হাঁপানি এড়াতে প্রথম কথা হলো, যে সব জিনিস থেকে হাঁপানি সংক্রমণ হয়, সেগুলো থেকে দূরে থাকতে হবে। এ জন্য এই রোগের রোগীদের পরীক্ষা করে জেনে নিতে হবে কোন দ্রব্যাদি থেকে তার অ্যালার্জি শুরু হয়েছে।
এ রোগীদের অনেকেরই পশুপাখির লোমে অ্যালার্জি থাকে। তাই এসব প্রাণী এড়িয়ে চলুন। বিছানা সাধারণ লিলেন কাপড় দিয়ে করা উচিত। প্রতিদিন দুবেলা ঘরের মেঝে পরিষ্কার করা দরকার। রোগীর বিছানার চাদর প্রতিদিন ধুয়ে ব্যবহার করতে হবে অথবা প্রতিদিন রোদে শুকাতে হবে। যেসব জিনিস থেকে ধুলো ওড়ে সেগুলো নড়াচড়া করবেন না। এসব ঝাড়ার সময় রোগীকে ঘরের বাইরে থাকতে হবে।
👉 আরো পড়তে পারেন: সমান পুষ্টিগুণের কিছু দামী ও সস্তা খাবার
কোনো ঝাঁঝালো গন্ধ, যেমন মশলা ভাজার গন্ধ, মশা মারার স্প্রে, পারফিউম যেন রোগীর নাকে প্রবেশ না করে। ধুলা, ধোঁয়া, ঠাণ্ডা বা কুয়াশা লাগানো যাবে না। রাস্তার ধুলা, ঘরের পুরনো ধুলা, গাড়ির ধোঁয়া থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ফিল্টার মাস্ক ব্যবহার করুন। যারা বাইক অথবা নন-এসি গাড়ি চালান তারা অবশ্যই মাস্ক পরে নেবেন। ধূমপান অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। রাতে ভরপেট খেলে অনেকের টান উঠতে পারে। ফ্রিজ থেকে বের করে সঙ্গে সঙ্গে ঠাণ্ডা জিনিস খাওয়া উচিত নয়, স্বাভাবিক তাপমাত্রায় এলেই তারপর খাবেন। প্রতিদিন নিয়ম করে হালকা ব্যায়াম করা জরুরি। টেনশনমুক্ত থাকতে হবে। তবেই হাঁপানি থেকে দূরে থাকা যাবে।