হযরত শাহ পরান (রহ.) এর জীবনী ও ইসলাম প্রচারে তার অবদান মূল্যায়ন করুন।

প্রশ্ন: হযরত শাহ পরান (রহ.) এর জীবনী ও ইসলাম প্রচারে তার অবদান মূল্যায়ন করুন। বিষয়: IST-604 : History of Sufism in Bangladesh and Some Prominent কোর্স: এমএ ইন ইসলামিক স্টাডিজ (ফাইনাল)



হযরত শাহ পরান (রহ.) এর জীবনী ও ইসলাম প্রচারে তার অবদান মূল্যায়ন করুন।

ভূমিকা

বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) প্রবর্তিত ইসলাম। ধর্মেও বান্দাকে সমুন্নত রেখে সমকালীন মুসলমান সমাজেও গোষ্ঠীর তৌহিদ ও রেছালত এর ঈমানকে পূর্বজাগ্রত সমুজ্জল করতে যুগে যুগে অসংখ্য মুসলমান আধ্যাত্মিক ব্যক্তির আগমন ঘটেছে এ বিশ্বে। বিভিন্ন অভিধায় তাঁরা বিশেম্বিত, পরিচিত। এ শ্রেনীর পূন্যাত্মাদের মধ্যে আউলিয়া দরবেশগণ অন্যতম। পথভ্রষ্ট নির্জীব মুসলমানদেরকে তাঁরা দিয়েছেন নতুন করে ঈমানী শক্তি যুগিয়েছেন। নব তৌহিদী আত্ম পরিচয়ে জীবন গঠনের প্রেরণা। অন্য দিকে অসহায় মুসলমান সমাজও নব বলে বলীয়ান হয়েছে এসব মহান ধার্মিক ব্যক্তিদের সান্নিধ্য, শিক্ষা ও দীক্ষা লাভে।

হযরত শাহ পরান (রহ.) এর জীবনী ও ইসলাম প্রচারে তার অবদান মূল্যায়ন করুন।

হযরত শাহ পরান (রহ.) এর জীবনী ও ইসলাম প্রচারে তাঁর অবদান

যুগে যুগে যেখানে মুসলমানগণ হয়েছে নির্যাতিত অথবা ইসলাম ধর্ম হয়েছে দূর্বল, কুলষিত কিংবা আক্রান্ত, পরম করুনাময় আল্লাহ তায়ালার ইচ্ছেতে সেখানেই আর্বিভূত হয়েছেন এসব আউলিয়া দরবেশগণ। তাঁদের পবিত্র সাধনা ও আধ্যাত্মিকগণ। তাঁদের পবিত্র সাধনা ও আধ্যাত্মিক কর্মে মুসলমানরা লাভ করেছেন আবার নতুনভাবে আত্মপরিচিতি। বলীয়ান হয়েছে নতুন করে তৌহিদ ও রেছালতের তেজে। তাঁদের হাতেই সমৃদ্ধ প্রসার ঘটেছে ইসলাম প্রচারের পরিসীমার।

তাঁদেরই অন্যতম একজন হযরত শাহপরান (রাঃ)। তিনি ছিলেন শাহজালাল (রাঃ) এর আপন ভাগিনেয়। হযরত শাহজালালের (রাঃ) সঙ্গী হয়ে তিনিও সিলেটে এসেছিলেন।

হযরত শাহ পরান (রাঃ) এর পূর্ব পুরুষ রোখারা থেকে প্রথমে সমরখন্দ এবং পরবর্তীতে তুর্কীস্তানে এসে বসবাস শুরু করেন। তাঁর পিতা মাতা উভয়েই অত্যন্ত ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি ছিলেন। সব সময় তাঁরা তাসবিহ তেলাওয়াত ও আল্লাহর জেকেওে নিমগ্ন থাকতেন।



হযরত শাহ পরান (রাঃ) জন্মের পূর্বে এক অলৌকিক ঘটনা সংঘটিত হয়। একদিন তাঁর মা সারারাত তসবিহ তেলাওয়াতের পর শেষ রাতে হালকাভাবে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। তিনি স্বপ্নে দেখলেন পূর্বের আকাশে একটা উজ্জল তারাকা উদিত হয়ে জ্বল জ্বল করে জ্বলছে। ধীরে ধীরে তার আলোক রশ্মি বিস্তৃত হয়ে পৃথিবীর পূর্ব প্রান্ত থেকে পশ্চিম প্রান্তে পর্যন্ত আলোকিত করে ফেলছে। এসময় তাঁর সন্মুখে আবির্ভূত হলেন একজন ঐশী পুরুষ। তাঁর সামনে এসে দাঁড়িয়ে তাঁকে বললেন, ওই তারকাটিকে তুমি হাত দিয়ে ধরো। হযরত শাহ পরান (রাঃ) মাতা কম্পিতকন্ঠে বললেন, তা কি করে সম্ভব? আকাশের তারকা আমি কেমন করে ধরবো? বুজর্গব্য ব্যক্তিটি বললেন, হ্যাঁ তোমার পক্ষেই সম্ভব। তারকাটি তুমিই ধরতে পারবে। একথা বলে তিনি তাঁর ডান হাতের শাহাদত অঙ্গুলি দিয়ে ইশারা করতেই তারকাটি হযরত শাহ পরানের (রাঃ) মায়ের কাছে নেমে এলো। তখন বুজর্গ ব্যক্তিটি তারকাটি ধরে হযরত শাহ পরানের (রাঃ) মাকে দিয়ে বললেন নাও। এটা আমি তোমাকেই দিলাম। একথা বলে উক্ত মহাপুরুষ অদৃশ্য হয়ে গেলেন।

হযরত শাহ পরান (রাঃ) এর মায়ের ঘুম ভেঙ্গে গেল। মসজিদ থেকে মুয়াজ্জিনের কন্ঠে ফজরের আযান ধ্বনি ভেসে এলো। তিনি উঠে নামায পড়ে তসবিহ তেলাওয়াতে বসলেন। একটু পর তাঁর স্বামী মসজিদ থেকে নামায পড়ে ফিরে এলে স্বামী মসজিদ থেকে নামায পড়ে ফিরে এলে স্বামীকে তাঁর স্বপ্নের বৃত্তান্ত খুলে বললেন। শুনে স্বামী বললেন, তিনিও আজ রাতে একই স্বপ্ন দেখেছেন। দু’জনে আনন্দ প্রকাশ করে আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করলেন। স্বামী বললেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ আমাদেরকে কিছু একটা আমানত প্রদান করবেন। এসো আমরা এক সাথে দোয়া করি। সে আমানত সংরক্ষণ ও প্রতিপালনের ক্ষমতা আল্লাহ যেন আমাদেরকে দেন। একথা বলার পর উভয়ে এক সাথে হাত তুলে আল্লাহর কাছে মোনাজাত করলেন। স্বপ্নের কথা আর কাউকে না বলার জন্য উভয়ে সিদ্ধান্ত নিলেন।



এই ঘটনার কিছুদিন পরেই হযরত শাহ পরানের মাতা গর্ভবর্তী হলেন। গর্ভাবস্থায়ই তিনি বিভিন্ন ধরনের অলৌকিক স্বপ্ন দেখতেন। সে সব স্বপ্ন দেখে তিনি আনন্দিত হতেন। প্রভূও দরবাওে শোকর করলেন। একদিন মধ্যরাতে তাঁর ঘুম ভেঙ্গে গেল। একটু পর তাঁর প্রসব বেদনা শুরু হলো। সোবেহ সাদেকের সময় হযরত শাহ পরান (রাঃ) এর জন্ম হলো। ভূমিষ্ট হওয়ার সময় শিশু হযরত শাহ পরান (রাঃ) এর কন্ঠ থেকে আল্লাহু আল্লাহু জিকির ধ্বনি উচ্চারিত হচ্ছিল। ধীরে ধীওে অলৌকিক ঘটনা প্রবহ মধ্যে দিয়ে বড় হতে লাগলেন। তাঁর বয়স যখন দশ বছর তখন তাঁর পিতাকে হারান। স্বামী হারা হয়ে তাঁর মাতা একমাত্র পুত্রকে নিয়ে অসহায় হয়ে পড়লেন। কিভাবে কি করবেন ইত্যাদি সাত পাঁচ দূর্ভাবনা তাঁকে অস্থিও করে তুললো। কিন্তু এ অবস্থায় বালক পুত্রই সান্তনা দিলেন তাঁর মাকে। বললেন, আসুন আম্মা আমরা আল্লাহর ওপর আস্থা রেখে ধৈর্য ধরে থাকি তারওপরে আস্থা শীল কোন ব্যক্তিকেই তিনি নিরাশ করেন না।

তৎকালীন বিশিষ্ট ওলীয়ে কামেল হযরত সৈয়দ কামাল উদ্দীনের (রাঃ) কাছে তাঁর মাতা তাঁর ইসলামী আলিমের ব্যবস্থা করেন। হযরত শাহ পরান (রাঃ) প্রখর মেধাশক্তিতে অল্প দিনের মধ্যেই তাঁর ওস্তাদের কাছ থেকে তফসির, ফিকহ, হাদিসসহ ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞানার্জন করেন। এরপর কিছুদিনের মধ্যে ধর্ম চিন্তার উচ্চ স্তর মারেফত তত্ত্বে জ্ঞান লাভ করেন। তারপর নিশাপুরের একজন জবরদস্ত বুজর্গ ব্যক্তি আবির্ভাব ঘটলে তার সাথে সাক্ষাৎ করেন। তাঁর কাছে থেকে আরও কামালিয়াত অর্জন করেন। কিন্তু কোলাহলময় লোকালয় তার পছন্দ নয়। আল্লাহর একদা এবাদতের জন্য তাঁর পছন্দ ছিল নির্জন নিরালাভূমি। তাই তিনি চলে গেলেন নিশাপুরের এক গহীন জঙ্গলে। সেখানে গিয়ে আল্লাহর ইবাদতে মগ্ন হলেন। এমনিভাবে কেটে গেল কয়েকটি বছর।

একদিন তিনি জানতে পারলেন তাঁর মামা হযরত শাহ জালাল (রহ.) এর হিন্দু স্থান অভিযানের কথা। তখন জঙ্গল থেকে বের হয়ে তিনি যোগ দিলেন মামার কাফেলায়। মামার সাথেই বিভিন্ন দেশ পরিভ্রমনের পর সিলেটে এসে পৌছালেন। সিলেট বিজয়ের পর হযরত শাহ জালাল (রহ.) তাঁকে তফর, হবিগঞ্জ, ইট প্রভৃতি স্থানে ইসলাম প্রচারের দায়িত্ব দিলেন। এ দায়িত্ব পালনকালে অধিকাংশ সময় তিনি মামার সান্নিধ্যে অবস্থান করতেন।


শিশুর আধুনিক, সুন্দর ও অর্থবহ নাম


হিন্দুস্থান যাত্রাপথে হযরত শাহজালাল (রহ.) দিল্লীতে হযরত নিজাম উদ্দিন আউলিয়ার (রহ.) আস্তানায় কিছুদিন অবস্থান করেছিলেন। সেখান থেকে বিদায়কালে হযরত নিজাম উদ্দিন আউলিয়া (রহ.) তাঁকে উপহার হিসেবে একজোড়া কবুতর প্রদান করেছিলেন। সিলেটে এসে হযরত শাহজালাল (রহ.) অতি যত্নের সাথে উক্ত কবুতর জোড়া পালন করতে থাকেন। ধীরে ধীরে এ কবুতরের বংশ বৃদ্ধি হতে থাকে। এ কবুতর জালালী কবুতর নামে এখনো সিলেটেসহ দেশের সর্বত্র পরিচিত। হযরত শাহজালালের (রহ.) প্রিয় মনে করে এ কবুতরের গোশত কেউ খায়না।

কিন্তু হযরত শাহ পরান এ কবুতর ধরে রান্না করে খাওয়া শুরু করলেন। প্রতিদিন অন্তত একটা কবুতর জবেহ করে আহার করেন। হযরত শাহ জালাল (রহ.) লক্ষ্য করলেন, তার কবুতরের সংখ্যা দিনে দিনে না বেড়ে বরং কমে যাচ্ছে। তিনি খবর নিয়ে জানতে পারলেন তাঁর ভাগিনা হযরত শাহ পরান (রহ.) এগুলো খাচ্ছেন এবং ইতোমধ্যে অনেকগুলো কবুতর খেয়ে ফেলেছেন।

