সূরা আন নিসা পবিত্র কোরআন-এর ০৪ নম্বর সূরা। নিসা শব্দের অর্থ মহিলা। সর্বমোট ২৮টি আয়াত বিশিষ্ট এই সূরাটি মদীনায় অবতীর্ণ হয়েছে।
পবিত্র কোরআনের সূরা আন নিসা (বাংলা অর্থসহ)
(আন নিসা – ১)
یٰۤاَیُّہَا النَّاسُ اتَّقُوۡا رَبَّکُمُ الَّذِیۡ خَلَقَکُمۡ مِّنۡ نَّفۡسٍ وَّاحِدَۃٍ وَّخَلَقَ مِنۡہَا زَوۡجَہَا وَبَثَّ مِنۡہُمَا رِجَالًا کَثِیۡرًا وَّنِسَآءً ۚ وَاتَّقُوا اللّٰہَ الَّذِیۡ تَسَآءَلُوۡنَ بِہٖ وَالۡاَرۡحَامَ ؕ اِنَّ اللّٰہَ کَانَ عَلَیۡکُمۡ رَقِیۡبًا
হে মানব সমাজ! তোমরা তোমাদের পালনকর্তাকে ভয় কর, যিনি তোমাদেরকে এক ব্যক্তি থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং যিনি তার থেকে তার সঙ্গীনীকে সৃষ্টি করেছেন; আর বিস্তার করেছেন তাদের দু’জন থেকে অগণিত পুরুষ ও নারী। আর আল্লাহকে ভয় কর, যাঁর নামে তোমরা একে অপরের নিকট যাচঞ্ঝা করে থাক এবং আত্নীয় জ্ঞাতিদের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন কর। নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের ব্যাপারে সচেতন রয়েছেন।
(আন নিসা – ২)
وَاٰتُوا الۡیَتٰمٰۤی اَمۡوَالَہُمۡ وَلَا تَتَبَدَّلُوا الۡخَبِیۡثَ بِالطَّیِّبِ ۪ وَلَا تَاۡکُلُوۡۤا اَمۡوَالَہُمۡ اِلٰۤی اَمۡوَالِکُمۡ ؕ اِنَّہٗ کَانَ حُوۡبًا کَبِیۡرًا
এতীমদেরকে তাদের সম্পদ বুঝিয়ে দাও। খারাপ মালামালের সাথে ভালো মালামালের অদল-বদল করো না। আর তাদের ধন-সম্পদ নিজেদের ধন-সম্পদের সাথে সংমিশ্রিত করে তা গ্রাস করো না। নিশ্চয় এটা বড়ই মন্দ কাজ।
(আন নিসা – ৩)
وَاِنۡ خِفۡتُمۡ اَلَّا تُقۡسِطُوۡا فِی الۡیَتٰمٰی فَانۡکِحُوۡا مَا طَابَ لَکُمۡ مِّنَ النِّسَآءِ مَثۡنٰی وَثُلٰثَ وَرُبٰعَ ۚ فَاِنۡ خِفۡتُمۡ اَلَّا تَعۡدِلُوۡا فَوَاحِدَۃً اَوۡ مَا مَلَکَتۡ اَیۡمَانُکُمۡ ؕ ذٰلِکَ اَدۡنٰۤی اَلَّا تَعُوۡلُوۡا ؕ
আর যদি তোমরা ভয় কর যে, এতীম মেয়েদের হক যথাথভাবে পুরণ করতে পারবে না, তবে সেসব মেয়েদের মধ্যে থেকে যাদের ভাল লাগে তাদের বিয়ে করে নাও দুই, তিন, কিংবা চারটি পর্যন্ত। আর যদি এরূপ আশঙ্কা কর যে, তাদের মধ্যে ন্যায় সঙ্গত আচরণ বজায় রাখতে পারবে না, তবে, একটিই অথবা তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসীদেরকে; এতেই পক্ষপাতিত্বে জড়িত না হওয়ার অধিকতর সম্ভাবনা।
(আন নিসা – ৪)
وَاٰتُوا النِّسَآءَ صَدُقٰتِہِنَّ نِحۡلَۃً ؕ فَاِنۡ طِبۡنَ لَکُمۡ عَنۡ شَیۡءٍ مِّنۡہُ نَفۡسًا فَکُلُوۡہُ ہَنِیۡٓــًٔا مَّرِیۡٓــًٔا
আর তোমরা স্ত্রীদেরকে তাদের মোহর দিয়ে দাও খুশীমনে। তারা যদি খুশী হয়ে তা থেকে অংশ ছেড়ে দেয়, তবে তা তোমরা স্বাচ্ছন্দ্যে ভোগ কর।
(আন নিসা – ৫)
وَلَا تُؤۡتُوا السُّفَہَآءَ اَمۡوَالَکُمُ الَّتِیۡ جَعَلَ اللّٰہُ لَکُمۡ قِیٰمًا وَّارۡزُقُوۡہُمۡ فِیۡہَا وَاکۡسُوۡہُمۡ وَقُوۡلُوۡا لَہُمۡ قَوۡلًا مَّعۡرُوۡفًا
আর যে সম্পদকে আল্লাহ তোমাদের জীবন-যাত্রার অবলম্বন করেছেন, তা অর্বাচীনদের হাতে তুলে দিও না। বরং তা থেকে তাদেরকে খাওয়াও, পরাও এবং তাদেরকে সান্তনার বানী শোনাও।
(আন নিসা – ৬)
وَابۡتَلُوا الۡیَتٰمٰی حَتّٰۤی اِذَا بَلَغُوا النِّکَاحَ ۚ فَاِنۡ اٰنَسۡتُمۡ مِّنۡہُمۡ رُشۡدًا فَادۡفَعُوۡۤا اِلَیۡہِمۡ اَمۡوَالَہُمۡ ۚ وَلَا تَاۡکُلُوۡہَاۤ اِسۡرَافًا وَّبِدَارًا اَنۡ یَّکۡبَرُوۡا ؕ وَمَنۡ کَانَ غَنِیًّا فَلۡیَسۡتَعۡفِفۡ ۚ وَمَنۡ کَانَ فَقِیۡرًا فَلۡیَاۡکُلۡ بِالۡمَعۡرُوۡفِ ؕ فَاِذَا دَفَعۡتُمۡ اِلَیۡہِمۡ اَمۡوَالَہُمۡ فَاَشۡہِدُوۡا عَلَیۡہِمۡ ؕ وَکَفٰی بِاللّٰہِ حَسِیۡبًا
