۡہَا لُغُوۡبٌ
যিনি স্বীয় অনুগ্রহে আমাদেরকে বসবাসের গৃহে স্থান দিয়েছেন, তথায় কষ্ট আমাদেরকে স্পর্শ করে না এবং স্পর্শ করে না ক্লান্তি।
(ফাতির – ৩৬)
وَالَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا لَہُمۡ نَارُ جَہَنَّمَ ۚ لَا یُقۡضٰی عَلَیۡہِمۡ فَیَمُوۡتُوۡا وَلَا یُخَفَّفُ عَنۡہُمۡ مِّنۡ عَذَابِہَا ؕ کَذٰلِکَ نَجۡزِیۡ کُلَّ کَفُوۡرٍ ۚ
আর যারা কাফের হয়েছে, তাদের জন্যে রয়েছে জাহান্নামের আগুন। তাদেরকে মৃত্যুর আদেশও দেয়া হবে না যে, তারা মরে যাবে এবং তাদের থেকে তার শাস্তিও লাঘব করা হবে না। আমি প্রত্যেক অকৃতজ্ঞকে এভাবেই শাস্তি দিয়ে থাকি।
(ফাতির – ৩৭)
وَہُمۡ یَصۡطَرِخُوۡنَ فِیۡہَا ۚ رَبَّنَاۤ اَخۡرِجۡنَا نَعۡمَلۡ صَالِحًا غَیۡرَ الَّذِیۡ کُنَّا نَعۡمَلُ ؕ اَوَلَمۡ نُعَمِّرۡکُمۡ مَّا یَتَذَکَّرُ فِیۡہِ مَنۡ تَذَکَّرَ وَجَآءَکُمُ النَّذِیۡرُ ؕ فَذُوۡقُوۡا فَمَا لِلظّٰلِمِیۡنَ مِنۡ نَّصِیۡرٍ ٪
সেখানে তারা আর্ত চিৎকার করে বলবে, হে আমাদের পালনকর্তা, বের করুন আমাদেরকে, আমরা সৎকাজ করব, পূর্বে যা করতাম, তা করব না। (আল্লাহ বলবেন) আমি কি তোমাদেরকে এতটা বয়স দেইনি, যাতে যা চিন্তা করার বিষয় চিন্তা করতে পারতে? উপরন্তু তোমাদের কাছে সতর্ককারীও আগমন করেছিল। অতএব আস্বাদন কর। জালেমদের জন্যে কোন সাহায্যকারী নেই।
(ফাতির – ৩৮)
اِنَّ اللّٰہَ عٰلِمُ غَیۡبِ السَّمٰوٰتِ وَالۡاَرۡضِ ؕ اِنَّہٗ عَلِیۡمٌۢ بِذَاتِ الصُّدُوۡرِ
আল্লাহ আসমান ও যমীনের অদৃশ্য বিষয় সম্পর্কে জ্ঞাত। তিনি অন্তরের বিষয় সম্পর্কেও সবিশেষ অবহিত।
(ফাতির – ৩৯)
ہُوَ الَّذِیۡ جَعَلَکُمۡ خَلٰٓئِفَ فِی الۡاَرۡضِ ؕ فَمَنۡ کَفَرَ فَعَلَیۡہِ کُفۡرُہٗ ؕ وَلَا یَزِیۡدُ الۡکٰفِرِیۡنَ کُفۡرُہُمۡ عِنۡدَ رَبِّہِمۡ اِلَّا مَقۡتًا ۚ وَلَا یَزِیۡدُ الۡکٰفِرِیۡنَ کُفۡرُہُمۡ اِلَّا خَسَارًا
তিনিই তোমাদেরকে পৃথিবীতে স্বীয় প্রতিনিধি করেছেন। অতএব যে কুফরী করবে তার কুফরী তার উপরই বর্তাবে। কাফেরদের কুফর কেবল তাদের পালনকর্তার ক্রোধই বৃদ্ধি করে এবং কাফেরদের কুফর কেবল তাদের ক্ষতিই বৃদ্ধি করে।
(ফাতির – ৪০)
