Thursday, November 21, 2024

বই পড়ছেন! প্রেসক্রিপশন আছে?

বই পড়া!

বই পড়া! কারণে, অকারণে, ইচ্ছাকৃতভাবে মনের আনন্দে অথবা বাধ্য হয়ে বই পড়েননি এমন কোন লোক এই লেখাটি পড়ছেন না- এমনটি আমি নিশ্চিত। এই লেখাটি পড়ছেন তো আপনি বই পড়েছেন। সেটা যেকোন বই-ই হোক আর যেভাবেই হোক। যা হোক শিরোনামের সাথে এই কথাগুলোর কোন সামসঞ্জস্য নেই। তাই মূল প্রসঙ্গে আসি।

বই নিয়ে পৃথিবীর বিখ্যাত মনীষীগণ হাজারো উক্তি করেছেন। বলেছেন বই মানুষের পরম বন্ধু। সেটা যে কোন ধরনের বই-ই হতে পারে। হতে পারে একাডেমিক, হতে পারে সহপাঠ্য, হতে পারে বিজ্ঞান, শিক্ষা, সাহিত্য, রম্য, ভ্রমণ ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে। যে যে বিষয় পছন্দ করে সেই ধরণের বই সেই পাঠকের হৃদয়ের খোরাক। একামেডিক পাঠ্য বই খুব আগ্রহ নিয়ে পড়ে এবং খুবই আনন্দ পায় এমন লোকের সংখ্যা কমই পাওয়া যাবে বলে আমার মনে হয়। তবে এরকম লোক বা ছাত্র যে নেই তা বলছি না। অবশ্যই আছে। তবে বেশিরভাগ ছাত্রই পাঠ্য বইগুলো পড়ে বাধ্য হয়ে।



তবে পাঠ্য বইয়ের বাইরে বিষয়টা একটু ভিন্ন। একজন পাঠক তিনি যে কোন লেখকের ভক্ত হতে পারেন। যে কোন নির্দিষ্ট বিষয়ের ভক্ত হতে পারেন। তিনি যে বিষয় বা লেখকের বই পড়েন না কেন- তিনি কিন্তু নিজের মনের আগ্রহ থেকেই বই পড়েন। বাধ্য হয়ে পড়তে হয় না। সে পাঠক তার নিজের হৃদয়ের তৃষ্ণা নিরবরণের জন্য বই পড়েন। আমি এমনও লোক দেখেছি যে কিনা তার একটি পছন্দের বই হাতে পাওয়ার পর আর দেরি সহ্য করতে পারেননি। এক রাতেই বইটি পড়ে শেষ করেছেন। বুঝা যায়, তিনি হৃদয়ের টানে, মনের পিপাসা মিটানোর জন্যই বই পড়েন।

বহুভাষাবিদ, ভাষাবিজ্ঞানী, দার্শনিক ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ’র একটি বিখ্যাত ‍উক্তি সবার জানা আছে। তিনি বলেছেন, জীবনে তিনটি জিনিসের প্রয়োজন- বই, বই এবং বই। তিনি ছাড়াও বহু মনীষী-দার্শনিকগণ বই পড়া নিয়ে অনেক কথা বলেছেন। এমনিভাবে সারা পৃথিবীর সর্বকালে যত মনীষী এসেছেন সবাই বই পড়ার গুরুত্ব দিয়েছেন। তাই বিভিন্ন ভাষার, বিভিন্ন দেশের কবি-সাহিত্যিক-মনীষীগণ বই পড়া নিয়ে হাজারো কথা বলে গিয়েছেন। তাদের ভাষায় বই পড়ার গুরুত্ব বোঝানোর চেষ্টা করেছেন তাদের মত করে।

জীবনে তিনটি জিনিসের প্রয়োজন- বই, বই এবং বই।- ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ | tiltony.com

বই পড়া শখটা মানুষের সর্বশ্রেষ্ঠ শখ হলেও আমি কাউকে শখ হিসেবে বই পড়তে পরামর্শ দিতে চাইনে। প্রথম, সে পরামর্শ কেউ গ্রাহ্য করবেন না; কেননা, আমরা জাত হিসেবে শৌখিন নই। দ্বিতীয়ত, অনেকে তা কুপরামর্শ মনে করবেন; কেননা, আমাদের এখন ঠিক শখ করবার সময় নয়। আমাদের এই রোগ-শোক, দুঃখ-দারিদ্র্যের দেশে সুন্দর জীবন ধারণ করাই যখন হয়েছে প্রধান সমস্যা, তখন সেই জীবনকেই সুন্দর করা, মহৎ করার প্রস্তাব অনেকের কাছে নিরর্থক এবং নির্মমও ঠেকবে।

