Monday, December 23, 2024

সরিষার তেলের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

সরিষার তেল হল সরিষার বীজ থেকে নিষ্কাশিত এক ধরনের তেল। এটি রান্নায় ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয় এবং এর বেশ কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। তবে এর সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে সচেতন হওয়া জরুরি। এই প্রতিক্রিয়ায়, আমরা সরিষার তেলের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করব।

সরিষার তেলের এলার্জিক প্রতিক্রিয়া

অনেকেরই সরিষার তেলে এলার্জি রয়েছে। সরিষার তেল তাদের মধ্যে অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। আপনার যদি সরিষা থেকে অ্যালার্জি থাকে তবে সরিষার তেল এড়িয়ে যাওয়াই শ্রেয়। সরিষার তেলের পরিবর্তে সয়াবিন তেল অথবা অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। বিশেষ করে অনেক ক্ষেত্রে বাচ্চাদের সরিষার তেলে এলার্জি থাকে। সরিষার তেলে অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়ার লক্ষণগুলির রয়েছে:

  • শরীরের বিভিন্ন জায়গায় চুলকানি হওয়া
  • ফুলে যাওয়া
  • আমবাত
  • শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া
  • অ্যানাফিল্যাক্সিস (বিরল)
  • চামড়ায় জ্বালা-পোড়া

আরো পড়তে পারেন: পৃষ্টিগুণে ভরপুর দেশীয় ফল কাঁঠালের উপকারিতা


সরিষার তেল সাধারণত শরীরে ব্যবহার করলে ত্বকে জ্বালা হতে পারে। কারণ এতে অ্যালিল আইসোথিওসায়ানেট (Allyl isothiocyanate) নামক একটি যৌগ রয়েছে, যা ত্বকে জ্বালাপোড়া করতে পারে। ত্বকের জ্বালার লক্ষণগুলির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে:

  • লালভাব
  • চুলকানি
  • বার্ন সংবেদন
  • গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা

বর্তমান সময়ে অনেকেই রান্নাসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে সরিষার তেল ব্যবহার করেন। সরিষার তেল খাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে প্রচুর পরিমাণে সরিষার তেল খাওয়ার ফলে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা হতে পারে যেমন:

  • ডায়রিয়া
  • বমি বমি ভাব
  • বমি
  • পেটে ব্যথা
  • খনিজ শোষণ হ্রাস

সরিষার তেলে ইরুসিক অ্যাসিড নামক একটি যৌগ থাকে, যা শরীরে ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো নির্দিষ্ট খনিজগুলির শোষণে হস্তক্ষেপ করতে পারে। দীর্ঘ সময় ধরে তেল বেশি পরিমাণে খাওয়া হলে এই খনিজগুলির ঘাটতি হতে পারে।

গর্ভাবস্থায় এবং বুকের দুধ খাওয়ানো অবস্থায়

গর্ভবতী এবং বুকের দুধ খাওয়ানো মহিলাদের জন্য সরিষার তেল সুপারিশ করা হয় না কারণ এটি জরায়ু সংকোচনের কারণ হতে পারে এবং শিশুর স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করতে পারে।

সরিষার তেল একটি স্বাস্থ্যকর তেল যার বেশ কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। তবে এর সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে সচেতন হওয়া জরুরি। যদি আপনি উপরে উল্লিখিত উপসর্গগুলির মধ্যে কোনটি অনুভব করেন, তাহলে সরিষার তেল ব্যবহার বন্ধ করে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। উপরন্তু, সরিষার তেল পরিমিতভাবে ব্যবহার করা এবং আপনার খাদ্যতালিকায় এটি অন্তর্ভুক্ত করার আগে অভিজ্ঞ কারো সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ।

তথ্য সূত্র

  1. National Institutes of Health. (2022). Mustard oil. MedlinePlus. https://medlineplus.gov/druginfo/natural/827.html
  2. Bhatia, J., Bharti, S. K., & Elanchezhian, R. (2015). Mustard oil: A potential health hazard. Indian Journal of Community Health, 27(1), 92-94.
  3. European Food Safety Authority. (2016). Conclusion on the peer review of the pesticide risk assessment of the active substance erucic acid. EFSA Journal, 14(10), 4609.
  4. Lim, T. K. (2014). Edible medicinal and non-medicinal plants: Volume 7, flowers. Springer.
  5. Park, J. Y., & Kim, K. H. (2016). Use of mustard oil in pregnancy: A systematic review. Obstetrics & Gynecology Science, 59(2), 136-142.

এই ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য শুধুমাত্র শিক্ষাগত ও তথ্যগত উদ্দেশ্যে, চিকিৎসা পরামর্শ হিসাবে উদ্দেশ্যে নয়। এটি পেশাদার চিকিৎসা পরামর্শ, রোগ নির্ণয় বা চিকিত্সার বিকল্প কিছু নয়। চিকিৎসা সংক্রান্ত অবস্থার বিষয়ে আপনার যেকোনো প্রশ্ন থাকলে সর্বদা আপনার চিকিত্সক বা অন্যান্য যোগ্য স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর পরামর্শ নিন। আপনি এই ওয়েবসাইটে পড়েছেন এমন কিছুর কারণে পেশাদার চিকিত্সার পরামর্শ বা এটি চাইতে বিলম্বকে কখনই উপেক্ষা করবেন না। ওয়েবসাইট মালিক এবং কোন লেখক এই ওয়েবসাইটে প্রদত্ত তথ্য ব্যবহার বা নির্ভরতার ফলে যে কোনও আঘাত, ক্ষতি বা ক্ষতির জন্য কোনও দায়বদ্ধতা গ্রহণ করবেন না।

Related Articles

Stay Connected

0FansLike
3,606FollowersFollow
0SubscribersSubscribe
- Advertisement -spot_img

Latest Articles