Cabbage: Health Tips From Nutrition Professionals

Hey there, friend! Let’s talk about cabbage, the unsung hero of the vegetable world. It might not be as glamorous as kale or as trendy as avocado toast, but trust me, cabbage packs a serious nutritional punch that you don’t want to miss out on. So grab a seat, and let’s dive into some health tips from the pros about this humble yet mighty veggie.

Why Cabbage?

Before we get into the nitty-gritty, you might be wondering, “Why cabbage?” Well, let me tell you, cabbage is like the MVP of the produce aisle. It’s low in calories but high in essential nutrients, making it a fantastic addition to any diet. Plus, it’s super versatile and can be incorporated into a wide range of dishes, from salads to stir-fries and everything in between.

Nutritional Powerhouse

Let’s break down why cabbage deserves a spot on your plate:

1. Rich in Vitamins and Minerals

  • Vitamin C: Cabbage is loaded with vitamin C, which is essential for a healthy immune system and glowing skin.
  • Vitamin K: It’s also a great source of vitamin K, important for bone health and blood clotting.
  • Folate: Need a boost for your mood? Cabbage contains folate, a B vitamin that supports brain function and can help alleviate symptoms of depression.
  • Potassium: Want to keep your blood pressure in check? Cabbage is rich in potassium, which helps regulate blood pressure levels.

2. High in Fiber

  • Cabbage is packed with fiber, which is crucial for digestive health and can help keep you feeling full and satisfied.

3. Antioxidant-Rich

  • Thanks to its vibrant color, cabbage is full of antioxidants, which help protect your cells from damage caused by free radicals.

Health Tips

Now that you know why cabbage is so awesome let’s talk about how you can incorporate more of it into your diet:

1. Get Creative with Cooking

  • Don’t be afraid to experiment with different cooking methods. Whether you’re sautéing, roasting, or even pickling, there are countless ways to enjoy cabbage.

2. Mix It Up

  • Try mixing cabbage with other veggies to create tasty and nutritious salads, slaws, or stir-fries.

3. Embrace Fermented Foods

  • Sauerkraut and kimchi are fermented cabbage dishes that are not only delicious but also loaded with probiotics, which support gut health.

4. Keep It Fresh

  • When buying cabbage, look for heads that are firm and heavy for their size. Store it in the fridge and use it within a week for the best flavor and texture.

5. Don’t Forget the Red Cabbage

  • While green cabbage is fantastic, don’t forget about its colorful cousin, red cabbage. It’s just as nutritious and adds a pop of color to your dishes.

Final Thoughts

So there you have it, my friend! Cabbage might not be the most glamorous veggie on the block, but it’s certainly one of the healthiest. With its abundance of vitamins, minerals, and fiber, cabbage is a nutritional powerhouse that deserves a place on your plate. So next time you’re at the grocery store, be sure to pick up a head of cabbage and get creative in the kitchen. Your body will thank you for it!

তাওহীদ কাকে বলে? প্রমাণ করুন- “মহাবিশ্বজগতে একাধিক স্রষ্টা থাকলে মহাবিপর্যয় অনিবার্য হতো।”

প্রশ্ন: তাওহীদ কাকে বলে? প্রমাণ করুন- “মহাবিশ্বজগতে একাধিক স্রষ্টা থাকলে মহাবিপর্যয় অনিবার্য হতো।” বিষয়: IST-603 : Philosophy of Religion and Comparative Religion কোর্স: এমএ ইন ইসলামিক স্টাডিজ (ফাইনাল)



তাওহীদ কাকে বলে? প্রমাণ করুন- “মহাবিশ্বজগতে একাধিক স্রষ্টা থাকলে মহাবিপর্যয় অনিবার্য হতো।”

ভূমিকা

ইসলামি পরিভাষায় তাওহীদ হলো সৃষ্টি ও পরিচালনায় আল্লাহকে এক ও অদ্বিতীয় হিসেবে বিশ্বাস করা, সকল ইবাদাত-উপাসনা কেবলমাত্র আল্লাহর জন্য করা, অন্য সবকিছুর উপাসনা ত্যাগ করা, আল্লাহর সুন্দর নামসমূহ ও সুউচ্চ গুণাবলীকে তার জন্য সাব্যস্ত করা এবং দোষ ত্রুটি থেকে আল্লাহকে পবিত্র ও মুক্ত ঘোষণা করা।

তাওহীদের সংজ্ঞা

তাওহীদ শব্দটি (وحد) ক্রিয়ামূল থেকে উৎপত্তি হয়েছে। এর আভিধানিক অর্থ কোনো জিনিসকে একক হিসেবে নির্ধারণ করা। একককৃত বস্তু ব্যতীত অন্য বস্তু হতে কোনো বিধানকে অস্বীকার করে একককৃত বস্তুর জন্য তা সাব্যস্ত করা। উদাহরণস্বরূপ, “আল্লাহ ছাড়া সত্য কোনো মা‘বূদ নেই” একথার সাক্ষ্য দেওয়া ব্যতীত কোনো ব্যক্তির তাওহীদ পূর্ণ হবে না। যেই ব্যক্তি এই সাক্ষ্য প্রদান করবে যে, সে আল্লাহ ছাড়া অন্যান্য সকল বস্তুর ইবাদাত অস্বীকার করে এবং শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য তা সাব্যস্ত করবে।

তাওহীদ কাকে বলে? প্রমাণ করুন- “মহাবিশ্বজগতে একাধিক স্রষ্টা থাকলে মহাবিপর্যয় অনিবার্য হতো।”

“আল্লাহ ছাড়া সত্য কোনো মা‘বূদ নেই” এই বাক্যের মাধ্যমে মুসলমানগণ ঈমান আনয়ন করে। অর্থাৎ তারা তাওহীদ তথা একত্ববাদের স্বীকারোক্তি দিয়ে থাকে। এই বাক্যটি এভাবে বলা কারণ হলো এখানে ইবাদাতের জন্য একমাত্র আল্লাহ তায়ালাকে খাস ভাবে একক হিসেবে নির্ধারণ করা হয়।

উদাহরণস্বরূপ যদি বলা হয়, ‘রিফাত আমার জন্য দাঁড়িয়ে আছে’। এ বাক্যে রিফাতকে আপনার জন্য দণ্ডায়মান হওয়াকে সাব্যস্ত করা হলো। তাকে দণ্ডায়মান গুণের মাধ্যমে একক হিসাবে সাব্যস্ত করা হলো না। হতে পারে এ গুণের মাঝে অন্যরাও শরীক আছে। অর্থাৎ রিফাতের সাথে সাথে অন্যান্য ব্যক্তিগণও দাঁড়িয়ে থাকতে পারে। আর যদি বলা হয়, “রিফাত ব্যতীত আমার জন্য আর কেউ দাঁড়ানো নেই” তবে দণ্ডায়মান হওয়াকে শুধুমাত্র রিফাতের সাথে সীমিত করে দিলেন। এ বাক্যে দন্ডায়মানের মাধ্যমে রিফাতকে একক করে দেয়া হলো। দাঁড়ানো গুণটিকে রিফাত ব্যতীত অন্য কারো জন্য হওয়াকে অস্বীকার করা হলো।



একাধিক স্রষ্টা থাকলে মহাবিপর্যয় অনিবার্য

মহাবিশ্বজগতে একাধিক স্রষ্টা থাকলে মহাবিপর্যয় অনিবার্য হতো এ বিষয়ে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-

মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র আল কোরআনের সূরা আম্বিয়ার ২২ নম্বর আয়াতে বলেন,

 لَوۡ کَانَ فِیۡهِمَاۤ اٰلِهَۃٌ اِلَّا اللّٰهُ لَفَسَدَتَا ۚ فَسُبۡحٰنَ اللّٰهِ رَبِّ الۡعَرۡشِ عَمَّا یَصِفُوۡنَ ﴿۲۲﴾

অর্থ: আসমান ও যমীনে যদি আল্লাহ ছাড়া আরো অনেক ইলাহ থাকত তবে (আসমান ও যমীন) উভয়ই ধ্বংস হয়ে যেত। কাজেই আরশের অধিপতি আল্লাহ মহান ও পবিত্র সে সব থেকে যা তারা তাঁর প্রতি আরোপ করে।

এই আয়াত তাওহীদ তথা আল্লাহর একত্ববাদের প্রমাণ। মক্কার মুশরিকরাও স্রষ্টার অস্তিত্বে বিশ্বাস করত, কিন্তু বিশ্বব্যবস্থাপনায় তারা আল্লাহর সঙ্গে অন্যদের শরিক করত। সেগুলোকে আল্লাহর সঙ্গে নিজেদের মধ্যস্থতাকারী মনে করত। এর জবাবে আলোচ্য আয়াতে বলা হয়েছে, যদি সত্যিই আল্লাহ ছাড়া অন্য ইলাহ বা উপাস্য থাকত, তাহলে উভয়েই ধ্বংস হয়ে যেতো।



কথাটি সাধারণ অভ্যাসের উপর ভিত্তিশীল এবং যুক্তিসঙ্গত প্রমাণের দিকেও ইঙ্গিত করে। সাধারণ জ্ঞানে বোঝা যায়, পৃথিবী ও আকাশে দুই ইলাহ থাকলে উভয়ই সর্বময় কর্তৃত্বের অধিকারী হবে। এমতাবস্থায় উভয়ের নির্দেশাবলী পৃথিবী ও আকাশে পূর্ণরূপে কার্যকরী হওয়া উচিত। অভ্যাসগতভাবে এটা অসম্ভব যে, একজন যে নির্দেশ দেবে, অন্যজনও সেই নির্দেশ দেবে, একজন যা পছন্দ করবে, অন্যজনও তাই পছন্দ করবে। তাই উভয়ের মধ্যে মাঝে মাঝে মতবিরোধ ও নির্দেশ বিরোধ হওয়া অবশ্যম্ভাবী। যখন দুই ইলাহর নির্দেশাবলী পৃথিবী ও আকাশে বিভিন্নরূপ হবে, তখন এর ফলশ্রুতি পৃথিবী ও আকাশের ধ্বংস ছাড়া আর কি হবে। এক ইলাহ চাইবে যে এখন দিন হোক, অপর ইলাহ চাইবে এখন রাত্রি হোক। একজন চাইবে বৃষ্টি হোক, অপরজন চাইবে বৃষ্টি না হোক।

