Saturday, February 22, 2025

গর্ভবতী মায়েদের জন্য ১০টি উপদেশ

গর্ভবতী মায়েদের জন্য ১০টি উপদেশ

স্বাস্থ্যকর এবং নিরাপদ গর্ভাবস্থা ধরে রাখতে গর্ভবতী মায়েদের অবশ্যই ১০টি উপদেশ মেনে চলতে হবে। এসব উপদেশ মেনে চললেই কেবল সম্ভব গর্ভাবস্থার অবাঞ্ছিত ঝুঁকিকে এড়ানো।

  • সুষম খাদ্য খাবেন।
  • ধূমপান থেকে বিরত থাকবেন।
  • ফলিক অ্যাসিড গ্রহণ করুন।
  • গর্ভসঞ্চারের শুরু থেকে ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত দৈনিক নিয়মিত ৪০০ মাইক্রোগ্রাম ফলিক অ্যাসিড খেতে হবে। ফলিক অ্যাসিড আপনি বিভিন্ন খাবার থেকে পেতে পারেন। এসব খাবারের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি, ফুলকপি, খাদ্যশস্য প্রভৃতি। নিয়মিত ফলিক অ্যাসিড খেলে গর্ভস্থ শিশু ‘স্পাইনা বাইফিডা’ হবার ঝুঁকি থেকে রেহাই পায়৷
  • অ্যালকোহল পরিহার করুন।
  • কিছু খাবার এড়িয়ে চলুন। এসব খাবারের মধ্যে রয়েছে নরম অপাস্তুরিত মাখন, ঠিকমতো রান্না না- করা মাংস, কাঁচা ডিম এবং লিভার।
  • চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
  • আপনি যদি স্বাস্থ্যের ব্যাপারে শঙ্কিত থাকেন কিংবা আপনার কোনো অবাঞ্ছিত স্বাস্থ্যসমস্যা ঘটে, যেমন—যোনিপথে রক্তস্রাব, মুখ ফুলে মাথাব্যথা ঘটা—তাহলে দেরি না করে সাথে সাথেই আপনার যাওয়া, হাত পা ফুলে যাওয়া, দেখতে অসুবিধা হওয়া, পেটব্যথা কিংবা চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে। মনে রাখবেন যত বিলম্ব হবে, আপনার সংকট বেড়ে যাবে।
  • ওষুধ পরিহার করুন।
  • যদি আপনার কোনো ওষুধের প্রয়োজন হয় আপনি চিকিৎসককে না- জানিয়ে কোনো ওষুধ খাবেন না। কারণ এমন ওষুধ আছে যা খেলে আপনার গর্ভস্থ শিশুর জীবন বিপন্ন হতে পারে।
  • আরাম করুন।
  • শরীর যথাসম্ভব শিথিল করে বিশ্রাম নিন। পা দুটো একটু ওপরে তুলে রাখুন । নিয়মিত ব্যায়াম করবেন, কিন্তু সেই ব্যায়াম যেন হালকা ব্যায়াম হয়।
  • টক্সোপ্লাজমোসিস সম্পর্কে সচেতন থাকুন।
  • আপনি কি জানেন পরজীবী সংক্রমণে আপনার গর্ভস্থ শিশুর মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে? এসময় পোষা বেড়াল থেকে দূরে থাকবেন। বিছানার ওপর ভুলেও যেন বেড়াল উঠতে না পারে তা নিশ্চিত করবেন। বেড়ালের সংস্পর্শে কিংবা তার মল থেকে ঘটতে পারে টক্সোপ্লাজমোসিস নামক ঘাতক ব্যাধি। একই সঙ্গে খেয়াল রাখবেন বিভিন্ন ফলমূল ও সবজি যেন ভালো করে ধুয়ে খাওয়া হয় । মাংস খেতে হবে ভালোমতো সেদ্ধ করে।
  • নিয়মিত এন্টেনেটাল চেকআপ করুন।

গর্ভাবস্থায় নিয়মিত চিকিৎসকের কাছে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করাবেন। যে কোনো সমস্যা হলেই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে ভুলবেন না। এসময় নিকটস্থ হাসপাতাল কিংবা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে কার্ড করবেন এবং সেইমতো চেকআপ করাবেন।

Related Articles

Stay Connected

0FansLike
3,606FollowersFollow
0SubscribersSubscribe
- Advertisement -spot_img

Latest Articles