▶ প্রশ্ন: ইসলামে মানবাধিকারের সঙ্গে জাতিসংঘের মানবাধিকার ঘোষণাপত্র পর্যালোচনা করুন। ▶ বিষয়: (IST-504) Human Rights in Islam ▶ কোর্স: এমএ ইন ইসলামিক স্টাডিজ (১ম পর্ব)
ভূমিকা
বর্তমানে মানবাধিকার একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচিত বিষয়। এর সাথে শরিয়াহ আকিদা, বিশ্বাস, ইবাদত রাজনীতি, অর্থনীতি, সামাজিক ইত্যাদি সংক্রান্ত বহু অধিকার জড়িত। অন্যদিকে এটি বৃহৎ রাষ্ট্রসমূহ বা জাতিসংঘ র্কতৃক রচিত হিউম্যান রাইটস কনভেনশন বা মানবাধিকার সনদ এর সাথে সর্ম্পকযুক্ত।
মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণা পত্র
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ১৯৪৮ সালের ১০ই ডিসেম্বরে মানবাধিকার এর সাথে সংশ্লিষ্ট যে মহাসনদ ঘোষণা করেছে তাকেই মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণা পত্র বলে। এতে মোট ৩০টি ধারা বা অনুচ্ছেদ রয়েছে।
ইসলামের মানবাধিকার ও মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণা পত্র
ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোন থেকে বিচার করলে দেখা দায়, এ পৃথিবীতে মানবজাতির অস্তিত্ব যত প্রাচীন ইসলামে মৌলিক অধিকারের ধারণাও তত প্রাচীন। মানুষের স্রষ্টা যেভাবে তার দৈহিক জীবনের জন্য আলো, বাতাস, পানি এবং অন্যান্য জীবনোপকরণের ব্যবস্থা করেছেন তেমনি তার সামাজিক জীবন পরিচালার জন্য একটি জীবন ব্যবস্থাও দান করেছেন। যাকে ইসলামী শরিয়াহ বলে। সুতরাং আল্লাহ শরীয়তের মধ্যেই মানববাধিকার সুরক্ষা করেছেন, এবং সর্বশ্রেণির মানুষের অধিকার সংরক্ষণ করেছেন।
আরো পড়তে পারেন: বর্তমান বিশ্বে মানবাধিকার লঙ্ঘনের চিত্র বর্ণনা করুন? বিদায় হজের আলোকে এর প্রতিকার বর্ণনা করুন
নিম্নে মানবাদিকারের সার্বজনীন ঘোষণা পত্রের সাথে ইসলামের মানবাদিকারের তুলনামুলক আলোচনা করা হল-
(১) জীবনের নিরাপত্তা লাভের অধিকার
অনুচ্ছেদ ৩: প্রত্যেকের জীবনধারণ, স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা লাভের অধিকার রয়েছে। -ইসলামের মানবজীবনকে একান্ত সম্মানের বস্তু হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে। মানুষের জীবনের নিরাপত্তার প্রতি যতটা গুরুত্ব দেয়া হয়েছে তার নজির অন্য কোন ধর্মীয় নৈতিক কিংবা আইনশাস্ত্রের সাহিত্যে মিলে না। মহান আল্লাহ সূরা মায়েদার ৩২ নম্বর আয়াতে বলেন-