এমতাবস্থায় উভয়ের পরস্পর বিরোধী নির্দেশ কিভাবে বাস্তবায়ন হবে? যদি একজন পরাভূত হয়ে যায়, তবে সে সর্বময় কর্তৃত্বের অধিকারী ও ইলাহ্ থাকতে পারবে না। যদি প্রশ্ন করা হয় যে, উভয় ইলাহ পরস্পরে পরামর্শ করে নির্দেশ জারি করলে তাতে অসুবিধা কি? তার উত্তর হলো এই যে, যদি উভয়ই পরামর্শের অধীন হয় এবং একজন অন্যজনের পরামর্শ ছাড়া কোন কাজ করতে না পারে, তবে এতে জরুরী হয়ে যায় যে, তাদের কেউ সর্বময় কর্তৃত্বের অধিকারী নয় এবং কেউ স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। বলাবাহুল্য, স্বয়ংসম্পূর্ণ না হয়ে ইলাহ হওয়া যায় না।



মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র আল কোরআনের সূরা আল-মুমিনুন এর ৯১ নম্বর আয়াতে বলেন, “আল্লাহ কোন সন্তান গ্রহণ করেননি এবং তাঁর সাথে অন্য কোন ইলাহও নেই; যদি থাকত তবে প্রত্যেক ইলাহ স্বীয় সৃষ্টি নিয়ে পৃথক হয়ে যেত এবং একে অন্যের উপর প্রাধান্য বিস্তার করত। তারা যে গুণে তাকে গুণান্বিত করে তা থেকে আল্লাহ কত পবিত্র- মহান!”

এই আয়াতের আলোকে দেখা যায় যে, পৃথিবীর সৃষ্টিলগ্ন থেকেই চন্দ্র, সূর্য, জন্ম-মৃত্যু, বৃষ্টি-বাতাস ইত্যাদি একটি নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে তাদের কার্যাবলী সম্পন্ন হচ্ছে। যদি পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা দুইজন থাকতো তাহলে এতোদিনে এইগুলোর কার্যাবলীতে নিয়মতান্ত্রিকতার একটু হলেও ব্যাঘাত ঘটতো। যা প্রমাণ করে মহানবিশ্বজগতের স্রষ্টা তথা ইলাহ একজনই। তা না হলে এগুলো বিশৃঙ্খলা দেখা দিতো, পৃথিবীতে ধ্বংস হয়ে যেতো।

উপসংহার

মানুষের সাধারণ বুদ্ধিমত্তার আলোকেই বলা যায় এই মহাবিশ্বজগতের ইলাহ একজনই। কারণ পৃথিবীর কোন রাষ্ট্রেই কোন সময় একাধিক রাষ্ট্র প্রধান ছিলো না বা থাকতে পারে না, কোন প্রতিষ্ঠানের একাধিক প্রধান ব্যক্তি দায়িত্বরত থাকতে পারে না, কোন সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে একাধিক ব্যক্তি সিদ্ধান্ত দিতে পারে না। সাধারণভাবে যেহেতু বোঝা যায় যে, কোন রাষ্ট্রে বা প্রতিষ্ঠানে একাধিক প্রধান থাকলে সে রাষ্ট্রে বা প্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা অনিবার্য। তাই এটা সহজেই প্রমান হয় যে, মহাবিশ্বজগতে একাধিক স্রষ্টা থাকলে মহাবিপর্যয় অনিবার্য হতো।



• IST-601 : Study of al Tafsir (Tafsir Ibn Kathir : Surah-al-Maieda verse 1 to 77) • IST-602 : Study of al-Fiqh • IST-603 : Philosophy of religion and Comparative Religion • IST-604 : History of Sufism in Bangladesh and some prominent • IST-605 : Trade, Commerce and Business Studies in Islam

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বড় বড় ইসলামী ব্যাংকসমূহ

নিম্নে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বড় বড় ইসলামি ব্যাংকের একটি তালিকা দেওয়া হল-

১. ইসলামি উন্নয়ন ব্যাংক জিদ্দাহ – ১৯৭৫

২. দুবাই ইসলামি ব্যাংক, ইউনাইটেড আর আমিরাত – ১৯৭৫

৩. কুয়েত ফাইন্যান্স হাউজ, সিফাত, কুয়েত – ১৯৭৭

8. ফয়সাল ইসলামি ব্যাংক, খারতুম, সুদান – ১৯৭৭

৫. নাসের সোল্যাল ব্যাংক, কায়রো, মিশর – ১৯৭৭

৬. ফয়সাল ইসলামি ব্যাংক, কায়রো, মিশর – ১৯৭৭

৭. ইসলামিক ইন্টাশ্যাশনাল ব্যাংক ফর ইনভেষ্টমেন্ট এন্ড ডিভেলপমেন্ট – ১৯৮০

৮. ব্রানসেস অভ ইসলামি ব্যাংক, কায়রো, ১৯৮০

৯. জর্দান ইসলামি ব্যাংক ফর ফাইন্যান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্ট – ১৯৮০

১০. ইসলামিক ইনভেস্টমেন্ট হাউস, আম্মান, জর্দান – ১৯৮১

১১. বাহরাইন ইসলামি ব্যাংক, মানামা, বাহরাইন – ১৯৮১

১২. বাহরাইন ইসলামিক ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানী, মানামা, বাহরাইন – ১৯৮১

১৩. দারুল মাল-আল ইসলাম, বাহামা – ১৯৮০

১৪. ইসলামিক ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানী লিমিটিড, বাহামা – ১৯৭৯

১৫. ইসলামিক এক্সচেঞ্জ এন্ড ইনভেষ্টমেন্ট কোম্পানী, দোহা, কাতার – ১৯৭৯

১৬. কাতার ইসলামি ব্যাংক, কাতার – ১৯৭৮

১৭. ইসলামিক ব্যাংকিং সিস্টেম, কুক্সেমবার্গ – ১৯৭৮

১৮. ইরানীয়ান ইসলামি ব্যাংক, তেহরান, ইরান – ১৯৭৯

১৯. ন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট ট্রাস্ট, পাকিস্তান – ১৯৭৯

২০. হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন, পাকিস্তান – ১৯৭৯

২১. পাকিস্তান ব্যাংকারস ইকোয়ালিটি কর্পোরেশন, করাচী, পাকিস্তান – ১৯৭৯

২২. ইসলামিক মুদারাবা কোম্পানী, পাকিস্তান – ১৯৮০

২৩. ন্যাশনাল কমার্শিয়াল ব্যাংক, পিএলস, পাকিস্তান – ১৯৮১

২৪. ইসলামিক ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানী লিমিটেড, সুইজারল্যান্ড – ১৯৭৯

২৫. পাকিস্তান ইভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন, করাচী, পাকিস্তান – ১৯৭৯

২৬. দারুল মাল আল ইসলামি, জেনেভা, সুইজারল্যান্ড – ১৯৮০

২৭. আরব ইসলামি ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানী, আরব আমিরাত, দুবাই – ১৯৮০

২৮. ইসলামিক ফাইন্যান্স হাউজ, ইংল্যান্ড – ১৯৮২

২৯. ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, ঢাকা – ১৯৮৩

৩০. ব্যাংক ইসলাম বারহাদ, মালয়েশিয়া – ১৯৮৩

৩১. আল বারাকা ব্যঅংক বাংলাদেশ, ঢাকা – ১৯৮৭

৩২. শরীআ ইনভেস্টমেন্ট সার্ভিসেস, জেনেভা – ১৯৮০

৩৩. ইসলামিক ফাইন্যান্স হাউস, লন্ডন – ১৯৮০

৩৪. কিবরিজ ইসলামি ব্যঅংক, নিকোশিয়া – ১৯৮০

৩৫. ইসলামং ব্যাংক ইন্টারন্যাশনাল, ডেনমার্ক, কোপেনহেগেন – ১৯৮৩

৩৬. লিফিপাইন আমানা ব্যাংক, জামবুয়াংগা সিটি – ১৯৮২

৩৭. শারজাহ ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন, জেনেভা – ১৯৮০

৩৮. আল বারাকা ব্যাংক, খারতুম – ১৯৮২

৩৯. আল বারাকা ইনভেস্টমেন্ট ডিভেলপমেন্ট কর্পোরেশন জেদ্দাহ

৪০. ইসলামি ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানী, শারজাহ, আরব আমিরাত – ১৯৮০

৪১. ইসলামি ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানী অভ সুদান, সুদান – ১৯৮০

৪২. আল বারাকা ইসলামিক ব্যাংক, বাহরাইন – ১৯৮৪

৪৩. ইসলামি ইনভেস্টমেন্ট এন্ড রি-ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানী, বাহরাইন – ১৯৮৪

৪৪. ফয়সাল ইসলামি ব্যাংক এন্ড নাইজার, মিয়ামী – ১৯৮৪

৪৫. ফয়সাল ইসলামি ব্যাংক অভ গিণি, কোনার্কী – ১৯৮৪

৪৬. আল বারাকা ব্যংক অভ টার্কী, ইস্তাম্বুল – ১৯৮৫

৪৭. খাতুম ইসলামি ব্যাংক, জেদ্দাহ – ১৯৮৪

৪৮. ইউরোপিয়ান ইসলামি ব্যাংক, সুইজারল্যান্ড,

৪৯. আঙ্কারা এন্ড ইস্তাম্বুল ইসলামি ব্যাংক, টার্কী

৫০. ইসলামি ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানী অভ অস্ট্রালিয়া, মেলবোর্ন

৫১. ইসলামি ব্যাংক সিঙ্গাপুর, সিঙ্গাপুর

৫২. ফালাহ ইনভেস্টেমেন্ট লিমিটেড, বোম্বাই, ইন্ডিয়া।

৫৩. ইত্তেফাক ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড, বোম্বাই, ইন্ডিয়া।

তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব চর্চার প্রয়োজনীয়তা আলোচনা কর।

প্রশ্ন: তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব চর্চার প্রয়োজনীয়তা আলোচনা কর। বিষয়: IST-603 : Philosophy of Religion and Comparative Religion কোর্স: এমএ ইন ইসলামিক স্টাডিজ (ফাইনাল)



তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব চর্চার প্রয়োজনীয়তা আলোচনা কর।

ভূমিকা

তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব বিশ্বের ধর্মের ধর্মীয় বিশ্বাস, বৈশিষ্ট্য, কাঠামো প্রভৃতিকে উদার ও নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে বিশ্লেষণ করে তাদের যৌক্তিকতা, মূল্যবোধকে আমাদের সামনে তুলে ধরে। তাই ধর্মের তুলনামূলক আলোচনার মাধ্যমেই বিভিন্ন ধর্মের মৌলিক ঐক্য উদ্ঘাটন করা সম্ভব এবং সঠিক ধর্মের পরিচয় প্রকাশ পায়।

তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব চর্চার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা

তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব চর্চার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা নিম্নে আলোচনা করা হলো-

তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব চর্চার প্রয়োজনীয়তা আলোচনা কর।
  1. ধর্মীয় ঐক্য ও সংহতি রক্ষা: সৃষ্টির সূচনাতে সব মানুষের ধর্ম এক ছিলো। কিন্তু কালক্রমে তার ভিতর ভিন্নতা সৃষ্টি হয় আর মানুষের ভিতর মতানৈক্যতা সৃষ্টি হয়। কোনো ধর্ম একেশ্বরবাদী, কোনো ধর্ম বহুশ্বেরবাদ আবার কোনো কোনো ধর্মে স্রষ্টার ব্যাপারে সুস্পষ্টভাবে কোনো ধারণা নেই। যেহেতু একাধিক ধর্মের নাম রয়েছে তাই প্রকৃতিগত ও বৈশিষ্ট্যগতভাবে ধর্মসমূহের ভিতর বিরোধ থাকা স্বাভাবিক।
  2. ধর্মীয় বিশ্বাস ও রীতিনীতির তুলনামূলক জ্ঞানার্জন: মানুষ তুলনামূলক ধর্ম বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে সমঝোতা সমযোগিতার মনোভাব সৃষ্টি করে, ধর্মের অপরিহার্য আচার-অনুষ্ঠান ও রীতিনীতি সাথে পরিহার্য রীতিনীতির পার্থক্য নিরূপণ করে। ধর্মের আসল উদ্দেশ্য নির্ধারণ এবং সে উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পদ্ধতি নিয়ে আলোচনার সাথে সাথে বিভিন্ন ধর্মের অপ্রয়োজনীয় অবাঞ্ছিত বিধি-নিষেধকে বাতিল করে ধর্মীয় বিশ্বাস, রীতিনীতি ও অনুষ্ঠানাদির দার্শনিক ব্যাখ্যাও তুলনামূলক ধর্মের কাজ। তুলনামূলক ধর্ম পৃথিবীর বিভিন্ন ধর্মকে এমনভাবে বর্ণনা করে, যাতে প্রতিটি ধর্মের অনুসারীগণই যেন তার মাঝে নিজের স্থান খুঁজে পায়। এজন্য তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব চর্চা করা অত্যাবশ্যক।


  1. আন্তঃধর্মীয় শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা: আন্তঃধর্মীয় শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে তুলনামূলক ধর্ম অন্য ধর্মকে কাছে টানতেও অনুধাবন করতে ও শ্রদ্ধা করতে অনুপ্রাণিত করে। বস্তুত বিভিন্ন ধর্ম ও সংস্কৃতিকে একত্রিত করতে পারলে তাদের মাধ্যমে স্থায়ী আন্তঃধর্মীয় শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। আন্তরিকভাবে ও নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে বিভিন্ন ধর্ম নিয়ে আলোচনা ও পর্যালোচনা করলে সহনশীলতা বাড়বে, ভ্রাতৃত্ববোধের জন্ম দেবে। তুলনামূলক ধর্মের উদ্দেশ্য অন্য ধর্মকে হৃদয়ঙ্গম করা। কোনো ধর্মই প্রাথমিক স্তরে স্থিতিশলি থাকতে পারে না। তাকে পূর্ণতা প্রাপ্ত হতে হয়, অন্য ধর্মের সাথে অবস্থান করতে হয়। তাই শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সমাজ নিশ্চিত করার জন্যই তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বের প্রয়োজনীয়তা সীমাহীন।
  2. ধর্মানুসারীদের দাবির বাস্তবতা তুলে ধরা: ইসলাম অনুসারীরা দাবি করে থাকে যে, তাদের ধর্ম মানব সমাজে প্রচলিত একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। এর বিশ্বাস ও মূলনীতিগুলো সর্বকালে সমানভাবে প্রযোজ্য। তাদের ধর্মে মানুষের দৈহিক, মানসিক, জৈবিক, আত্মিক ও আধ্যাত্মিক কামনাগুলো আবিষ্কার করতে সক্ষম। তারা আরও দাবি করে থাকে যে, ইসলাম শুধু আত্মার চাহিদা পূরণ করেই ক্ষান্ত হয়নি, বরং জৈবিক চাহিদাগুলো পূরণে সঠিক নির্দেশনা দিয়েছে। পক্ষান্তরে, অন্যান্য ধর্মে আত্মা ও দৈহিক কামনাগুলো সম্পূরণে সুনির্দিষ্ট সূত্র কিছুটা অনুপস্থিত।


  1. পরিবর্তনশীল বিশ্বের অবস্থা: বিশ্বের বর্তমান রাজনৈতিক, নৃতাত্ত্বিক, সমাজতাত্ত্বিক, অর্থনৈতিক ইত্যাদি কারণে তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব চর্চা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়ছে। আমরা এমন এক সময়ে বাস করছি যখন “ছোট হয়ে আসছে পৃথিবী”। পৃথিবীর এক প্রান্তে কী ঘটছে এক নিমিষে শুধু খবরই পৃথিবীর অন্য প্রান্তে পৌঁছে না, তার দ্বারা প্রভাবিতও হয়। আমরা চাই আর না-ই চাই সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় কারণে বিভিন্ন ধর্ম ও গোত্রের লোক আজ একত্রে বাস করতে বাধ্য। তাই তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব চর্চার মাধ্যমে আমাদের মাঝে সকল ক্ষেত্রে ঐক্য প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন।

উপসংহার

পরিশেষে বলা যায় যে, আচার-অনুষ্ঠান, শিক্ষা-উপদেশ, কিছু কল্যাণমূলক ও সহানুভূতিমূলক আলোচনা ছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন ধর্মে মৌলিক বিষয়ে বিরোধ বিদ্যমান। তাই তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব বিভিন্ন ধর্মের অপরিহার্য আচার-অনুষ্ঠান, রীতি-নীতির পার্থক্য নিরূপণ করে। ধর্মের আসল উদ্দেশ্য নির্ধারণ এবং সে উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করে। পাশাপাশি বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে সমঝোতা, সহযোগিতা ও ঐক্যের মনোভাব সৃষ্টি করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।



• IST-601 : Study of al Tafsir (Tafsir Ibn Kathir : Surah-al-Maieda verse 1 to 77) • IST-602 : Study of al-Fiqh • IST-603 : Philosophy of religion and Comparative Religion • IST-604 : History of Sufism in Bangladesh and some prominent • IST-605 : Trade, Commerce and Business Studies in Islam

The Importance of Sleep for Babies: Why It’s Crucial for Their Growth and Development

Hey there! So, let’s talk about something that’s near and dear to every parent’s heart: sleep, especially when it comes to our little bundles of joy. Have you ever wondered why babies seem to spend so much time sleeping? Well, it turns out there’s a whole lot more to it than just giving exhausted parents a break (although that’s definitely a bonus!). In this post, we’re going to dive into why sleep is so important for babies and why ensuring they get enough quality sleep is crucial for their growth and development.

The Magic of Baby Sleep

First things first, let’s acknowledge the magic of baby sleep. It seems like they can do it anywhere, anytime, and often at the most inconvenient moments for us parents! But there’s a reason behind all that snoozing. Babies spend a significant portion of their time sleeping because their little bodies and brains are working overtime to grow and develop.

Brain Building: The Role of Sleep in Development

1. Memory Consolidation:

  • Did you know that while your baby sleeps, their brain is hard at work consolidating memories from the day? That’s right! Sleep plays a crucial role in memory consolidation, helping your little one retain all those new experiences and skills they’re learning.

2. Brain Growth:

  • Sleep isn’t just for resting tired bodies; it’s also essential for brain growth and development. During sleep, the brain releases growth hormones that are crucial for building new neural connections and supporting overall cognitive development.

3. Emotional Regulation:

  • Ever noticed how cranky a baby can get when they’re overtired? That’s because sleep plays a vital role in emotional regulation. Adequate sleep helps babies regulate their emotions and cope with the ups and downs of daily life.

Physical Growth and Development

1. Physical Restoration:

  • Just like adults, babies need sleep to rest and recharge their bodies. Sleep is when their little muscles grow and repair themselves, ensuring they have the strength and energy they need for all those adorable wiggles and giggles.

2. Hormone Regulation:

  • Sleep also plays a crucial role in hormone regulation, including hormones that are essential for growth and development. Without enough sleep, your baby’s hormone levels can become imbalanced, potentially impacting their growth.

The Importance of Quality Sleep

Now that we understand why sleep is so important for babies let’s talk about the quality of sleep. Just like adults, babies need both quantity and quality sleep to thrive.

1. Establishing Healthy Sleep Habits:

  • By helping your baby establish healthy sleep habits from the start, you’re setting them up for a lifetime of better sleep and overall health. This means creating a consistent bedtime routine, providing a comfortable sleep environment, and responding to their sleep cues promptly.

2. Reducing the Risk of Sleep-Related Issues:

  • Quality sleep is also essential for reducing the risk of sleep-related issues such as Sudden Infant Death Syndrome (SIDS). By following safe sleep practices and ensuring your baby gets enough quality sleep, you can help keep them safe and sound while they snooze.