আর এতীমদের প্রতি বিশেষভাবে নজর রাখবে, যে পর্যন্ত না তারা বিয়ের বয়সে পৌঁছে। যদি তাদের মধ্যে বুদ্ধি-বিবেচনার উন্মেষ আঁচ করতে পার, তবে তাদের সম্পদ তাদের হাতে অর্পন করতে পার। এতীমের মাল প্রয়োজনাতিরিক্ত খরচ করো না বা তারা বড় হয়ে যাবে মনে করে তাড়াতাড়ি খেয়ে ফেলো না। যারা স্বচ্ছল তারা অবশ্যই এতীমের মাল খরচ করা থেকে বিরত থাকবে। আর যে অভাবগ্রস্ত সে সঙ্গত পরিমাণ খেতে পারে। যখন তাদের হাতে তাদের সম্পদ প্রত্যার্পণ কর, তখন সাক্ষী রাখবে। অবশ্য আল্লাহই হিসাব নেয়ার ব্যাপারে যথেষ্ট।
(আন নিসা – ৭)
لِلرِّجَالِ نَصِیۡبٌ مِّمَّا تَرَکَ الۡوَالِدٰنِ وَالۡاَقۡرَبُوۡنَ ۪ وَلِلنِّسَآءِ نَصِیۡبٌ مِّمَّا تَرَکَ الۡوَالِدٰنِ وَالۡاَقۡرَبُوۡنَ مِمَّا قَلَّ مِنۡہُ اَوۡ کَثُرَ ؕ نَصِیۡبًا مَّفۡرُوۡضًا
পিতা-মাতা ও আত্নীয়-স্বজনদের পরিত্যক্ত সম্পত্তিতে পুরুষদেরও অংশ আছে এবং পিতা-মাতা ও আত্নীয়-স্বজনদের পরিত্যক্ত সম্পত্তিতে নারীদেরও অংশ আছে; অল্প হোক কিংবা বেশী। এ অংশ নির্ধারিত।
(আন নিসা – ৮)
وَاِذَا حَضَرَ الۡقِسۡمَۃَ اُولُوا الۡقُرۡبٰی وَالۡیَتٰمٰی وَالۡمَسٰکِیۡنُ فَارۡزُقُوۡہُمۡ مِّنۡہُ وَقُوۡلُوۡا لَہُمۡ قَوۡلًا مَّعۡرُوۡفًا
সম্পতি বন্টনের সময় যখন আত্নীয়-স্বজন, এতীম ও মিসকীন উপস্থিত হয়, তখন তা থেকে তাদের কিছু খাইয়ে দাও এবং তাদের সাথে কিছু সদালাপ করো।
(আন নিসা – ৯)
وَلۡیَخۡشَ الَّذِیۡنَ لَوۡ تَرَکُوۡا مِنۡ خَلۡفِہِمۡ ذُرِّیَّۃً ضِعٰفًا خَافُوۡا عَلَیۡہِمۡ ۪ فَلۡیَتَّقُوا اللّٰہَ وَلۡیَقُوۡلُوۡا قَوۡلًا سَدِیۡدًا
তাদের ভয় করা উচিত, যারা নিজেদের পশ্চাতে দুর্বল অক্ষম সন্তান-সন্ততি ছেড়ে গেলে তাদের জন্যে তারাও আশঙ্কা করে; সুতরাং তারা যেন আল্লাহকে ভয় করে এবং সংগত কথা বলে।
(আন নিসা – ১০)
اِنَّ الَّذِیۡنَ یَاۡکُلُوۡنَ اَمۡوَالَ الۡیَتٰمٰی ظُلۡمًا اِنَّمَا یَاۡکُلُوۡنَ فِیۡ بُطُوۡنِہِمۡ نَارًا ؕ وَسَیَصۡلَوۡنَ سَعِیۡرًا ٪
যারা এতীমদের অর্থ-সম্পদ অন্যায়ভাবে খায়, তারা নিজেদের পেটে আগুনই ভর্তি করেছে এবং সত্ত্বরই তারা অগ্নিতে প্রবেশ করবে।
(আন নিসা – ১১)
یُوۡصِیۡکُمُ اللّٰہُ فِیۡۤ اَوۡلَادِکُمۡ ٭ لِلذَّکَرِ مِثۡلُ حَظِّ الۡاُنۡثَیَیۡنِ ۚ فَاِنۡ کُنَّ نِسَآءً فَوۡقَ اثۡنَتَیۡنِ فَلَہُنَّ ثُلُثَا مَا تَرَکَ ۚ وَاِنۡ کَانَتۡ وَاحِدَۃً فَلَہَا النِّصۡفُ ؕ وَلِاَبَوَیۡہِ لِکُلِّ وَاحِدٍ مِّنۡہُمَا السُّدُسُ مِمَّا تَرَکَ اِنۡ کَانَ لَہٗ وَلَدٌ ۚ فَاِنۡ لَّمۡ یَکُنۡ لَّہٗ وَلَدٌ وَّوَرِثَہٗۤ اَبَوٰہُ فَلِاُمِّہِ الثُّلُثُ ۚ فَاِنۡ کَانَ لَہٗۤ اِخۡوَۃٌ فَلِاُمِّہِ السُّدُسُ مِنۡۢ بَعۡدِ وَصِیَّۃٍ یُّوۡصِیۡ بِہَاۤ اَوۡ دَیۡنٍ ؕ اٰبَآؤُکُمۡ وَاَبۡنَآؤُکُمۡ لَا تَدۡرُوۡنَ اَیُّہُمۡ اَقۡرَبُ لَکُمۡ نَفۡعًا ؕ فَرِیۡضَۃً مِّنَ اللّٰہِ ؕ اِنَّ اللّٰہَ کَانَ عَلِیۡمًا حَکِیۡمًا