مِنۡ اَجۡلِ ذٰلِکَ ۚۛؔ کَتَبۡنَا عَلٰی بَنِیۡۤ اِسۡرَآءِیۡلَ اَنَّہٗ مَنۡ قَتَلَ نَفۡسًۢا بِغَیۡرِ نَفۡسٍ اَوۡ فَسَادٍ فِی الۡاَرۡضِ فَکَاَنَّمَا قَتَلَ النَّاسَ جَمِیۡعًا ؕ وَمَنۡ اَحۡیَاہَا فَکَاَنَّمَاۤ اَحۡیَا النَّاسَ جَمِیۡعًا ؕ وَلَقَدۡ جَآءَتۡہُمۡ رُسُلُنَا بِالۡبَیِّنٰتِ ۫ ثُمَّ اِنَّ کَثِیۡرًا مِّنۡہُمۡ بَعۡدَ ذٰلِکَ فِی الۡاَرۡضِ لَمُسۡرِفُوۡنَ
অর্থ: এ কারণেই আমি বনী-ইসলাঈলের প্রতি লিখে দিয়েছি যে, যে কেউ প্রাণের বিনিময়ে প্রাণ অথবাপৃথিবীতে অনর্থ সৃষ্টি করা ছাড়া কাউকে হত্যা করে সে যেন সব মানুষকেই হত্যা করে। এবং যে কারও জীবন রক্ষা করে, সে যেন সবার জীবন রক্ষা করে। তাদের কাছে আমার পয়গম্বরগণ প্রকাশ্য নিদর্শনাবলী নিয়ে এসেছেন। বস্তুতঃ এরপরও তাদের অনেক লোক পৃথিবীতে সীমাতিক্রম করে।
আরো পড়তে পারেন: মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর জন্ম পরিচয় ও বাল্যকাল সম্পর্কে আলোচনা করুন
(২) দাস প্রথা বধের অধিকার
অনুচ্ছেদ ৪: কাউকে দাস হিসাবে বা দাসত্ব রাখা চলবে না। -সকল প্রকার দাস প্রথা ও দাস ব্যবসা ইসলামে দাস প্রথা বিশ্বাস করে না। সকল মানুষ আদম (আঃ) এর সন্তান। সুতরাং অন্যায়ভাবে মানুষকে দাসত্বে পরিণত করা ইসলামে জায়েয নয়। আল্লাহ সূরা হুজুরাতের ১৩ নম্বর আয়াতে বলেন-
یٰۤاَیُّہَا النَّاسُ اِنَّا خَلَقۡنٰکُمۡ مِّنۡ ذَکَرٍ وَّاُنۡثٰی وَجَعَلۡنٰکُمۡ شُعُوۡبًا وَّقَبَآئِلَ لِتَعَارَفُوۡا ؕ اِنَّ اَکۡرَمَکُمۡ عِنۡدَ اللّٰہِ اَتۡقٰکُمۡ ؕ اِنَّ اللّٰہَ عَلِیۡمٌ خَبِیۡرٌ
অর্থ: হে মানব, আমি তোমাদেরকে এক পুরুষ ও এক নারী থেকে সৃষ্টি করেছি এবং তোমাদেরকে বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে বিভক্ত করেছি, যাতে তোমরা পরস্পরে পরিচিতি হও। নিশ্চয় আল্লাহর কাছে সে-ই সর্বাধিক সম্ভ্রান্ত যে সর্বাধিক পরহেযগার। নিশ্চয় আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সবকিছুর খবর রাখেন।
(৩) নির্যাতন ও অমানবিক আচরণ থেকে রক্ষা পাওয়ার অধিকার
অনুচ্ছেদ ৫: কাউকে নির্যাতন অথবা নিষ্ঠুর, অমানুষিক আচরণ অথবা শাস্তিভোগে বাধ্য করা চলবে না।
ইসলামে মানুষের মর্যাদা সর্বোচ্চ। তাই শাস্তি সম্পর্কে সূরা মায়েদার ৩৮ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন-
وَالسَّارِقُ وَالسَّارِقَۃُ فَاقۡطَعُوۡۤا اَیۡدِیَہُمَا جَزَآءًۢ بِمَا کَسَبَا نَکَالًا مِّنَ اللّٰہِ ؕ وَاللّٰہُ عَزِیۡزٌ حَکِیۡمٌ
অর্থ: যে পুরুষ চুরি করে এবং যে নারী চুরি করে তাদের হাত কেটে দাও তাদের কৃতকর্মের সাজা হিসেবে। আল্লাহর পক্ষ থেকে হুশিয়ারী। আল্লাহ পরাক্রান্ত, জ্ঞানময়।