Tips for Helping Your Baby Sleep Better

So, what can you do to help your little one get the quality sleep they need? Here are a few tips to get you started:

  • Establish a Consistent Bedtime Routine: A predictable bedtime routine can help signal to your baby that it’s time to wind down and prepare for sleep.
  • Create a Comfortable Sleep Environment: Make sure your baby’s sleep environment is quiet, dark, and comfortable. Consider using white noise machines or blackout curtains to help create a sleep-inducing atmosphere.
  • Respond Promptly to Sleep Cues: Learn to recognize your baby’s sleep cues, such as rubbing their eyes or becoming fussy, and respond promptly by helping them transition to sleep.
  • Practice Safe Sleep Practices: Always follow safe sleep practices, such as placing your baby on their back to sleep and avoiding soft bedding or toys in the crib.

In Conclusion

So, there you have it! Sleep is not just important for giving parents a much-needed break; it’s absolutely crucial for your baby’s growth and development. By understanding the importance of sleep and taking steps to ensure your little one gets enough quality sleep, you’re setting them up for a lifetime of better health and well-being. So here’s to sweet dreams and restful nights for both you and your baby!

How to Become a Better Thinker: Unlocking Your Mind’s Potential

Hey there! Today, we’re diving into the fascinating world of improving our thinking skills. Whether you’re trying to solve complex problems, make better decisions, or just understand the world around you more deeply, becoming a better thinker can have a profound impact on your life. So, let’s roll up our sleeves and explore some practical tips and techniques to unlock your mind’s full potential.

Understanding the Power of Thought

Before we jump into the nitty-gritty of how to enhance our thinking abilities, let’s take a moment to appreciate just how important our thoughts are. Our thoughts shape our reality, influence our actions, and ultimately determine our outcomes. By improving our thinking skills, we can gain greater clarity, make smarter choices, and achieve our goals more effectively.

Embrace Curiosity

Curiosity is the fuel that powers the engine of thought. It’s the insatiable desire to learn, explore, and understand the world around us. So, if you want to become a better thinker, start by nurturing your curiosity. Ask questions, seek out new experiences, and never stop learning. The more curious you are, the more opportunities you’ll have to expand your mind and think in new ways.

Develop Critical Thinking Skills

Critical thinking is like a superpower for your brain. It’s the ability to analyze information, evaluate arguments, and draw logical conclusions. To sharpen your critical thinking skills, practice questioning everything. Don’t just accept things at face value; dig deeper, look for evidence, and consider alternative perspectives. By honing your critical thinking skills, you’ll become a more discerning thinker and make better decisions.

Cultivate Creativity

Creativity is the secret sauce of great thinking. It’s the ability to think outside the box, generate new ideas, and solve problems in innovative ways. To unleash your creativity, embrace experimentation and embrace failure as a natural part of the learning process. Don’t be afraid to take risks, challenge conventions, and let your imagination run wild. The more you flex your creative muscles, the more you’ll unlock your mind’s full potential.

Practice Mindfulness

Mindfulness is like a mental reset button. It’s the practice of being fully present in the moment, without judgment or distraction. By cultivating mindfulness, you can quiet the noise of your mind and gain clarity of thought. Start by incorporating simple mindfulness exercises into your daily routine, such as deep breathing or mindful walking. As you become more mindful, you’ll find that your thinking becomes clearer, sharper, and more focused.

Read Widely

Reading is to the mind what exercise is to the body. It’s the ultimate workout for your brain, challenging your thinking and expanding your horizons. Make it a habit to read widely and voraciously, exposing yourself to different perspectives, ideas, and cultures. Whether it’s fiction, non-fiction, or even poetry, every book you read adds another layer to your thinking and broadens your understanding of the world.

Engage in Thought-Provoking Discussions

Conversation is the playground of ideas. Engage in thought-provoking discussions with friends, colleagues, or even strangers. Share your thoughts, listen to others’ perspectives, and challenge each other’s assumptions. By engaging in meaningful dialogue, you’ll sharpen your thinking, deepen your understanding, and broaden your horizons.

Reflect Regularly

Reflection is the key to growth. Take time to reflect on your thoughts, experiences, and actions regularly. Ask yourself what you’ve learned, what you could have done differently, and how you can apply those insights moving forward. Whether it’s through journaling, meditation, or simply quiet contemplation, regular reflection will help you become a more intentional thinker and make continuous progress.

Conclusion: Unlocking Your Full Thinking Potential

Becoming a better thinker is not an overnight process; it’s a journey of self-discovery and growth. But by embracing curiosity, developing critical thinking skills, cultivating creativity, practicing mindfulness, reading widely, engaging in thought-provoking discussions, and reflecting regularly, you can unlock your mind’s full potential and unleash your inner genius. So, go ahead, embrace the power of thought, and watch as your world transforms before your very eyes. Happy thinking!

বৌদ্ধ ধর্মের পরিচয় দিন। বৌদ্ধ ধর্মের প্রকৃতি ও স্বরূপ আলোচনা করুন।

প্রশ্ন: বৌদ্ধ ধর্মের পরিচয় দিন। বৌদ্ধ ধর্মের প্রকৃতি ও স্বরূপ আলোচনা করুন। বিষয়: IST-603 : Philosophy of Religion and Comparative Religion কোর্স: এমএ ইন ইসলামিক স্টাডিজ (ফাইনাল)



বৌদ্ধ ধর্মের পরিচয় দিন। বৌদ্ধ ধর্মের প্রকৃতি ও স্বরূপ আলোচনা করুন।

ভূমিকা

বর্তমান বিশ্বে প্রচলিত বিশ্বজনীন ধর্মের মধ্যে বৌদ্ধ ধর্ম অন্যতম। বৌদ্ধ ধর্ম বলতে সাধারণত গৌতম বুদ্ধের প্রচারিত বাণী ও জীবনদর্শনকে বোঝানো হয়। শুধু নিজের মুক্তি নয় বরং মানব জাতিকে চিরকালীন দুঃখ-দুর্দশা থেকে স্থায়ীভাবে মুক্তি দেয়ার লক্ষ্যে বুদ্ধদেব তাঁর ধর্মবাণী প্রচার করেছেন। তিনি ছয় বছর কঠোর সাধনা করে জগতে বুদ্ধরূপে খ্যাত হলেন। প্রচার ও প্রতিষ্ঠা করলেন বিশ্বজনীন অহিংসার ধর্ম, মানুষের প্রতি মানুষের সহানুভূতি, ভালোবাসা, মানবতার উৎকর্ষ সাধন, নৈতিক উন্নতি ও আধ্যাত্মিক উন্নতিসহ বহু কল্যাণকামী বাণী। গৌতম বুদ্ধের জীবনের একমাত্র লক্ষ্য ছিল দুঃখ-দুর্দশা থেকে মানুষের পরিত্রাণের পথ আবিষ্কার করা এবং জনগণকে ঐ পথের নির্দেশ দেয়া।

বৌদ্ধ ধর্মের পরিচয় দিন। বৌদ্ধ ধর্মের প্রকৃতি ও স্বরূপ আলোচনা করুন।

বৌদ্ধ ধর্মের পরিচয়

সাধারণভাবে গৌতম বুদ্ধ প্রচারিত ও প্রতিষ্ঠিত ধর্মই বৌদ্ধ ধর্ম। পাশাপাশি বুদ্ধের অনুসারী কবি ও দার্শনিকবৃন্দের জ্ঞানের ফসলও বৌদ্ধ ধর্মকে সমৃদ্ধ করেছে। শেষ পর্যন্ত বৌদ্ধ ধর্ম জগৎ ও জীবন সম্পর্কিত সব জিজ্ঞাসার জবাবে পরিণত হয়েছে। এর ফলে যা জগৎ ও জীবন সম্পর্কীয় যাবতীয় প্রশ্নের সমাধান যুগিয়েছে তাকেই বৌদ্ধ ধর্ম বলে অভিহিত করা হয়। বুদ্ধকে দুঃখ, কষ্ট, জরা, মৃত্যু প্রভৃতি গভীরভাবে আলোড়িত করে। তবে তিনি সময় ও সমাজকে অবজ্ঞা করেননি বরং এ সম্পর্কে সবিশেষ সচেতনতা অবলম্বন করেছেন।

এ কারণে তিনি ঈশ্বরকে কোনো ব্যাখ্যাতে আনতেন না। তাকে ব্যাখ্যাতীত এবং প্রশ্নাতীত করে রেখে গৌতম বুদ্ধ কর্মকে স্বয়ংসম্পূর্ণ বিষয় হিসেবে ঘোষণা করেন। আর্যসত্য অনুসারে, নিষ্কাম কর্মের মাধ্যমে ভবচক্রকে অতিক্রম করলেই মুক্তি। এ কারণে তিনি ঈশ্বর, আত্মা, জগৎ প্রভৃতি সসীম না অসীম কিংবা এগুলো অস্তিত্বশীল না। অস্তিত্বহীন সে সম্পর্কে কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতেন না। তাঁর মতে, এগুলো একেবারেই অর্থহীন ও অপ্রয়োজনীয় প্রশ্ন।



