Thursday, November 21, 2024

নেককার মহিলাদের কাহিনী • হযরত মূসা (আঃ)-এর বিবি ছফুরা

নেককার মহিলাদের কাহিনী • হযরত মূসা (আঃ)-এর বিবি ছফুরা

মহান আল্লাহ তায়ালা যুগে যুগে অসংখ্য নবী-রাসুল দুনিয়াতে প্রেরণ করেছেন মানুষের হেদায়াতের জন্য। তাদের একত্ববাদের দাওয়াত ও শিক্ষা দেয়ার দায়িত্ব দিয়ে আল্লাহ তায়ালা দুনিয়াতে প্রেরণ করেছিলেন। ঠিক তেমিনভাবে অনেক নেককার মহিলাও দুনিয়াতে প্রেরণ করেছেন। তাদের মধ্যেও আল্লাহ তায়ালা অসংখ্য মুজিজা দিয়েছিলেন। যেগুলো থেকে শিক্ষা গ্রহণ করার সুযোগ রয়েছে। এখানে তেমনিভাবে আল্লাহর কিছু প্রিয় নেককার মহিলাদের কাহিনী ও তাদের শিক্ষা তুলে ধরা হলো।


হযরত মূসা (আঃ)-এর বিবি ছফুরা

বিবি ছফুরা হযরত মূসা (আঃ)-এর স্ত্রী হযরত শোয়ায়েব (আঃ)-এর জ্যেষ্ঠ কন্যা। একবার হযরত মূসার হাতে অনিচ্ছাকৃতভাবে মিসর শহরের এক যালেম কাফের মারা গেল। সঙ্গে সঙ্গে এই সংবাদ ফেরআউনের নিকট পৌঁছিল। ফেরআউন হুকুম করলো মূসা (আঃ)-কে কতল করার জন্য জন্য। হযরত মূসা এটা জানতে পেরে গোপনে ‘মাদায়েন’ শহরে রওয়ানা করলেন।

পথ চলতে চলতে একটি কূপের নিকটবর্তী হলেন। সেখানে দেখলেন, বহু সংখ্যক রাখাল কূপ থেকে পানি উঠাইয়া প্রত্যেকেই আপন আপন বকরীদলকে পানি পান করাচ্ছে। আর কূপ থেকে অনতিদূরেই দুইটি মেয়ে তাদের বকরীগুলিকে পানি পান করানোর জন্য দাঁড়িয়ে রয়েছে। কিন্তু ভিড়ের জন্য তারা কূপের নিকটেই আসতে পারছে না। মূসা (আঃ) তাদের নিকট গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকার কারণ জিজ্ঞাসা করলেন। তারা উত্তর করলো, ‘আমাদের গৃহস্থালী কার্য করার জন্য মত কোন পুরুষ লোক নাই। তাই বাধ্য হয়ে আমাদেরকে সমস্ত কার্য করতে হয়। যেহেতু আমরা মেয়ে মানুষ; তাই অপেক্ষা করছি—পুরুষগণ চলে যাওয়ার পর আমরা আমাদের বকরীদলকে পানি পান করাবো।’

মেয়ে দুইটির এই দুর্দশা দেখে মূসা (আঃ)-এর মনে দয়ার সঞ্চার হলো। তিনি কূপ থেকে পানি উঠাইয়া তাদের বকরীগুলিকে পানি পান করালেন। এরপর মেয়ে দুইটি এই ঘটনা পিতার নিকট খুলে বললো। তাঁদের পিতা হযরত শোয়ায়েব (আঃ) বড় মেয়েকে বললেন, মূসা (আঃ)-কে ডাকার জন্য। পিতার আদেশে বড় মেয়েটি লজ্জাবনতা হয়ে তাঁকে ডাকতে আসলেন। হযরত মূসা (আঃ) খবর পেয়ে হযরত শোয়ায়েব (আঃ)-এর সাথে সাক্ষাৎ করলেন। তিনি হযরত মূসার ঘটনা শুনলেন এবং তাঁকে সান্ত্বনা দিয়ে বললেন, বাবা! এখন তুমি যালেম বাদশার রাজ্যের বাহিরে চলে এসেছ। এখন সে আর কিছুই করতে পারবে না। আর আমি আমার এই মেয়ের যে-কোন একজনকে তোমার নিকট বিবাহ দিব। কিন্তু শর্ত থাকবে যে, আট কিম্বা দশ বৎসর পর্যন্ত তুমি আমার বকরী চরাবে। এটাতে হযরত মূসা (আঃ) রাজী হয়ে গেলেন।

হযরত শোয়ায়েব (আঃ)-এর বড় কন্যার সাথে হযরত মূসার শাদী মোবারক সুসম্পন্ন হলো। নির্দিষ্ট সময়ে তিনি বিবিকে সঙ্গে করে স্বদেশে চললেন। পথিমধ্যে প্রবল শীত অনুভূত হওয়ায় তাঁরা অগ্নির প্রয়োজন মনে করলেন। দূর থেকে তূর পাহাড়ে অগ্নি দেখতে পেলেন। নিকটবর্তী হয়ে বুঝতে পারলেন সেটা অগ্নি নহে—আল্লাহর নূর। এইখান থেকেই তিনি নুবুওত লাভ করেছিলেন। এখানে প্রণিধানযোগ্য যে, একজন নবীর মেয়ে হয়ে তাঁরা স্বহস্তে গৃহস্থালী কার্য করতো অথচ তাঁদের যথার্থ মেয়েলী লজ্জা শরম বাকী রাখতো। এই যমানায় পর্দা-পুশিদার হুকুম যেমনি কঠোর, গৃহস্থালী কার্য করার প্রয়োজনও তেমনি অধিক। কিন্তু হালে দেখা যায় নারীগণ গৃহস্থালী কার্যে যেমনি অলস, ঠিক তেমনি নিস্তেজ। পক্ষান্তরে বে-পর্দা, বেহায়া ও নির্লজ্জতার কার্যে বেশ তৎপর। এটা কিয়ামতের আলামত বৈ কি?

নেককার মহিলাদের কাহিনী ও তাদের জীবনী

হযরত হাওয়া (আঃ)হযরত সারা (আঃ)হযরত হাজেরা (আঃ)হযরত ইসমাঈল (আঃ)-এর বিবিবাদশাহ্ নমরুদের কন্যাআইয়ূব নবীর স্ত্রী বিবি রহিমাহযরত ইউসুফ (আঃ)-এর খালাহযরত মূসা (আঃ)-এর মাতাহযরত মূসা (আঃ)-এর বোনহযরত মূসা (আঃ)-এর বিবি ছফুরাহযরত বিবি আছিয়াফেরাউনের কন্যা ও বাঁদীহযরত মূসার এক বৃদ্ধা লস্করহাইসূরের ভগ্নীহযরত বিলকিসবনি-ইসরাইলের এক দাসীবনি-ইসরাইলের এক বুদ্ধিমতী নারীহযরত বিবি মারইয়ামহযরত খাদিজাহযরত সওদা • হযরত আয়েশা ছিদ্দীকা • হযরত হাফসা • হযরত যয়নব বিনতে জাহাশ • হযরত যোয়ায়রিয়াহ • হযরত মায়মুনাহ • হযরত সাফিয়া • হযরত যয়নব • হযরত রোকেয়া • হযরত উম্মে কুলসুম • হযরত ফাতেমা (রাঃ) • হযরত হালিমা সাদিয়া •

তথ্যসূত্র

Related Articles

Stay Connected

0FansLike
3,606FollowersFollow
0SubscribersSubscribe
- Advertisement -spot_img

Latest Articles