আল্লাহ তোমাদেরকে তোমাদের সন্তানদের সম্পর্কে আদেশ করেনঃ একজন পুরুষের অংশ দু?জন নারীর অংশের সমান। অতঃপর যদি শুধু নারীই হয় দু’ এর অধিক, তবে তাদের জন্যে ঐ মালের তিন ভাগের দুই ভাগ যা ত্যাগ করে মরে এবং যদি একজনই হয়, তবে তার জন্যে অর্ধেক। মৃতের পিতা-মাতার মধ্য থেকে প্রত্যেকের জন্যে ত্যাজ্য সম্পত্তির ছয় ভাগের এক ভাগ, যদি মৃতের পুত্র থাকে। যদি পুত্র না থাকে এবং পিতা-মাতাই ওয়ারিস হয়, তবে মাতা পাবে তিন ভাগের এক ভাগ। অতঃপর যদি মৃতের কয়েকজন ভাই থাকে, তবে তার মাতা পাবে ছয় ভাগের এক ভাগ ওছিয়্যতের পর, যা করে মরেছে কিংবা ঋণ পরিশোধের পর। তোমাদের পিতা ও পুত্রের মধ্যে কে তোমাদের জন্যে অধিক উপকারী তোমরা জান না। এটা আল্লাহ কতৃক নির্ধারিত অংশ নিশ্চয় আল্লাহ সর্বজ্ঞ, রহস্যবিদ।
(আন নিসা – ১২)
وَلَکُمۡ نِصۡفُ مَا تَرَکَ اَزۡوَاجُکُمۡ اِنۡ لَّمۡ یَکُنۡ لَّہُنَّ وَلَدٌ ۚ فَاِنۡ کَانَ لَہُنَّ وَلَدٌ فَلَکُمُ الرُّبُعُ مِمَّا تَرَکۡنَ مِنۡۢ بَعۡدِ وَصِیَّۃٍ یُّوۡصِیۡنَ بِہَاۤ اَوۡ دَیۡنٍ ؕ وَلَہُنَّ الرُّبُعُ مِمَّا تَرَکۡتُمۡ اِنۡ لَّمۡ یَکُنۡ لَّکُمۡ وَلَدٌ ۚ فَاِنۡ کَانَ لَکُمۡ وَلَدٌ فَلَہُنَّ الثُّمُنُ مِمَّا تَرَکۡتُمۡ مِّنۡۢ بَعۡدِ وَصِیَّۃٍ تُوۡصُوۡنَ بِہَاۤ اَوۡ دَیۡنٍ ؕ وَاِنۡ کَانَ رَجُلٌ یُّوۡرَثُ کَلٰلَۃً اَوِ امۡرَاَۃٌ وَّلَہٗۤ اَخٌ اَوۡ اُخۡتٌ فَلِکُلِّ وَاحِدٍ مِّنۡہُمَا السُّدُسُ ۚ فَاِنۡ کَانُوۡۤا اَکۡثَرَ مِنۡ ذٰلِکَ فَہُمۡ شُرَکَآءُ فِی الثُّلُثِ مِنۡۢ بَعۡدِ وَصِیَّۃٍ یُّوۡصٰی بِہَاۤ اَوۡ دَیۡنٍ ۙ غَیۡرَ مُضَآرٍّ ۚ وَصِیَّۃً مِّنَ اللّٰہِ ؕ وَاللّٰہُ عَلِیۡمٌ حَلِیۡمٌ ؕ
আর, তোমাদের হবে অর্ধেক সম্পত্তি, যা ছেড়ে যায় তোমাদের স্ত্রীরা যদি তাদের কোন সন্তান না থাকে। যদি তাদের সন্তান থাকে, তবে তোমাদের হবে এক-চতুর্থাংশ ঐ সম্পত্তির, যা তারা ছেড়ে যায়; ওছিয়্যতের পর, যা তারা করে এবং ঋণ পরিশোধের পর। স্ত্রীদের জন্যে এক-চতুর্থাংশ হবে ঐ সম্পত্তির, যা তোমরা ছেড়ে যাও যদি তোমাদের কোন সন্তান না থাকে। আর যদি তোমাদের সন্তান থাকে, তবে তাদের জন্যে হবে ঐ সম্পত্তির আট ভাগের এক ভাগ, যা তোমরা ছেড়ে যাও ওছিয়্যতের পর, যা তোমরা কর এবং ঋণ পরিশোধের পর। যে পুরুষের, ত্যাজ্য সম্পত্তি, তার যদি পিতা-পুত্র কিংবা স্ত্রী না থাকে এবং এই মৃতের এক ভাই কিংবা এক বোন থাকে, তবে উভয়ের প্রত্যেকে ছয়-ভাগের এক পাবে। আর যদি ততোধিক থাকে, তবে তারা এক তৃতীয়াংশ অংশীদার হবে ওছিয়্যতের পর, যা করা হয় অথবা ঋণের পর এমতাবস্থায় যে, অপরের ক্ষতি না করে। এ বিধান আল্লাহর। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সহনশীল।
(আন নিসা – ১৩)
تِلۡکَ حُدُوۡدُ اللّٰہِ ؕ وَمَنۡ یُّطِعِ اللّٰہَ وَرَسُوۡلَہٗ یُدۡخِلۡہُ جَنّٰتٍ تَجۡرِیۡ مِنۡ تَحۡتِہَا الۡاَنۡہٰرُ خٰلِدِیۡنَ فِیۡہَا ؕ وَذٰلِکَ الۡفَوۡزُ الۡعَظِیۡمُ
এগুলো আল্লাহর নির্ধারিত সীমা। যে কেউ আল্লাহ ও রসূলের আদেশমত চলে, তিনি তাকে জান্নাত সমূহে প্রবেশ করাবেন, যেগুলোর তলদেশ দিয়ে স্রোতস্বিনী প্রবাহিত হবে। তারা সেখানে চিরকাল থাকবে। এ হল বিরাট সাফল্য।
(আন নিসা – ১৪)
وَمَنۡ یَّعۡصِ اللّٰہَ وَرَسُوۡلَہٗ وَیَتَعَدَّ حُدُوۡدَہٗ یُدۡخِلۡہُ نَارًا خَالِدًا فِیۡہَا ۪ وَلَہٗ عَذَابٌ مُّہِیۡنٌ ٪
যে কেউ আল্লাহ ও রসূলের অবাধ্যতা করে এবং তার সীমা অতিক্রম করে তিনি তাকে আগুনে প্রবেশ করাবেন। সে সেখানে চিরকাল থাকবে। তার জন্যে রয়েছে অপমানজনক শাস্তি।
(আন নিসা – ১৫)
وَالّٰتِیۡ یَاۡتِیۡنَ الۡفَاحِشَۃَ مِنۡ نِّسَآئِکُمۡ فَاسۡتَشۡہِدُوۡا عَلَیۡہِنَّ اَرۡبَعَۃً مِّنۡکُمۡ ۚ فَاِنۡ شَہِدُوۡا فَاَمۡسِکُوۡہُنَّ فِی الۡبُیُوۡتِ حَتّٰی یَتَوَفّٰہُنَّ الۡمَوۡتُ اَوۡ یَجۡعَلَ اللّٰہُ لَہُنَّ سَبِیۡلًا