বই পড়া শখটা মানুষের সর্বশ্রেষ্ঠ শখ হলেও আমি কাউকে শখ হিসেবে বই পড়তে পরামর্শ দিতে চাইনে। প্রথম, সে পরামর্শ কেউ গ্রাহ্য করবেন না; কেননা, আমরা জাত হিসেবে শৌখিন নই। দ্বিতীয়ত, অনেকে তা কুপরামর্শ মনে করবেন; কেননা, আমাদের এখন ঠিক শখ করবার সময় নয়।আমাদের এই রোগ-শোক, দুঃখ-দারিদ্র্যের দেশে সুন্দর জীবন ধারণ করাই যখন হয়েছে প্রধান সমস্যা, তখন সেই জীবনকেই সুন্দর করা, মহৎ করার প্রস্তাব অনেকের কাছে নিরর্থক এবং নির্মমও ঠেকবে।

প্রমথ চৌধুরী

এই কথাগুলো আমার নয়। কথাগুলো বলেছেন বিংশ শতাব্দীর অন্যতম প্রাবন্ধিক, কবি ও লেখক প্রমথ চৌধুরী। তিনি বই পড়া নামক একটি প্রবন্ধে এই কথাগুলো বলেছেন। একটি লাইব্রেরির বার্ষিক সভায় প্রবন্ধটি পঠিত হয়েছিল। পরবর্তীতে ‘বই পড়া’ প্রবন্ধটি তাঁর প্রবন্ধ সংগ্রহে সংকলিত হয়েছে। এই প্রবন্ধে আমাদের পাঠচর্চার অনভ্যাস যে শিক্ষা ব্যবস্থার ত্রুটির জন্য ঘটছে তা- দেখাতে চেয়েছেন। আর্থিক অনটনের কারণে, অর্থকরী নয় -এমন সবকিছুই এদেশে অনর্থক বলে বিবেচনা করা হয়। সেজন্য বই পড়ার প্রতি মানুষের যথেষ্ট অনীহা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে আমরা যে শিক্ষা পাই, তা জীবনের জন্য পূর্ণাঙ্গ নয়। তাই ব্যাপকভাবে বই পড়া দরকার। যথার্থ শিক্ষিত হতে হলে মনের প্রসার দরকার। তার জন্য বই পড়ার অভ্যাস বাড়াতে হবে। এ জন্য লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠার প্রয়োজন। বাধ্য না হলে আমরা বই পড়ি না।



লেখক প্রমথ চৌধুরীর মতের সাথে সুর মিলিয়ে আমিও এরকমই বলতে চাই। আমাদের আসলে শখ করে বই পড়া হয় না। যদিও আমরা কথা বলার সময় বই পড়াকে হবি হিসেবে উল্লেখ করি। আমি অনেকগুলো ফেসবুক আইডি দেখেছি। তারা সবাই আমার পরিচিত ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তাদের প্রোফাইলের এবাউট সেকশনের বুক ট্যাবে গিয়ে দেখেছি কতগুলো বইয়ের নাম দেয়া। একেকজনের প্রোফাইলে একেক রকম বই। কিন্তু বাস্তবে তাদের সম্বন্ধে আমি যথেষ্ট জানি। আসলে তারা ওই বইগুলো কখনোই পড়েনি। কিন্তু বুকস এ ঠিক দিয়ে রেখেছেন।

আসল কথা, আমাদের বই পড়ার অভ্যাস অনেক কম। যদিও প্রমথ চৌধুরী এ জন্য আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে দায়ী করেছেন। তার সাথে আরো কিছু বিষয় আছে, যেগুলো ছোট হলেও বই পড়ার অনভ্যাসের জন্য অনেকটাই দায়ী। এই অভ্যাসগুলোতে পরিবর্তন আনতে পারলে আমাদের মধ্যে বই পড়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পাবে। তার মধ্যে অন্যতম হলো মোবাইল ফোন। মোবাইলের (স্মার্ট ফোন) পিছনে বর্তমান সময়ে আমাদের প্রচুর সময় স্পয়েল হচ্ছে। দেখা গেছে, একজন আমেরিকান গড়ে প্রতিদিন ২ ঘণ্টা ৫৫ মিনিট সময় তার স্মাটফোনে ব্যয় করে। এটি ২০১৯ সালের একটি রিপোর্ট। প্রতি বছরই সেই সময়টা বাড়ছে প্রায় ৯/১০ মিনিট করে। তাহলে আমরাও পিছিনে নেই। আমরা বাংলাদেশীরা গড়ে আমেরিকানদের চেয়ে বেশিই সময় নষ্ট করছি মোবাইলের পিছনে। আমি ব্যয় বলছি বলে, স্মাটফোন ব্যবহারের অনুসাহিত করছি না। বলতে চাচ্ছি, আমরা যে প্রায় তিন ঘণ্টা ব্যবহার করছি এর মধ্যে তিন ঘণ্টাই কি ফ্রুটফুল কাজে ব্যবহার করছি?? ভয়েস কল/কমিউনিকেশন, প্রয়োজনীয় টেক্সট করা, কোন ফাইল সেন্ড করা, রিমাইন্ডার রাখা, ই-মেইন আদান-প্রদান, প্রয়োজনীয় বিষয়ে গুগলিং করা ইত্যাদি সব ফ্রুটফুল কাজে সবমিলিয়ে দুই ঘণ্টাই ব্যবহার করছি। বাকী সময়টা কিন্তু নষ্টই হচ্ছে। তাহলে মোবাইলের ব্যবহার কমাতে পারলে বই পড়ার অনভ্যাসটা ফিরে যাবে।