একথা জেনে হযরত শাহ জালাল (রহ.) ভীষণ দুঃখ পেলেন। সাথে সাথেই একজন খাদেমের মাধ্যমে তিনি হযরত শাহ পরান (রহ.) কে তাঁর সাথে সাক্ষাত করার জন্য খবর পাঠালেন। খাদেম যখন হযরত শাহ পরান (রহ.) এর কাছে পৌছালেন তখন তিনি মোরাকাবায়রত ছিলেন। খাদেম তাঁকে হযরত শাহজালাল (রহ.) এখনই দেখা করতে বলেছেন, একথা বললে তিনি তার কারন জিজ্ঞাসা করলে খাদেম বিস্তারিত ঘটনা তাঁর কাছে খুলে বললেন। তখন তিনি বললেন, চিন্তার কোন কারন নেই। একটু অপেক্ষা করুন। আপনাদের সবগুলো কবুতর আমি এখনই ফিরিয়ে দিচ্ছি।



একথা বলে খাদেমসহ তিনি তাঁর ইবাদত খানার পার্শ্বে গমন করলেন। এতদিন তিনি যতগুলো কবুতর জবেহ করে তার গোশত খেয়েছেন সবগুলোর পালক সেখানে স্তুপ করে জমা হয়ে আছে। পালকগুলো দুহাতে উঠায়ে বাতাসে উড়িয়ে দিয়ে তিনি বললেন, হে কবুতর সকল, যাও- এখনই জিন্দা হয়ে তোমরা সবাই হরত শাহ জালালের (রহ.) দরবারে চলে যাও।

সাথে সাথে উক্ত পালকের স্তুপ হতে সাত-আটশত কবুতর তৈরী হয়ে ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে যেয়ে হযরত শাহ জালাল (রহ.) দরবারে হাজির হলো। এ ঘটনা দেখে হযরত শাহ জালাল (রহ.) আনন্দিত হয়ে ভাগিনাকে ডেকে নিয়ে বললেন, বাবা পরান আধ্যাত্মিক শক্তিতে তুমি উচ্চস্তরে পৌছে গেছো। অতএব আস্তানা থেকে একটু দুরে যেয়ে তুমি আস্তানা স্থাপন করে সেখানে অবস্থান করে তুমি আধ্যাত্মিক সাধনা ও ইসলাম প্রচারের কাজে নিজেকে ব্যাপৃত রাখো। মামার এ নির্দেশ মত সেখানেই প্রায় নয় কিলোমিটার দুরে খাদিম নগরে একটা টিলার উপর তিনি আস্তানা স্থাপন করলেন। মৃত্যুর পূর্ব মুহুর্তে পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করেই তিনি আধ্যাত্মিক সাধনা, ইসলাম প্রচার ও ভক্তদের সাক্ষাৎ দান করে গেছেন। উক্ত টিলার উপরেই তাঁর মাজার অবস্থিত।

উপসংহার

হযরত শাহ পরান (রহ.) ছিলেন মহান আল্লাহর একনিষ্ট বান্দা। আপন সাধনা কর্ম দিয়ে জীবনধারা এবং কর্মকীর্তি আজ ও উজ্জীবিত করে বিশ্বেও সর্ব ভূখন্ডের সকল মুসলমানকে। ওই মহৎ পবিত্র জীবন যাপনকারী ব্যক্তিদেরকে বিশেষ ভাবে জানার আগ্রহ ও আছে সকল ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের অন্তরে।



• IST-601 : Study of al Tafsir (Tafsir Ibn Kathir : Surah-al-Maieda verse 1 to 77) • IST-602 : Study of al-Fiqh • IST-603 : Philosophy of religion and Comparative Religion • IST-604 : History of Sufism in Bangladesh and some prominent • IST-605 : Trade, Commerce and Business Studies in Islam

বাউবি এমএ/এমএসএস প্রোগ্রামের রেগুলেশন

মাস্টার অব আর্টস (এমএ) ও মাস্টার অব সোশাল সায়েন্স (এমএসএস) প্রোগ্রামের রেগুলেশন

যেহেতু সামাজিক বিজ্ঞান, মানবিক ও ভাষা বিষয়সমূহের শিক্ষার্থীদের মাস্টার্স (Master’s) ডিগ্রি অর্জন করার সুযোগ সৃষ্টি করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়; যেহেতু মাস্টার্স পর্যায়ের ডিগ্রি একটি অগ্রসর পর্যায়ের ডিগ্রি এবং যেহেতু বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় আইনে দক্ষ জনগোষ্ঠী সৃষ্টির সাথে শিক্ষার মানের বিষয়টি জড়িত; সেহেতু বিষয়গুলো বিবেচনায় রেখে নিম্নরূপ রেগুলেশন প্রণয়ন করা হল:



১। শিরোনাম :

মাস্টার্স ডিগ্রি রেগুলেশন বা এমএ/এমএসএস ডিগ্রি রেগুলেশন (Regulation for Master of Arts / Master of Social Sciences )

২। প্রোগ্রাম :

ক) দুই ধরনের এমএ/এমএসএস ডিগ্রি প্রদান করা হবে :

i) ০৪ (চার) বছর মেয়াদি স্নাতক (সম্মান) প্রোগ্রামে উত্তীর্ণ ডিগ্রিধারীদের জন্য ০১ (এক) বছর মেয়াদি এমএ/এমএসএস ডিগ্রি, এবং

ii) ০৩ (তিন) বছর মেয়াদি স্নাতক (পাস) প্রোগ্রামে উত্তীর্ণ ডিগ্রিধারীদের জন্য ০২ (দুই) বছর মেয়াদি এমএ/এমএসএস ডিগ্রি।

খ)  যারা ০৩ (তিন) বছর মেয়াদি স্নাতক (পাস) ডিগ্রি অর্জন করেছে, তাদের জন্য এমএ/এমএসএস প্রোগ্রামটি ০২ (দুই) বছর মেয়াদি হবে। প্রথম বছর (০২ সিমেস্টার, প্রতি সিমেস্টার ৬ মাস) প্রারম্ভিক পর্ব (প্রথম পর্ব/প্রিলিমিনারি) হিসেবে বিবেচিত হবে। প্রারম্ভিক পর্বে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদেরকে ০২ (দুই) সিমেস্টারে নির্বাচিত বিষয় (Subject)-এর মোট ১২টি কোর্স (প্রতিটি ৩ ক্রেডিট করে) বা ৩৬ ক্রেডিট সম্পন্ন করতে হবে। ১২টি কোর্সের বন্টন নিম্নরূপ :

প্রারম্ভিক পর্ব (প্রথম পর্ব / প্রিলিমিনারি)

সিমেস্টারকোর্স সংখ্যাক্রেডিটনম্বর
১ম৬টি১৮৬০০
২য়৬টি১৮৬০০
 ১২টি৩৬১২০০

গ) ০৪ (চার) বছর মেয়াদি স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রিধারী এবং এমএ/এমএসএস খোজাঁনের প্রথম গর্বের জন্য নির্ধারিত সকল কোর্সে উত্তীর্ণ হওয়ায় পথ, একজন শিক্ষার্থী এমএ/এমএসএস প্রোহামের সমাপদী(ফাইনাল) পর্বের শিক্ষার্থী হিসেবে রেজিস্ট্রেশন করতে ও ভর্তি হতে পারনে।

Bangladesh Open University Logo

ঘ) এমএ/এমএসএস প্রোগ্রামের সমাপনী পর্বের (০২ সিমেস্টার, প্রতি সিমেস্টার ৬ মাস) জন্য নির্ধারিত ১০টি কোর্স (প্রতিটি ৪ ক্রেডিট করে) বা ৪০ ক্রেডিট সাফল্যের সাথে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরাই শুধুমাত্র এমএ/এমএসএস ডিগ্রি পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবে।

ঙ) ০৪ (চার) বছর মেয়াদি স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রিধারীদের সর্বোচ্চ ০২ (দুই) একাডেমিক বর্ষের (০৪ সিমেস্টার) মধ্যে এবং ০৩ (তিন) বছর মেয়াদি স্নাতক (পাস) ডিগ্রিধারীদের সর্বোচ্চ ০৪(চার) একাডেমিক বর্ষের (০৮ সিমেস্টার) মধ্যে এমএ/এমএসএস ডিগ্রির নির্ধারিত কোর্স সম্পন্ন করতে হবে।

চ) এমএ/এমএসএস ডিগ্রি অর্জনের জন্য একজন শিক্ষার্থীকে শেষ (সমাপনী) পর্বের জন্য নির্ধারিত ৪০ ক্রেডিট বা ১০ (দশ) টি কোর্সে (প্রতিটি ৪ ক্রেডিট করে) উত্তীর্ণ হতে হবে। ১০টি কোর্সের বণ্টন নিম্নরূপ :

শেষ (সমাপনী) পর্ব

সিমেস্টারকোর্সক্রেডিট সংখ্যানম্বর
১ম৫টি কোর্স২০৫০০
২য়৩টি কোর্স১২৩০০
১ টি কোর্সের সমমান মৌখিক পরীক্ষা১০০
১ টি কোর্সের সমমান থিসিস পেপার/নতুন একটি কোর্স১০০
 মোট ১০ টি৪০১০০০

ছ) স্কুল কর্তৃক সুপারিশকৃত এবং একাডেমিক কাউন্সিল কর্তৃক অনুমোদিত সামাজিক বিজ্ঞান, মানবিক ও ভাষা বিষয়গুলোতে এমএ/এমএসএস ডিগ্রি প্রদান করা হবে।

৩। ভর্তির যোগ্যতা :

ক) ০৩ (তিন) টি পাবলিক পরীক্ষার যথা, এসএসসি/সমমান, এইচএসসি/সমমান এবং বিএ/বিএসএস/বিকম/বিএসসি/সমমান পরীক্ষার যে কোনো দু’টিতে ন্যূনতম ২য় বিভাগ বা ২.৫০ জিপিএ/সিজিপিএ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীগণ আবেদন করতে পারবে। যে কোনো গ্রুপে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী আবেদন করতে পারবে।

খ) বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয় / কলেজ / সমমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে যে সব শিক্ষার্থী স্নাতক পাস/ অনার্স বা সমতুল্য ডিগ্রি অর্জন করেছে, তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি সমতুল্যতা নিরূপণ কমিটির মতামত/ সিদ্ধান্ত সাপেক্ষে এমএ/এমএসএস প্রথম ও শেষ পর্বে ভর্তি হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবে।

গ) এমএ/এমএসএস ভর্তি প্রক্রিয়া বাউবি আইনের অধীনে গঠিত ভর্তি কমিটির তত্ত্বাবধানে সম্পন্ন হবে।

৪। পরীক্ষা :

ক) এমএ/এমএসএস প্রোগ্রামের প্রথম পর্বের (প্রিলিমিনারি) ১২টি কোর্সের পরীক্ষা ০২ (দুই) সিমেস্টারে অনুষ্ঠিত হবে। প্রতি সিমেস্টারে ০৬টি কোর্সের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সমাপনী (শেষ) পর্বের ক্ষেত্রে প্রথম সিমেস্টারে ০৫ (পাঁচ) টি কোর্সের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় সিমেস্টারে ০৩ (তিন) টি কোর্সের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে, ০১ (এক) টি কোর্সের সমমানের থিসিস পেপার লিখতে হবে অথবা একটি নতুন কোর্স সম্পন্ন করতে হবে। ০১ (একটি) টি কোর্সের সমমানের মৌখিক পরীক্ষার অংশগ্রহণ করতে হবে। প্রতিটি কোর্সের লিখিত পরীক্ষার জন্য নির্ধারিত সময় হবে ০৪ (চার) ঘন্টা এবং নম্বর বন্টন হবে ১০০। ১০ টি রচনামূলক / ব্যাখ্যামূলক প্রশ্ন থেকে যে কোনো (০৫) পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।

খ) প্রতিটি উত্তরপত্র দু’জন পরীক্ষক দ্বারা মূল্যায়িত হবে এবং দু’জন পরীক্ষকের প্রদত্ত নম্বরের গড় প্রকৃত নম্বর হিসেবে বিবেচিত হবে। কোনো উত্তরপত্রের ক্ষেত্রে উক্ত পরীক্ষকদ্বয়ের প্রদত্ত নম্বরের মধ্যে ২০ এবং ২০-এর অধিক নম্বর বা ২০% ব্যবধান হলে তৃতীয় একজন পরীক্ষক যারা উত্তরপত্রটি মূল্যায়িত হবে। এক্ষেত্রে ৩য় পরীক্ষক কর্তৃক প্রদত্ত নম্বর এবং তার নিকটতম নম্বরের গড় নম্বরই চূড়ান্ত নম্বর হিসেবে বিবেচিত হবে।