قُلۡ اَرَءَیۡتُمۡ شُرَکَآءَکُمُ الَّذِیۡنَ تَدۡعُوۡنَ مِنۡ دُوۡنِ اللّٰہِ ؕ اَرُوۡنِیۡ مَاذَا خَلَقُوۡا مِنَ الۡاَرۡضِ اَمۡ لَہُمۡ شِرۡکٌ فِی السَّمٰوٰتِ ۚ اَمۡ اٰتَیۡنٰہُمۡ کِتٰبًا فَہُمۡ عَلٰی بَیِّنَتٍ مِّنۡہُ ۚ بَلۡ اِنۡ یَّعِدُ الظّٰلِمُوۡنَ بَعۡضُہُمۡ بَعۡضًا اِلَّا غُرُوۡرًا
বলুন, তোমরা কি তোমাদের সে শরীকদের কথা ভেবে দেখেছ, যাদেরকে আল্লাহর পরিবর্তে তোমরা ডাক? তারা পৃথিবীতে কিছু সৃষ্টি করে থাকলে আমাকে দেখাও। না আসমান সৃষ্টিতে তাদের কোন অংশ আছে, না আমি তাদেরকে কোন কিতাব দিয়েছি যে, তারা তার দলীলের উপর কায়েম রয়েছে, বরং জালেমরা একে অপরকে কেবল প্রতারণামূলক ওয়াদা দিয়ে থাকে।
(ফাতির – ৪১)
اِنَّ اللّٰہَ یُمۡسِکُ السَّمٰوٰتِ وَالۡاَرۡضَ اَنۡ تَزُوۡلَا ۬ۚ وَلَئِنۡ زَالَتَاۤ اِنۡ اَمۡسَکَہُمَا مِنۡ اَحَدٍ مِّنۡۢ بَعۡدِہٖ ؕ اِنَّہٗ کَانَ حَلِیۡمًا غَفُوۡرًا
নিশ্চয় আল্লাহ আসমান ও যমীনকে স্থির রাখেন, যাতে টলে না যায়। যদি এগুলো টলে যায় তবে তিনি ব্যতীত কে এগুলোকে স্থির রাখবে? তিনি সহনশীল, ক্ষমাশীল।
(ফাতির – ৪২)
وَاَقۡسَمُوۡا بِاللّٰہِ جَہۡدَ اَیۡمَانِہِمۡ لَئِنۡ جَآءَہُمۡ نَذِیۡرٌ لَّیَکُوۡنُنَّ اَہۡدٰی مِنۡ اِحۡدَی الۡاُمَمِ ۚ فَلَمَّا جَآءَہُمۡ نَذِیۡرٌ مَّا زَادَہُمۡ اِلَّا نُفُوۡرَۨا ۙ
তারা জোর শপথ করে বলত, তাদের কাছে কোন সতর্ককারী আগমন করলে তারা অন্য যে কোন সম্প্রদায় অপেক্ষা অধিকতর সৎপথে চলবে। অতঃপর যখন তাদের কাছে সতর্ককারী আগমন করল, তখন তাদের ঘৃণাই কেবল বেড়ে গেল।
(ফাতির – ৪৩)
اسۡتِکۡـبَارًا فِی الۡاَرۡضِ وَمَکۡرَ السَّیِّیَٴ ؕ وَلَا یَحِیۡقُ الۡمَکۡرُ السَّیِّیٴُ اِلَّا بِاَہۡلِہٖ ؕ فَہَلۡ یَنۡظُرُوۡنَ اِلَّا سُنَّتَ الۡاَوَّلِیۡنَ ۚ فَلَنۡ تَجِدَ لِسُنَّتِ اللّٰہِ تَبۡدِیۡلًا ۬ۚ وَلَنۡ تَجِدَ لِسُنَّتِ اللّٰہِ تَحۡوِیۡلًا
পৃথিবীতে ঔদ্ধত্যের কারণে এবং কুচক্রের কারণে। কুচক্র কুচক্রীদেরকেই ঘিরে ধরে। তারা কেবল পূর্ববর্তীদের দশারই অপেক্ষা করছে। অতএব আপনি আল্লাহর বিধানে পরিবর্তন পাবেন না এবং আল্লাহর রীতি-নীতিতে কোন রকম বিচ্যুতিও পাবেন না।
(ফাতির – ৪৪)
