স্ট্রোকের রোগীদের সচল ও কর্মক্ষম রাখবেন যেভাবে
স্ট্রোকের রোগীদের পুনর্বাসন বা ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এ থেকে দীর্ঘমেয়াদি জটিলতা এড়ানো যায়। রোগীর অবস্থা যদি খুব খারাপ না হয় তাহলে ২য় বা ৩য় দিন থেকেই খুব স্বল্পমাত্রায় রোগীর ফিজিও চিকিৎসা শুরু করা উচিত। বেড পজিশনিং প্রথম দিকের চিকিৎসার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। রোগীকে কাত করে শোয়াতে হবে। দু’ঘণ্টা পর পর পাশ ফেরাতে হবে। প্রেসার পয়েন্টগুলো প্রতিদিনই ভালো করে চেক করতে হবে যাতে ঘা না হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এয়ার কুশন বা ওয়াটার কুশন ব্যবহার করতে হবে যা প্রতিরোধের জন্য। হাত ও উপরের জয়েন্টগুলোর স্বাভাবিক অবস্থায় রাখতে হবে এবং দিনে ৫-১০ বার নাড়িয়ে দিতে হবে। অজ্ঞান না হলে দিনে কয়েকবার বিছানায় ধরে বসাতে হবে।
ফিজিওথেরাপিস্টের তত্ত্বাবধানে রোগীকে নিয়মিত ব্যায়াম করাতে হবে। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে স্নায়ুবিক উন্নতি ত্বরান্বিত করা। নার্ভের দুর্বলতার জন্যই রোগী হাত-পা নাড়াতে পারে না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এ স্নায়ুবিধ উন্নতি ধীরে ধীরে হয়। তবে ব্যায়াম না করালে অবস্থার অবনতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তোতলানো বা কথা বলা বন্ধ হয়ে যাওয়ার জন্য স্পিচ থেরাপি দিতে হবে। ঘা হয়ে থাকলে তার চিকিৎসা করাতে হবে। রক্তশূন্যতা ও পুষ্টিহীনতা থাকলে তারও চিকিৎসা করাতে হবে। স্ট্রোকের সঠিক চিকিৎসা ব্যয়বহুল ও সর্বত্র সহজলভ্য নয়।