গ) একাডেমিক কাউন্সিল অনুমোদিত গ্রেডিং সিস্টেম অনুসরণে পরীক্ষার ফলাফল প্রস্তুত করা হবে।

ঘ) পরীক্ষার উত্তরদানের মাধ্যম হবে বাংলা অথবা ইংরেজি। তবে ভাষা সংক্রান্ত বিষয় (Discipline)-এ সংশ্লিষ্ট ভাষাতেই উত্তরপত্র লিখতে হবে।

ঙ) এমএ/এমএসএস পরীক্ষা কমিটি বিষয় শিক্ষকদের সমন্বয়ে গঠিত হবে। স্কুলের মাধ্যমে প্রেরিত পাঠ্যক্রম কমিটির সভাপতির প্রস্তাবের ভিত্তিতে, একাডেমিক কাউন্সিল প্রতি পর্বের (০২ সিমেস্টার মিলে) জন্য ০৪ (চার) সদস্যের একটি পরীক্ষা কমিটি নিয়োগ দিবে। ০৪ (চার) জন সদস্যের মধ্যে ন্যূনতম ০১ (এক) জন বঞ্চি সদস্য হবেন। সহযোগী অধ্যাপক পদমর্যাদার নিম্নে নহেন এমন একজন সদস্য কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। তবে সহযোগী অধ্যাপক না থাকলে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের যে কোনো উপযুক্ত শিক্ষক পরীক্ষা কমিটির সভাপতি হবে।

চ) পরীক্ষা কমিটির সভাপতি, পরীক্ষা কমিটির সহায়তায় পরীক্ষা সংক্রান্ত কাজের সভা আহ্বান, প্রশ্নপত্র গ্রহণ, সমীক্ষণ(moderation), ফলাফল চূড়ান্তকরণ, থিসিস পেপারের বিষয় ও তত্ত্বাবধায়ক নির্ধারণ, ঘিসিস পেপার গ্রহণ এবং মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করবে।

ছ) পরীক্ষা কমিটি পাঠ্যক্রম কমিটি কর্তৃক সুপারিশকৃত এবং উপাচার্য কর্তৃক অনুমোদিত পরীক্ষক তালিকা থেকে উপাচার্যের নিকট প্রশ্নপত্র প্রণয়নকারী, উত্তরপত্র পরীক্ষক ও থিসিস মূল্যায়নকারীর নাম অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব করবে।

জ) প্রতিটি থিসিসের জন্য দুইজন মূল্যায়নকারী থাকবে।

ঝ) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের সহযোগিতায় পরীক্ষা সংক্রান্ত সকল কাজ পরীক্ষা কমিটি সম্পন্ন করবে।

ঞ) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক চূড়ান্ত পরীক্ষার ফলাফল একাডেমিক কাউন্সিল-এর অনুমোদন সাপেক্ষে প্রকাশ করবে।

৫। শিক্ষা পদ্ধতি:

ক) এমএ/এন এস এস যোধানের সকল একাডেমিক কর্মকাণ্ড পাঠ্যক্রম কমিটি ও স্কুল পদ্মামর্শে বাউনি-এর মূল ক্যাম্পাস, আঞ্চলিক কেন্দ্র ও নির্বাচিত স্টাডি সেন্টাৰে পরিচালিত হবে।

খ) পাঠ্যক্রম কমিটি কর্তৃক নির্ধারিত এবং একাডেমিক কাউন্সিল অনুমোদিত রেফারেন্স বইয়ের সহায়তায় শিক্ষার্থীরা নির্ধারিত বিষয়ে শিক্ষা গ্রহণ করবে। এমএ/এমএসএস প্রোগ্রামে বাউবি’র শিক্ষকগণ পাঠদান এবং প্রোগ্রাম পরিচালনার দায়িত্ব পালন করবো।

৬। বিবিধ :

ক) এই রেগুলেশন-এর কোন বিধান প্রয়োগের ক্ষেত্রে জটিলতা দেখা দিলে পাঠ্যক্রম কমিটির সভাপতি/ স্কুলের জীন/ পরীক্ষা কমিটির সভাপতি বিষয়টি উপাচার্যকে তাৎক্ষণিকভাবে অবহিত করবো এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে উপাচার্যের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।

খ) এই রেগুলেশন বিওজিতে অনুমোদিত হওয়ার পর দিন থেকে কার্যকর হবে এবং একই সাথে পূর্বে অনুমোদিত এমএ/এমএসএস রেগুলেশন বাতিল বলে বিবেচিত হবে।

ক্রেডিট

এক ক্রেডিট অর্থ হলো ১৫ ক্লাস-ঘন্টা পাঠ ও ১৫ ক্লাস-ঘন্টা বাড়ির কাজ সম্পন্ন করা। অর্থাৎ কোনো কোর্সের ক্রেডিট সংখ্যা ১ (এক) হওয়ার অর্থ হলো, সংশ্লিষ্ট কোর্সের জন্য শিক্ষার্থীকে ১৫ ক্লাস-ঘন্টা পাঠ ও ১৫ ক্লাস-ঘন্টা কোর্স সম্পর্কিত বাড়ির কাজ সম্পন্ন করতে হবে। সে-অনুযায়ী কোর্স সংখ্যা ৩ ক্রেডিট হলে ৪৫ ক্লাস-ঘন্টা পাঠ ও ৪৫ ক্লাস-ঘন্টা কোর্স সম্পর্কিত বাড়ির কাজ সম্পন্ন করতে হবে।

গ্রেড পয়েন্ট এভারেজ (জিপিএ) বা গড় মান নির্দেশক/সিজিপিএ

For every completed course, the marks obtained by a student in atendance & class performances, respective assignments/Term paper/Coure paper and semester-end examinations will be totaled and this total marks will be converted into Grade Point (GP) as per the following table:

Numerical GradeLetter GradeGrade Point
80% or aboveA+ (Aplus)4. 00
75% to less than 80%A ( A regular)3. 75
70% to less than 75%A- (A minus)3. 50
65% to less than 70%B+ (B plus)3. 25
60% to less than 65%B (B regular)3 00
55% to less than 60%B-(B minus)2. 75
50% to less than 55%C+ (Cplus)2. 50
45% to less than 50%C (C regular)2. 25
40% to less than 45%C- (C minus)2. 00
Less then 40%F (Fail)0. 00

Student will get individual GP for every completed course. After the of completion of a number of courses, the Grade Point Agerage (GP) of those completed courses will be calculated by using the following formula where the individual GP of every course and the respective credits of those courses will be taken into consideration:

Formula for Calculation of CGPA

CGPA =

হযরত শাহ আমানত (রহ.) এর জীবনী ও ইসলাম প্রচারে তার অবদান আলোচনা করুন।

প্রশ্ন: হযরত শাহ আমানত (রহ.) এর জীবনী ও ইসলাম প্রচারে তার অবদান আলোচনা করুন। বিষয়: IST-604 : History of Sufism in Bangladesh and Some Prominent কোর্স: এমএ ইন ইসলামিক স্টাডিজ (ফাইনাল)



হযরত শাহ আমানত (রহ.) এর জীবনী ও ইসলাম প্রচারে তার অবদান আলোচনা করুন।

ভূমিকা

বারো আউলিয়ার পূন্য এবং ধন্যভূমি চট্টগ্রাম আবাদ ও এখানে ইসলাম ধর্ম প্রতিষ্ঠিত হয় পীর আউলিয়া ফকির দরবেশের মাধ্যমে। সুদূর আরব এবং ভারত থেকে কিছু পীর আউলিয়া, ফকির, দরবেশ চট্টগ্রাম এসেছিলেন মানব কল্যাণ এবং ইসলাম প্রচারের জন্য। চট্টগ্রামে আগত পীর, আউলিয়া, ফকির-দরবেশদের মধ্যে হযরত বদর শাহ (রহ.), হযরত বায়েজিদ বোস্তামী (রহ.), হযরত শাহ মোহছেন আউলিয়া (রহ.), হযরত মোল্লা মিছকিন শাহ (রহ.), হযরত শেখ ফরিদ (রহ.) হযরত শাহ গরীব উল্লাহ শাহ (রহ.) শফি শাহ (রহ.), হযরত আনার উল্লাহ শাহজী (রহ.), হযরত শাহ চান্দ আউলিয়া (রহ.), হযরত শাহ আমানত (রহ.) সহ অসংখ্য পীর আউলিয়া রয়েছেন। তাদের আগমনে চট্টগ্রাম ধন্য হয়েছে।

হযরত শাহ আমানত (রহ.) এর জীবনী ও ইসলাম প্রচারে তার অবদান আলোচনা করুন।

হযরত শাহ আমানত (রহ.) এর জীবনী ও ইসলাম প্রচারে তার অবদান

চট্টগ্রামে আগত পীর আউলিয়া, ফকির দরবেশদের মধ্যে হযরত শাহ আমানত ছিলেন অন্যতম একজন। চট্টগ্রামের আধ্যাত্মিক বেলায়েত রক্ষা, ইসলাম ধর্ম প্রচার এবং মানব কল্যাণ করার জন্য তিনি সুদূর ভারত থেকে চট্টগ্রাম এসেছিলেন। হযরত শাহ আমানত (রহ.) এর চট্টগ্রামে আগমন সম্পর্কে সঠিক সময় জানা না গেলেও ধারণা করা হয় নিশ্চিতভাবে ১৭৯৩ খৃষ্ঠাব্দের পরে তিনি চট্টগ্রাম এসেছিলেন। ১৮০৬ খ্রিষ্ঠাব্দ পর্যন্ত তিনি জীবিত ছিলেন।

হযরত শাহ আমানত (রহ.) এর পূর্বপুরুষের নিবাস ছিল ইরাকে। তিনি বড় পীর হযরত আবদুল কাদের জিলানী (রহ.) এর বংশধর ছিলেন। তাঁর বাবার নাম হযরত নিয়ামত শাহ (রহ.)। ভারতের বিহারের প্রখ্যাত সাধক সূফী হযরত মোনামেয় পাকবাচ তাঁর ঘনিষ্ট আত্মীয় ছিলেন। তাঁর পূর্বপুরুষগণ বংশ পরম্পরায় বুজুর্গ ছিলেন। মোঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের আমলে প্রথম ভারতে ইসলাম প্রচারের ব্যাপারে পীর আউলিয়া, ফকির দরবেশগণ তত্পর ছিলেন।



তৎকালীন সময় ভারতের কাশ্মির, পাটনা, লৌক্‌ষ্ম, মুর্শিদাবাদ ছিল সূফী দরবেশদের মিলন ক্ষেত্র। এসব স্থান থেকে সূফী দরবেশগণ বিভিন্ন স্থানে ধর্ম প্রচারের জন্য বেরিয়ে পড়তেন। সেসময়ে মহান সাধক সূফী হযরত শাহ আমানত (রহ.) ইসলাম ধর্ম প্রচার এবং আল্লাহর সাধনায় নিজেকে নিবেদন করেছিলেন। সংসারের সমস্ত মায়ামমতা ত্যাগ করে তিনি আধ্যাত্বিক জ্ঞান অর্জনের জন্য বিহার থেকে কাশ্মির চলে যান। কাশ্মিরে গিয়ে তিনি প্রখ্যাত সাধক পীর হযরত শহীদ (রহ.) এর শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। দীর্ঘ ১২ বছর তিনি তাঁর পীরের কাছে অবস্থান করে আধ্যাত্বিক জ্ঞান অর্জন এবং সাধনা করে আধ্যাত্বিক জগতের শীর্ষ অবস্থানে পৌঁছে যেতে পেরেছিলেন। তাঁর পীর তাঁকে বেলায়েতের সমস্ত ক্ষমতা প্রদান করেন এবং তাঁকে ইসলাম ধর্ম প্রচার এবং মানব কল্যাণের পথে নিজেকে নিয়োজিত করার উপদেশ দেন। হযরত শাহ্ আমানত (রহ.) চট্টগ্রামের বেলায়েত রক্ষা এবং ইসলাম প্রচারের জন্য সুদূর বিহার থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন।