اَوَلَمۡ یَسِیۡرُوۡا فِی الۡاَرۡضِ فَیَنۡظُرُوۡا کَیۡفَ کَانَ عَاقِبَۃُ الَّذِیۡنَ مِنۡ قَبۡلِہِمۡ وَکَانُوۡۤا اَشَدَّ مِنۡہُمۡ قُوَّۃً ؕ وَمَا کَانَ اللّٰہُ لِیُعۡجِزَہٗ مِنۡ شَیۡءٍ فِی السَّمٰوٰتِ وَلَا فِی الۡاَرۡضِ ؕ اِنَّہٗ کَانَ عَلِیۡمًا قَدِیۡرًا
তারা কি পৃথিবীতে ভ্রমণ করে না? করলে দেখত তাদের পূর্ববর্তীদের কি পরিণাম হয়েছে। অথচ তারা তাদের অপেক্ষা অধিকতর শক্তিশালী ছিল। আকাশ ও পৃথিবীতে কোন কিছুই আল্লাহকে অপারগ করতে পারে না। নিশ্চয় তিনি সর্বজ্ঞ সর্বশক্তিমান।
(ফাতির – ৪৫)
وَلَوۡ یُؤَاخِذُ اللّٰہُ النَّاسَ بِمَا کَسَبُوۡا مَا تَرَکَ عَلٰی ظَہۡرِہَا مِنۡ دَآبَّۃٍ وَّلٰکِنۡ یُّؤَخِّرُہُمۡ اِلٰۤی اَجَلٍ مُّسَمًّی ۚ فَاِذَا جَآءَ اَجَلُہُمۡ فَاِنَّ اللّٰہَ کَانَ بِعِبَادِہٖ بَصِیۡرًا ٪
যদি আল্লাহ মানুষকে তাদের কৃতকর্মের কারণে পাকড়াও করতেন, তবে ভুপৃষ্ঠে চলমানকাউকে ছেড়ে দিতেন না। কিন্তু তিনি এক নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত তাদেরকে অবকাশ দেন। অতঃপর যখন সে নির্দিষ্ট মেয়াদ এসে যাবে তখন আল্লাহর সব বান্দা তাঁর দৃষ্টিতে থাকবে।
পবিত্র আল কোরআন
সূরার নাম • আরবিতে নাম • নামের বাংলা অর্থ • আয়াত সংখ্যা • অবতীর্ণ হওয়ার স্থান • অবতীর্ণের ক্রম
- আল ফাতিহা • الفاتحة • সূচনা • ৭ • মক্কা • ০০৫
- আল বাকারা • البقرة • বকনা-বাছুর • ২৮৬ • মদীনা • ০৮৭
- আল ইমরান • آل عمران • ইমরানের পরিবার • ২০০ • মদীনা • ০৮৯
- আন নিসা • النّساء • মহিলা • ১৭৬ • মদীনা • ০৯২
- আল মায়িদাহ • المآئدة • খাদ্য পরিবেশিত টেবিল • ১২০ • মদীনা • ১১২
- আল আনআম • الانعام • গৃৃহপালিত পশু • ১৬৫ • মক্কা • ০৫৫
- আল আরাফ • الأعراف • উচু স্থানসমূহ • ২০৬ • মক্কা • ০৩৯
- আল আনফাল • الأنفال • যুদ্ধে-লব্ধ ধনসম্পদ • ৭৫ • মদীনা • ০৮৮
- আত-তাওবাহ্ • التوبة • অনুশোচনা • ১২৯ • মদীনা • ১১৩
- ইউনুস • يونس • নবী ইউনুস •১০৯ • মক্কা •০৫১
- হুদ • هود • নবী হুদ • ১২৩ • মক্কা • ০৫২
- ইউসুফ • يوسف • নবী ইউসুফ • ১১১ • মক্কা • ০৫৩
- আর-রাদ • الرّعد • বজ্রনাদ • ৪৩ • মদীনা • ০৯৬
- ইব্রাহীম • إبراهيم • নবী ইব্রাহিম • ৫২ • মদীনা •৭২