আর তোমাদের নারীদের মধ্যে যারা ব্যভিচারিণী তাদের বিরুদ্ধে তোমাদের মধ্য থেকে চার জন পুরুষকে সাক্ষী হিসেবে তলব কর। অতঃপর যদি তারা সাক্ষ্য প্রদান করে তবে সংশ্লিষ্টদেরকে গৃহে আবদ্ধ রাখ, যে পর্যন্ত মৃত্যু তাদেরকে তুলে না নেয় অথবা আল্লাহ তাদের জন্য অন্য কোন পথ নির্দেশ না করেন।
(আন নিসা – ১৬)
وَالَّذٰنِ یَاۡتِیٰنِہَا مِنۡکُمۡ فَاٰذُوۡہُمَا ۚ فَاِنۡ تَابَا وَاَصۡلَحَا فَاَعۡرِضُوۡا عَنۡہُمَا ؕ اِنَّ اللّٰہَ کَانَ تَوَّابًا رَّحِیۡمًا
তোমাদের মধ্য থেকে যে দু’জন সেই কুকর্মে লিপ্ত হয়, তাদেরকে শাস্তি প্রদান কর। অতঃপর যদি উভয়ে তওবা করে এবং নিজেদের সংশোধন করে, তবে তাদের থেকে হাত গুটিয়ে নাও। নিশ্চয় আল্লাহ তওবা কবুলকারী, দয়ালু।
(আন নিসা – ১৭)
اِنَّمَا التَّوۡبَۃُ عَلَی اللّٰہِ لِلَّذِیۡنَ یَعۡمَلُوۡنَ السُّوۡٓءَ بِجَہَالَۃٍ ثُمَّ یَتُوۡبُوۡنَ مِنۡ قَرِیۡبٍ فَاُولٰٓئِکَ یَتُوۡبُ اللّٰہُ عَلَیۡہِمۡ ؕ وَکَانَ اللّٰہُ عَلِیۡمًا حَکِیۡمًا
অবশ্যই আল্লাহ তাদের তওবা কবুল করবেন, যারা ভূলবশতঃ মন্দ কাজ করে, অতঃপর অনতিবিলম্বে তওবা করে; এরাই হল সেসব লোক যাদেরকে আল্লাহ ক্ষমা করে দেন। আল্লাহ মহাজ্ঞানী, রহস্যবিদ।
(আন নিসা – ১৮)
وَلَیۡسَتِ التَّوۡبَۃُ لِلَّذِیۡنَ یَعۡمَلُوۡنَ السَّیِّاٰتِ ۚ حَتّٰۤی اِذَا حَضَرَ اَحَدَہُمُ الۡمَوۡتُ قَالَ اِنِّیۡ تُبۡتُ الۡـٰٔنَ وَلَا الَّذِیۡنَ یَمُوۡتُوۡنَ وَہُمۡ کُفَّارٌ ؕ اُولٰٓئِکَ اَعۡتَدۡنَا لَہُمۡ عَذَابًا اَلِیۡمًا
আর এমন লোকদের জন্য কোন ক্ষমা নেই, যারা মন্দ কাজ করতেই থাকে, এমন কি যখন তাদের কারো মাথার উপর মৃত্যু উপস্থিত হয়, তখন বলতে থাকেঃ আমি এখন তওবা করছি। আর তওবা নেই তাদের জন্য, যারা কুফরী অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে। আমি তাদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছি।
(আন নিসা – ১৯)
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا یَحِلُّ لَکُمۡ اَنۡ تَرِثُوا النِّسَآءَ کَرۡہًا ؕ وَلَا تَعۡضُلُوۡہُنَّ لِتَذۡہَبُوۡا بِبَعۡضِ مَاۤ اٰتَیۡتُمُوۡہُنَّ اِلَّاۤ اَنۡ یَّاۡتِیۡنَ بِفَاحِشَۃٍ مُّبَیِّنَۃٍ ۚ وَعَاشِرُوۡہُنَّ بِالۡمَعۡرُوۡفِ ۚ فَاِنۡ کَرِہۡتُمُوۡہُنَّ فَعَسٰۤی اَنۡ تَکۡرَہُوۡا شَیۡئًا وَّیَجۡعَلَ اللّٰہُ فِیۡہِ خَیۡرًا کَثِیۡرًا
হে ঈমাণদারগণ! বলপূর্বক নারীদেরকে উত্তরাধিকারে গ্রহন করা তোমাদের জন্যে হালাল নয় এবং তাদেরকে আটক রেখো না যাতে তোমরা তাদেরকে যা প্রদান করেছ তার কিয়দংশ নিয়ে নাও; কিন্তু তারা যদি কোন প্রকাশ্য অশ্লীলতা করে! নারীদের সাথে সদ্ভাবে জীবন-যাপন কর। অতঃপর যদি তাদেরকে অপছন্দ কর, তবে হয়ত তোমরা এমন এক জিনিসকে অপছন্দ করছ, যাতে আল্লাহ, অনেক কল্যাণ রেখেছেন।
(আন নিসা – ২০)
وَاِنۡ اَرَدۡتُّمُ اسۡتِبۡدَالَ زَوۡجٍ مَّکَانَ زَوۡجٍ ۙ وَّاٰتَیۡتُمۡ اِحۡدٰہُنَّ قِنۡطَارًا فَلَا تَاۡخُذُوۡا مِنۡہُ شَیۡئًا ؕ اَتَاۡخُذُوۡنَہٗ بُہۡتَانًا وَّاِثۡمًا مُّبِیۡنًا
যদি তোমরা এক স্ত্রীর স্থলে অন্য স্ত্রী পরিবর্তন করতে ইচ্ছা কর এবং তাদের একজনকে প্রচুর ধন-সম্পদ প্রদান করে থাক, তবে তা থেকে কিছুই ফেরত গ্রহণ করো না। তোমরা কি তা অন্যায়ভাবে ও প্রকাশ্য গোনাহর মাধ্যমে গ্রহণ করবে?