তিনি চট্টগ্রামে এসে নিজের পরিচয় গোপন রেখে চট্টগ্রামের কোর্ট বিল্ডিং এ পাখা টানার চাকুরী গ্রহণ করেন। দিনের বেলায় তিনি চট্টগ্রামের কোর্ট বিল্ডিং এ চাকুরী করতেন আর রাতের বেলায় লালদীঘির পূর্ব পারস্থ নিজস্ব ছোট্ট কুঠিরে আল্লাহর ধ্যানে মশগুল থকাতেন। তিনি চট্টগ্রামে অবস্থান কালে ইসলাম প্রচারের কাজ করতেন এবং মানবকল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন। তিনি সব সময় দুঃস্থ অসহায়ের সাহায্যে এগিয়ে যেতেন। তিনি সাধাসিধে জীবন যাপন করতেন। তাঁর আচার ব্যবহার, চলাফেরা, কথাবার্তায় অমায়িকভাব থাকার কারণে লোকজন তাঁকে মিয়া সাহেব বলে সম্বোধন করতেন। অল্প আহার অধিক এবাদত করা ছিল তার করণীয় কার্যাবলীর মধ্যে অন্যতম। ভক্তদের তিনি হালাল উপার্জন, সৎ জীবন যাপন, সংযমী এবং এবাদতে মশগুল থাকার পরামর্শ দিতেন।



মানব কল্যাণ করতে গিয়ে তাঁর প্রচন্ড আধ্যাত্নিক শক্তি প্রকাশ পায়। তাঁর আধ্যাত্নিক শক্তির পরিচয় পাওয়ার পর তিনি আর চট্টগ্রামের কোর্ট বিল্ডিং এ চাকুরী করতে পারেননি। তিনি চাকুরী ছেড়ে ইসলাম ধর্ম প্রচার এবং মানব কল্যাণে নিজেকে পুরোপুরিভাবে নিয়োজিত করেন। তাঁর জ্যোর্তিময় চেহারা দেখে মানুষ মোহিত হয়ে যেত। দলে দলে তাঁর কাছে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করার জন্য দূর দূরান্ত থেকে লোক আসতে থাকে। তিনি কাউকে জোর করে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করতে বাধ্য করেননি। তিনি ধনী গরীবের মধ্যে কোন সামাজিক ব্যবধান সহ্য করতে পারতেন না। কষ্টার্জিত আয়ের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে আল্লাহর এবাদতে মশগুল থাকাটা তিনি বেশী পছন্দ করতেন। তিনি সব সময় এহরামের কাপড়ের মত সাদা কাপড় পড়তেন।

চট্টগ্রামে দীর্ঘদিন অবস্থান করে ইসলাম এবং মানবতার কল্যাণ করে ১১৮৭ হিজরীর ৩১ জেলক্বদ তারিখে ১২৫ বছর বয়সে ইন্তেকালের পর তাঁকে লালদীঘির পূর্বপারস্থ খানখাহ শরীফে দাফন করা হয়।

উপসংহার

চট্টগ্রামের সূফিদের আসন কখনো খালি ছিলনা এখনো খালি নেই। রাজা বাদশাহরা যেমন পার্থিব ব্যাপারে রাজত্ব করেন তেমনি সূফীদের মতে সূফীরা ধর্মরাজ্যের রাজা। সূফীরা পৃথিবীর সব ধরণের বিপদ আপদ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করেন। তাঁরা আল্লাহর প্রিয় পাত্র হওয়ায় আল্লাহ তাঁদের সুপারিশ গ্রহণ করেন।



• IST-601 : Study of al Tafsir (Tafsir Ibn Kathir : Surah-al-Maieda verse 1 to 77) • IST-602 : Study of al-Fiqh • IST-603 : Philosophy of religion and Comparative Religion • IST-604 : History of Sufism in Bangladesh and some prominent • IST-605 : Trade, Commerce and Business Studies in Islam

Carrot: Health Tips From Nutrition Professionals

Hey there, friend! Today, let’s talk about the unsung hero of the vegetable world: the carrot. Those bright orange beauties aren’t just for Bugs Bunny – they’re packed with nutrients that can do wonders for your health. And who better to learn from about the benefits of carrots than nutrition professionals? Let’s dive in and uncover some insider tips on why you should make carrots a regular part of your diet.

Why Carrots Are Awesome

First things first, why are carrots so awesome? Well, let me break it down for you:

  • Loaded with Nutrients: Carrots are like nature’s multivitamin. They’re chock-full of vitamins and minerals, including vitamin A, vitamin K, potassium, and fiber.
  • Good for Your Eyes: Remember when your mom told you carrots would help you see in the dark? Well, she wasn’t totally wrong. Carrots are rich in beta-carotene, which is converted into vitamin A in your body and is essential for good vision.
  • Heart-Healthy: Eating carrots may help lower your risk of heart disease. They contain antioxidants like beta-carotene and lutein, which can reduce inflammation and improve heart health.
  • Support Weight Loss: If you’re trying to shed a few pounds, carrots can be your best friend. They’re low in calories and high in fiber, making you feel full and satisfied without packing on the pounds.

Tips Straight from the Pros

Now that we’ve established why carrots rock, let’s get some insider tips from the nutrition gurus:

1. Eat Them Raw for Maximum Benefits

Raw carrots are like crunchy little powerhouses of nutrition. When you eat them raw, you preserve all the vitamins, minerals, and enzymes that can be lost during cooking. So, next time you’re feeling snacky, reach for some baby carrots or slice up a crunchy carrot stick.

2. Pair Them with Healthy Fats

Want to supercharge the absorption of those fat-soluble vitamins in carrots? Pair them with healthy fats! Dip your carrot sticks in hummus, guacamole, or tzatziki for a tasty and nutritious snack that will keep you full and satisfied.

3. Get Creative with Cooking

While raw carrots are fantastic, don’t be afraid to get creative in the kitchen. Roast them with a drizzle of olive oil and a sprinkle of herbs for a delicious side dish. Or toss them into soups, stews, and stir-fries for an extra boost of flavor and nutrition.

4. Juice Them Up

If you’re not a fan of munching on raw carrots, why not juice them instead? Carrot juice is a delicious and refreshing way to get all the nutrients without the crunch. Plus, you can mix it with other fruits and veggies for a custom blend that suits your taste buds.

5. Don’t Forget About the Greens

Did you know that carrot tops are edible too? Yup, those leafy greens are packed with nutrients like vitamin K, potassium, and calcium. Don’t toss them out – chop them up and toss them into salads, smoothies, or pesto for an extra nutritional boost.

Final Thoughts

So there you have it, my friend – the lowdown on carrots straight from the nutrition experts. Whether you’re munching on them raw, cooking them up in a delicious dish, or juicing them into a refreshing beverage, carrots are a nutritional powerhouse that deserves a spot on your plate. So next time you’re at the grocery store, grab a bunch of carrots and get creative in the kitchen. Your body will thank you for it!

হযরত খাজা মইনউদ্দিন চিশতী (রহ.) এর জীবনী ও ইসলাম প্রচারে তার অবদান আলোচনা করুন।

প্রশ্ন: হযরত খাজা মইনউদ্দিন চিশতী (রহ.) এর জীবনী ও ইসলাম প্রচারে তার অবদান আলোচনা করুন। বিষয়: IST-604 : History of Sufism in Bangladesh and Some Prominent কোর্স: এমএ ইন ইসলামিক স্টাডিজ (ফাইনাল)



হযরত খাজা মইনউদ্দিন চিশতী (রহ.) এর জীবনী ও ইসলাম প্রচারে তার অবদান আলোচনা করুন।

ভূমিকা

যুগে যুগে যেখানে মুসলমানগণ হয়েছে নির্যাতিত অথবা ইসলাম ধর্ম হয়েছে দূর্বল, কুলষিত কিংবা আক্রান্ত, পরম করুনাময় আল্লাহ তায়ালার ইচ্ছেতে সেখানেই আর্বিভূত হয়েছেন এসব আউলিয়া দরবেশগণ। তাঁদের পবিত্র সাধনা ও আধ্যাত্মিকগণ। তাঁদের পবিত্র সাধনা ও আধ্যাত্মিক কর্মে মুসলমানরা লাভ করেছেন আবার নতুনভাবে আত্মপরিচিতি। বলীয়ান হয়েছে নতুন করে তৌহিদ ও রেছালতের তেজে। তাঁদের হাতেই সমৃদ্ধ প্রসার ঘটেছে ইসলাম প্রচারের পরিসীমার।

হযরত খাজা মইনউদ্দিন চিশতী (রহ.) এর জীবনী ও ইসলাম প্রচারে তার অবদান আলোচনা করুন।

হযরত খাজা মইনউদ্দিন চিশতী (রহ.) এর জীবনী

সুলতান-উল-হিন্দ, খাজা মইনুদ্দিন চিশতী হলেন চিশতীয় ধারার ভারতীয় উপমহাদেশের সবচেয়ে বিখ্যাত সুফি সাধক। নিম্নে তার জীবনী বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-

প্রারম্ভিক জীবন ও নেপথ্য

খাজা মইনুদ্দিন চিশতী ৫৩৭ হিজরী/১১৩৮ খ্রিষ্টাব্দে পূর্ব পারস্যের শকস্থান রাজ্যের চিশতীতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি পারস্যে বেড়ে উঠেন। পনেরো বছর বয়সে তার পিতা-মাতা মৃত্যুবরণ করেন। তিনি তার পিতার কাছ থেকে একটি বাতচক্র (উইন্ডমিল) ও একটি ফলের বাগান উত্তরাধিকারসূত্রে লাভ করেন। কিংবদন্তী অনুসারে, একদিন তিনি তার ফলবাগানে জল দিচ্ছিলেন তখন তার ফলবাগানে আসেন বিখ্যাত সুফি শেখ ইবরাহিম কুন্দুজী (কুন্দুজী নামটি জন্মস্থান কুন্দুজ থেকে এসেছে)। যুবক মইনুদ্দিন তটস্থ হয়ে যান এবং কুন্দুজীকে কিছু ফল দিয়ে আপ্যায়ন করেন। এর প্রতিদানস্বরূপ কুন্দুজী মইনুদ্দিনকে এক টুকরা রুটি দেন ও তা খেতে বলেন। এরপর তিনি তার সম্পত্তি এবং অন্যান্য জিনিসপত্র গরীবদের মাঝে বিতরণ করে দেন। এরপর তিনি বিশ্বের মায়া ত্যাগ করে জ্ঞানার্জন ও উচ্চ শিক্ষার জন্য বুখারার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।



সুফি দীক্ষা

খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী বোখারা থেকে নিশাপুরে আসেন। সেখানে চিশতীয়া তরীকার অপর প্রসিদ্ধ সুফি সাধক খাজা উসমান হারুনীর নিকট মুরীদ হন/শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। তার সেবায় ২০ বছর একাগ্রভাবে নিয়োজিত ছিলেন। পরে উসমান হারুনী তাকে খিলাফত বা সুফি প্রতিনিধিত্ব প্রদান করেন।

ভ্রমণ

খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী বহু দেশ ভ্রমণ করেন। তৎকালীন বিভিন্ন জ্ঞানী, গুণী, পন্ডিত, দার্শনিকসহ অসংখ্য সুফি সাধকের সাথে সাক্ষাত করেন বলে নানা গ্রন্থে তথ্য পাওয়া যায়। তিনি ইরাকের বাগদাদে আবদুল কাদির জিলানীর সাহচর্যে ৫৭ দিন অবস্থান করেন। তার জীবনীতে বর্ণিত আছে যে, এ সময় আব্দুল কাদির জিলানী তাকে উদ্দেশ্য করে বলছিলেন, ইরাকের দায়িত্ব শায়েক শিহাবুদ্দীন সোহরাওয়ার্দীকে আর হিন্দুস্থানের দায়িত্ব আপনাকে দেওয়া হলো। তিনি আরব হতে ইরাক, ইরান, আফগানিস্তান হয়ে প্রথমে লাহোর পরে দিল্লী হয়ে আজমিরে বসতি স্থাপন করেন।

ধর্ম প্রচার

খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলাম প্রচারে কিংবদন্তিতুল্য একজন ঐতিহাসিক সুফি ব্যক্তিত্ব। তিনি স্বীয় পীর উসমান হারুনীর নির্দেশে ভারতে আগমন করে মানুষকে ইসলামের দাওয়াত দেন এবং তারই মাধ্যমে বহু লোক ইসলাম গ্রহণ করেন। তার বিখ্যাত একটি গ্রন্থ হল “আনিসুল আরওয়াহ”।



খেলাফত প্রদান

তিনি কুতুবুদ্দীন বখতিয়ার কাকীকে খিলাফতের দায়িত্ব অর্পণ করে সিলসিলার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখেন।

মৃত্যু

খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী ৬৩৩ হিজরীর ৫ রজব দিবাগত রাত অর্থাৎ ৬ রজব সূর্যোদয়ের সময় ইনতিকাল করেন। তখন তার বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। বড় ছেলে খাজা ফখরুদ্দীন চিশতী তার নামাজে জানাজায় ইমামতি করেন। প্রতিবছর ১লা রজব হতে ৬ রজব পর্যন্ত আজমির শরীফে তার সমাধিস্থলে ওরস অনুষ্ঠিত হয়। নানা ধর্ম, বর্ণ ও গোত্রের মানুষ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ হতে সমবেত হয়।

ইসলাম প্রচারে হজরত খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী (রহ.)