- সূরা আল হিজর • الحجر •পাথুরে পাহাড় • ৯৯ •মক্কা •০৫৪
- আন নাহল • النّحل • মৌমাছি • ১২৮ • মক্কা • ০৭০
- বনী-ইসরাঈল • الإسرا • ইসরায়েলের সন্তানগণ • ১১১ • মক্কা • ০৫০
- আল কাহফ • الكهف • গুহা • ১১০ • মক্কা • ০৬৯
- মারইয়াম • مريم • মারিয়াম (নবী ঈসার মা) • ৯৮ • মক্কা • ০৪৪
- ত্বোয়া-হা • طه • ত্বোয়া-হা • ১৩৫ • মক্কা • ০৪৫
- আল আম্বিয়া • الأنبياء • নবীগণ • ১১২ • মদীনা • ০৭৩
- আল হাজ্জ্ব • الحجّ • হাজ্জ • ৭৮ • মদীনা • ১০৩
- আল মু’মিনূন • المؤمنون • বিশ্বাসীগণ • ১১৮ • মদীনা • ০৭৪
- আন নূর • النّور • আলো,জ্যোতি • ৬৪ • মদীনা • ১০২
- আল ফুরকান • الفرقان • সত্য মিথ্যার পার্থক্য নির্ধারণকারী গ্রন্থ • ৭৭ • মক্কা • ০৪২
- আশ শুআরা • الشّعراء • কবিগণ • ২২৭ • মক্কা • ০৪৭
- আন নম্ল • النّمل • পিপীলিকা • ৯৩ • মক্কা • ০৪৮
- আল কাসাস • القصص • ঘটনা,কাহিনী • ৮৮ • মক্কা • ০৪৯
- আল আনকাবূত • العنكبوت • মাকড়সা • ৬৯ • মদীনা • ০৮৫
- আর রুম • الرّوم • রোমান জাতি • ৬০ • মদীনা • ০৮৪
- লোক্মান • لقمان • একজন জ্ঞানী ব্যক্তি • ৩৪ • মক্কা • ০৫৭
- আস সেজদাহ্ • السّجدة • সিজদাহ • ৩০ • মদীনা • ০৭৫
- আল আহ্যাব • الْأحزاب • জোট • ৭৩ • মদীনা • ০৯০
- সাবা • سبا • রানী সাবা • ৫৪ • মক্কা • ০৫৮
- ফাতির • فاطر • আদি স্রষ্টা • ৪৫ • মক্কা • ০৪৩
- ইয়াসীন • يس • ইয়াসীন • ৮৩ • মক্কা • ০৪১
- আস ছাফ্ফাত • الصّافات • সারিবদ্ধভাবে দাড়ানো • ১৮২ • মক্কা • ০৫৬
- ছোয়াদ • ص • আরবি বর্ণ • ৮৮ • মক্কা • ০৩৮
- আয্-যুমার • الزّمر • দল-বদ্ধ জনতা • ৭৫ • মক্কা • ০৫৯
- আল মু’মিন • غافر • বিশ্বাসী • ৮৫ • মক্কা • ০৬০
- হা-মীম সেজদাহ্ • فصّلت • সুস্পষ্ট বিবরণ • ৫৪ • • মক্কা • ০৬১
- আশ্-শূরা • الشّورى • পরামর্শ • ৫৩ • মক্কা • ০৬২
- আয্-যুখরুফ • الزّخرف • সোনাদানা • ৮৯ • মক্কা • ০৬৩
- আদ-দোখান • الدّخان • ধোঁয়া • ৫৯ • মক্কা • ০৬৪
- আল জাসিয়াহ • الجاثية • নতজানু • ৩৭ • মক্কা • ০৬৫
- আল আহ্ক্বাফ • الأحقاف • বালুর পাহাড় • ৩৫ • মক্কা • ০৬৬
- মুহাম্মদ • محمّد • নবী মুহাম্মদ • ৩৮ • মদীনা • ০৯৫
- আল ফাত্হ • الفتح • বিজয় (মক্কা বিজয়) • ২৯ • মদীনা • ১১১
