মাধবিকা • যতীন্দ্রমোহন বাগচী
মাধবিকা • যতীন্দ্রমোহন বাগচী
মাধবিকা যতীন্দ্রমোহন বাগচী দখিন হাওয়া— রঙিন হাওয়া, নূতন রঙের ভান্ডারী, জীবন-রসের রসিক বধু, যৌবনেরি কান্ডারী! সিন্ধু থেকে সদ্য বুঝি আসছ আজি স্নান করি গাং-চিলেদের পক্ষধ্বনির শনশনানির গান ধরি; মৌমাছিদের মন ভূলানি গুনগনানির সুর ধরে’-- চললে কোথায় মুগ্ধ পথিক, পথটি বেয়ে উত্তরে? লক্ষ ফুলের গন্ধ মাখি’ বক্ষ আঁকি চন্দনে, যাচ্ছ ছুটে’ কোন প্রিয়ারে বাধতে ভুজবন্ধনে? অনেক দিনের পরে দেখা, বছর-পারের সঙ্গী গো, হোক না হাজার ছাড়াছাড়ি, রেখেছ সেই ভঙ্গি তো! --তেমনি সরস ঠান্ডা পরশ, তেমনি গলার হাঁকটি সেই, দেখতে পেলেই চিনতে পারি, কোনখানেই ফাঁকটি নেই! --কোথায় ছিলে বন্ধু আমার, কোন্ মলয়ের বন ঘিরে’, নারিকেলের কুঞ্জ - বেড়া কোন সাগরের কোন তীরে! লক্লকে সেই বেতসবীথির বলো তো ভাই কোন্ গলি, এলা - লতার কেয়াপাতার খবর তো সব মঙ্গলই? --ভালো কথা, দেখলে পথে, সবাই তোমায় বন্দে তো,-- বন্ধু বলে’ চিনতে কারো হয়নি তো ভাই সন্দেহ? নরনারী তোমার মোহে তেমনি তো সব ভুল করে— তেমনিতর পরস্পরের মনের বনে ফুল ধরে! আসতে যেতে দীঘির পথে তেমনি নারীর ছল করা; পথিকবধূর চোখের কোনে তেমনি তো সেই জলভরা? যুবতীরা ডাগর আঁখির কাজল - লেখা মন্তরে আজও তো সেই আগের মতন প্রিয়জনের মন হরে? পলাশ ফুলে হঠাৎ দেখে’ নক্ষত্রের চিহ্ন কার, ঈষৎ হেসে কণ্ঠে বাঁধে পূর্বরাতের ছিন্নহার! রঙ্গনে সেই রং তো আছে, অশোকে তাই ফুটছে তো, শাখায় তারি দুলতে দোলায় তরুনী দল জুটছে তো? তোমায় দেখে তেম্নি ডেকে উঠছে তো সব বিহঙ্গ, সবুজ ঘাসের শীষটি বেয়ে রয় তো চেয়ে পতঙ্গ? --তেমনি --সবই তেমনি আছে! –হ’লাম শুনে খুব খুশী, প্রাণটা উঠে চন্চনিয়ে মনটা ওঠে উসখুসি’! নূতন রসে রস্ল হৃদয়, রক্ত চলে চঞ্চলি’,-- বন্ধু তোমায় অর্থ্য দিলাম উচ্ছ্বসিত অঞ্জলি। গ্রহন করো, গ্রহণ করো--বন্ধু তোমার দন্ডেকের-- জানি নাক আবার কবে দেখা তোমার সঙ্গে ফের।।
মাধবিকা • যতীন্দ্রমোহন বাগচী- Download
- মাধবিকা • যতীন্দ্রমোহন বাগচী ➜ PDF Download
- মাধবিকা • যতীন্দ্রমোহন বাগচী ➜ Image Download