হজরত খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী মধ্য এশিয়ার খোরাসানের অন্তর্গত ইরান ও আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী জেলার সঞ্জর নামক গ্রামে ১১৩৮ ইংরেজী ৫৩৭ হিজরীতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম সৈয়দ খাজা গিয়াস উদ্দিন, মাতার নাম সৈয়দা উম্মুল ওয়ারা মাহেনুর। পিতার দিক থেকে তিনি শেরে খোদা হজরত আলির চতুর্দশতম এবং মাতার দিক থেকে তিনি হজরত ফাতেমার দ্বাদশতম বংশধর। তার যখন পনের বছর হয় তখন তার পিতা ও মাতা মৃত্যু বরণ করেন।



হজরত খাজা মঈনুদ্দীন চিশতি প্রথমে তার পিতার নিকট থেকে দ্বিনী শিক্ষা অর্জন করেন। তিনি সাত কিংবা নয় বছর বয়সে পবিত্র কোরআন তরজামাসহ মুখস্ত করেন। অতঃপর ১৩ বছর পর্যন্ত পিতার সার্বিক তত্ত্বাবধানে কোরআন, হাদিস, ফিকাহ, উসুল, তাফসির, আরবী, সাহিত্য ব্যাকরণ, মানতিক, হিকমত দর্শন ইত্যাদি বিষয়ে জ্ঞান লাভ করেন। তাছাড়া তিনি প্রখ্যাত মুহাদ্দিস হজরত হুসামুদ্দীন (রহঃ) এর নিকট দীর্ঘ ৫ বছর অধ্যায়ন করেন।

হজরত মঈনুদ্দীন চিশতী (রহ.) ১৫ বছর বয়সে ইলমে তাসাওফ সম্পর্কিত মূল্যবান একটি গ্রন্থ প্রণয়ন করেছিলেন, তিনি তাসাওফ তত্ত্বে অগাধ জ্ঞান অর্জনের জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠলেন। তারপর তার ওস্তাদ হযরত হিসাম উদ্দীন বুখারী এর নির্দেশ ক্রমে তিনি হজরত খাজা ওসমান হারুনী (রহ:)-এর কাছে মুরিদ হতে যান। নিশাপুরের কাছে হারুন নামের একটি ছোট শহরে বাস করতেন এই মহাসাধক হজরত ওসমান হারুনী (রহ:)। তিনি ছিলেন শরীফ জিলানী-এর মুরিদ ও প্রধান খলিফা। তার কাছে হিজরী ৫৬০ সালের ১১ শাওয়াল বুধবার যোহরের নামাজের পর খাজা মাঈনুদ্দীন চিশতি (রহ:) মুরিদ হয়েছিলেন। মুরিদ হওয়ার ২.৫ বছর পর হজরত ওসমান হারুনী (রহ:) তাকে খেলাফত দান করেন।


শিশুর আধুনিক, সুন্দর ও অর্থবহ নাম


হজরত ওসমান হারুনী তাকে চার কোনা বিশিষ্ট একটি টুপি পড়িয়ে দেয়, টুপিটি তিনি তার পিপির শরীফ পির শরীফ জিলানী-এর জিলানী-এর কাছ থেকে প্রাপ্ত হয়েছিলেন। হজরত খাজা মঈনুদ্দিন চিশতী (রহ:) বহু দেশ সফর করেছেন। সফর করার পূর্বে কঠোর ইবাদাত বন্দেগী এবং মুরাকাবা মুশাহাদা করেছিলেন। তিনি হজ্জ পালন করেন। সফররত অবস্থায় হজরত মঈনুদ্দীন চিশতী (রহ:) বহু পীর ওলীর সান্নিধ্য লাভ করেছিলেন এমনকি স্বয়ং গাওসে পাক হজরত বড় পীর আব্দুল কাদের জিলানী (রহ:)- এর সান্নিধ্য প্রাপ্ত হয়েছিলেন এবং ৫৭ দিন তার সাথে অবস্থান করেন। গাওছে পাক তাকে বলেছিলেন, ইরাকের বেলায়ত সাহাবুদ্দিন সরোওয়ার্দীকে দান করা হয়েছে, আর তোমাকে প্রদান করা হয়েছে হিন্দু স্থানের বেলায়ত। এই সংবাদ নিজ পীর খাজা ওসমান হারুনীর সাথে মদিনায় অবস্থান ও জিয়ারত কালে নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর পক্ষ থেকে পেয়েছিলেন।

হজরত মঈনুদ্দীন চিশতী (রহ:) ৫৮৬ সালে মাত্র ৪০জন সফর সঙ্গীকে নিয়ে হিন্দুস্থানে আসেন। এরপর বিরতিহীনভাবে বিভিন্ন ধর্মালম্বীদের কাছে ইসলামের দাওয়াত দেন। তিনি আরব হতে ইরাক, ইরান, আফগানিস্তান হয়ে প্রথমে লাহরে পরে দিল্লি হয়ে আজমিরে আগমন করেন। আজমিরে পৌঁছালে সেই সময়ের হিন্দু রাজা পৃথ্বি রাজের প্রতিরোধের মুখে পড়েন। পৃথ্বিরাজ খাজা মঈনুদ্দীনকে উৎখাত করার জন্য বিখ্যাত যাদুকর রামেদেওকে পাঠান, কিন্তু যাদুকর রামেদেও খাজার অত্যাধিক শক্তির কাছে নতস্বীকার হয়ে মুসলান হয়ে নাম রাখেন মোহাম্মদ সাতাফি।

হজরত খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী (রহ:) ছিলেন দরদি মনের মানুষ এবং চরিত্র ও তার আখলাক ছিল মহাশক্তি এবং অমোঘ অস্ত্র যেই কারণেই জাতী ধর্ম নির্বিশেষে সকলেই তার সংশ্রবে এসে আকৃষ্ট হয়ে পড়ত এবং তাকে আন্তরিক ভক্তি ও শ্রদ্ধা করত।

উপসংহার

খাজা মইনুদ্দিন চিশতী হলেন চিশতীয় ধারার ভারতীয় উপমহাদেশের সবচেয়ে বিখ্যাত সুফি সাধক। তিনি ১১৩৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন ও ১২৩৫ সালে পরলোকগমন করেন। তিনি গরিবে নেওয়াজ নামেও পরিচিত। মইনুদ্দিন চিশতীই উপমহাদেশে প্রথম এই ধারা প্রতিষ্ঠিত ও পরিচিত করেন। তিনি ভারতে চিশতী ধারার মাধ্যমে আধ্যাত্মিক ধারা বা সিলসিলা এমনভাবে পরিচিত করেন; পরবর্তীতে তার অনুসারীরা যেমন, কুতুবউদ্দিন বখতিয়ার কাকী, বাবা ফরিদ, নিজামুদ্দিন আউলিয়াসহ (প্রত্যেকে ক্রমানুযায়ী পূর্ববর্তীজনের শিষ্য) আরো অনেকে ভারতের ইতিহাসে সুফি ধারাকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যান।



• IST-601 : Study of al Tafsir (Tafsir Ibn Kathir : Surah-al-Maieda verse 1 to 77) • IST-602 : Study of al-Fiqh • IST-603 : Philosophy of religion and Comparative Religion • IST-604 : History of Sufism in Bangladesh and some prominent • IST-605 : Trade, Commerce and Business Studies in Islam

হযরত শাহ আলী বাগদাদী (রহ.) এর জীবনী ও ইসলাম প্রচারে তার অবদান আলোচনা করুন।

প্রশ্ন: হযরত শাহ আলী বাগদাদী (রহ.) এর জীবনী ও ইসলাম প্রচারে তার অবদান আলোচনা করুন। বিষয়: IST-604 : History of Sufism in Bangladesh and Some Prominent কোর্স: এমএ ইন ইসলামিক স্টাডিজ (ফাইনাল)



হযরত শাহ আলী বাগদাদী (রহ.) এর জীবনী ও ইসলাম প্রচারে তার অবদান আলোচনা করুন।

ভূমিকা

তৎকালীন পাক-ভারত উপমহাদেশে সুদূর আরবাঞ্চল হতে ধর্ম প্রচারার্থে আসা অন্যতম উল্লেখযোগ্য সুফি ব্যক্তিত্ব হযরত শাহ আলী বাগদাদী (রহ.)। তিনি একশত সঙ্গী নিয়ে এই অঞ্চলে আগমন করেন। তার নামানুসারে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার অদূরে মিরপুর-এক নম্বর নামক স্থানে শাহ আলীর মাজার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে জাতি-ধর্ম র্নিবিশেষে পূণ্যার্থে প্রতিদিন শতশত নারী-পুরুষের সমাবেশ ঘটে।

হযরত শাহ আলী বাগদাদী (রহ.) এর জীবনী ও ইসলাম প্রচারে তার অবদান আলোচনা করুন।

হযরত শাহ আলী বাগদাদী (রহ.) এর জীবনী

  • জন্ম: শাহ আলীর জন্ম, দিল্লী ও বাংলাদেশ আগমন এবং মৃত্যু নিয়ে ঐতিহাসিকগণের মধ্যে রয়েছে মতভেদ। তবে সকলের ঐকমতের বিষয়টি হল: শাহ আলীর জন্ম বাগদাদের ফোরাত নদীর তীরবর্তী একটি এলাকা কসবাতে জন্মগ্রহণ করেন।
  • বংশ পরিচিতি: তিনি হযরত আলী (রঃ)’র বংশধর। হযরত ইমাম হোসাইন হতে ইমাম আলী নকীর পিতা পর্যন্ত তার পূর্বপুরুষগনের মধ্যে সকলেই বসবাস করতেন মদিনায়। তার বংশ হতে শাহ ছৈয়দ সুলতান আলী সর্বপ্রথম বাগদাদে আসেন যিনি ছিলেন ইমাম আলী নকীর ছোট ভাই। পরবর্তীতে তিনি দিল্লীর সুলতাদের আতিথ্য গ্রহণ করেছিলেন। বাগদাদের বাদশাহ সৈয়দ ফখরুদ্দিন রাজির জ্যেষ্ঠপুত্র ছিলেন শাহ্ আলী বাগদাদী।
  • তরীকার ধারা: পূর্ব হতে তিনি কাদেরীয়া তরীকা অনুসরণ করে থাকলেও সমসাময়িককালে ঢাকা ও তৎসংলগ্ন এলাকার প্রসিদ্ধ চিস্তিয়া ছুফি শাহ মোহাম্মদ বাহারের আস্তানায় গিয়ে তার নিকট চিশতিয়া তরিকা মোতাবেক বায়াত গ্রহণ করেন। অতপর তিনি পীরের নির্দেশে ঢাকায় ইসলাম প্রচারকালে মিরপুরের এক স্থানে একটি জরাজীর্ণ মসজিদের সন্ধান পান সে মসজিদ সংলগ্ন স্থানটিকে তার ইবাদত বন্দেগীর স্থান হিসাবে গ্রহণ করেন।


  • মৃত্যু: পরবর্তীকালে ফার্সি ভাষায় খোদাই করা একটি শিলালিপি উক্ত মাসজিদে পাওয়া যায়। ঐতিহাসিক গুরুত্ববাহী ঐ শিলালিপিতে পাওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে ধারনা করা হয় শাহ আলী বোগদাদী ১৫৭৭ সালে মোগল আমলে মৃত্যুবরণ করেন। সন্ধান পাওয়া ঐ ধ্বংস প্রায় জরাজীর্ণ সমজিদে চর্তুদিকে বন্ধ অবস্থায় চল্লিশদিনের চিল্লা ব্রত পালন কালে তিনি নিহত হন।

ইসলাম প্রচারে হযরত শাহ আলী বাগদাদী (রহ.) এর অবদান

শিয়া এবং সুন্নীদের ধর্ম বিরোধের সময় তিনি বাগদাদ নগরী হতে প্রস্থান করেন। অন্যদিকে দিল্লীর শাসকদের মধ্যে যখন ক্ষমতার দ্বন্দ্ব চরমাকার ধারণ করে তখন দিল্লীও ত্যাগ করেন। তিনি বাগদাদ হতে আসার পথে শেষ নবী হযরত মোহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর মুই মোবারক (পবিত্র কেশধাম), হযরত হোসাইনের জুলফ, আবদুল কাদির জিলানীর পিরহান্ বংশগত উত্তরাধিকার হিসাবে সাথে এনেছিলেন।