- আল হুজুরাত • الحجرات • বাসগৃহসমূূহ • ১৮ • মদীনা • ১০৬
- ক্বাফ • ق • আরবি বর্ণ ক্বাফ • ৪৫ • মক্কা • ০৩৪
- আয-যারিয়াত • الذّاريات • বিক্ষেপকারী বাতাস • ৬০ • মক্কা • ০৬৭
- আত্ব তূর • الطّور • পাহাড় • ৪৯ • মদীনা • ০৭৬
- আন-নাজম • النّجْم • তারা • ৬২ • মক্কা • ০২৩
- আল ক্বামার • القمر • চন্দ্র • ৫৫ • মক্কা • ০৩৭
- আর রাহমান • الرّحْمن • অনন্ত করুণাময় • ৭৮ • মদীনা • ০৯৭
- আল-ওয়াকিয়াহ • الواقعة • নিশ্চিত ঘটনা • ৯৬ • মক্কা • ০৪৬
- আল-হাদীদ • الحديد • লোহা • ২৯ • মদীনা • ০৯৪
- আল-মুজাদালাহ • المجادلة • অনুযোগকারিণী • ২২ • মদীনা • ১০৫
- আল-হাশর • الحشْر • সমাবেশ • ২৪ • মদীনা • ১০১
- আল-মুমতাহিনাহ • الممتحنة • নারী, যাকে পরীক্ষা করা হবে • ১৩ • মদীনা • ০৯১
- আস-সাফ • الصّفّ • সারবন্দী সৈন্যদল • ১৪ • মদীনা •১০৯
- আল-জুমুআ • الجمعة • সম্মেলন • শুক্রবার • ১১ • মদীনা • ১১০
- আল-মুনাফিকুন • المنافقون • কপট বিশ্বাসীগণ • ১১ • মদীনা • ১০৪
- আত-তাগাবুন • التّغابن • মোহ অপসারণ • ১৮ • মদীনা • ১০৮
- আত-তালাক • الطّلاق • তালাক, বন্ধনমুক্তি • ১২ • মদীনা •০৯৯
- আত-তাহরীম • التّحريم • নিষিদ্ধকরণ • ১২ • মদীনা • ১০৭
- আল-মুলক • الملك • সার্বভৌম কর্তৃত্ব • ৩০ • মক্কা • ০৭৭
- আল-কলম • القلم • কলম • ৫২ • মক্কা • ০০২
- আল-হাক্কাহ • الحآقّة • নিশ্চিত সত্য • ৫২ • মক্কা • ০৭৮
- আল-মাআরিজ • المعارج • উন্নয়নের সোপান • ৪৪ • মক্কা • ০৭৯
- নূহ •نوح • নবী নূহ • ২৮ • মক্কা • ০৭১
- আল জ্বিন • الجنّ • জ্বিন সম্প্রদায় • • ২৮ • মক্কা • ০৪০
- আল মুজাম্মিল • المزّمّل • বস্ত্র আচ্ছাদনকারী • ২০ • মক্কা • ০০৩
- আল মুদ্দাস্সির • المدّشّر • পোশাক পরিহিত • ৫৬ • মক্কা • ০০৪
- আল-ক্বিয়ামাহ • القيامة • পুনরুথান • ৪০ • মক্কা • ০৩১
- আদ-দাহর • الدَّهْرِ • মানুষ • ৩১ • মদীনা • ০৯৮
- আল-মুরসালাত • المرسلت • প্রেরিত পুরুষবৃন্দ • ৫০ • মক্কা • ০৩৩
- আন নাবা • النّبا • মহাসংবাদ • ৪০ • মক্কা • ০৮০
- আন নাযিয়াত • النّزعت • প্রচেষ্টাকারী • ৪৬ • মক্কা • ০৮১
- আবাসা • عبس • তিনি ভ্রুকুটি করলেন • ৪২ • মক্কা • ০২৪
- আত-তাকভীর • التّكوير • অন্ধকারাচ্ছন্ন • ২৯ • মক্কা • ০০৭
- আল-ইনফিতার • الانفطار • বিদীর্ণ করা • ১৯ • মক্কা • ০৮২
- আত মুত্বাফ্ফিফীন • المطفّفين • প্রতারকগণ • ৩৬ • মক্কা • ০৮৬
- আল ইনশিকাক • الانشقاق • খন্ড-বিখন্ড করণ • ২৫ • মক্কা • ০৮৩
- আল-বুরুজ • البروج • নক্ষত্রপুঞ্জ • ২২ • মক্কা • ০২৭
- আত-তারিক্ব • الطّارق • রাতের আগন্তুক • ১৭ • মক্কা • ০৩৬
- আল আ’লা • الأعلى • সর্বোর্ধ্ব • ১৯ • মক্কা • ০০৮
- আল গাশিয়াহ্ • الغاشية • বিহ্বলকর ঘটনা • ২৬ • মক্কা • ০৬৮
- আল ফাজ্র • الفجر • ভোরবেলা • ৩০ • মক্কা • ০১০
- আল বালাদ • البلد • নগর • ২০ • মক্কা • ০৩৫
- আশ-শাম্স • الشّمس • সূর্য্য • ১৫ • মক্কা • ০২৬
- আল লাইল • الليل • রাত্রি • ২১ মক্কা • ০০৯
- আদ-দুহা • الضحى • পূর্বাহ্নের সূর্যকিরণ • ১১ • মক্কা • ০১১
- আল ইনশিরাহ • الشرح • বক্ষ প্রশস্তকরণ • ৮ • মক্কা • ০১২
- ত্বীন • التين • ডুমুর • ৮ • মক্কা • ০২৮
- আলাক্ব • العلق • রক্তপিন্ড • ১৯ • মক্কা •০০১
- ক্বদর • القدر • পরিমাণ • ৫ • মক্কা • ০২৫
- বাইয়্যিনাহ • البينة • সুস্পষ্ট প্রমাণ • ৮ • মদীনা • ১০০
- যিলযাল • الزلزلة • ভূমিকম্প • ৮ • মদীনা • ০৯৩
- আল-আদিয়াত • العاديات • অভিযানকারী • ১১ • মক্কা • ০১৪
- ক্বারিয়াহ • القارعة • মহাসংকট • ১১ • মক্কা • ০৩০
- তাকাসুর • التكاثر • প্রাচুর্যের প্রতিযোগিতা • ৮ • মক্কা • ০১৬
- আছর • العصر • অপরাহ্ন • • ৩ • মক্কা • ০১৩
- হুমাযাহ • الهمزة • পরনিন্দাকারী • ৯ • মক্কা • ০৩২
- ফীল • الفيل • হাতি • ৫ • মক্কা • ০১৯
- কুরাইশ • قريش • কুরাইশ গোত্র • ৪ • মক্কা • ০২৯
- মাউন • الماعون • সাহায্য-সহায়তা • ৭ • মক্কা • ০১৭
- কাওসার • الكوثر ? • প্রাচুর্য ? • ৩ • মক্কা • ০১৫
- কাফিরুন • الكافرون • অস্বীকারকারীগণ • ৬ • মক্কা • ০১৮
- নাসর • النصر • বিজয়,সাহায্য • ৩ • মদীনা • ১১৪
- লাহাব • المسد • জ্বলন্ত অঙ্গার • ৫ • মক্কা • ০০৬
- আল-ইখলাস • الإخلاص • একনিষ্ঠতা • ৪ • মক্কা • ০২২
- আল-ফালাক • الفلق • নিশিভোর • ৫ • মদীনা • ০২০
- আন-নাস • الناس • মানবজাতি • ৬ • মক্কা • ০২১