ইলমে দীনের গুরুত্ব ও ফযীলত
ইলমে দীনের গুরুত্ব ও ফযীলত সম্পর্কে নিম্নে কতিপয় কুরআনের আয়াত ও হাদীস শরীফ উদ্বৃত্ত হলঃ
- কুরআনে কারীমে ইরশাদ হয়েছে,
اَلَّذِیْنَ یُظٰهِرُوْنَ مِنْكُمْ مِّنْ نِّسَآئِهِمْ مَّا هُنَّ اُمَّهٰتِهِمْ ؕ اِنْ اُمَّهٰتُهُمْ اِلَّا الِّٰٓیْْٔ وَ لَدْنَهُمْ ؕ وَ اِنَّهُمْ لَیَقُوْلُوْنَ مُنْکَرًا مِّنَ الْقَوْلِ وَزُوْرًا ؕ وَ اِنَّ اللهَ لَعَفُوٌّ غَفُوْرٌ ﴿۲﴾ (المجادلة:٢)
“যারা আল্লাহ্ ও রাসূলকে বিশ্বাস করবে এবং যাদেরকে দীনী ইলম দেয়া হবে, অর্থাৎ যারা কষ্ট-মুজাহাদা করে ইলমে দীন হাসিল করবে, আল্লাহ্ তা’আলা তাদেরকে অনেক উচ্চ মর্যাদা দান করবেন।” (সূরা মুযাদালা, আয়াত-৭)
- আল্লাহ্ তা’আলা অন্যত্র ইরশাদ করেন-
اَمَّنْ هُوَ قَانِتٌ اٰنَآءَ الَّیْلِ سَاجِدًا وَّ قَآئِمًا یَّحْذَرُ الْاٰخِرَۃَ وَ یَرْجُوْا رَحْمَۃَ رَبِّهٖ ؕ قُلْ هَلْ یَسْتَوِی الَّذِیْنَ یَعْلَمُوْنَ وَ الَّذِیْنَ لَا یَعْلَمُوْنَ ؕ اِنَّمَا یَتَذَکَّرُ اُولُوا الْاَلْبَابِ ۠﴿۹﴾
“বলোতো যারা ইলমে দীন হাসিল করেছে এবং যারা কুরআনের ইলম হাসিল করেনি, তারা উভয়ে কি সমান হতে পারে?” অর্থাৎ যারা ইলম হাসিল করেনি এমনকি উলামায়ে কিরামের সাথে যাদের উঠা-বসা বা কোনরূপ যোগাযোগও নেই তাদের জন্য আল্লাহর যথার্থ গোলামী অসম্ভব। তাই গোলাম হয়ে মালিকের গোলামীর খবর না রাখায় তারা পশু স্তরেরও নীচে অবস্থান করে। তারা কখনো ইলম ওয়ালাদের সমান হতে পারে না।” (সুরা যুমার, আয়াত-৯)
👉 আরো পড়তে পারেন: নামাযের ওয়াক্ত যেভাবে নির্ধারিত হয়- বিস্তারিত জানুন
- নবী করীম সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন– “দীনী ইলম শিক্ষা করা প্রত্যেক মুসলমান (নর-নারীর)-এর উপর ফরজে আইন।” অর্থাৎ এ ব্যাপারে অবহেলা করলে আল্লাহর দরবারে কোন প্রকার ওজর আপত্তি চলবে না। (ইবনে মাজাহ শরীফ ১/১৩৬)
- নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, “তোমাদের মধ্যে সে-ই সর্বোত্তম, যে কুরআনে কারীম শিক্ষা করে এবং অপরকে শিক্ষা দেয়।” (সহীহ বুখারী শরীফ ২/১২৯৪)
- নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন– “আল্লাহ তা’আলা যার মঙ্গল কামনা করেন, তাকে দীনে ইলম দান করেন।” (বুখারী শরীফ ১/৩৯)
- নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন– “দুনিয়া অভিশপ্ত এবং দুনিয়ার মধ্যে যা কিছু আছে, সবকিছু অভিশপ্ত। তবে শুধুমাত্র আল্লাহর ইবাদত-বন্দেগী এবং তার জন্য সহযোগী উপকরণ অথবা দীনের আলেম কিংবা দীনের তালিবে ইলম অভিশপ্ত নয়।”(তিরমিযী শরীফ ২৩২৭)
- নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন– “আলেমগণ নবীদের ওয়ারিশ। নবীগণ মীরাস সুত্রে টাকা-পয়সা, সোনা-রুপা রেখে যাননি, তাঁরা শুধু দীনী ইলম রেখে গিয়েছিলেন। সুতরাং যে ব্যক্তি ইলমে দীন হাসিল করেছে, সে অনেক বড় দৌলত হাসিল করেছে।”
এখানে শুধু নমুনা স্বরূপ কতিপয় হাদীস উল্লেখ করা হয়েছে। জ্ঞানী লোকদের জন্য শুধু ইশারাই যথেষ্ট হয়ে যায়। আর মূর্খদের জন্য দলীল প্রমাণের পাহাড়ও বৃথা। সুতরাং এখানে অনেক বেশী হাদীস উল্লেখ করার প্রয়োজন বোধ করছি না। অন্যথায় এ ব্যাপারে এতবেশী ফজীলত নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে বর্ণীত হয়েছে, যা একত্রিত করলে, মোটা ভলিউমের বৃহৎ কিতাবে পরিণত হবে।