১৪৮৯ সালে শাহ আলী বোগদাদী বাংলায় পর্দাপন করেন। দিল্লী হতে তিনি প্রথমে ফরিদপুরের গেদ্দায় নামক স্থানে আসেন। অতপর ঢাকার আশে-পাশে ইসলাম প্রচার শুরু করেন। এমতাবস্থায় শাহ আলী বোগদাদী যখন মিরপুরাঞ্চলে এসে উপস্থিত হন তখন সেখানে ঐ জরার্জীর্ন অবস্থায় প্রায় ধংসোন্মুখ মসজিদটি দেখতে পান। বাহিরে তার অনুসারীগণ অবস্থান করলেও তিনি মসজিদের দরজা বন্ধ করে ভিতরে একা ৪০ দিনের মেয়াদে চিল্লায় বসেন। ভিতরে যতকিছুই হোক না কেন, তিনি তার মুরীদগণকে চিল্লার চল্লিশ দিন পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত কোন অবস্থায়ই ভিতরে প্রবেশ করতে নিষেধ করেছিলেন। চিল্লার শেষ পর্যায়ে ৩৯ তম দিনে ভিতর হতে ভয়ংকর অওয়াজ ভেসে আসতে থাকে। যাতে মনে হচ্ছিল ভিতরে দুইট সত্ত্বার মধ্যে তুমুল লড়াই হচ্ছে। একা পক্ষ আর্তচিৎকার করছে। ফলে অসহায় হয়ে তার অনুসারীগণ দরজা ভেঙ্গে ফেলেন। দরজা ভাঙ্গার সাথে সাথে ভিতরের আওয়াজও বন্ধ হয়ে যায়। অথচ সেখানে তারা তার রক্তাক্ত ছিন্ন বিচ্ছিন্ন দেহ ছাড়া আর কিছুই দেখতে পাননি। সে সাথে একটি দৈববানী শুনতে পান যাতে বলা হয়, ‘যেখানে পড়ে আছে সেখানেই দাফন কর’। অতপর তাকে উক্ত মসজিদের ভিতরেই দাফন করা হয়। তখন হতে এ মসজিদটি তার দরগা শরীফে পরিণত হয়। সাধারণত আর কোন ছুফি-দরবেশের এরুপ মাজার কোথাও চোখে পড়েনা। তৎকালীন বাদশাহ নাসিরুল মুলক-এর আমলে হিজরী ১২২১ সালে (প্রায় ১৮০৭ ইং) মুহম্মদী শাহ নামক অপর এক ছুফি ব্যক্তিত্ব উক্ত দরগা শরীফকে তৃতীয় বারের মত পূণ নির্মাণ করেন।



শাহ আলী বোগদাদীর মাজার যে মসজিদে অবস্থিত তা তার নামে শাহ আলী মসজিদ হিসাবে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করলেও মূলত তা তার আগমনপূর্ব একটি ঐতিহাসিক মসজিদ। দিল্লী সম্রাট কর্তৃক মিরপুরে এ মসজিদটি নির্মিত হয়। একটি ঐতিহাসিক সূত্র হতে জানাযায়, বাংলার স্বাধীন সুলতান শামসুদ্দীন ইউসুফ শাহের রাজত্বকালে (১৪৭৪-১৪৮১) এ অঞ্চলের গভর্নর জহিরউদ্দীন খান হিজরি ৮৮৫ সাল মোতাবেক ১৪৮০ খৃষ্টাব্ধে এটি নির্মাণ করেন। ঢাকায় আদি ইট নির্মিত যে সকল পুরার্কীতি বা ঐতিহাসিক স্থাপত্য দেখা যায় তার মধ্যে বিনতা বিবির মসজিদটি (১৪৫৭) সর্বপ্রথম নির্মিত হয়। এরপরই নির্মিত হয় শাহ আলীর মসজিদ।

উপসংহার

ইসলাম প্রচারে হযরত শাহ আলী বাগদাদী (রহ.) এর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ঢাকার মিরপুরে শাহ আলী বাগদাদীর নামানুসারে শাহ আলী থানা ও শাহ আলী মহিলা কলেজ নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও রয়েছে।



• IST-601 : Study of al Tafsir (Tafsir Ibn Kathir : Surah-al-Maieda verse 1 to 77) • IST-602 : Study of al-Fiqh • IST-603 : Philosophy of religion and Comparative Religion • IST-604 : History of Sufism in Bangladesh and some prominent • IST-605 : Trade, Commerce and Business Studies in Islam

How Does High Temperature Affect Skin Health And Aging? A Review By Doctors

Hey there! Have you ever wondered why your skin acts differently when it’s hot outside? Or why spending too much time in the sun can make you look older? Well, let’s dive into the science behind it all!

Understanding the Heat-Skin Connection

So, picture this: it’s a scorching summer day, and you’re sweating buckets. Your skin is working hard to keep your body cool, but what’s happening beneath the surface? Here’s the lowdown:

Sweat, Sweat, Sweat!

When the temperature rises, your body kicks into gear and starts sweating. Sweat is like your body’s built-in air conditioning system. As it evaporates from your skin, it cools you down. But here’s the kicker: excessive sweating can actually strip your skin of its natural oils, leaving it dry and vulnerable.

Inflammation Alert!

Ever noticed how your skin can look a little red and irritated after a day in the sun? That’s because high temperatures can trigger inflammation. Your blood vessels dilate to release heat, which can lead to redness and sensitivity. Not fun, right?

The Impact on Skin Health

Now, let’s talk about the nitty-gritty of how high temperatures affect your skin health:

Sun Damage Galore

We all love a good dose of vitamin D from the sun, but too much of it can wreak havoc on your skin. UV rays penetrate deep into the skin, damaging collagen and elastin fibers. Over time, this can lead to wrinkles, sunspots, and even skin cancer. Yikes!

Breakout Central

Here’s something nobody wants: a heat-induced breakout. When you sweat, your pores can become clogged with dirt, oil, and bacteria. This delightful combo can result in acne flare-ups and pesky blackheads. Not exactly the summer glow we’re aiming for!

Dehydration Drama

Remember how sweating can deplete your skin’s natural oils? Well, that can also lead to dehydration. When your skin lacks moisture, it becomes dry, flaky, and prone to fine lines. Hydration is key, folks!

Aging Under the Sun

Now, let’s fast forward a few years. You’ve spent decades soaking up the sun, and suddenly, you start noticing those telltale signs of aging. Here’s how high temperatures play a role in the aging process:

Collagen Crunch

Collagen is like the scaffolding that holds your skin up. But guess what? UV radiation can break down collagen faster than you can say “wrinkle-free.” As collagen levels decline, your skin loses its firmness and elasticity, leading to sagging and wrinkles.

Hello, Sunspots!

Sunspots, also known as age spots or liver spots, are those pesky dark patches that pop up on sun-exposed areas of the skin. They’re caused by an overproduction of melanin in response to UV damage. So, if you’re a sun worshipper, beware!

Wrinkle City

Ah, wrinkles—the bane of our existence. UV radiation not only breaks down collagen but also impairs the skin’s ability to repair itself. This double whammy accelerates the formation of wrinkles, fine lines, and crow’s feet. Time to invest in that SPF, my friend!

Protecting Your Skin

Now that we’ve covered the downside of high temperatures on your skin, let’s talk damage control:

Sunscreen Savior

Repeat after me: sunscreen, sunscreen, sunscreen! Investing in a broad-spectrum SPF is your first line of defense against UV damage. Apply it generously, and don’t forget to reapply every two hours—especially if you’re sweating or swimming.

Seek Shade

When the sun is at its peak (usually between 10 a.m. and 4 p.m.), seek refuge in the shade. It’s a simple yet effective way to reduce your UV exposure and give your skin a breather.

Cover Up

Hats, sunglasses, and lightweight clothing can provide additional protection from the sun’s harmful rays. Plus, they’ll keep you looking cool and stylish all summer long!

Hydrate, Hydrate, Hydrate

Keep your skin happy and hydrated by drinking plenty of water and using a moisturizer with hydrating ingredients like hyaluronic acid. Your skin will thank you!

Wrapping It Up

Phew, that was a lot to take in, huh? But hey, now you’re armed with the knowledge to protect your skin from the sweltering heat and the ravages of time. So, slather on that sunscreen, seek shade like it’s your job, and stay hydrated. Your skin will thank you for it in the long run!

দ্বীনের সংজ্ঞা দিন। দ্বীন, ধর্ম ও রিলিজিওনের মধ্যে সংজ্ঞাগত মৌলিক পার্থক্যটুকু কী? মানব জীবনে ধর্মের অপরিহার্যতা প্রমাণ করুন।

প্রশ্ন: দ্বীনের সংজ্ঞা দিন। দ্বীন, ধর্ম ও রিলিজিওনের মধ্যে সংজ্ঞাগত মৌলিক পার্থক্যটুকু কী? মানব জীবনে ধর্মের অপরিহার্যতা প্রমাণ করুন। বিষয়: IST-603 : Philosophy of Religion and Comparative Religion কোর্স: এমএ ইন ইসলামিক স্টাডিজ (ফাইনাল)



দ্বীনের সংজ্ঞা দিন। দ্বীন, ধর্ম ও রিলিজিওনের মধ্যে সংজ্ঞাগত মৌলিক পার্থক্যটুকু কী? মানব জীবনে ধর্মের অপরিহার্যতা প্রমাণ করুন।

ভূমিকা

মানব সভ্যতার মতোই ধর্ম মানব জীবনে একটি প্রচীনতম বিষয়। মানবজীবন ও ধর্ম শুরু থেকেই সহজাতভাবে বিকশিত হয়েছে। পৃথিবী সব দেশে, সবকালে, সব জাতি ও সভ্যতায় ধর্ম বিদ্যমান ছিল। অধিকাংশ সভ্যতার সুতিকাগার হিসেবে ধর্ম চিহ্নিত হয়েছে।

দ্বীন, ধর্ম ও রিলিজিওনের মধ্যে সংজ্ঞাগত পার্থক্য

দ্বীন একটি আরবী শব্দ যার শাব্দিক অর্থ হল অনুসরণ, প্রতিদান ইত্যাদি। পরিভাষাগত অর্থে, মানুষ ও বিশ্বের জন্যে একজন সৃষ্টিকর্তা আছেন বলে বিশ্বাস এবং এই বিশ্বাস সম্পর্কিত যাবতীয় বিধি-নিষেধ হল ‘দ্বীন’।

দ্বীনের সংজ্ঞা দিন। দ্বীন, ধর্ম ও রিলিজিওনের মধ্যে সংজ্ঞাগত মৌলিক পার্থক্যটুকু কী? মানব জীবনে ধর্মের অপরিহার্যতা প্রমাণ করুন।

দ্বীনের এই সংজ্ঞানুসারে, যারা সম্পূর্ণরূপে সৃষ্টিকর্তায় অবিশ্বাসী এবং সৃষ্টিসমূহের সৃষ্টিকে সাংঘর্ষিক অথবা শুধুমাত্র প্রকৃতি ও পদার্থসমূহের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার ফল বলে মনে করেন, তারা বিধর্মী বলে পরিচিত। আর যারা বিশ্বের সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস করেন, তাদের মতাদর্শ ও ধর্মানুষ্ঠানগুলো যতই সবিচ্যুতি ও কুসংস্কারাচ্ছন্নই হোক না কেন, তারা সধর্মী বলে পরিগণিত। এ মূলনীতির ভিত্তিতে মানুষের মধ্যে প্রচলিত ধর্মসমূহকে সত্যধর্ম ও মিথ্যাধর্মে বিভক্ত করা যায়।

সংস্কৃত ‘ধৃ’ ধাতুর সঙ্গে ‘মন’ প্রত্যয় যুক্ত হয়ে (ধৃ+মন) ধর্মের শব্দের উৎপত্তি। ধৃ- মানে ধারণ বা গ্রহণ করা, আর মন- মানে হলো আত্মা, অন্তর বা পরমাত্মা। তাই বলা যায়, মন যাকে গ্রহণ করে শান্তি লাভ করে তাকেই ধর্ম বলা হয়। অর্থাৎ যে জিনিসের সাথের মানুষের মনের বা আত্মার শান্তির বিষয়টি জড়িত তা-ই ধর্ম।