(আন নিসা – ২১)
وَکَیۡفَ تَاۡخُذُوۡنَہٗ وَقَدۡ اَفۡضٰی بَعۡضُکُمۡ اِلٰی بَعۡضٍ وَّاَخَذۡنَ مِنۡکُمۡ مِّیۡثَاقًا غَلِیۡظًا
তোমরা কিরূপে তা গ্রহণ করতে পার, অথচ তোমাদের একজন অন্য জনের কাছে গমন এবং নারীরা তোমাদের কাছে থেকে সুদৃঢ় অঙ্গীকার গ্রহণ করেছে।
(আন নিসা – ২২)
وَلَا تَنۡکِحُوۡا مَا نَکَحَ اٰبَآؤُکُمۡ مِّنَ النِّسَآءِ اِلَّا مَا قَدۡ سَلَفَ ؕ اِنَّہٗ کَانَ فَاحِشَۃً وَّمَقۡتًا ؕ وَسَآءَ سَبِیۡلًا ٪
যে নারীকে তোমাদের পিতা-পিতামহ বিবাহ করেছে তোমরা তাদের বিবাহ করো না। কিন্তু যা বিগত হয়ে গেছে। এটা অশ্লীল, গযবের কাজ এবং নিকৃষ্ট আচরণ।
(আন নিসা – ২৩)
حُرِّمَتۡ عَلَیۡکُمۡ اُمَّہٰتُکُمۡ وَبَنٰتُکُمۡ وَاَخَوٰتُکُمۡ وَعَمّٰتُکُمۡ وَخٰلٰتُکُمۡ وَبَنٰتُ الۡاَخِ وَبَنٰتُ الۡاُخۡتِ وَاُمَّہٰتُکُمُ الّٰتِیۡۤ اَرۡضَعۡنَکُمۡ وَاَخَوٰتُکُمۡ مِّنَ الرَّضَاعَۃِ وَاُمَّہٰتُ نِسَآئِکُمۡ وَرَبَآئِبُکُمُ الّٰتِیۡ فِیۡ حُجُوۡرِکُمۡ مِّنۡ نِّسَآئِکُمُ الّٰتِیۡ دَخَلۡتُمۡ بِہِنَّ ۫ فَاِنۡ لَّمۡ تَکُوۡنُوۡا دَخَلۡتُمۡ بِہِنَّ فَلَا جُنَاحَ عَلَیۡکُمۡ ۫ وَحَلَآئِلُ اَبۡنَآئِکُمُ الَّذِیۡنَ مِنۡ اَصۡلَابِکُمۡ ۙ وَاَنۡ تَجۡمَعُوۡا بَیۡنَ الۡاُخۡتَیۡنِ اِلَّا مَا قَدۡ سَلَفَ ؕ اِنَّ اللّٰہَ کَانَ غَفُوۡرًا رَّحِیۡمًا ۙ
তোমাদের জন্যে হারাম করা হয়েছে তোমাদের মাতা, তোমাদের কন্যা, তোমাদের বোন, তোমাদের ফুফু, তোমাদের খালা, ভ্রাতৃকণ্যা; ভগিনীকণ্যা তোমাদের সে মাতা, যারা তোমাদেরকে স্তন্যপান করিয়েছে, তোমাদের দুধ-বোন, তোমাদের স্ত্রীদের মাতা, তোমরা যাদের সাথে সহবাস করেছ সে স্ত্রীদের কন্যা যারা তোমাদের লালন-পালনে আছে। যদি তাদের সাথে সহবাস না করে থাক, তবে এ বিবাহে তোমাদের কোন গোনাহ নেই। তোমাদের ঔরসজাত পুত্রদের স্ত্রী এবং দুই বোনকে একত্রে বিবাহ করা; কিন্তু যা অতীত হয়ে গেছে। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাকরী, দয়ালু।
(আন নিসা – ২৪)
وَّالۡمُحۡصَنٰتُ مِنَ النِّسَآءِ اِلَّا مَا مَلَکَتۡ اَیۡمَانُکُمۡ ۚ کِتٰبَ اللّٰہِ عَلَیۡکُمۡ ۚ وَاُحِلَّ لَکُمۡ مَّا وَرَآءَ ذٰلِکُمۡ اَنۡ تَبۡتَغُوۡا بِاَمۡوَالِکُمۡ مُّحۡصِنِیۡنَ غَیۡرَ مُسٰفِحِیۡنَ ؕ فَمَا اسۡتَمۡتَعۡتُمۡ بِہٖ مِنۡہُنَّ فَاٰتُوۡہُنَّ اُجُوۡرَہُنَّ فَرِیۡضَۃً ؕ وَلَا جُنَاحَ عَلَیۡکُمۡ فِیۡمَا تَرٰضَیۡتُمۡ بِہٖ مِنۡۢ بَعۡدِ الۡفَرِیۡضَۃِ ؕ اِنَّ اللّٰہَ کَانَ عَلِیۡمًا حَکِیۡمًا
এবং নারীদের মধ্যে তাদের ছাড়া সকল সধবা স্ত্রীলোক তোমাদের জন্যে নিষিদ্ধ; তোমাদের দক্ষিণ হস্ত যাদের মালিক হয়ে যায়-এটা তোমাদের জন্য আল্লাহর হুকুম। এদেরকে ছাড়া তোমাদের জন্যে সব নারী হালাল করা হয়েছে, শর্ত এই যে, তোমরা তাদেরকে স্বীয় অর্থের বিনিময়ে তলব করবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করার জন্য-ব্যভিচারের জন্য নয়। অনন্তর তাদের মধ্যে যাকে তোমরা ভোগ করবে, তাকে তার নির্ধারিত হক দান কর। তোমাদের কোন গোনাহ হবে না যদি নির্ধারণের পর তোমরা পরস্পরে সম্মত হও। নিশ্চয় আল্লাহ সুবিজ্ঞ, রহস্যবিদ।
(আন নিসা – ২৫)