গৌতম বুদ্ধ ঈশ্বর পূজার কেন্দ্র হতে ধর্মকে সরিয়ে এনে মানুষের সেবায় সংস্থাপন করেন। বিশ্ব সৃষ্টির জটিল দর্শনে না গিয়ে মানুষকে তিনি নতুন মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ করেন। তিনি সবাইকে এ চেতনায় উজ্জীবিত করেন যে, আপাত যা নিত্য ও সৎ বলে মনে হয় তা বস্তুত পরিবর্তনশীল। অবিকৃত সত্তার ধারণাটিও একটি আপাত ধারণা মাত্র। এ জাগতিক দুঃখ, কষ্ট ও নৈরাশ্যের মাঝে তিনি মানুষকে আশার বাণী শুনিয়েছেন। গৌতম বুদ্ধের এই আশার বাণীর সার সংক্ষেপই বৌদ্ধ ধর্ম। এ ধর্মের মাধ্যমে বুদ্ধদেব মানুষকে আধ্যাত্মিক ও নৈতিক চেতনায় উদ্বুদ্ধ করেন। মানুষকে দুঃখ মুক্তির কথা বলেন। তাঁর মতে, দুঃখ মুক্তির সাধনাই বৌদ্ধ ধর্ম। তেলের অভাবে প্রদীপের শিখাটি যেমন নিভে যায়, ঠিক তেমনি কাম, ক্রোধ, লোভ, হিংসা, ঘৃণা, সুখ, আনন্দ, ভোগের ইচ্ছা প্রভৃতি তৃষ্ণা যখন নিবৃত্ত হয় তখন সব দুঃখ দূর হয়ে যায়। এ অবস্থায় মানুষ নির্বাণ বা মহামুক্তি লাভ করে। বৌদ্ধ ধর্মে নির্বাণই পরম সত্য, নির্বাণই পরম লক্ষ্য।

বৌদ্ধ ধর্মের বৈশিষ্ট্য, প্রকৃতি ও স্বরূপ

বৌদ্ধ ধর্ম মানবতবাদী, জীবপ্রেমী একটি অহিংস ও মধ্যপন্থি ধর্ম। বিশ্বের অন্যতম প্রধান এই ধর্মটি নানাবিধ বৈশিষ্ট্যে বিশিষ্ট। যেমন-



বৌদ্ধ ধর্ম ঈশ্বর নিরপেক্ষ

বৌদ্ধ ধর্ম মতে, নৈতিক অগ্রগতি বা পূর্ণতা অর্জনের জন্য ঈশ্বরের অস্তিত্ব স্বীকার করা আবশ্যক নয়। কেননা ঈশ্বরের অস্তিত্বের ধারণা ও তাঁর অসীম ক্ষমতায় বিশ্বাস মানুষকে নিষ্ক্রিয় ও দায়িত্বহীন করে তোলে। আবার ঈশ্বর যদি সবকিছুর কারণ হন তাহলে মানুষের ইচ্ছার স্বাধীনতা থাকে না। ঈশ্বরকে যদি করুণার আধার বলে বিশ্বাস করা হয় তাহলে মানুষের মধ্যে ভালো কাজ করার কোনো প্রয়োজন থাকে না। মানুষ করুণা করার ক্ষেত্রে আন্তরিক হয় না। বৌদ্ধ ধর্মতত্ত্ববিদগণ বলেছেন, জগৎ সৃষ্টির ব্যাখ্যার জন্যও ঈশ্বরের অস্তিত্ব স্বীকার অনিবার্য হয়ে ওঠে না। কারণ বস্তু ও চিন্তা সবই কর্মফল।

বৌদ্ধ ধর্ম কর্মবাদী ধর্ম

কর্মবাদ অনুসারে মানুষ পৃথিবীতে তার জীবদ্দশায় যে কাজই করে তাকে সে কাজের ফলভোগ করতে হয়। তার কাজ সৎ হলে সে ভালো প্রতিদান পায় আর মন্দ হলে মন্দ প্রতিদান পায়। এই ফল ভোগ যদি এক জীবনে শেষ না হয় তাহলে কর্মফল ভোগ করার জন্যই মানুষকে বারবার জন্মগ্রহণ করতে হয়। গৌতম বুদ্ধ কর্মবাদের কোনো জটিল বিশ্লেষণ বা কঠোর আলোচনা উৎসাহিত করেননি। তিনি বরং মানুষকে নিষ্কাম কর্মে নিবেদিত থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন।

দার্শনিক বা তত্ত্বালোচনায় তিনি আগ্রহী ছিলেন না বরং নিষ্কাম কর্ম সম্পাদনের মাধ্যমে কীভাবে মুক্তি পাওয়া যাবে তা নিয়েই তিনি উদ্যোগী ছিলেন। রাগ, দ্বেষ, কামনা-বাসনা থেকে মুক্ত হয়ে যে কর্ম সম্পাদন করা হয় তাই নিষ্কাম কর্ম। অষ্টাঙ্গিক মার্গ সঠিকভাবে অনুশীলনের মাধ্যমে পুনর্জন্ম রোধ করতে পারলে দুঃখ থেকে চিরমুক্তি লাভ সম্ভব হয়। এ কর্মবাদ কার্যকারণ শৃঙ্খলার সঙ্গে জড়িত। তাই পূর্ব জন্মের কৃতকর্মের ফল ভোগ শেষ না হওয়ায় বর্তমান জন্ম। সুতরাং বর্তমান জন্মের কারণ পূর্ব জন্মের কৃতকর্ম।

ইচ্ছার স্বাধীনতার স্বীকৃতি

কর্মবাদের সঙ্গে ইচ্ছার স্বাধীনতার কোনো বিরোধ নেই বরং কর্মবাদে ইচ্ছার স্বাধীনতাকে বেশি প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। কারণ বর্তমান অতীতের দ্বারা নির্ধারিত হলেও ভবিষ্যৎ জীবনের অবস্থা কেমন হবে তা জীবের স্বাধীন ইচ্ছা ও কর্মের ওপর নির্ভর করে। অতীতে যদি মানুষ নিষ্কাম কর্মের মাধ্যমে ভবচক্রকে অতিক্রম করতে পারত তাহলে কারো বর্তমান জন্ম হতো না। বৌদ্ধ দর্শনে ইচ্ছার স্বাধীনতা সম্পর্কিত নিয়ন্ত্রণবাদ ও অনিয়ন্ত্রণবাদকেও স্বীকার করা হয় না। ইচ্ছার স্বাধীনতার সর্বোচ্চ প্রয়োগের জন্য এ দর্শনে স্বনিয়ন্ত্রণের কথা বলা হয়।



বৌদ্ধ ধর্মে নিজের কৃতকর্মের নিয়ন্ত্রক মানুষ নিজে হওয়ায় মানুষের ইচ্ছার স্বাধীনতা সম্পর্কিত নিয়ন্ত্রণবাদ ও অনিয়ন্ত্রণবাদকে স্বীকার বা অস্বীকার করার প্রয়োজন পড়ে না। ফলে অন্য যে কোনো ধর্ম বা দর্শনের চেয়ে কর্মবাদের সঙ্গে বৌদ্ধ ধর্মেই ইচ্ছার সর্বোচ্চ স্বাধীনতার কথা স্বীকার করা হয়।

বৌদ্ধ ধর্ম আত্মা নিরপেক্ষ

বৌদ্ধ ধর্মে আত্মার নিত্যতা বা অনিত্যতাকে তেমন গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয় না। বুদ্ধদেবের মতে, সবকিছুই অনিত্য এবং ক্ষণকালের। তাই চিরন্তন আত্মার অস্তিত্ব থাকা সম্ভব নয়। তাঁর মতে, কোনো এক বিশেষ মুহূর্তে নিজেদের মধ্যে মানুষ যে মানসিক প্রতিক্রিয়াসমূহ লক্ষ করে সেই মানসিক প্রক্রিয়াসমূহের অবিরাম প্রবাহ বা ধারাই হলো আত্মা। তিনি পুনর্জন্ম স্বীকার করেন কিন্তু হিন্দু ধর্মের জন্মান্তরবাদ অস্বীকার করেন। তাঁর মতে, জীব হলো মানসিক প্রক্রিয়া। এ প্রক্রিয়াই এক জন্ম থেকে আরেক জন্মে প্রবাহিত হয়। যেমন দুটি প্রদীপ সম্পূর্ণ ভিন্ন হলেও একটি প্রদীপের আগুন দিয়ে অবলীলায় অপর প্রদীপটি জ্বালানো যায় । আত্মার প্রবাহও জীবন থেকে জীবনে তেমনি। এ কারণে গৌতম বুদ্ধ নৈরাত্মবাদের ওপর বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। কারণ আত্মা সম্পর্কে ভুল ধারণা মানুষকে দুঃখবোধে আক্রান্ত করে।

বৌদ্ধ ধর্ম প্রত্যক্ষবাদী

বৌদ্ধধর্ম একান্তভাবে অভিজ্ঞতাবাদী বা প্রত্যক্ষবাদী। এ ধর্মমতে, যা মানুষ প্রত্যক্ষ করতে পারে তাই সত্য। আর যা প্রত্যক্ষ করতে পারে না তা সত্য নয়। ঈশ্বর, আত্মা ইত্যাদি প্রত্যক্ষণাতীত বিষয় বলে এগুলো সত্য নয়। মানুষের দুঃখহীন জীবন তৈরির জন্য এগুলো সত্য হওয়াও অনিবার্য নয়। বুদ্ধদেব তাই সনাতন আত্মা এবং অতীন্দ্রিয় যে কোনো সত্তার অস্তিত্বকে অস্বীকার করেন। যে বিষয়গুলোকে প্রত্যক্ষণযোগ্য যেমন তিনি দেখেছিলেন, মানুষ বিভিন্নভাবে দুঃখ পেয়ে কাঁদছে, এ দুঃখই সত্য। দুঃখ থেকে মুক্তির পথ অন্বেষণে তিনি স্ত্রী, পুত্র, রাজ্য ছেড়ে সত্যের ধ্যানে মগ্ন হলেন। বোধি লাভের পরও অপ্রত্যক্ষিত বিষয় নিয়ে আলোচনাকে তিনি অর্থহীন এবং অপ্রয়োজনীয়ই মনে করতেন।

বৌদ্ধ ধর্ম প্রয়োজনবাদী

বৌদ্ধ ধর্ম মানুষের প্রয়োজনকে বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করে থাকে। প্রয়োজনবাদ অনুসারে, যে বস্তু বা বিষয় মানুষের প্রয়োজন পূরণ করে সে বস্তু বা বিষয়ই সত্য। গৌতম বুদ্ধ দেখেছেন মানুষ রোগ, শোক, জরা ইত্যাদি দুঃখে নিপতিত। তাই তিনি দর্শনের জটিল আলোচনায় না গিয়ে কীভাবে মানুষকে দুঃখ থেকে মুক্ত করা যায় সে চেষ্টা করেছেন। দুঃখ থেকে মুক্তির উপায় হিসেবে তিনি আর্যসত্য ও অন্যান্য দিক-নির্দেশনা প্রদান করেছেন।