ইসলাম ধর্মানুসারে আল্লাহ তায়ালা সকল মানুষের আত্মাকে একসাথে সৃষ্টি করেছেন। তাই স্বভাবগতভাবেই মানুষের মাঝে সৃষ্টিকর্তা তথা আল্লাহর প্রতি ভয় ও আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা সব মানুষের অন্তরেই বিরাজমান।

ধর্ম শব্দের ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো রিলিজিওন (Religion)। শাব্দিক বিবেচনায় এর অর্থ হলো অদৃশ্য নিয়ন্ত্রণ শক্তির অসিত্বে বিশেষত ঈশ্বরের অস্তিত্বে বিশ্বাস করা।

মানব জীবনে ধর্মের অপরিহার্যতা

মানবজীবনে ধর্মের গুরুত্ব, প্রভাব ও প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। মানবজীবনে ধর্মের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা নিম্নরূপ-

  • মানসিক শান্তি: মানুষের মানসিক প্রশান্তি লাভে ধর্ম বিশেষ ভূমিকা পালন করে। একমাত্র ধর্মই পারে মানসিক শান্তি আনতে। মুসলমানরা যখন মসজিদে অবস্থান করে, তখন তারা একটি বিশেষ শান্তি অনুভব করে। মসজিদকে সব সময় একটি শীতল পবিত্র স্থান মনে হয়। ঠিক তেমনি অন্যান্য ধর্মের লোকজন তাদের উপাসনালয়ে গিয়ে শান্তি অনুভব করে।
  • জীবনের নিরাপত্তা বিধান: প্রত্যেক নাগরিকের কাছে তার নিজের জীবন সবচেয়ে মূল্যবান। ধর্ম মানুষের জীবনের নিরাপত্তা বিধানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রতিটি ধর্মে অন্যায় হত্যাকাণ্ডকে মহাপাপ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। হত্যাকারীর জন্য সর্বোচ্চ দণ্ডবিধান মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার রীতিও বেশির ভাগ ধর্মে অনুসৃত হয়েছে।


  • ঐক্য সাধন: মানুষের মধ্যে ঐক্য সৃষ্টিতে ধর্ম ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। প্রতিটি ধর্মের অনুসারীদের মধ্যে একটি গভীর ঐক্য লক্ষ করা যায়। যদি কোনো ধর্মের লোক অন্য কোনো ধর্মের লোকের কাছে শারীরিক বা মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে তার ধর্মের লোকজন একত্র হয়ে তাকে সাহায্য করে।
  • সম্পদের নিরাপত্তা বিধান: জীবনের পরেই মানুষের অত্যন্ত প্রিয় বস্তু সহায়-সম্পদ তথা ধন-সম্পদ। ধর্ম মানুষের সম্পদের নিরাপত্তা বিধানে যথাযথ ভূমিকা পালন করে। প্রতিটি ধর্মে চুরি, ডাকাতি, রাহাজানি, ছিনতাই, অর্থ আত্মসাৎ, লুণ্ঠন ও অবৈধ উপার্জন অত্যন্ত গর্হিত কাজ বলে উল্লেখ করা হয়েছে এবং এসব কাজকর্মের জন্য শাস্তির বিধান আছে। অন্যের অর্থ-সম্পদ অবৈধভাবে দখল বা আত্মসাৎ করাকে ঘৃণার চোখে দেখা হয়েছে।
  • সামাজিক নিয়ন্ত্রণ: সমাজ পরিচালনার নানা বিষয়ে ধর্ম বিভিন্ন দিকনির্দেশনা প্রদান করে। ধর্মের সঠিক ব্যবহারই সমাজকে সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
  • সম্মানের নিরাপত্তা বিধান: ধর্ম মানুষের সম্মান ও সম্ভ্রমের নিরাপত্তা বিধান করে। কারণ মান-সম্ভ্রম মানুষের জীবন ও সম্পদের চেয়েও বেশি প্রিয় বলে প্রতীয়মান হয়। মানুষ তার ইজ্জত, সম্মান রক্ষার জন্য অকাতরে সম্পদ ব্যয় করে, জীবন উৎসর্গ করে। প্রতিটি ধর্মে ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়া, অহংকার করা, মানুষকে হেয় প্রতিপন্ন করা, ছোট করা বা অসম্মান করাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। কারো বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা, মিথ্যা দোষারোপ, চোগলখুরি, কু-ধারণা, ঠাট্টা-বিদ্রুপ, কারো সম্মানে আঘাত লাগে—এমন কথা বলা বা কাজ করা ইত্যাদিকে সব ধর্মে পরিহার করতে বলা হয়েছে।


  • ব্যক্তিগত জীবনে ধর্ম: ব্যক্তিগত জীবনকে সমাজসিদ্ধভাবে পরিচালনা করতে ধর্মের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ধর্ম মানুষকে সৎ, কর্মঠ, দায়িত্বশীল, সহানুভূতিশীল ও পরস্পরকে ভালোবাসার শিক্ষা দেয়। ব্যক্তির স্বাস্থ্য, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, পবিত্রতা, সৌন্দর্য, আহার-বিহার, চিত্তবিনোদন, শিক্ষা, বিবেক-বুদ্ধি, অল্পে তুষ্টি, চারিত্রিক স্বচ্ছতা, কর্মোদ্যম, ধীরস্থিরতা, বিচক্ষণতা, বিনয় নম্রতা, ভদ্রতা, মহানুভবতা, সততা, নৈতিকতা, পরার্থপরতা, ভালো কাজ, অধিকার, দায়িত্ব ও কর্তব্য প্রভৃতি বিষয়ে প্রায় সব ধর্মে শিক্ষা দেওয়া হয়।
  • পারিবারিক জীবনে ধর্ম: পরিবার সমাজের একটি ক্ষুদ্রতম আদিম সংগঠন। বৈবাহিক সম্পর্কের মাধ্যমে পরিবারব্যবস্থা গড়ে ওঠে। বিবাহবন্ধন না থাকলে তরুণ-তরুণীদের অবাধ মেলামেশা, অবাধ যৌনাচার, লিভ টুগেদার, সমকামিতা, ব্যভিচার, ধর্ষণ, বিবাহের নামে অনেক স্ত্রী গ্রহণ প্রভৃতির দ্বারা মানবজাতি পাপপঙ্কিলতায় নিমজ্জিত হতো। তাই বিবাহ একটি সুষ্ঠু পারিবারিক জীবন উপহার দেয়, যেখানে স্বামী-স্ত্রী, সন্তান-সন্ততি, মা-বাবা, ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজন মিলে সুখে-শান্তিতে বসবাস করে। বিশ্বের সব ধর্ম পরিবারব্যবস্থাকে অটুট ও স্থায়ীকরণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।


  • সামাজিক জীবনে ধর্ম: সমাজজীবনকে স্বাভাবিক ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য ধর্ম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সমাজে ভ্রাতৃত্ববোধ, মূল্যবোধ, নীতি ও আদর্শ প্রতিষ্ঠা এবং সামাজিক সংহতি বিকাশে ধর্মের ভূমিকা অতুলনীয়। বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে মানুষ একত্র হয়ে পারস্পরিক সহানুভূতি ও প্রীতির সঞ্চার করে। পৃথিবীর প্রতিটি ধর্মে মানবপ্রেম, মানবসেবা, পরার্থপরতা, দয়া, সহনশীলতা, সহযোগিতা, সদাচার প্রভৃতির শিক্ষা দেওয়া হয়।
  • রাষ্ট্রীয় জীবনে ধর্ম: পৃথিবীর প্রতিটি দেশে রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে ওঠার পেছনে ধর্মের ভূমিকা অনন্য। যে দেশে যে ধর্মের লোক বেশি, সাধারণত সেই ধর্মের লোকজন ক্ষমতায় আরোহণ করে। ধর্মের কারণেই রাষ্ট্র সুসংহত ও স্থায়ী হয়। তাই যাঁরা রাষ্ট্র পরিচালনায় নিয়োজিত থাকেন, তাঁরা যেন স্বেচ্ছাচারী, কর্তৃত্ববাদী না হন, ধর্ম সেই শিক্ষাই দেয়। ধর্ম রাষ্ট্রের প্রধানকে প্রজাপালক, প্রজাকল্যাণকর ও জনদরদি হতে নির্দেশ দেয়। জনগণের ব্যক্তিস্বাধীনতা, বাকস্বাধীনতা, সাম্য, ন্যায়বিচার, আইনের শাসন, মৌলিক অধিকার, মানবাধিকার ইত্যাদি রক্ষার জন্য রাষ্ট্রের প্রতি সব ধর্মের দিকনির্দেশনা রয়েছে।
  • আন্তর্জাতিক জীবনে ধর্ম: বিশ্বভ্রাতৃত্ব সৃষ্টিতে ধর্মের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। পৃথিবীর সব মানুষ উৎসগত বিবেচনায় এক ও অভিন্ন। তাদের মা-বাবা এক, সৃষ্টিকর্তা এক এবং তাদের জীবনের উদ্ভব, বিকাশ ও গন্তব্য এক। ধর্ম একান্তভাবে বিশ্বমানবকে পারস্পরিক অভিন্নতার এই চেতনায় উদ্বুদ্ধ করে।

উপসংহার

মানব জীবনে ধর্মের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অত্যধিক। মানুষের ব্যক্তিক, পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক জীবনে ধর্মের ব্যাপকতা রয়েছে। প্রতিটি ক্ষেত্রই ধর্ম দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। ধর্মের বাইরে গেলেই মানুষের মাঝে পদস্খলন ঘটে। যাতে ব্যক্তি থেকে আন্তর্জাতিক জীবনে দেখা দেয় বিশৃঙ্খলা। তাই ধর্মের ব্যাপকতা সমগ্র জীবন ব্যাপী।



• IST-601 : Study of al Tafsir (Tafsir Ibn Kathir : Surah-al-Maieda verse 1 to 77) • IST-602 : Study of al-Fiqh • IST-603 : Philosophy of religion and Comparative Religion • IST-604 : History of Sufism in Bangladesh and some prominent • IST-605 : Trade, Commerce and Business Studies in Islam

16 Drinks To Keep You Hydrated That Aren’t Plain Water

Hey there! Are you tired of chugging plain old water every time you need to hydrate? I get it, sometimes we all need a little variety to keep things interesting. Luckily, there are plenty of delicious and hydrating alternatives out there that will keep you feeling refreshed without the boredom. So, let’s dive into the wonderful world of hydrating drinks beyond water!

1. Coconut Water

First up, we have the ultimate tropical treat: coconut water! Packed with electrolytes and a natural sweetness, coconut water is like a vacation in a bottle. Plus, it’s a great source of potassium, making it perfect for replenishing your energy after a workout.

2. Herbal Tea

If you’re craving something warm and soothing, herbal tea is the way to go. Whether you prefer chamomile, peppermint, or ginger, there’s a flavor for everyone. Plus, herbal teas are caffeine-free, so you can sip them anytime without worrying about staying up all night.

3. Infused Water

Okay, I know I said no plain water, but hear me out: infused water takes hydration to the next level. Add some slices of cucumber, lemon, or berries to your water for a burst of flavor without any added sugar. It’s like spa water, but without the spa price tag.

4. Electrolyte Drinks

When you’re sweating buckets after a tough workout, electrolyte drinks are a lifesaver. Look for options with no added sugar and plenty of potassium and sodium to help replenish your electrolyte levels and keep you feeling your best.

5. Kombucha

Feeling fancy? Reach for a bottle of kombucha. This fermented tea is not only delicious but also packed with probiotics that support a healthy gut. Just be sure to choose a low-sugar option to keep things balanced.

6. Green Smoothies

Blend up some leafy greens, fruits, and a splash of coconut water for a hydrating and nutritious treat. Green smoothies are a great way to sneak in some extra veggies while staying hydrated at the same time.

7. Watermelon Juice

Is there anything more refreshing than a slice of juicy watermelon on a hot day? Turn that summertime staple into a hydrating beverage by blending it up into a delicious juice. Bonus points if you add a squeeze of lime for some extra zing.

8. Aloe Vera Juice

Not just for sunburns anymore, aloe vera juice is a hydrating powerhouse. It’s loaded with vitamins and minerals and has a mild, slightly tangy flavor that pairs perfectly with a splash of citrus.

9. Iced Herbal Tea

When the temperatures start to rise, there’s nothing better than a tall glass of iced herbal tea. Brew up a big batch, chill it in the fridge, and sip on it throughout the day for a cool and refreshing way to stay hydrated.