আরেকটা কারণ হলো, ই-বুক বা পিডিএফ বই। এটা একেবারেই আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা। আমি অনেক সময় মোবাইলে পিডিএফ বই পড়তে দিয়ে দেখেছি যে, মোবাইলে কিছুক্ষণ পড়ার পর কেমন যেন একটা অস্বস্তি কাজ করে। যে ছাপা বইয়ের ক্ষেত্রে হয় না। বেশিক্ষণ পড়া যায় না, যতক্ষণ না ছাপা বইয়ে পড়তে পারি। তাই আমরা এই বিষয়গুলোর দিকে লক্ষ্য রাখলে আশা করি বই পড়ার যে অনভ্যাস রয়েছে সেটা কিছুটা হলেও কেটে যাবে।

প্রসঙ্গটা একটু অন্য দিকে নিয়ে যাই। বই পড়ার অভ্যাস আমাদের তৈরি হলো। ধরে নিলাম। বই পড়ার সময় পেলাম। পরিবেশ পেলাম। কিন্তু কি বই পড়বো? কোন লেখকের বই পড়বো? কোন বিষয়ের বই পড়বো?

এখন কথা হচ্ছে একজন পাঠক বই পড়ছেন। কিন্তু তার কি প্রেসক্রিপশন আছে? আসুন একটু বিস্তারিত আলোচনা করি।

এভাবে বই পড়াটা কি ঠিক হচ্ছে, নাকি সিলেবাস অনুযায়ী বই পড়া উচিত?

এখন আমি ধরে নিলাম আপনি একজন মুসলমান পাঠক। আপনি ইসলামি বই পড়েন। ইসলামি জীবনযাপনের নিয়ম কানুন, হুকুম আহকাম, মাসয়ালা-মাসায়েল সম্পর্কে জ্ঞান লাভের জন্য বই পড়েন। লাইব্রেরিতে গিয়ে দেখে দেখে ইসলামি বই কিনছেন। অথবা অনলাইনে দেখে বইয়ের অর্ডার করছেন। সংগ্রহে এলে পড়ে নিচ্ছেন। সেভাবে আমল করছেন, নিজের জীবন পরিচালনা করছেন। ভালো কথা। কিন্তু এভাবে বই পড়াটা কি ঠিক হচ্ছে? নাকি কোন প্রেসক্রিপশন অর্থাৎ সিলেবাস অনুযারি বই কেনা এবং পড়া উচিত? অবশ্যই আপনাকে একটি নির্দিষ্ট সিলেবাস বা গাইড লাইন অনুসরণ করে বই পড়া উচিত।

একটা উদাহরণের মাধ্যমে বিষয়টা আরো পরিস্কার করি। ধরে নিলাম আপনি একজন প্রকৌশলী। আপনি পুর কৌশল নিয়ে পড়েছেন। এখন পড়াশোনা শেষ করে পেশাগত জীবনে আছেন। এখনও আপনাকে অনেক পড়তে হয়। পেশাগত উৎকর্ষ সাধনে পেশাগত পড়াশোনা করতে হয়। আরো একটু আগে যাই। মাধ্যমিক স্কুল জীবন থেকেই শুরু হয়েছে আপনার এই পেশাগত জীবনে পৌছার যাত্রা অর্থাৎ পড়াশোনা। তখন থেকেই আপনাকে বিজ্ঞান বিভাগে পড়তে হয়েছে এই পেশায় আসার জন্য। সেই বিজ্ঞান বিভাগে যে বইগুলো আপনি পড়েছেন তা নির্দিষ্ট সিলেবাসের আলোকে রচিত। বইয়ের প্রত্যেকটি অধ্যায় নির্দিষ্টভাবে লেখা হয়েছে। কোনটার পরে কোন বিষয়টা আসবে সেটাও নির্দিষ্ট অর্থাৎ প্রেসক্রাইবড। তারপর মাধ্যমিক স্কুলের প্রেসক্রাইবড পড়াশোনা শেষ করে চলে গেলেন ‍উচ্চ মাধ্যমিক জীবনে। সেখানেও প্রেসক্রাইবড পড়াশোনা। সুনির্দিষ্ট সিলেবাস। সেই সিলেবাস শেষ করে আবারো চলে গেছেন স্নাতক তথা বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে। সেখানেও সুনির্দিষ্ট সিলেবাস। একবারে পই পই করে নির্দিষ্ট অর্থাৎ প্রেসক্রাইব জীবনে লেখাপড়া শেষ করে আজ আপনি একজন সুদক্ষ-খ্যাতনামা পেশাজীবি।