বৌদ্ধ ধর্ম তত্ত্বালোচনা বিরোধী

বৌদ্ধ ধর্মতত্ত্ব আলোচনায় মত্ত হতে একেবারেই অনাগ্রহী। আত্মা কী, আত্মার স্বরূপ কী, ঈশ্বর সসীম নাকি অসীম, তাঁর অস্তিত্ব আছে কী নেই, অধিবিদ্যা কী, জগৎ নিত্য নাকি অনিত্য ইত্যাদি নানা প্রসঙ্গে আলোচনাকে গৌতম বুদ্ধ একেবারেই অপ্রয়োজনীয় এবং সময়, মেধা ও যোগ্যতার অপচয় মনে করতেন। তাঁর মতে, এসব প্রশ্ন নিরর্থক। এসব প্রশ্নের জালে আবদ্ধ হয়ে কেউ সত্যের পূর্ণ রূপটি উপলব্ধি করতে পারেন না। তাই এ জাতীয় আলোচনা শুধু বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে এবং মানুষকে জীবনের মূল লক্ষ্য দুঃখ থেকে মুক্তি লাভ থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যায়। সূক্ষ্ম, জটিল, অপ্রত্যক্ষিত বিষয়ের আলোচনায় মানব জীবনের কোনো সাধনই সফল হতে পারে না।

দুঃখ মুক্তিই লক্ষ্য

বৌদ্ধ ধর্মে সবকিছুকে দুঃখময় হিসেবে বিশ্লেষণ করা হয়। যেমন মহামতি বৌদ্ধ বলেছেন, সর্বং দুক্খং বা সবই দুঃখময়। অপ্রিয় সংযোগ, প্রিয় বিচ্ছেদ, উদ্বেগ, রোগ, শোক, জরা, ব্যাধি, আতঙ্ক, হতাশা প্রভৃতি দুঃখে মানুষ নিয়ত চোখের জল ফেলছে। যা কিছু ক্ষণস্থায়ী তাই দুঃখ সৃষ্টি করে। গৌতম বুদ্ধের মতে, এ সংসারে সুখ আছি কিন্তু সত্য দ্রষ্টা বা জ্ঞানীর দৃষ্টিতে সে জাগতিক সুখের মধ্যে দুঃখের বীজ নিহিত রয়েছে। গৌতম বুদ্ধ দুঃখের কারণ নির্দেশ করে সে কারণকে দূর করার জন্য অষ্টাঙ্গিক মার্গের কথা বলেছেন। এ পথ অনুসরণ করে মানুষ পুনর্জন্ম রোধ করতে পারবে এবং নির্বাণ লাভ করতে পারবে। এভাবে নির্বাণ লাভ করা সম্ভব হলে মানুষ জীবনব্যাপী অন্তহীন দুঃখের নাগপাশ থেকে নিজেকে মুক্ত করতে পারবে।

নির্বাণ চূড়ান্ত গন্তব্য

বৌদ্ধ ধর্ম কর্মবাদ ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক সাধনার একটি মাত্র চূড়ান্ত লক্ষ্য নির্ধারণ করে, তা হলো নির্বাণ লাভ করা। শব্দগত বিবেচনায় নির্বাণ অর্থ নির্বাপিত হওয়া বা নিভে যাওয়া। তেলের অভাবে প্রদীপ যেমন নিভে যায় তেমনি ভোগাকাঙ্ক্ষার অভাবে কামনা-বাসনার পূর্ণ বিলুপ্তি হচ্ছে নির্বাণ। সাধনায় সিদ্ধি লাভের মাধ্যমে গৌতম বুদ্ধ প্রথমে জীবিত অবস্থায় নির্বাণ লাভ করেন, নির্বাণের নাম মহানির্বাণ আর মৃত্যুর পর তিনি যে নির্বাণ লাভ করেন তাকে বলে পরনির্বাণ। বৌদ্ধ ধর্মে নির্বাণকে নানাভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। যেমন-

ক. নির্বাণ হলো পূর্ণ বিলুপ্তি;

খ. নির্বাণ হলো শাশ্বত আনন্দের অবস্থা;

গ. নির্বাণ হলো অচিন্তনীয় অবস্থা;

ঘ. নির্বাণ হলো অপরিবর্তিত অবস্থা।

বৌদ্ধ ধর্মীয় পণ্ডিতগণ শেষ পর্যন্ত এভাবে বলেছেন, নির্বাণকে বর্ণনা বা ব্যাখ্যা করা যায় না। বরং এ হলো বোধ ও উপলব্ধির বিষয়। এ কারণে স্বয়ং গৌতম বুদ্ধ নির্বাণকে নেতিবাচক শব্দ ব্যবহার করে ব্যাখ্যা করেছেন।

বৌদ্ধ ধর্ম মধ্যপন্থী

বৌদ্ধ ধর্ম চরমপন্থি নয়। চিন্তা-দর্শনে, জীবনাচারে, বিধি-নিষেধ আরোপ ও কার্যকর করার কোনো পর্যায়েই এ ধর্ম চরমপন্থা সমর্থন করে না। গৌতম বুদ্ধ চরমপন্থা বিরোধী ছিলেন। কারণ অসংযত ভোগবিলাসের পথ হবে অসম্মানজনক, আধ্যাত্মিকতা বর্জিত ও ঘৃণ্য। আবার অনাবশ্যক কৃচ্ছ্রতাসাধনের পথ হলো দুঃখময়, অনর্থক ও অবাস্তব। মানুষের কল্যাণ কামনায় বুদ্ধদেব উপরোক্ত দুই চরমপন্থা পরিহার করে মধ্যপথের কথা প্রচার করেছেন। এ মধ্যপথ হলো বুদ্ধ নির্দেশিত অষ্টাঙ্গিক মার্গ। এতে অসংযত ইন্দ্রিয় ভোগ নেই ও অনাবশ্যক কৃচ্ছ্রতাসাধনও নেই । আছে সংযম, চিত্তের একাগ্রতা ইত্যাদি। যে কোনো ব্যক্তি এ মধ্যপথ অবলম্বন করে দুঃখ থেকে মুক্তি পেতে পারে। মধ্যপথ অবলম্বনকারী সব জীবের মঙ্গল কামনা করবে, অন্যের সুখে আনন্দিত হবে, অন্যের দোষের প্রতি উদাসীন হবে, অসহায়-দুঃখীর প্রতি করুণা করবে এবং নিজ কর্ম নিষ্ঠার সঙ্গে সম্পন্ন করবে। এ মধ্যপথই বৌদ্ধধর্মের নীতিতত্ত্ব।

বৌদ্ধ সম্প্রদায়

বৌদ্ধ ধর্ম তার সহজবোধ্য জীবন দর্শনের জন্য মানুষের কাছে বিশেষভাবে গ্রহণীয় হয়ে ওঠে। দেখতে দেখতে এর অনুসারী সংখ্যা অনেক হয়ে যায়। অনুসারীদের সংখ্যাধিক্যের কারণে গৌতম বুদ্ধের মহাপ্রয়াণের পর তাঁর আদর্শের ব্যাখ্যা ও বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে মতবিরোধ তৈরি হয়। অধিকসংখ্যক অনুসারীর কারণে তারা ঐকমত্যে পৌঁছতে ব্যর্থ হন এবং এভাবেই বৌদ্ধ ধর্মে দুটি বিভাগ তৈরি হয়। এগুলো হলো-

  1. হীনযান: প্রাচীনপন্থি গোঁড়া বৌদ্ধগণ যারা স্থবিরবাদী নামে পরিচিত তারাই হীনযান বৌদ্ধ। এরা বৌদ্ধ ভিক্ষুদের পালনীয় আচার-ব্যবহারের কঠোরতা শিথিল করার বিরোধী।
  2. মহাযান: মহাযানীরা আত্মমুক্তির কথা প্রচার না করে সবার মুক্তির কথা বলেন। তারা ঈশ্বর, আত্মা এবং মানুষের পরিণতি সম্পর্কে ভাবাত্মক ধারণা প্রচার করেন। তাদের বিশ্বাসে বুদ্ধই ঈশ্বর।

উপসংহার

যে কোনো ধর্মমতের বিশুদ্ধতা রক্ষা করা যেমন আবশ্যক তেমনি তাকে উদার এবং সর্বজনীন করে তোলাও কর্তব্য। সে কারণে বাহ্যত হীনযান ও মহাযান সম্প্রদায়কে বৌদ্ধ ধর্মের দুটি আলাদা সম্প্রদায় মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে তারা এক পক্ষ ধর্মের বিশুদ্ধতা রক্ষার কাজ করে চলেছে, অন্য পক্ষ একে উদার এবং সর্বজনীন করে তোলার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে- যা সবারই কাম্য বিষয়। বৌদ্ধ ধর্মের মূলভিত্তি ত্রিপিটক। এটি তিনটি পিটকের সংকলন। পিটকগুলোতে মহামতি বুদ্ধের উপদেশ, বাণী ও শিক্ষাসমূহ সংকলিত হয়েছে।



• IST-601 : Study of al Tafsir (Tafsir Ibn Kathir : Surah-al-Maieda verse 1 to 77) • IST-602 : Study of al-Fiqh • IST-603 : Philosophy of religion and Comparative Religion • IST-604 : History of Sufism in Bangladesh and some prominent • IST-605 : Trade, Commerce and Business Studies in Islam

The Best Steps Towards Ultimate Self-Care

Hey there, friend! Today, let’s talk about something super important: self-care. It’s not just about bubble baths and scented candles (although those are nice too!), but it’s about taking care of yourself in a holistic way, from your physical health to your mental well-being. So, grab a cup of tea and let’s dive into the best steps towards ultimate self-care!

1. Prioritize Sleep

First things first, let’s talk about sleep. I know, I know, it’s tempting to stay up binge-watching your favorite show or scrolling through social media, but trust me, your body and mind need those Z’s. Aim for 7-9 hours of quality sleep each night. Create a bedtime routine, dim the lights, and power down your devices at least an hour before hitting the hay. Your body will thank you for it!

