ই-পাসপোর্ট হলো একটি বায়োমেট্রিক পাসপোর্ট যাতে একটি এমবেডেড ইলেকট্রনিক মাইক্রোপ্রসেসর চিপ রয়েছে। ইলেকট্রনিক মাইক্রোপ্রসেসর চিপের মধ্যে রয়েছে বাযোমেট্রিক তথ্য যা পাসপোর্টধারীর পরিচয় প্রমাণের জন্য ব্যবহার করা হয়।
এতে মাইক্রোপ্রসেসর চিপ (কম্পিউটার চিপ) এবং অ্যান্টেনাসহ স্মার্ট কার্ড প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। পাসপোর্টে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চিপে সংরক্ষণ করা হয়। বর্তমানে ই-পাসপোর্ট যে সকল বায়োমেট্রিক গ্রহণ করা হয় তা হলো: ছবি, ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও আইরিশ। ইলেকট্রনিক বর্ডার কন্ট্রোল ব্যবস্থা (ই-বর্ডার) দ্বারা পাসপোর্ট চিপের বাইরের বায়োমেট্রিক বৈশিষ্ট্যগুলির তুলনামূলক যাচাই করা হয়। পাবলিক কী অবকাঠামো (PKI) এর মাধ্যমে পাসপোর্ট চিপ ইলেক্ট্রনিকভাবে সংরক্ষিত ডেটা যাচাই করা হয়। এটি সম্পূর্ণরুপে বাস্তবায়িত হলে পাসপোর্ট সংক্রান্ত জালিয়াতির পথ রুদ্ধ হয়ে যাবে। এ পর্যন্ত পৃথিবীর ১২০টি দেশে ই-পাসপোর্ট প্রবর্তন করা হয়েছে।