(৪) আইনের সামনে সমান স্বীকৃতি লাভের অধিকার
অনুচ্ছেদ ৬ ও ৭: ইসলামে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য ন্যায়পরায়নার উপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। মহান আল্লাহ সূরা নিসার ৫৮ নম্বর আয়াতে বলেন-
اِنَّ اللّٰہَ یَاۡمُرُکُمۡ اَنۡ تُؤَدُّوا الۡاَمٰنٰتِ اِلٰۤی اَہۡلِہَا ۙ وَاِذَا حَکَمۡتُمۡ بَیۡنَ النَّاسِ اَنۡ تَحۡکُمُوۡا بِالۡعَدۡلِ ؕ اِنَّ اللّٰہَ نِعِمَّا یَعِظُکُمۡ بِہٖ ؕ اِنَّ اللّٰہَ کَانَ سَمِیۡعًۢا بَصِیۡرًا
অর্থ: নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদিগকে নির্দেশ দেন যে, তোমরা যেন প্রাপ্য আমানতসমূহ প্রাপকদের নিকট পৌছে দাও। আর যখন তোমরা মানুষের কোন বিচার-মীমাংসা করতে আরম্ভ কর, তখন মীমাংসা কর ন্যায় ভিত্তিক। আল্লাহ তোমাদিগকে সদুপদেশ দান করেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ শ্রবণকারী, দর্শনকারী।
(৫) অন্যায়ভাবে আটক না হওয়ার অধিকার
অনুচ্ছেদ ৯: কাউকে খেয়াল খুশিমত গ্রেফতার, আটক অথবা নির্বাসন করা যাবে না।
ইসলামে কোন নাগরিকের অপরাধ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত তাকে আটক করা যায় না। রাসূল (সাঃ) বলেছেন- অপরাধীকে ভুলবশত ক্ষমা করে দেয়া, ভুলভশত শাস্তি দেয়ার চেয়ে উত্তম। (তিরমিজি)
(৬) গোপনীয়তা রক্ষার অধিকার
অনুচ্ছেদ ১২: কারো ব্যক্তিগত, পরিবার, বসতবাড়ী ব্যাপারে খেয়াল খুশিমত হস্তক্ষেপ বা সুনামের উপড় আক্রমণ করা চলবে না। -ইসলামে নাগরিকের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক গোপনীয়তা রক্ষার জন্য ঘরের চার দেয়ালকে দুর্গের মত মর্যাদা দেয়া হয়েছে। এ সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা সূরা নূর এর ২৭ নম্বর আয়াতে বলেন-
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَدۡخُلُوۡا بُیُوۡتًا غَیۡرَ بُیُوۡتِکُمۡ حَتّٰی تَسۡتَاۡنِسُوۡا وَتُسَلِّمُوۡا عَلٰۤی اَہۡلِہَا ؕ ذٰلِکُمۡ خَیۡرٌ لَّکُمۡ لَعَلَّکُمۡ تَذَکَّرُوۡنَ
অর্থ: হে মুমিনগণ, তোমরা নিজেদের গৃহ ব্যতীত অন্য গৃহে প্রবেশ করো না, যে পর্যন্ত আলাপ-পরিচয় না কর এবং গৃহবাসীদেরকে সালাম না কর। এটাই তোমাদের জন্যে উত্তম, যাতে তোমরা স্মরণ রাখ।
(৭) জাতীয়তা ও অভিবাসনের অধিকার
