উভয় পায়ের মাঝখানে স্বাভাবিক (চার আঙ্গুল, ঊর্ধ্বে এক বিঘত) পরিমাণ ফাঁকা রাখা।
(২) উভয় পায়ের মাঝখানে স্বাভাবিক (চার আঙ্গুল, ঊর্ধ্বে এক বিঘত) পরিমাণ ফাঁকা রাখা।
عن ابن جريج قال: وسألت عطاء عن ضم المرء قدميه في الصلاة، فقال: «أما هكذا حتى تماس بينهما فلا، ولكن وسطا من ذلك» فقال ابن جريج: ولقد أخبرني نافع أن ابن عمر كان لا يفرسخ بينهما، ولا يمس إحداهما الأخرى .قال: «بين ذلك». ـرواه الإمام عبد الرزاق في «مصنفه» (3300) عنه.
قال العينى في “البناية” (2/252) نقلا عن الواقعات: ينبغي أن يكون بين قدمي المصلى قدر أربع أصابع اليد، لأنه أقرب إلى الخشوع.
অর্থ: ইবনে জুরাইজ রহ. বলেন, আমি আতা রহ.-কে জিজ্ঞেস করলাম, নামাযে দুই পা মিলিয়ে রাখা কেমন? তিনি বললেন, এভাবে একেবারে মিলিয়ে দেবে না, বরং মাঝামাঝি দূরত্বে রাখবে।
এরপর ইবনে জুরাইজ রহ. বলেন, নাফে’ রহ. আমাকে বলেছেন, ইবনে উমর রাযি. দুই পা একেবারে ছড়িয়ে দিতেন না, আবার মিলিয়েও দিতেন না, বরং মধ্যম পরিমাণ ফাঁক করে রাখতেন। -মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক (৩৩০০), হাদীসটির সনদ সহীহ।
উল্লেখ্য, ফুকাহায়ে কেরাম মধ্যম পরিমাণ নির্ধারণ করতে গিয়ে চার আঙ্গুলের কথা উল্লেখ করেছেন। আল্লামা আইনী রহ. “ওয়াকি‘আত” থেকে উদ্ধৃত করেন, নামাযী ব্যক্তির দুই পায়ের মাঝে হাতের আঙ্গুলের হিসেবে চার আঙ্গুল ফাঁক থাকা উচিৎ; কারণ এটি (স্বাভাবিক হওয়ার কারণে) “খুশু” ও বিনম্রতার অধিক নিকটবর্তী। [বিনায়া ২/২৫২]
বলাবাহুল্য, মোটা মানুষের ক্ষেত্রে স্বাভাবিকতা ভিন্ন হতে পারে। সে কারণে তার দুই পায়ের মাঝে ব্যবধান আরেকটু বেশি হতে পারে।