খোকার গপ্প বলা • কাজী নজরুল ইসলাম
আনিসুল হক • বঙ্কিম চন্দ্র চট্টোপাধ্যায় • আহমদ ছফা • হুমায়ূন আহমেদ • কাজী নজরুল ইসলাম • রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর • সমরেশ মজুমদার • সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় • শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় • মানিক বন্দোপাধ্যায় • সৈয়দ শামসুল হক • আহমদ ছফা • জহির রায়হান • সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ • আবু ইসহাক • আবদুল্লাহ আল-মুতী • আবুল বাশার • আবুল মনসুর আহমদ • ফররুখ আহমদ • যতীন্দ্রমোহন বাগচী • প্রমথ চৌধুরী • সৈয়দ মুজতবা আলী • মুনীর চৌধুরী • হুমায়ুন আজাদ • আব্দুল জব্বার • শামসুর রাহমান • অন্নদাশঙ্কর রায় • জগদীশচন্দ্র বসু • সুফিয়া কামাল • বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় • ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর • ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ • এম আর আখতার মুকুল • শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় • মীর মশাররাফ হোসেন • আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ • রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ • সেলিনা হোসেন • সুকান্ত ভট্টাচার্য • দ্বিজেন্দ্রলাল রায় • জসীম উদ্দীন • জীবনানন্দ দাশ • সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত • বুদ্ধদেব গুহ • শিহাব আহমেদ তুহিন • রাগিব হাসান • আহসান হাবীব • সৈয়দ মকসুদ আলী • এনায়েতুল্লাহ আলতামাশ • আরিফ আজাদ • মুসা আনসারী • সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় • তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় • সৈয়দ আলী আহসান • এপিজে আবুল কালাম আজাদ • আলী রিয়াজ • শওকত ওসমান • শাহীন আখতার • মহিউদ্দিন আহমদ • তিলোত্তমা মজুমদার • মাইকেল মধুসূদন দত্ত • সৈয়দ আমীর আলী • মুহম্মদ জাফর ইকবাল • আকবর আলি খান • আনিসুজ্জামান • ড. সৌমিত্র শেখর • সরদার ফজলুল করিম • অন্যান্য লেখকের বই •
খোকার গপ্প বলা • কাজী নজরুল ইসলাম
খোকার গপ্প বলা কাজী নজরুল ইসলাম মা ডেকে কন, ‘খোকন-মণি! গপ্প তুমি জানো? কও তো দেখি বাপ!’ কাঁথার বাহির হয়ে তখন জোর দিয়ে এক লাফ বললে খোকন, ‘গপপ জানি, জানি আমি গানও!’ বলেই খুদে তানসেন সে তান জুড়ে জোর দিল – ‘একদা এক হাড়ের গলায় বাঘ ফুটিয়াছিল!’ মা সে হেসে তখন বলেন, ‘উহুঁ, গান না, তুমি গপ্প বলো খোকন!’ ন্যাংটা শ্রীযুত খোকা তখন জোর গম্ভীর চালে সটান কেদারাতে শুয়ে বলেন, “সত্যিকালে এক যে ছিল রাজা আর মা এক যে ছিল রানি, হাঁ মা আমি জানি, মায়ে পোয়ে থাকত তারা, ঠিক যেন ওই গোঁদলপাড়ার জুজুবুড়ির পারা! একদিন না রাজা – ফড়িং শিকার করতে গেলেন খেয়ে পাঁপড়ভাজা! রানি গেলেন তুলতে কলমি শাক বাজিয়ে বগল টাক ডুমাডুম টাক! রাজা শেষে ফিরে এলেন ঘরে হাতির মতন একটা বেড়াল-বাচ্চা শিকার করে। এসে রাজা দেখেন কিনা বাপ! রাজবাড়িতে আগড় দেওয়া, রানি কোথায় গাপ! দুটোয় গিয়ে এলেন রাজা সতরোটার সে সময়! বলো তো মা-মণি তুমি, খিদে কি তায় কম হয়? টাটি-দেওয়া রাজবাড়িতে ওগো, পান্তাভাত কে বেড়ে দেবে? খিদের জ্বালায় ভোগো! ভুলুর মতন দাঁত খিঁচিয়ে বলেন তখন রাজা, নাদনা দিয়ে জরুর রানির ভাঙা চাই-ই মাজা। এমন সময় দেখেন রাজা আসচে রানি দৌড়ে সারকুঁড় হতে ক্যাঁকড়া ধরে রাম-ছাগলে চড়ে! দেখেই রাজা দাদার মতন খিচমিচিয়ে উঠে –” ‘হাঁরে পুঁটে!’ বলেই খোকার শ্রীযুত দাদা সটান দুইটি কানে ধরে খোকার চড় কসালেন পটাম্। বলেন, ‘হাঁদা! ক্যাবলাকান্ত! চাষাড়ে। গপ্প করতে ঠাঁই পাওনি চণ্ডুখুড়ি আষাঢ়ে? দেব নাকি ঠ্যাংটা ধরে আছাড়ে? কাঁদেন আবার! মারব এমন থাপড়, যে কেঁদে তোমার পেটটি হবে কামার শালার হাপর!’ চড় চাপড় আর কিলে, ভ্যাবাচ্যাকা খোকামণির চমকে গেল পিলে! সেদিনকারের গপ্প বলার হয়ে গেল রফা, খানিক কিন্তু ভেড়ার ভ্যাঁ ডাক শুনেছিলুম তোফা!
খোকার গপ্প বলা • কাজী নজরুল ইসলাম- Download
- খোকার গপ্প বলা • কাজী নজরুল ইসলাম ➜ PDF Download
- খোকার গপ্প বলা • কাজী নজরুল ইসলাম ➜ Image Download