নামাযের ওয়াজিব কয়টি ও কি কি?
নামাযের ওয়াজিব ১৪টি। নামাযের মধ্যে এই ওয়াজিবগুলোর মধ্যে কোন একটি ছুটে গেলে বা অনাদায়ী থাকলে বা আদায়ের ক্ষেত্রে কোন ভুল হলে সাহু সিজদা করার মাধ্যমে নামায পরিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করা যায়। নামাযের ফরযগুলোর মধ্যে মতো করে ওয়াজবি ছুটে গেলে নামায পুনরায় আদায় করতে হয়। সাহু সিজদা করলেই যথেষ্ট হয়ে যায়।
নামাযের ওয়াজিবগুলো
- সূরায়ে ফাতিহা পূর্ণ পড়া। (সহীহ বুখারী শরীফ হাদিস নং ৭৫৬)
- সূরাহ ফাতিহার সঙ্গে অন্য একটি সূরা কিংবা ছোট তিন আয়াত অথবা বড় এক আয়াত মিলানো। (সহীহ বুখারী শরীফ হাদিস নং ৭৭৬, সহীহ মুসলিম শরীফ হাদিস নং ৪৫১)
- ফরযের প্রথম দুই রাকাআতকে ক্বিরাতের জন্য নির্ধারিত করা। (বুখারী হা: নং ৭৭৬, মুসলিম হা: নং ৪৫১)
- সূরায়ে ফাতিহাকে অন্য সূরার আগে পড়া। (তিরমিযী শরীফ হাদিস নং ২৪৬, ত্বহাবী হা: নং ১১৭২)
- নামাযের সকল রোকন ধীর স্থীরভাবে আদায় করা। (আবূ দাউদ শরীফ হাদিস নং ৮৫৬-৮৫৮)
- প্রথম বৈঠক করা। (বুখারী হা: নং ৮২৮)
- উভয় বৈঠকে আত্তাহিয়্যাতু পড়া। (বুখারী হা: নং ৮৩০,৮৩১, মুসলিম হা: নং ৪০২, ৪০৩)
- প্রত্যেক রাকাআতের ফরয এবং ওয়াজিবগুলোর তারতীব বা সিরিয়াল ঠিক রাখা।
- ফরয ও ওয়াজিবগুলোকে স্ব-স্ব স্থানে আদায় করা। (বাদায়িউস সানায়ে: ১/৬৮৯)
- বিতরের নামাযে তৃতীয় রাকাআতের ক্বিরাতের পর কোন দুআ পড়া। অবশ্য দুআয়ে কুনূত পড়লে ওয়াজিবের সাথে সাথে সুন্নাতও আদায় হয়ে যাবে।
- দুই ঈদের নামাযে অতিরিক্ত ছয় তাকবীর বলা। (আবূ দাউদ শরীফ হাদিস নং ১১৫৩)
- দুই ঈদের নামাযে দ্বিতীয় রাকাআতে অতিরিক্ত তিন তাকবীর বলার পর রুকুর জন্য ভিন্নভাবে তাকবীর বলা। (ইবনে আকি শাইবা হা: নং ৫৭০৪)
- ইমামের জন্য যুহর আসর এবং দিনের বেলায় সুন্নাত ও নফল নামাযে কিরা‘আত আস্তে পড়া, এবং ফজর, মাগরিব, ইশা, জুমু’আ, দুই ঈদ, তারাবীহ ও রমাযান মাসের বিতর নামাযে কিরা‘আত শব্দ করে পড়া। (মারাসীলে আবী দাউদ হা: নং ৪১, মুসনাদে আব্দুর রাজ্জাক হা: নং ৫৭০০ মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা হা: নং ৫৪৫২)
- সালামের মাধ্যমে নামায শেষ করা। (আবূ দাউদ শরীফ হাদিস নং ৯৯৬)