وَمَنۡ لَّمۡ یَسۡتَطِعۡ مِنۡکُمۡ طَوۡلًا اَنۡ یَّنۡکِحَ الۡمُحۡصَنٰتِ الۡمُؤۡمِنٰتِ فَمِنۡ مَّا مَلَکَتۡ اَیۡمَانُکُمۡ مِّنۡ فَتَیٰتِکُمُ الۡمُؤۡمِنٰتِ ؕ وَاللّٰہُ اَعۡلَمُ بِاِیۡمَانِکُمۡ ؕ بَعۡضُکُمۡ مِّنۡۢ بَعۡضٍ ۚ فَانۡکِحُوۡہُنَّ بِاِذۡنِ اَہۡلِہِنَّ وَاٰتُوۡہُنَّ اُجُوۡرَہُنَّ بِالۡمَعۡرُوۡفِ مُحۡصَنٰتٍ غَیۡرَ مُسٰفِحٰتٍ وَّلَا مُتَّخِذٰتِ اَخۡدَانٍ ۚ فَاِذَاۤ اُحۡصِنَّ فَاِنۡ اَتَیۡنَ بِفَاحِشَۃٍ فَعَلَیۡہِنَّ نِصۡفُ مَا عَلَی الۡمُحۡصَنٰتِ مِنَ الۡعَذَابِ ؕ ذٰلِکَ لِمَنۡ خَشِیَ الۡعَنَتَ مِنۡکُمۡ ؕ وَاَنۡ تَصۡبِرُوۡا خَیۡرٌ لَّکُمۡ ؕ وَاللّٰہُ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ ٪
আর তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি স্বাধীন মুসলমান নারীকে বিয়ে করার সামর্থ্য রাখে না, সে তোমাদের অধিকারভুক্ত মুসলিম ক্রীতদাসীদেরকে বিয়ে করবে। আল্লাহ তোমাদের ঈমান সম্পর্কে ভালোভাবে জ্ঞাত রয়েছেন। তোমরা পরস্পর এক, অতএব, তাদেরকে তাদের মালিকের অনুমতিক্রমে বিয়ে কর এবং নিয়ম অনুযায়ী তাদেরকে মোহরানা প্রদান কর এমতাবস্থায় যে, তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবে-ব্যভিচারিণী কিংবা উপ-পতি গ্রহণকারিণী হবে না। অতঃপর যখন তারা বিবাহ বন্ধনে এসে যায়, তখন যদি কোন অশ্লীল কাজ করে, তবে তাদেরকে স্বাধীন নারীদের অর্ধেক শাস্তি ভোগ করতে হবে। এ ব্যবস্থা তাদের জন্যে, তোমাদের মধ্যে যারা ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়ার ব্যাপারে ভয় করে। আর যদি সবর কর, তবে তা তোমাদের জন্যে উত্তম। আল্লাহ ক্ষমাশীল, করুণাময়।
(আন নিসা – ২৬)
یُرِیۡدُ اللّٰہُ لِیُبَیِّنَ لَکُمۡ وَیَہۡدِیَکُمۡ سُنَنَ الَّذِیۡنَ مِنۡ قَبۡلِکُمۡ وَیَتُوۡبَ عَلَیۡکُمۡ ؕ وَاللّٰہُ عَلِیۡمٌ حَکِیۡمٌ
আল্লাহ তোমাদের জন্যে সব কিছু পরিষ্কার বর্ণনা করে দিতে চান, তোমাদের পূর্ববর্তীদের পথ প্রদর্শন করতে চান। এবং তোমাদেরকে ক্ষমা করতে চান, আল্লাহ মহাজ্ঞানী রহস্যবিদ।
(আন নিসা – ২৭)
وَاللّٰہُ یُرِیۡدُ اَنۡ یَّتُوۡبَ عَلَیۡکُمۡ ۟ وَیُرِیۡدُ الَّذِیۡنَ یَتَّبِعُوۡنَ الشَّہَوٰتِ اَنۡ تَمِیۡلُوۡا مَیۡلًا عَظِیۡمًا
আল্লাহ তোমাদের প্রতি ক্ষমাশীল হতে চান, এবং যারা কামনা-বাসনার অনুসারী, তারা চায় যে, তোমরা পথ থেকে অনেক দূরে বিচ্যুত হয়ে পড়।
(আন নিসা – ২৮)
یُرِیۡدُ اللّٰہُ اَنۡ یُّخَفِّفَ عَنۡکُمۡ ۚ وَخُلِقَ الۡاِنۡسَانُ ضَعِیۡفًا
আল্লাহ তোমাদের বোঝা হালকা করতে চান। মানুষ দুর্বল সৃজিত হয়েছে।
পবিত্র আল কোরআন
সূরার নাম • আরবিতে নাম • নামের বাংলা অর্থ • আয়াত সংখ্যা • অবতীর্ণ হওয়ার স্থান • অবতীর্ণের ক্রম
- আল ফাতিহা • الفاتحة • সূচনা • ৭ • মক্কা • ০০৫
- আল বাকারা • البقرة • বকনা-বাছুর • ২৮৬ • মদীনা • ০৮৭
- আল ইমরান • آل عمران • ইমরানের পরিবার • ২০০ • মদীনা • ০৮৯
- আন নিসা • النّساء • মহিলা • ১৭৬ • মদীনা • ০৯২
- আল মায়িদাহ • المآئدة • খাদ্য পরিবেশিত টেবিল • ১২০ • মদীনা • ১১২
- আল আনআম • الانعام • গৃৃহপালিত পশু • ১৬৫ • মক্কা • ০৫৫
- আল আরাফ • الأعراف • উচু স্থানসমূহ • ২০৬ • মক্কা • ০৩৯
- আল আনফাল • الأنفال • যুদ্ধে-লব্ধ ধনসম্পদ • ৭৫ • মদীনা • ০৮৮
- আত-তাওবাহ্ • التوبة • অনুশোচনা • ১২৯ • মদীনা • ১১৩
- ইউনুস • يونس • নবী ইউনুস •১০৯ • মক্কা •০৫১
- হুদ • هود • নবী হুদ • ১২৩ • মক্কা • ০৫২
- ইউসুফ • يوسف • নবী ইউসুফ • ১১১ • মক্কা • ০৫৩
