সুষম খাবার কাকে বলে
খাদ্যের ০৬টি উপাদান ব্যক্তি, বয়স, কাজের ধরণ ও শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী শরীরের স্বাভাবিক পুষ্টি রক্ষায় প্রতিদিনের খাবারে যে পরিমাণ প্রয়োজন, সেই পরিমাণ খাবারকে সুষম খাবার বলা হয়।
সুষম খাবারের ধরণ
- প্রতিদিনের খাবারে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে থাকবে শর্করা জাতীয় খাবার
- শর্করার চেয়ে কিছুটা কম পরিমাণে থাকবে শাক-সবজি
- শাক-সবজির চেয়ে কিছুটা কম এবং পরিমিত পরিমাণে থাকবে আমিষ জাতীয় খাবার
- গরু বা খাসির মাংস, তেল বা চর্বি জাতীয় খাবার, চিনি ও লবণ সব থেকে কম পরিমাণে খাবেন
👉 আরো পড়তে পারেন: শিশুদের বুদ্ধি বিকাশের জন্য টিপস
জেনে রাখা প্রয়োজন
- আমাদের প্রতিদিনের খাবার সুষম হওয়া প্রয়োজন
- সুষম খাবার না খেলে শিশু কম ওজন নিয়ে জন্মগ্রহণ করবে ও শিশু সঠিকভাবে বড় হবে না ও বুদ্ধি কম হবে, অধিক পুষ্টিজনিত রোগ বা অপুষ্টিজনিত রোগ, রক্তস্বল্পতা দেখা দিবে
- ০-৬ মাস বয়স পর্যন্ত শিশুদের জন্য শুধুমাত্র মায়ের দুধই একমাত্র সুষম খাবার
- ছেলে শিশু ও মেয়ে শিশুর জন্য একই রকম ও একই পরিমাণ পুষ্টিকর খাবার প্রয়োজন
- কিশোরী, গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী মহিলাদের পর্যাপ্ত পুষ্টিমান সম্পন্ন সুষম খাবার নিশ্চিত করতে হবে
- বয়স্ক ব্যক্তিদের পর্যাপ্ত পুষ্টিমান সম্পন্ন সুষম খাবার নিশ্চিত করতে হবে
- স্বাস্থ্যকর ও যথার্থ পুষ্টিমানযুক্ত খাবারের জন্য সঠিকভাবে রান্নার পূর্বপ্রস্তুতি, রান্না ও খাদ্য সংরক্ষণ পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে
- রান্নায় পরিমিত আয়োডিনযুক্ত লবণ ব্যবহার করতে হবে
- নিরাপদ খাবার খেতে হবে
- প্রতিদিন কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস নিরাপদ পানি পান করতে হবে
- সপ্তাহে ৫দিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট ব্যায়াম অথবা শারীরিক পরিশ্রম করতে হবে