অনুচ্ছেদ ১৩, ১৪, ১৫: ইসলামের ইতিহাসে দেখা যায় হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) মক্কায় কাফেরদের যুলুম নির্যাতন থেকে বাচাঁর জন্য মদীনায় হিজরত করেছিলেন। যা ইসলামে একটি যুগান্তকারী ঘটনা। যেখানে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) নিজ দেশের মায়া ত্যাগ করে মদীনায় আশ্রয় নিয়েছেন সেখানে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা বা অভিবাসনের অধিকার ইসলামে অনস্বীকার্য।
(৮) পরিবার গঠনের অধিকার
অনুচ্ছেদ ১৬:
ইসলামে পূর্ণবয়স্ক নারী ও পুরুষের বিয়ের ব্যপারে সমান অধিকার রয়েছে। রাসূল (সাঃ) বলেছেল সুস্থ মস্তিস্ক নারী ও পুরুষের বিবাহ তার সম্মতি ব্যতিত সম্পন্ন হলে তা বাতিল। কুমারী নিজে তার সম্মতি প্রকাশ করবে, তার যৌনতাও তার সম্মতি।
আরো পড়তে পারেন: একজন আদর্শ দা’ঈ’র পরিচয় ও গুণাবলী বিস্তারিতভাবে আলোচনা করুন
(৯) সম্পত্তি লাভের অধিকার
অনুচ্ছেদ ১৭: ইসলামে নিজ উপায়ে অর্জিত সম্পদের মালিকানা স্বীকৃত। তবে এক্ষেত্রে শরীয়ত নির্দেশিত কর্তব্য পালন করা জরূরী। যেমন-দান, খয়রাত, যাকাত, মা-বাবা ভাই বোন স্ত্রী লালন পালন এবং রাষ্ট্র কর্তৃক নির্ধারিত কর পরিশোধ। আল্লাহ তায়ালা সূরা বাকারার ১৮৮ নম্বর আয়াতে বলেন-
وَلَا تَاۡکُلُوۡۤا اَمۡوَالَکُمۡ بَیۡنَکُمۡ بِالۡبَاطِلِ وَتُدۡلُوۡا بِہَاۤ اِلَی الۡحُکَّامِ لِتَاۡکُلُوۡا فَرِیۡقًا مِّنۡ اَمۡوَالِ النَّاسِ بِالۡاِثۡمِ وَاَنۡتُمۡ تَعۡلَمُوۡنَ
অর্থ: তোমরা অন্যায়ভাবে একে অপরের সম্পদ ভোগ করো না। এবং জনগণের সম্পদের কিয়দংশ জেনে-শুনে পাপ পন্থায় আত্নসাৎ করার উদ্দেশে শাসন কতৃপক্ষের হাতেও তুলে দিও না।
(১০) চিন্তা বিবেক ও ধর্মের স্বাধীনতার অধিকার
অনুচ্ছেদ ১৮:
কুরআনে আল্লাহ তার বান্দাদের যে স্বাধীনতা দিয়েছেন তা কোন শাসক দূরের কথা রাসূলও তা খর্ব করতে পারবে না। আল্লাহ তায়ালা সূরা বাকারার ২৫৬ নম্বর আয়াতে বলেন-
لَاۤ اِکۡرَاہَ فِی الدِّیۡنِ ۟ۙ قَدۡ تَّبَیَّنَ الرُّشۡدُ مِنَ الۡغَیِّ ۚ فَمَنۡ یَّکۡفُرۡ بِالطَّاغُوۡتِ وَیُؤۡمِنۡۢ بِاللّٰہِ فَقَدِ اسۡتَمۡسَکَ بِالۡعُرۡوَۃِ الۡوُثۡقٰی ٭ لَا انۡفِصَامَ لَہَا ؕ وَاللّٰہُ سَمِیۡعٌ عَلِیۡمٌ
অর্থ: দ্বীনের ব্যাপারে কোন জবরদস্তি বা বাধ্য-বাধকতা নেই। নিঃসন্দেহে হেদায়াত গোমরাহী থেকে পৃথক হয়ে গেছে। এখন যারা গোমরাহকারী ‘তাগুত’দেরকে মানবে না এবং আল্লাহতে বিশ্বাস স্থাপন করবে, সে ধারণ করে নিয়েছে সুদৃঢ় হাতল যা ভাংবার নয়। আর আল্লাহ সবই শুনেন এবং জানেন।
(১১) মতামত প্রকাশের অধিকার
