সমান পুষ্টিগুণের কিছু দামী ও সস্তা খাবার
পুষ্টিমান সমৃদ্ধ খাবার মানে কেবল দামী খাবার নয়। ডিম, মাংস, বড় মাছ, ঘি, মাখন ইত্যাদি খাবার দ্বারা আমাদের দেহের যে চাহিদা পূরণ হয়, সেই চাহিদাই আমরা সস্তা দামের চাল, ডাল, ছোট মাছ, শিমের বীচি, বাদাম, সয়াবিন তেল, আলু, গম, শাক-সবজি দ্বারা সহজেই পূরণ করতে পারি।
কম দামী খাবার | বেশি দামী খাবার | |
শক্তিদায়ক খাবার (শর্করা ও তেল জাতীয় খাবার) | মোটা চালের ভাত, মুড়ি, চিড়া, খই, চালের গুড়ার পিঠা, আলু, মিষ্টি আলু, কেশর আলু, আটার রুটি, গুড়, সয়াবিন তেল, ডালডা ইত্যাদি | সরু চালের ভাত, পাউরুটি, পরোটা, চিনি, দুধ/ছানার তৈরি মিষ্টি, কেক, বিস্কুট, মাখন, ঘি ইত্যাদি |
শরীর বৃদ্ধিকারক ও ক্ষয়পূরক খাবার (প্রোটিন বা আমিষ জাতীয় খাবার) | ডাল: মসুর, মুগ, মাষকলাই, মটর, বুট, অড়হড়, খেসারি ইত্যাদি ছোট মাছ, ডিম, শিমের বীচি, মটরশুঁটি, বরবটি, বাদাম, দই, মাঠা ইত্যাদি | বড় মাছ, মুরগির মাংস, গরুর মাংস, খাসির মাংস, কলিজা, দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার ইত্যাদি |
রোগ প্রতিরোধক খাবার (ভিটামিন ও খনিজ লবণ সমৃদ্ধ খাবার) | শাক: লাল শাক, কচু শাক, পালং শাক, পুঁই শাক, ডাটা শাক, কলমি শাক, হেলেঞ্চা শাক, লাউ শাক, সরষে শাক, মূলা শাক, পাট শাক, সজনে শাক ইত্যাদি সবজি: মিষ্টি কুমড়া, চাল কুমড়া, লাউ, পটল, টমেটো, বেগুন, ঝিঙা, চিচিংগা, ধুন্দল, পেঁপে, শশা, কাঁচা কলা, কচুর মুখী, কচুর লতি, করলা, কাকরোল, বরবটি, শিম, ঢেঁড়স, মটরশুঁটি, গাজর, বাঁধাকপি, ফুলকপি, শালগম, মূলা, কাঁচামরিচ ইত্যাদি ফল: আম, কাঁঠাল, পাকা কলা, তরমুজ, ফুটি, পাকা পেঁপে, পেয়ারা, আমলকি, আমড়া, কামরাঙা, জাম্বুরা, কদবেল, বেল, পানিফল, জামরুল, চালতা, বরই, জলপাই, তেঁতুল, ডাব ইত্যাদি অন্যান্য: প্যাকেটজাত আয়োডিনযুক্ত লবণ | কমলা, মালটা, আপেল, আঙুর, নাসপাতি, ডালিম ইত্যাদি |
মনে রাখতে হবে
- দামি খাবার মানেই পুষ্টিকর খাবার নয়, সস্তা খাবার থেকেও আমরা আমাদের প্রতিদিনকার পুষ্টির চাহিদা মিটাতে পারি
- ছোট মাছ, ডিম, ডাল ও বীচি জাতীয় সস্তা খাবারও আমিষের বেশ ভাল উৎস
- দামে সস্তা বলে শাক-সবজি ও মৌসুমী ফলকে অবহেলা করা ঠিক নয়, এগুলোতেও প্রচুর ভিটামিন ও খনিজ লবণ আছে
[…] […]
[…] […]