হৃদরোগে এ অঙ্গে রক্ত ও অক্সিজেন সরবরাহকারী করোনারি ধমনী ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ধমনীর গায়ে কোলেস্টেরল ও অন্যান্য চর্বিযুক্ত খাবারের প্রভাবে পুরু আবরণ সৃষ্টি হয়ে অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস তৈরি করে। ফলে হৃৎপিণ্ডের ধমনীগুলো সংকুচিত হয় এবং এর ফলে হৃৎপিণ্ডের স্বাভাবিক কাজ ব্যাহত হয়।
চিকিৎসা বিজ্ঞানে একে ইসকেমিয়া বলে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ধমনীজনিত রোগ থাকা সত্ত্বেও বুকে ব্যথা নাও থাকতে পারে। একে সাইলেন্ট ইসকেমিয়া বলে। ব্যথা যদি শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে, বুকে সামান্য চাপ দিলে বা সামান্য নড়াচড়া করলে বেড়ে যায় তাহলে প্রাথমিকভাবে একে হাড্ডি-মাংসের ব্যথা মনে করতে হবে। এ ক্ষেত্রে ব্যথা নিরাময়ের বড়ি খেয়ে বিশ্রাম নিয়ে অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
👉 আরো পড়তে পারেন: চর্মরোগ থেকে রক্ষা পাবেন কীভাবে
আর যদি ব্যথাটি দীর্ঘস্থায়ী হয়, বুকের মাঝে চাপ বা ভার অনুভূত হয় এবং সঙ্গে ঘাম বা শারীরিক অস্বস্তিবোধ হয় তবে অবিলম্বে নিটকস্থ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে বা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এরপর ইসিজি ও রক্ত পরীক্ষা কার্ডিয়াক এনজাইম করে রোগীকে উপযুক্ত স্থানে স্থানান্তর করতে হয়। মনে রাখবেন অযথা কালক্ষেপণ করলে সামান্য সমস্যা থেকে মারাত্মক অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে।