জামাআত সম্বন্ধে ইমামগণের ফতোয়া
- ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বলের কোন কোন অনুসারীর মতে নামায ছহীহ্ হওয়া জন্য জামাআত শর্ত। জামাআত ব্যতীত নামায হবে না।
- ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বলের মাযহাবে জামাআত ফরযে আইন, যদিও নামায ছহীহ্ হওয়ার জন্য শর্ত নয়।
- ইমাম শাফেয়ীর মাযহাবের কোন কোন অনুসারী মতে জামাআত ফরযে কেফায়া। হানাফী মাযহাবের বড় একজন ফকীহ্ ও মোহাদ্দিস ইমাম তাহাবীরও একই মত।
👉 আরো পড়তে পারেন: সাহাবী কাকে বলে ও সাহাবীর পরিচিতি
- হানাফী মাযহাবের অধিকাংশ বিজ্ঞ ফকীহদের নিকট জামাআত ওয়াজিব, মোহাক্কিক ইবনে হুমাম, হালাবী ও ছাহেবে বাহরোররায়েক প্রমুখ বড় বড় ফকীহগণেরও এই মত।
- অনেক হানাফী ফকীহদের মতে জামাআত সুন্নতে মোয়াক্কাদা। প্রকৃত প্রস্তাবে এই দুই মতের মধ্যে কোন বিরোধ নেই। (কেননা যে ওয়াজিব রসূলুল্লাহ্ (দঃ) এর সুন্নত দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে, তাকে কেউ কেউ সুন্নতে মোয়াক্কাদা বলেছেন।)
- হানাফী ফোকাহাদের মত এই যে, যদি কোন বস্তির লোক জামাআত তরক করে, তবে প্রথমে তাকে বুঝাইতে হবে। যদি বুঝালেও না মানে, তবে তাদের সাথে যুদ্ধ করা বৈধ।
- ক্বিনিয়া প্রভৃতি ফেকাহর কিতাবে আছে, যদি কেউ বিনা ওযরে জামাআত তরক করে, তবে তাকে শাস্তি দেয়া তৎকালীন বাদশাহর উপর ওয়াজিব। আর যদি তার প্রতিবেশীরা তার এই পাপ কাজ হতে ফিরিয়ে রাখার জন্য কিছু না বলে, তবে তারাও গুনাহগার হবে।
- আযান শুনে মসজিদে যাবার জন্য ইক্বামত শুনবার ইন্তেযার করলে গুনাহগার হবে।
- ইমাম মোহাম্মদ (রা.) হতে রেওয়ায়াত আছে, জুমু’আত এবং জামাআতের জন্য দ্রুতগতিতে হাঁটা জায়েয আছে, যদি বেশী কষ্ট না হয়।
- জামাআত তরককারী নিশ্চয়ই গুনাহগার (ফাছেক)। তার সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে না, যদি বিনা ওযরে বা আলস্য করে জামাআত তরক করে।
- যদি কেউ দিবারাত্র দ্বীনি এলম শিক্ষা ও শিক্ষাদানে মশগুল থাকে এবং জমা’আতে হাযির না হয়, তবে সেও গুনাহ হতে রেহাই পাবে না এবং তার সাক্ষ্য কবূল হবে না।
তথ্যসূত্র
- বেহেশতী জেওর • লেখক: হযরত মাওলানা আশরাফ আলী থানভী (রহ.) • অনুবাদক: হযরত মাওলানা শামসুল হক ফরিদপুরী (রহ.)