আর এই প্রেসক্রাইবড সিলেবাসের প্রতিটি স্তরে নিশ্চয়ই নির্দিষ্ট কারো তত্বাবধানে ছিলেন। কেউ আপনাকে গাইড করেছে। বইয়ের বাইরেও বইয়ে উল্লেখিত বিষয়ে তিনি আপনাকে সুপষ্ট ধারনা দিয়েছেন। বিষয়গুলো সঠিকভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন। আর তিনিই হলেন আপনার গাইড। আপনার শিক্ষক।

আজকের আপনার এই খেতাব, এই অবস্থান তৈরি হয়েছে শুধু মাত্র নির্দিষ্ট সিলেবাস অনুযায়ী পড়াশোনা করার কারণে। এর ব্যতিক্রম যদি হতো? যদি আপনি আপনার কলেজ জীবনের সিলেবাস স্কুল জীবনে পড়তেন? অথবা বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের বইগুলো যদি স্কুল জীবনে পড়তেন? একটু গভীরভাবে চিন্তা করে দেখুন। সম্ভব হতো আজকের এই অবস্থানে অবস্থান নেয়া? এই প্রশ্নের উত্তর কি হবে? অবশ্যই ‘না’।

ঠিক সেইভাবে আপনি ইসলামি জীবন পরিচালনা করতে চান। জ্ঞান আহরণ করতে চান। চান ইসলামের হুকুম আহকামগুলো সম্পর্কে জানতে। বিধি নিষেধগুলো সম্পর্কে জানতে চান। এই জ্ঞান আহরণের মূল উদ্দেশ্য কি? উদ্দেশ্য আপনার জীবনের প্রকৃত সফলতা অর্জন। একজন মুসলমানের প্রকৃত সফলতা হলো তার আখিরাত। তাই আপনি আপনার আখিরাত জীবনে সফলতা অর্জনের যে জ্ঞান আহরণ করছেন তা অবশ্যই প্রেসক্রাইবড হওয়া উচিত। তা না হলে আপনি সফলতা অর্জনে ব্যর্থ হবেন। সঠিক জ্ঞান অর্জন আপনার দ্বারা সম্ভব হবে না।

কোন বই পড়বেন, কোন লেখকের বই পড়বেন?

এজন্য আপনাকে একটি সিলেবাস অনুসরণ করতে হবে। আর একজন গাইডের অধীনে থেকে সেই সিলেবাস ফলো করতে হবে। অর্থাৎ একজন প্রকৃত আলেমের তত্ববধানে থেকে আপনাকে বই পড়তে হবে। কোন বই পড়বেন, কোন লেখকের বই পড়বেন। কোনটার পরে কোনটা পড়বেন সেটা তিনি আপনাকে বলে দিবে। সেভাবে আপনি অনুসরণ করবেন।

তাই, বই পড়ছেন? একজন প্রকৃত আলেমের তত্ববধানে পড়েন, প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী পড়েন। সফলতা অর্জিত হবে। ইনশাআল্লাহ।

আর সিলেবাসটা যে শুধুমাত্র ইসলামী বইয়ের ক্ষেত্রে তা কিন্তু নয়। এখানে মূলত ইসলামী বই কে উদ্দেশ্য করে বলা হলেও, প্রকৃত পক্ষে সকল ক্ষেত্রেই সিলেবাস অনুযায়ী বই পড়া উচিত। চিকিৎসা বিদ্যার কোন বই পড়তে অবশ্যই তা একজন ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে পড়ুন। প্রকৌশল বিদ্যার কোন বই পড়তে চাইলে তা একজন দক্ষ প্রকৌশলী পরামর্শ নিয়ে পড়েন। অর্থাৎ যে বিষয়েই আপনি জানতে, বুঝতে, জ্ঞান আহরণ করতে চান- সেই বিষয়ে দক্ষ এবং অভিজ্ঞদের কাছ থেকে পরামর্শ নিন।

Related Articles

Stay Connected

0FansLike
3,606FollowersFollow
0SubscribersSubscribe
- Advertisement -spot_img

Latest Articles