2. Move Your Body

Exercise isn’t just about fitting into those skinny jeans (although that’s a nice bonus!), it’s about boosting your mood and improving your overall health. Find a physical activity that you enjoy, whether it’s yoga, dancing, or going for a walk in nature. The key is to get moving regularly and listen to your body’s needs.

3. Nourish Your Body

You are what you eat, so fuel yourself with nourishing foods that make you feel good from the inside out. Fill your plate with plenty of fruits, vegetables, whole grains, and lean proteins. And don’t forget to stay hydrated! Drinking enough water is essential for keeping your body functioning properly.

4. Practice Mindfulness

In our fast-paced world, it’s easy to get caught up in the hustle and bustle of everyday life. Take a moment to slow down and practice mindfulness. Whether it’s through meditation, deep breathing exercises, or simply taking a few minutes to appreciate the present moment, mindfulness can help reduce stress and increase feelings of calmness and clarity.

5. Set Boundaries

Learning to say no is a powerful form of self-care. It’s okay to set boundaries and prioritize your own needs and well-being. Don’t overcommit yourself or feel guilty for putting yourself first. Remember, you can’t pour from an empty cup!

6. Cultivate Gratitude

Take time each day to reflect on the things you’re grateful for. Keeping a gratitude journal or simply pausing to appreciate the little things in life can shift your perspective and bring more joy and positivity into your day.

7. Connect with Others

Humans are social beings, and nurturing meaningful connections with others is essential for our mental and emotional well-being. Whether it’s spending time with loved ones, joining a club or community group, or simply striking up a conversation with a stranger, make time for social interaction and connection.

8. Seek Professional Help When Needed

There’s no shame in asking for help when you need it. Whether you’re struggling with your mental health, dealing with a difficult life transition, or simply feeling overwhelmed, reaching out to a therapist or counselor can provide you with the support and guidance you need to navigate life’s challenges.

9. Engage in Activities You Enjoy

Make time for hobbies and activities that bring you joy and fulfillment. Whether it’s painting, playing an instrument, gardening, or hiking, carving out time for things you love can help reduce stress and boost your overall happiness.

10. Practice Self-Compassion

Last but certainly not least, be kind to yourself. We’re all human, and we all make mistakes. Instead of beating yourself up over perceived failures or shortcomings, practice self-compassion and treat yourself with the same kindness and understanding that you would offer to a friend.

So there you have it, friend, the best steps towards ultimate self-care! Remember, taking care of yourself isn’t selfish, it’s necessary. So, go ahead, prioritize your well-being and make self-care a non-negotiable part of your daily routine. You deserve it!

ধর্মের উৎপত্তি কীভাবে হয়েছে? মানব জীবনে ধর্মের ভূমিকা বা প্রয়োজনীয়তা আলোচনা কর।

প্রশ্ন: ধর্মের উৎপত্তি কীভাবে হয়েছে? মানব জীবনে ধর্মের ভূমিকা বা প্রয়োজনীয়তা আলোচনা কর। বিষয়: IST-603 : Philosophy of Religion and Comparative Religion কোর্স: এমএ ইন ইসলামিক স্টাডিজ (ফাইনাল)



ধর্মের উৎপত্তি কীভাবে হয়েছে? মানব জীবনে ধর্মের ভূমিকা বা প্রয়োজনীয়তা আলোচনা কর।

ভূমিকা

ধর্ম স্রষ্টার সাথে সৃষ্টির বন্ধনের এক অদৃশ্যবোধ। ঐশ্বরিক শক্তির নিয়ন্ত্রণ স্বীকার করে নৈতিক জাগৃতির মাধ্যমেই ধর্মের বহিঃপ্রকাশ। ধর্মের উৎপত্তি সম্পর্কে নানাবিধ বিতর্ক রয়েছে। তবে ইসলামি আকীদা হচ্ছে পৃথিবীতে মানুষের আগমনের মধ্য দিয়েই ধর্মের আবির্ভাব। কালের বিবর্তনে জ্ঞানের সীমাবদ্ধতার কারণে মানুষ বিভিন্নভাবে ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গী পোষণ করে থাকে। তবে ইসলাম ব্যতীত অন্য কোনো ধর্মই আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের নিকট গ্রহণযোগ্য নয়। ধর্ম মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত, নৈতিক ও চারিত্রিক উন্নতি সাধন পারস্পরিক সম্প্রীতি স্থাপন ইত্যাদি কল্যাণমুখী কর্মের উৎস হিসেবে মানব জীবনে এর ভূমিকা বা প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।

ধর্মের উৎপত্তি কীভাবে হয়েছে? মানব জীবনে ধর্মের ভূমিকা বা প্রয়োজনীয়তা আলোচনা কর।

ধর্মের উৎপত্তি যেভাবে হয়েছে

ধর্মীয় চিন্তার উৎপত্তি সম্পর্কে নৃ-বিজ্ঞানীদের ধারণা, আদিম মানুষের হৃদয় ছিল শূন্য। পৃথিবীর চারিদিকের পারিপার্শ্বিকতার অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান, শব্দ যোজনী, নিত্য-নৈমিত্তিক কর্মচাঞ্চল্য, নানা প্রকার ঘাত-প্রতিঘাত ইত্যাদির মাধ্যমে মানুষের শূন্য হৃদয়ে এক অনুভূতির সূত্রপাত ঘটে। সেই সূত্র ধরে ধর্মানুভূতি বা ধর্মীয় চিন্তার উৎপত্তি হয়।

ধর্মের উৎপত্তি সম্পর্কে ধর্মতত্ত্ববিদ ও দার্শনিকগণ স্ব-স্ব দৃষ্টিকোণ থেকে মতামত ব্যক্ত করেছেন। নিম্নে এ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-

প্রত্যাদেশমূলক মতবাদ

এ মতবাদ অনুসারে অহী বা প্রত্যাদেশ থেকেই ধর্মের উৎপত্তি হয়েছে। এ জাতীয় ধর্ম মানব সৃষ্টির সূচনা থেকে শুরু হয়েছে। এ প্রসঙ্গে Man’s Religion গ্রন্থে বলা হয়েছে- Religion was originated with creation of the first man of earth.



আল্লাহর বাণী, “এবং আমি আদমকে হুকুম করলাম, তুমি ও তোমার স্ত্রী জান্নাতে বসবাস করতে থাক এবং এখানে যা ইচ্ছা পরিতৃপ্তিসহ খেতে থাক, কিন্তু এ গাছের নিকটবতী হয়ো না, অন্যথায় তোমরা জালিমদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে।” সুতরাং দেখা যাচ্ছে, মানব সৃষ্টির সাথে সাথে তাঁদের প্রতি প্রেরিত প্রত্যাদেশ থেকেই ধর্মের উৎপত্তি হয়েছে।

অপ্রত্যাদেশমূলক মতবাদ

এ মতবাদ অনুসারে ধর্ম দৈব-বাণী থেকে উৎপত্তি হয়নি। এটা হলো যুগ পরম্পরায় বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত বিবর্তিত রূপ। এটাকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন-

  1. মানবীয় বিচার-বুদ্ধিভিত্তিক মতবাদ: অষ্টাদশ শতাব্দীর ইংরেজ অতিবর্তীবাদীরা মনে করে, মানবীয় বিচার-বুদ্ধি থেকে ধর্মের উৎপত্তি হয়েছে। প্রত্যাদেশ থেকে ধর্মের উৎপত্তি-এ মতবাদ তারা স্বীকার করে না।
  2. আধুনিক মতবাদ: নৃ-তাত্ত্বিক ও মনোবিজ্ঞানীদের মতে, এ মতবাদ ‘নৃ-তাত্ত্বিক’ ও ‘মনস্তাত্ত্বিক’ দুইটি শ্রেণিতে বিভক্ত। নিম্নে এদের সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-

নৃ-তাত্ত্বিক মতবাদ: নৃ-তত্ত্ববিদগণ এ সম্পর্কে বিভিন্ন মতামত ব্যক্ত করেছেন। যেমন-



  • সর্বপ্রাণবাদ: সর্বপ্রাণবাদ সম্পর্কে নৃ-বিজ্ঞানী Frazer S A. R. Radcliffe Brown বলেন- সর্বপ্রাণবাদ হলো মানুষের আত্মায় বিশ্বাস এবং মৃত্যুর পর আত্মার পুনর্জীবনে বিশ্বাস। কাজেই সর্বপ্রাণবাদ হলো মৃত্যুর প্রতি ভক্তি-শ্রদ্ধা থেকে উদ্ভূত এক ধরনের বিশ্বাস। এ বিশ্বাস থেকেই ধর্মের উৎপত্তি হয়েছে। বস্তুত প্রাচীন যুগের বর্বর মানুষ ধর্মীয় কুসংস্কারে বশবর্তী হয়ে সর্বপ্রাণবাদে বিশ্বাসী ছিল এবং প্রয়াত আত্মপূজায় নিমজ্জিত ছিল। প্রকৃতপক্ষে এর কোনো ভিত্তি নেই। সকল মঙ্গল-অমঙ্গলের মালিক একমাত্র আল্লাহ তাআলা। তিনিই সমস্ত কিছুর নিয়ামক। তিনি ব্যতীত ক্ষতি বা উপকার করার বিকল্প কোনো শক্তি নেই। তাই বলা যায়, নৃ-বিজ্ঞানীদের মতবাদ সর্বপ্রাণবাদ ধর্মের উৎস নয় এবং এটি ইসলামি বিশ্বাস মতে পরিত্যাজ্য।
  • প্রেতাত্মাবাদ: Herbert Spencer-এর মতে, প্রেতাত্মারূপে আবির্ভূত পূর্ব-পুরুষদের উপাসনা থেকেই ধর্মের উৎপত্তি। বস্তুত প্রেতাত্মার ধারণা অমূলক। কেননা আল্লাহই আত্মার সৃষ্টিকর্তা। তাই এটাও ধর্মের উৎস হিসেবে যথার্থ নয়।
  • টোটেমবাদ: Emile Durkheim-এর মতে, প্রাচীন যুগের মানুষ কোনো নির্দিষ্ট পশু পাখি, গাছপালা বা বস্তুকে তাদের সম্প্রদায়ের পূর্ব পুরুষ বা জাতি বলে মনে করে পূজা করত। এ থেকেই ধর্মের উৎপত্তি হয়েছে। মূলত এটিও বর্বর যুগের লোকদের ধারণা ও কুসংস্কার মাত্র। ইসলামি জীবন দর্শনে এর কোনো ভিত্তি নেই। সকল শক্তির উৎস হচ্ছেন একমাত্র আল্লাহ তাআলা এবং তিনিই তা নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন। ইসলাম এটাকে মূলোৎপাটন করতে সর্বদা বদ্ধপরিকর। সুতরাং বর্বর ও অসভ্য লোকদের ভ্রান্ত ধারণা ও কুসংস্কারের প্রতিফলন Totemism-কে ইসলাম ধর্মের উৎস বলে স্বীকার করে না।


