Thursday, November 21, 2024

নেককার মহিলাদের কাহিনী • হযরত বিলকিস

নেককার মহিলাদের কাহিনী • হযরত বিলকিস

মহান আল্লাহ তায়ালা যুগে যুগে অসংখ্য নবী-রাসুল দুনিয়াতে প্রেরণ করেছেন মানুষের হেদায়াতের জন্য। তাদের একত্ববাদের দাওয়াত ও শিক্ষা দেয়ার দায়িত্ব দিয়ে আল্লাহ তায়ালা দুনিয়াতে প্রেরণ করেছিলেন। ঠিক তেমিনভাবে অনেক নেককার মহিলাও দুনিয়াতে প্রেরণ করেছেন। তাদের মধ্যেও আল্লাহ তায়ালা অসংখ্য মুজিজা দিয়েছিলেন। যেগুলো থেকে শিক্ষা গ্রহণ করার সুযোগ রয়েছে। এখানে তেমনিভাবে আল্লাহর কিছু প্রিয় নেককার মহিলাদের কাহিনী ও তাদের শিক্ষা তুলে ধরা হলো।


হযরত বিলকিস

বিলকিস ছিলেন ‘সাবা’ রাজ্যের বাদশাহ্। হযরত সোলায়মান (আঃ)-কে হুদহুদ জানোয়ার খবর দিল যে, সে এক মহিলা বাদশাকে দেখেছে যে, সে সূর্যের পূজা করে থাকে।

হযরত সোলায়মান (আঃ) উক্ত মহিলা বাদশাহর নিকট পত্র লিখলেন। উক্ত জানোয়ারের মারফতই তিনি পত্র প্রেরণ করলেন। পত্রে লিখা ছিল, তোমরা অনায়াসে মুসলমান হয়ে আমার নিকট উপস্থিত হও।

যথাসময়ে বাদশাহর নিকট পত্র পৌঁছিল। পত্র পেয়ে বাদশাহ্ উজির সকলেই বিশেষ চিন্তিত হয়ে পড়লো। অবশেষে বাদশাহ্ স্থির করলো, প্রথমতঃ তাঁর খেদমতে যৌতুক উপঢৌকন পেশ করা হউক। উপঢৌকন গ্রহণ করলে বুঝিব তিনি দুনিয়াদার বাদশাহ্, অন্যথায় বুঝা যাবে তিনি সত্য পয়গাম্বর। যথসময়ে উপঢৌকন হযরত সোলায়মান (আঃ)-এর নিকট পৌঁছিল। তিনি উপঢৌকন গ্রহণ করলেন না এবং জানিয়ে দিলেন, অনতিবিলম্বে ইসলাম কবুল না করলে আমি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হব।

এই সংবাদ যখন হযরত বিলকিসের নিকট পৌঁছিল, তখন তিনি স্পষ্টতঃই বুঝতে পারলেন এটা ইসলামের দাওয়াত প্রদানকারী আল্লাহর সত্য পয়গাম্বরের উক্তি। অতঃপর তিনি ইসলাম কবূল করার জন্য জন্য স্বীয় শহর থেকে বের হলেন। ইতিমধ্যে হযরত সোলায়মান (আঃ) হযরত বিলকিসের শাহী-তখতখানি তার দরবারে আনিয়ে রাখলেন। শাহীতখতের মোতী ও জওহরসমূহ উঠাইয়া অন্যভাবে লাগান হলো।

এদিকে হযরত বিলকিস এসে উপস্থিত হলেন। সোলায়মান (আঃ) তার বুদ্ধি-জ্ঞান পরীক্ষার নিমিত্ত জিজ্ঞাসা করলেন, আচ্ছা দেখ তো, (বিলকিসের সিংহাসনের প্রতি ইশারা করে) এটা কার সিংহাসন? বিলকিস উত্তর করলেন, এটা তো আমার হিসেবেই মনে হয় কিন্তু ছুরত সামান্য পরিবর্তিত দেখা যায়। এটাতে তিনি বুদ্ধিমান ও চালাক-চতুর হিসেবেই সাব্যস্ত হলেন।

হযরত সোলায়মান (আঃ) স্বীয় খোদা-প্রদত্ত শাহী-তখতের মহত্ত্ব প্রকাশ করতে ইচ্ছা করলেন। তিনি একটি পানিপূর্ণ হাউযে কাঁচের ফরস বিছাইতে আদেশ করলেন। তাই করা হলো। অতঃপর হযরত সোলায়মান (আঃ) হাউযের অপর পারে গিয়ে বসিলেন। যেখানে যেতে হাউয অতিক্রম করে যেতে হয়। তিনি বিলকিসকে তথায় আগমন করতে বললেন। বিলকিস হাউযের কিনারায় গিয়ে পায়চারি করতে লাগলেন। আর অগ্রসর হতে পারতেছিলেন না। যেহেতু হাউযের উপর কাঁচ নজরে আসছিল না। অবশেষে যখন তাকে জানিয়ে দেওয়া হলো যে, হাউযের উপর কাঁচের ফরস বিছান হয়েছে, তখন তিনি নির্বিঘ্নে সেটার উপর দিয়ে চলে আসলেন।

হযরত সোলায়মান (আঃ)-এর সামান্য দুইটি মোজেযা দেখার পরই তার মাথা থেকে সমস্ত গর্ব-অহঙ্কার বিদায় হলো। আনত মস্তকে তিনি ইসলামে দীক্ষিত হলেন। সত্যের প্রতি তাঁর প্রবল অনুরাগ থাকা বশতঃই তিনি এই সৌভাগ্য লাভ করেছিলেন। এটা ব্যতীত অনেকের মতে তিনি সমগ্র জাহানের বাদশাহ্ হযরত সোলায়মান (আঃ)-এর প্রিয়তমা মহিষী হওয়ার সৌভাগ্যও অর্জন করেছিলেন।

নেককার মহিলাদের কাহিনী ও তাদের জীবনী

হযরত হাওয়া (আঃ)হযরত সারা (আঃ)হযরত হাজেরা (আঃ)হযরত ইসমাঈল (আঃ)-এর বিবিবাদশাহ্ নমরুদের কন্যাআইয়ূব নবীর স্ত্রী বিবি রহিমাহযরত ইউসুফ (আঃ)-এর খালাহযরত মূসা (আঃ)-এর মাতাহযরত মূসা (আঃ)-এর বোনহযরত মূসা (আঃ)-এর বিবি ছফুরাহযরত বিবি আছিয়াফেরাউনের কন্যা ও বাঁদীহযরত মূসার এক বৃদ্ধা লস্করহাইসূরের ভগ্নীহযরত বিলকিসবনি-ইসরাইলের এক দাসীবনি-ইসরাইলের এক বুদ্ধিমতী নারীহযরত বিবি মারইয়ামহযরত খাদিজাহযরত সওদা • হযরত আয়েশা ছিদ্দীকা • হযরত হাফসা • হযরত যয়নব বিনতে জাহাশ • হযরত যোয়ায়রিয়াহ • হযরত মায়মুনাহ • হযরত সাফিয়া • হযরত যয়নব • হযরত রোকেয়া • হযরত উম্মে কুলসুম • হযরত ফাতেমা (রাঃ) • হযরত হালিমা সাদিয়া •

তথ্যসূত্র

Related Articles

Stay Connected

0FansLike
3,606FollowersFollow
0SubscribersSubscribe
- Advertisement -spot_img

Latest Articles