- আর-রাদ • الرّعد • বজ্রনাদ • ৪৩ • মদীনা • ০৯৬
- ইব্রাহীম • إبراهيم • নবী ইব্রাহিম • ৫২ • মদীনা •৭২
- সূরা আল হিজর • الحجر •পাথুরে পাহাড় • ৯৯ •মক্কা •০৫৪
- আন নাহল • النّحل • মৌমাছি • ১২৮ • মক্কা • ০৭০
- বনী-ইসরাঈল • الإسرا • ইসরায়েলের সন্তানগণ • ১১১ • মক্কা • ০৫০
- আল কাহফ • الكهف • গুহা • ১১০ • মক্কা • ০৬৯
- মারইয়াম • مريم • মারিয়াম (নবী ঈসার মা) • ৯৮ • মক্কা • ০৪৪
- ত্বোয়া-হা • طه • ত্বোয়া-হা • ১৩৫ • মক্কা • ০৪৫
- আল আম্বিয়া • الأنبياء • নবীগণ • ১১২ • মদীনা • ০৭৩
- আল হাজ্জ্ব • الحجّ • হাজ্জ • ৭৮ • মদীনা • ১০৩
- আল মু’মিনূন • المؤمنون • বিশ্বাসীগণ • ১১৮ • মদীনা • ০৭৪
- আন নূর • النّور • আলো,জ্যোতি • ৬৪ • মদীনা • ১০২
- আল ফুরকান • الفرقان • সত্য মিথ্যার পার্থক্য নির্ধারণকারী গ্রন্থ • ৭৭ • মক্কা • ০৪২
- আশ শুআরা • الشّعراء • কবিগণ • ২২৭ • মক্কা • ০৪৭
- আন নম্ল • النّمل • পিপীলিকা • ৯৩ • মক্কা • ০৪৮
- আল কাসাস • القصص • ঘটনা,কাহিনী • ৮৮ • মক্কা • ০৪৯
- আল আনকাবূত • العنكبوت • মাকড়সা • ৬৯ • মদীনা • ০৮৫
- আর রুম • الرّوم • রোমান জাতি • ৬০ • মদীনা • ০৮৪
- লোক্মান • لقمان • একজন জ্ঞানী ব্যক্তি • ৩৪ • মক্কা • ০৫৭
- আস সেজদাহ্ • السّجدة • সিজদাহ • ৩০ • মদীনা • ০৭৫
- আল আহ্যাব • الْأحزاب • জোট • ৭৩ • মদীনা • ০৯০
- সাবা • سبا • রানী সাবা • ৫৪ • মক্কা • ০৫৮
- ফাতির • فاطر • আদি স্রষ্টা • ৪৫ • মক্কা • ০৪৩
- ইয়াসীন • يس • ইয়াসীন • ৮৩ • মক্কা • ০৪১
- আস ছাফ্ফাত • الصّافات • সারিবদ্ধভাবে দাড়ানো • ১৮২ • মক্কা • ০৫৬
- ছোয়াদ • ص • আরবি বর্ণ • ৮৮ • মক্কা • ০৩৮
- আয্-যুমার • الزّمر • দল-বদ্ধ জনতা • ৭৫ • মক্কা • ০৫৯
- আল মু’মিন • غافر • বিশ্বাসী • ৮৫ • মক্কা • ০৬০
- হা-মীম সেজদাহ্ • فصّلت • সুস্পষ্ট বিবরণ • ৫৪ • • মক্কা • ০৬১
- আশ্-শূরা • الشّورى • পরামর্শ • ৫৩ • মক্কা • ০৬২
- আয্-যুখরুফ • الزّخرف • সোনাদানা • ৮৯ • মক্কা • ০৬৩
- আদ-দোখান • الدّخان • ধোঁয়া • ৫৯ • মক্কা • ০৬৪
- আল জাসিয়াহ • الجاثية • নতজানু • ৩৭ • মক্কা • ০৬৫
- আল আহ্ক্বাফ • الأحقاف • বালুর পাহাড় • ৩৫ • মক্কা • ০৬৬
- মুহাম্মদ • محمّد • নবী মুহাম্মদ • ৩৮ • মদীনা • ০৯৫
- আল ফাত্হ • الفتح • বিজয় (মক্কা বিজয়) • ২৯ • মদীনা • ১১১
- আল হুজুরাত • الحجرات • বাসগৃহসমূূহ • ১৮ • মদীনা • ১০৬
- ক্বাফ • ق • আরবি বর্ণ ক্বাফ • ৪৫ • মক্কা • ০৩৪
- আয-যারিয়াত • الذّاريات • বিক্ষেপকারী বাতাস • ৬০ • মক্কা • ০৬৭
- আত্ব তূর • الطّور • পাহাড় • ৪৯ • মদীনা • ০৭৬
- আন-নাজম • النّجْم • তারা • ৬২ • মক্কা • ০২৩
- আল ক্বামার • القمر • চন্দ্র • ৫৫ • মক্কা • ০৩৭
- আর রাহমান • الرّحْمن • অনন্ত করুণাময় • ৭৮ • মদীনা • ০৯৭
- আল-ওয়াকিয়াহ • الواقعة • নিশ্চিত ঘটনা • ৯৬ • মক্কা • ০৪৬
- আল-হাদীদ • الحديد • লোহা • ২৯ • মদীনা • ০৯৪
- আল-মুজাদালাহ • المجادلة • অনুযোগকারিণী • ২২ • মদীনা • ১০৫
- আল-হাশর • الحشْر • সমাবেশ • ২৪ • মদীনা • ১০১
- আল-মুমতাহিনাহ • الممتحنة • নারী, যাকে পরীক্ষা করা হবে • ১৩ • মদীনা • ০৯১
- আস-সাফ • الصّفّ • সারবন্দী সৈন্যদল • ১৪ • মদীনা •১০৯
- আল-জুমুআ • الجمعة • সম্মেলন • শুক্রবার • ১১ • মদীনা • ১১০
- আল-মুনাফিকুন • المنافقون • কপট বিশ্বাসীগণ • ১১ • মদীনা • ১০৪