10. Vegetable Juice

Forget about boring old orange juice – vegetable juice is where it’s at. Packed with vitamins, minerals, and antioxidants, vegetable juice is a nutrient-rich way to hydrate and nourish your body.

11. Sparkling Water

If you’re craving something fizzy but want to skip the soda, sparkling water is the perfect solution. Add a splash of lemon or lime juice for some extra flavor, or try one of the many flavored sparkling water options on the market.

12. Tart Cherry Juice

Not only is tart cherry juice delicious, but it’s also packed with antioxidants and anti-inflammatory compounds that can help reduce muscle soreness and improve recovery after exercise.

13. Milk

Yes, you read that right – milk is a hydrating beverage! Plus, it’s a great source of calcium and protein, making it an excellent choice for post-workout recovery.

14. Cucumber Mint Cooler

Blend up some cucumber, mint, and a splash of lime juice for a refreshing beverage that’s perfect for sipping by the pool or on the patio.

15. Lemonade

Classic, refreshing, and oh-so-delicious, lemonade is a summertime staple for a reason. Keep it simple with just lemon juice, water, and a touch of sweetener, or get creative and add some fresh herbs or berries for a twist.

16. Sports Drinks

When you’re really sweating it out, sometimes plain water just doesn’t cut it. Reach for a sports drink instead, which is specifically formulated to help replenish electrolytes lost through sweat and keep you hydrated during intense exercise.

So there you have it – 16 delicious and hydrating drinks that aren’t plain water! Whether you’re looking for something sweet, savory, or somewhere in between, there’s a beverage on this list to satisfy every craving. Cheers to staying hydrated and feeling your best! 🥤✨

বনী ইসরাইল কারা? তাদের ধর্ম বিশ্বাসের স্বরুপ পর্যালোচনা করুন।

প্রশ্ন: বনী ইসরাইল কারা? তাদের ধর্ম বিশ্বাসের স্বরুপ পর্যালোচনা করুন। বিষয়: IST-603 : Philosophy of Religion and Comparative Religion কোর্স: এমএ ইন ইসলামিক স্টাডিজ (ফাইনাল)



বনী ইসরাইল কারা? তাদের ধর্ম বিশ্বাসের স্বরুপ পর্যালোচনা করুন।

ভূমিকা

আল্লাহ তাআলা কুরআন মজিদের অনেক জায়গায় বনি ইসরাঈলদের নিয়ে আলোচনা করেছেন। বনি ইসরাঈল নামে অনেক বড় আলাদা স্বতন্ত্র একটি সূরা নাজিল করেন। বনি ইসরাইলদের দান করেছেন অসংখ্য নিয়ামত। যেসকল নিয়ামতের উল্লেখ রয়েছে কুরআনে। পরে তাদের অবাধ্যতার কারণে সমস্ত নিয়ামত কেড়ে নেন। মূলত ইসরাইল অকৃতজ্ঞ ও অভিশপ্ত জাতি।

বনী ইসরাইল কারা? তাদের ধর্ম বিশ্বাসের স্বরুপ পর্যালোচনা করুন।

বনি ইসরাইলদের পরিচয়

ইসরাইল হিব্রু ভাষার একটি শব্দ হিব্রু ভাষায় ইসরাইল অর্থ আল্লাহর দাস। মহান আল্লাহ পৃথিবীতে জিন ও মানুষের হিদায়াতের জন্য অসংখ্য নবী রাসূল প্রেরণ করেন। তাদের মধ্যে ইব্রাহিম (আঃ) কে ইরাকের বাবেল শহরে পাঠিয়েছেন। ইব্রাহিম (আঃ) এর বংশধারা হাজেরা ও সারাহ এর গর্ভ থেকে দুটি পর্যায়ে বিভক্ত হয়। ইব্রাহিম (আঃ) এর স্ত্রী হাজেরা (আঃ) এর গর্ভে জন্ম লাভ করেন ইসমাইল (আঃ), যিনি ছিলেন হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর সরাসরি পূর্বপুরুষ। অপর স্ত্রী সারাহ এর গর্ভে জন্ম লাভ করে ইসহাক (আঃ)। আল্লাহ বলেন, “আমি ইব্রাহিমকে দান করলাম ইসহাক ও ইয়াকুব। এবং তার বংশধরদের মধ্যে প্রবর্তন করলাম নব্যুয়ত ও কিতাব।”



ইয়াকূবের অপর নাম ইসরাইল বা আল্লাহর বান্দা। এই উপাধি অনুসারে তার বংশধরদের বলা হয় বনি-ইসরাইল। বনি অর্থ সন্তান, বনি ইসরাইল হল ইসরাইলের সন্তান। ইয়াকুব (আঃ) এর বারোজন পুত্র সন্তান ছিল। এভাবে বনি ইসরাইলে বারোটি গোত্রের সৃষ্টি হয়। ইয়াকুব (আঃ) এর প্রিয়পুত্র ছিলেন ইউসুফ (আঃ) যিনি মিশরের রাজদরবারে উচ্চপদে নিযুক্ত হন। এ সময় এক ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের সৃষ্টি হয়। তখন আশেপাশের বনি ইসরাইল সম্প্রদায় মিশরে আশ্রয় লাভ করে। এভাবে মিশর বনি ইসরাইলিদের অন্যতম বসতি হয়ে উঠে। মিশরের ফারাও বা ফেরাউনের সময় বনি ইসরাইল চরম নির্যাতনের শিকার হয়। তাদের দুঃসময়ে আল্লাহ মুসা (আঃ) নবী করে পাঠান এবং তাঁর উপর তাওরাত বা তোরাহ নাযিল করেন। আল্লাহ বলেন, আমি মুসাকে কিতাব দিয়েছিলাম ও বনি ইসরাইলদের জন্য পথ প্রদর্শক করে ছিলাম।

ইহুদীদের প্রধান ধর্মগ্রন্থ তাওরাতে হযরত মোহাম্মাদ (সঃ) এর আগমনের সুসংবাদ দেয়া হয়েছিল। তারা সেটা জানত কিন্তু ইসরাইলের সন্তানের বাইরে ইসমাঈলের বংশধরের মধ্যে একজনকে নবি হিসাবে মানা তাদের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়াল, তাই হযরত মুহাম্মদ (সঃ) যখন মক্কাবাসীদের ইসলামের পথে আহ্বান করেছিলেন। তাঁর আহ্বানের সত্যতা সম্পর্কে জানত ইহুদীরা কিন্তু তারা ইসলাম গ্রহণ না করে কুরাইশদের সঙ্গে মিলে ইসলামকে প্রতিহত করার চেষ্টায় লিপ্ত ছিল। সত্য জেনেও সত্য থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়া বনি ইসরাইলকে (ইহুদি জাতিকে) অভিশপ্ত বলে ঘোষণা দিয়ে ছেন আল্লাহ।



বনি ইসরাইলদের ধর্ম বিশ্বাসের স্বরূপ

বনি ইসরাইলদের মূল ধর্মগ্রন্থ হল তাওরাত বা তোরাহ। যা মুসা (আঃ) এর উপর নাযিল হয়। এটি বনি ইসরাইলদের ঐশি ধর্মগ্রন্থ যা হিব্রু ভাষায় লিখিত। এর অর্থ আইন, নিয়ম। এটি ৫টি পুস্তকের সম্নয়ে গঠিত। এদের ধর্মবিশ্বাসগুলো হল-

  1. একত্ববাদী: তারা সৃষ্টিকর্তাকে এক ও একক বলে স্বীকার করে। তবে উজাইর কে তারা আল্লাহর পুত্র বলে মনে করে।
  2. পরকালবাদী: তারা বিশ্বাস করে মৃত্যুর পর মানুষ একটি অশেষ জীবনে প্রবেশ করবে, পুনরুত্থান হবে। মৃত্যুর পর তার কৃতকর্মের জন্য ঈশ্বরের সামনে দাড়াতে হবে। ইশ্বর তার কর্মের বিচারে স্বর্গ বা নরক দিবেন।
  3. মসীহবাদী: বনি ইসরাইলরা বিশ্বাস করে যে, এই পৃথিবী ধ্বংসের পূর্বে কোন এক সময় পাপে নিমজ্জিত হবে। এ পাপ থেকে পরিত্রাণ রূপে মসীহর আগমন ঘটবে। তিনি পৃথিবীতে এসে মানুষকে পাপ ও পঙ্কিলতা থেকে উদ্ধার করে ইশ্বরের রাজ্য প্রতিষ্ঠা করবে। ইহুদীরা মসীহর পুনরুত্থানে বিশ্বাস করে। তিনিই হবেন তাদের রাজনৈতিক এক মহান নেতা, তিনি দাউদ এর বংশধর হবেন। তার আগমনে বিশ্বে শান্তির বাতাস বইরে। ইহুদিদের ধারণা এই মসীহ হল ঈসা (আঃ) যাকে তারা হত্যা করেছে। সেহেতু তাদের কিতাবে রয়েছে এ কারণে তারা মনে করে। প্রকৃতপক্ষে এই মসীহ হবে দাজ্জাল। যে দুষ্কর্মকারী মিথ্যুক।


  1. আল্লাহ কর্তৃক মনোনীত জাতি: বনি ইসরাইলরা নিজেদের আল্লাহর মনোনীত জাতি মনে করেন। কিন্তু তারা আল্লাহকে জেহবা বলে। আল্লাহ বনী ইসরাইলদের উপর বিভিন্ন নেয়ামত দিয়েছিলেন। এককভাবে বনি ইসরাইলের উপর সবচেয়ে বেশি নবি প্রেরিত হয়েছে বলে বনি ইসরাইলকে বলা হয় নবিদের বংশধর। পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে “আর যখন মূসা তার কাওমকে বলল কাওম তোমাদের প্রতি আল্লাহর নেয়ামত স্মরণ কর, হে আমার কাওম তোমাদের প্রতি আল্লাহর নেয়ামত স্স্মরণ কর. তিনি তোমাদের মধ্যে অনেক পয়গম্বর পাঠিয়েছেন, তোমাদের রাজ্যের অধিপতি করেছেন এবং তোমাদের এমন নিয়ামত দিয়েছেন যে বিশ্বজগতের কেউ পায়নি।”
  2. প্রত্যাদেশবাদী: ইহুদীরা মনে করে মহান সৃষ্টিকর্তা মানুষকে সঠিক পথে দেখানোর জন্য যুগে যুগে নবি রাসূল পাঠিয়েছেন। তারা বিশ্বাস করে ইব্রাহিম (আঃ) এর ধর্ম হিসাবে ইহুদি ধর্ম আসমানী ধর্ম। ইব্রাহিম (আঃ) কে এই মর্মে দান করেছেন যে ঈশ্বর ইহুদীকে জাতিকে সকল মানুষের উপর মর্যাদা দিবেন। এরূপ কথা আছে কথা আছে কিন্তু এ মঠাদা দিবে যতক্ষন তারা, সত্য পথে থাকবে। কিন্তু তারা এখন সত্য পথে নাই। তাই মামার্দা এ মর্যাদার যোগ্য তারা নয়।

উপসংহার

এই ৫টি হল ইহুদি ধর্ম বিশ্বাসের মৌলিক নীতি। ইসরাইলদের প্রধান নবী হলেন মূসা (আঃ) যিনি মোশী হিসাবে খ্যাত। এর পরে আর কোন নবীকে ইসরাইলরা নবী বলে মানতেন না। নবী হযরত মুসা (আঃ) এর অনুসারি হিসাবে বনি ইসরাইল ইহুদী নামে পরিচিতি পেয়েছে। ইয়াকুব (আঃ) আরেক পুত্রের নাম ইয়াহুদা। সে নাম অনুসারে তাদের নাম হয় ইহুদি। কিন্তু বনি ইসরাইল নানা অনাচারে লিপ্ত হয়, উজায়ের কে আল্লাহর পুত্র সাব্যস্ত করে। তাদের সঠিক পথ প্রদর্শনের জন্য আল্লাহ শেষ সে নবী হিসাবে ঈসা (আঃ) কে তাদের উপর প্রেরণ করেন। কিন্তু ইহুদীরা ঈসা (আঃ) এর উপর ঈমান আনতে অস্বীকার করেন এবং ঈসাকে ক্রুশবিদ্ধ করে হত্যা করে।



• IST-601 : Study of al Tafsir (Tafsir Ibn Kathir : Surah-al-Maieda verse 1 to 77) • IST-602 : Study of al-Fiqh • IST-603 : Philosophy of religion and Comparative Religion • IST-604 : History of Sufism in Bangladesh and some prominent • IST-605 : Trade, Commerce and Business Studies in Islam