অনুচ্ছেদ ১৯: ইসলামী রাষ্ট্রের নাগরিকরা কেবল শাসকদের অত্যাচার ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে বাক যুদ্ধ করবে না বরং রাষ্ট্রীয় বিষয় নিয়ে ও সমস্যা নিয়ে স্বাধীন মত প্রকাশ করতে পারবে। মুমিনদের বৈশিষ্ট্য প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনের সূরা আল ইমরানের ১১০ নম্বর আয়াতে বলেন-
کُنۡتُمۡ خَیۡرَ اُمَّۃٍ اُخۡرِجَتۡ لِلنَّاسِ تَاۡمُرُوۡنَ بِالۡمَعۡرُوۡفِ وَتَنۡہَوۡنَ عَنِ الۡمُنۡکَرِ وَتُؤۡمِنُوۡنَ بِاللّٰہِ ؕ وَلَوۡ اٰمَنَ اَہۡلُ الۡکِتٰبِ لَکَانَ خَیۡرًا لَّہُمۡ ؕ مِنۡہُمُ الۡمُؤۡمِنُوۡنَ وَاَکۡثَرُہُمُ الۡفٰسِقُوۡنَ
অর্থ: তোমরাই হলে সর্বোত্তম উম্মত, মানবজাতির কল্যানের জন্যেই তোমাদের উদ্ভব ঘটানো হয়েছে। তোমরা সৎকাজের নির্দেশ দান করবে ও অন্যায় কাজে বাধা দেবে এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান আনবে। আর আহলে-কিতাবরা যদি ঈমান আনতো, তাহলে তা তাদের জন্য মঙ্গলকর হতো। তাদের মধ্যে কিছু তো রয়েছে ঈমানদার আর অধিকাংশই হলো পাপাচারী।
(১২) সংগঠন ও সভা-সমাবেশ করার অধিকার
অনুচ্ছেদ ২০: নিজেদের ন্যায়সংগত অধিকার সংরক্ষণ অভিযোগ খন্ডন এবং সমস্যা সমাধানের জন্য ইসলামি রাষ্ট্রে সংগঠন ও সমাবেশের অধিকার আছে তবে শর্ত এই যে কল্যাণের বিস্তার ও অকল্যাণের প্রতিরোধ করাই এর মূল উদ্দেশ্যে হবে।
(১৩) চাকরি ও অবসরের অধিকার
অনুচ্ছেদ ২৩, ও ২৪: একজন ব্যক্তি যে দেশে বাস করে যে দেশের রাষ্ট্রীয় অন্বেষণ ও অর্জনের অধিকার রয়েছে। সমাজের প্রতিটি সদস্যকে অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে পূর্নরূপে অংশ গ্রহণের জন্য শিক্ষা দেয়া হয়েছে যাতে সে অন্যের গলগ্রহ না হয়। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনের সূরা নাজম এর ৩৯ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন-
وَاَنۡ لَّیۡسَ لِلۡاِنۡسَانِ اِلَّا مَا سَعٰی ۙ
অর্থ: এবং মানুষ তাই পায়, যা সে করে।
উপসংহার
পরিশেষে আমরা বলতে পারি ইসলামে মানবাধিকার ও জাতিসংঘের সার্বজনীন মানবধিকারের ঘোষণা একই সূত্রে গাথা। সৃষ্টির শুরু থেকেই মানুষের মৌলিক অধিকার নিয়েই ইসলাম আবিভূত হয়েছে। কাজেই ইসলাম মানবতার ধর্ম। ইসলামই দিয়েছে মানবাধিকারের নিশ্চিত সংরক্ষণ ও বাস্তবায়ন।
• IST-501 : Study of Al-Quran (Surah: Al-Fatah and Al-Hujurat) • IST-502 : Introduction to Islamic Dawah • IST-503 : Al-Sirat Al-Nababiah • IST-504 : Human Rights in Islam • IST-505 : Principles and History of Tafsir literature • IST-506 : Principles of Islamic Jurisprudence •