- আত-তাগাবুন • التّغابن • মোহ অপসারণ • ১৮ • মদীনা • ১০৮
- আত-তালাক • الطّلاق • তালাক, বন্ধনমুক্তি • ১২ • মদীনা •০৯৯
- আত-তাহরীম • التّحريم • নিষিদ্ধকরণ • ১২ • মদীনা • ১০৭
- আল-মুলক • الملك • সার্বভৌম কর্তৃত্ব • ৩০ • মক্কা • ০৭৭
- আল-কলম • القلم • কলম • ৫২ • মক্কা • ০০২
- আল-হাক্কাহ • الحآقّة • নিশ্চিত সত্য • ৫২ • মক্কা • ০৭৮
- আল-মাআরিজ • المعارج • উন্নয়নের সোপান • ৪৪ • মক্কা • ০৭৯
- নূহ •نوح • নবী নূহ • ২৮ • মক্কা • ০৭১
- আল জ্বিন • الجنّ • জ্বিন সম্প্রদায় • • ২৮ • মক্কা • ০৪০
- আল মুজাম্মিল • المزّمّل • বস্ত্র আচ্ছাদনকারী • ২০ • মক্কা • ০০৩
- আল মুদ্দাস্সির • المدّشّر • পোশাক পরিহিত • ৫৬ • মক্কা • ০০৪
- আল-ক্বিয়ামাহ • القيامة • পুনরুথান • ৪০ • মক্কা • ০৩১
- আদ-দাহর • الدَّهْرِ • মানুষ • ৩১ • মদীনা • ০৯৮
- আল-মুরসালাত • المرسلت • প্রেরিত পুরুষবৃন্দ • ৫০ • মক্কা • ০৩৩
- আন নাবা • النّبا • মহাসংবাদ • ৪০ • মক্কা • ০৮০
- আন নাযিয়াত • النّزعت • প্রচেষ্টাকারী • ৪৬ • মক্কা • ০৮১
- আবাসা • عبس • তিনি ভ্রুকুটি করলেন • ৪২ • মক্কা • ০২৪
- আত-তাকভীর • التّكوير • অন্ধকারাচ্ছন্ন • ২৯ • মক্কা • ০০৭
- আল-ইনফিতার • الانفطار • বিদীর্ণ করা • ১৯ • মক্কা • ০৮২
- আত মুত্বাফ্ফিফীন • المطفّفين • প্রতারকগণ • ৩৬ • মক্কা • ০৮৬
- আল ইনশিকাক • الانشقاق • খন্ড-বিখন্ড করণ • ২৫ • মক্কা • ০৮৩
- আল-বুরুজ • البروج • নক্ষত্রপুঞ্জ • ২২ • মক্কা • ০২৭
- আত-তারিক্ব • الطّارق • রাতের আগন্তুক • ১৭ • মক্কা • ০৩৬
- আল আ’লা • الأعلى • সর্বোর্ধ্ব • ১৯ • মক্কা • ০০৮
- আল গাশিয়াহ্ • الغاشية • বিহ্বলকর ঘটনা • ২৬ • মক্কা • ০৬৮
- আল ফাজ্র • الفجر • ভোরবেলা • ৩০ • মক্কা • ০১০
- আল বালাদ • البلد • নগর • ২০ • মক্কা • ০৩৫
- আশ-শাম্স • الشّمس • সূর্য্য • ১৫ • মক্কা • ০২৬
- আল লাইল • الليل • রাত্রি • ২১ মক্কা • ০০৯
- আদ-দুহা • الضحى • পূর্বাহ্নের সূর্যকিরণ • ১১ • মক্কা • ০১১
- আল ইনশিরাহ • الشرح • বক্ষ প্রশস্তকরণ • ৮ • মক্কা • ০১২
- ত্বীন • التين • ডুমুর • ৮ • মক্কা • ০২৮
- আলাক্ব • العلق • রক্তপিন্ড • ১৯ • মক্কা •০০১
- ক্বদর • القدر • পরিমাণ • ৫ • মক্কা • ০২৫
- বাইয়্যিনাহ • البينة • সুস্পষ্ট প্রমাণ • ৮ • মদীনা • ১০০
- যিলযাল • الزلزلة • ভূমিকম্প • ৮ • মদীনা • ০৯৩
- আল-আদিয়াত • العاديات • অভিযানকারী • ১১ • মক্কা • ০১৪
- ক্বারিয়াহ • القارعة • মহাসংকট • ১১ • মক্কা • ০৩০
- তাকাসুর • التكاثر • প্রাচুর্যের প্রতিযোগিতা • ৮ • মক্কা • ০১৬
- আছর • العصر • অপরাহ্ন • • ৩ • মক্কা • ০১৩
- হুমাযাহ • الهمزة • পরনিন্দাকারী • ৯ • মক্কা • ০৩২
- ফীল • الفيل • হাতি • ৫ • মক্কা • ০১৯
- কুরাইশ • قريش • কুরাইশ গোত্র • ৪ • মক্কা • ০২৯
- মাউন • الماعون • সাহায্য-সহায়তা • ৭ • মক্কা • ০১৭
- কাওসার • الكوثر ? • প্রাচুর্য ? • ৩ • মক্কা • ০১৫
- কাফিরুন • الكافرون • অস্বীকারকারীগণ • ৬ • মক্কা • ০১৮
- নাসর • النصر • বিজয়,সাহায্য • ৩ • মদীনা • ১১৪
- লাহাব • المسد • জ্বলন্ত অঙ্গার • ৫ • মক্কা • ০০৬
- আল-ইখলাস • الإخلاص • একনিষ্ঠতা • ৪ • মক্কা • ০২২
- আল-ফালাক • الفلق • নিশিভোর • ৫ • মদীনা • ০২০
- আন-নাস • الناس • মানবজাতি • ৬ • মক্কা • ০২১