  • ট্যাবু প্রথা: নৃবিজ্ঞানী Arnold বলেন, Taboo is the oldest human unwritten code of law. W. Wundt বলেন, Taboo is or unwritten code of conduct. অর্থাৎ প্রাচীনকালের একটি অলিখিত সংবিধান হচ্ছে ট্যাবু। আর এটা থেকেই নৃ-বিজ্ঞানীদের মতে ধর্মের উৎপত্তি হয়েছে। মূলত ট্যাবুর কোনো বাস্তবতা নেই। এর পেছনে শরীআতের কোনো সমর্থনও নেই। আদিম যুগের মানুষের কুসংস্কারই হলো ট্যাবু। ইসলামি আকীদা হলো সকল শক্তির উৎস একমাত্র আল্লাহ তাআলা। মঙ্গল-অমঙ্গল সাধনের ক্ষমতা একমাত্র তাঁরই হাতে ন্যস্ত। সুতরাং এটা থেকেও ধর্মের উৎপত্তি হয়নি।
  • মানাবাদ: Marett-এর মতে, নৈর্ব্যক্তিক অসাধারণ, দুর্জেয় ও আরোধ্য অতিপ্রাকৃত শক্তিই হলো মানা। এ থেকেই ধর্মের উৎপত্তি বলে অনেকে মনে করেন। সমালোচনায় বলা যায়, একটি কাঙ্ক্ষিত-বাঞ্ছিত বস্তুকে লাভ করার জন্য নিবিড় এবং গভীর সাধনার মাধ্যমে যে সফলতা লাভ করা যায়, একে বর্বর যুগের লোকেরা মানা নামে অভিহিত করেছে। বস্তুত ইসলামি দৃষ্টিভংগিতে স্রষ্টা এবং সৃষ্টির মাঝখানে মানা বলতে কোনো শক্তি নেই। কাজেই এটাও ধর্মের উৎস হতে পারে না।


  • জাদু প্রথা: Frazer-এর মতে, জাদু থেকেই ধর্মের উৎপত্তি হয়েছে। যাদুর ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, Magic. is a spurious systim of natural law as well as a falacious guide of human conduct; it is a false science as well as an abortive art. আবশ্য কেউ কেউ এর বিরোধিতাও করেছেন। তিনি মনে করেন প্রাচীন যুগে ধর্মের প্রচলন হওয়ার আগে যাদু বিদ্যার প্রচলন ছিল এবং মানুষ বিপদাপদে নিপতিত হয়ে যাদুর আশ্রয় গ্রহণ করত। পরবর্তীতে বিবর্তনের প্রেক্ষাপটে যাদু ধর্মের রূপ লাভ করে। তাই যাদু হলো ধর্মের উৎস।

উপসংহার

উপর্যুক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, সামাজিক ও ব্যক্তিগত জীবনে ধর্মের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মানুষ সামাজিক জীব। আর সামাজিক জীবনে সে যেসব সমস্যায় পড়ে অথবা সমাজে নৈতিকতা ও মানবতাবোধ নিয়ে বেঁচে থাকার দিকনির্দেশনা দিয়ে থাকে এ ধর্মীয় অনুশাসন। তাই সামাজিক ও ব্যক্তি জীবনে ধর্ম একটি চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে থাকে। ব্যক্তির নিয়ন্ত্রণ, ব্যক্তির আচার আচরণে শালীনতাবোধ সবই ধর্মীয় অনুশাসন শিক্ষা দেয়।



• IST-601 : Study of al Tafsir (Tafsir Ibn Kathir : Surah-al-Maieda verse 1 to 77) • IST-602 : Study of al-Fiqh • IST-603 : Philosophy of religion and Comparative Religion • IST-604 : History of Sufism in Bangladesh and some prominent • IST-605 : Trade, Commerce and Business Studies in Islam

নেককার মহিলাদের কাহিনী • ইমাম রবিয়া তুরার মাতা

নেককার মহিলাদের কাহিনী • ইমাম রবিয়া তুরার মাতা

মহান আল্লাহ তায়ালা যুগে যুগে অসংখ্য নবী-রাসুল দুনিয়াতে প্রেরণ করেছেন মানুষের হেদায়াতের জন্য। তাদের একত্ববাদের দাওয়াত ও শিক্ষা দেয়ার দায়িত্ব দিয়ে আল্লাহ তায়ালা দুনিয়াতে প্রেরণ করেছিলেন। ঠিক তেমিনভাবে অনেক নেককার মহিলাও দুনিয়াতে প্রেরণ করেছেন। তাদের মধ্যেও আল্লাহ তায়ালা অসংখ্য মুজিজা দিয়েছিলেন। যেগুলো থেকে শিক্ষা গ্রহণ করার সুযোগ রয়েছে। এখানে তেমনিভাবে আল্লাহর কিছু প্রিয় নেককার মহিলাদের কাহিনী ও তাদের শিক্ষা তুলে ধরা হলো।


নেককার মহিলাদের কাহিনী • ইমাম রবিয়া তুরার মাতা

ইমাম রবিয়া তুরা মস্ত বড় আলেম ছিলেন। ইমাম মালেক এবং হাসান বস্ত্রী (রাঃ) যাঁরা দুনিয়ার চাঁদ সূর্যের চেয়েও মশহুর আলেম তাঁরা তাঁর শাগরেদ। তাঁর পিতার নাম ফিরোজ।

বনি-উমাইয়া বংশের খেলাফতকালে এই ফিরোজ তাদের সেনাদলভুক্ত ছিলেন। একবার তিনি স্ত্রীর নিকট ত্রিশ হাজার আশরাফিয়া জমা রেখে বিদেশে চলে যান। ইমাম রবিয়া ঐ সময় মাতৃগর্ভে, ফিরোজ এইবারে সাতাইশ বৎসরকাল বিদেশে কাটিয়ে আসেন।

এদিকে ইমাম রবিয়া যথাসময় ভূমিষ্ঠ হন। পরিণত বয়সে তাঁর মাতা তাঁকে লেখাপড়া শিখতে দেন। এই সুদীর্ঘ সাতাইশ বৎসরের মধ্যে ত্রিশ হাজার আশরাফিয়া খরচে ইমাম রবিয়ার বুদ্ধিমতী মাতা তাঁকে মহান আলেম করে তুললেন। অবশেষে একদিন ফিরোজ বাড়ি ফিরে আসেন। স্ত্রীকে ত্রিশ হাজার আশরাফিয়ার কথা জিজ্ঞাসা করেন। উত্তরে স্ত্রী বলেন, আশরাফিয়াগুলি অতি যত্নেই রয়েছে। ফিরোজ দেখলেন, তার ছেলে ইমাম রবিয়া মসজিদে বসে হাদীস শুনাচ্ছেন। তিনি স্বীয় ছেলেকে কওমের ইমামরূপে দেখতে পেয়ে খুব আনন্দিত হয়ে স্ত্রীর নিকট ফিরে আসলেন। স্ত্রী তাকে বললেন, আচ্ছা ছেলের এই নিয়ামত বেশী পছন্দনীয়, না ত্রিশ হাজার আশরাফিয়া? অতঃপর স্ত্রী আরও বললেন, আমি বিগত সাতাইশ বৎসরে উক্ত ত্রিশ হাজার আশরাফিয়া খরচ করে ছেলেকে এলেম হাছেল করিয়েছি। ফিরোজ বললেন, নিঃসন্দেহ, আমি তোমার ন্যায় বুদ্ধিমতী স্ত্রী পেয়ে সুখী হয়েছি এবং আমার এই আশরাফিয়া খরচ করা সার্থক হয়েছে। আর আমরা এমন ছেলের মাতাপিতা হতে পেরে ধন্য হয়েছি।

নেককার মহিলাদের কাহিনী ও তাদের জীবনী

হযরত হাওয়া (আঃ)হযরত সারা (আঃ)হযরত হাজেরা (আঃ)হযরত ইসমাঈল (আঃ)-এর বিবিবাদশাহ্ নমরুদের কন্যাআইয়ূব নবীর স্ত্রী বিবি রহিমাহযরত ইউসুফ (আঃ)-এর খালাহযরত মূসা (আঃ)-এর মাতাহযরত মূসা (আঃ)-এর বোনহযরত মূসা (আঃ)-এর বিবি ছফুরাহযরত বিবি আছিয়াফেরাউনের কন্যা ও বাঁদীহযরত মূসার এক বৃদ্ধা লস্করহাইসূরের ভগ্নীহযরত বিলকিসবনি-ইসরাইলের এক দাসীবনি-ইসরাইলের এক বুদ্ধিমতী নারীহযরত বিবি মারইয়ামহযরত খাদিজাহযরত সওদা • হযরত আয়েশা ছিদ্দীকা • হযরত হাফসা • হযরত যয়নব বিনতে জাহাশ • হযরত যোয়ায়রিয়াহ • হযরত মায়মুনাহ • হযরত সাফিয়া • হযরত যয়নব • হযরত রোকেয়া • হযরত উম্মে কুলসুম • হযরত ফাতেমা (রাঃ) • হযরত হালিমা সাদিয়া •

তথ্যসূত্র