Sunday, June 22, 2025

লাইপোসাকশন : মেদ কমানোর আধুনিক পদ্ধতি

শরীর থেকে বাড়তি মেদ ঝরিয়ে শরীরকে আকর্ষণীয় করে তুলতে কে না চায়। এ জন্য কেউ ডায়েটিং করেন, কেউ ব্যায়াম করেন এবং অনেক নিয়মকানুন মেনে চলেন- শুধু চমৎকার ফিগারের জন্য। এর জন্য চিকিৎসকরা এখন চমৎকার একটি পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন, যার মাধ্যমে কোনো কষ্ট ছাড়াই শরীরের বাড়তি মেদ দূর করা যাবে। এর নাম ‘লাইপোসাকশন’ বা ‘সাকশন এসিসটেড লাইপোলাইসিস’। এ পদ্ধতিতে ছোট অপারেশনের মাধ্যমে শরীরে জমে থাকা মেদগুলোকে শুষে নেয়া হয়।

কাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য

যারা বেশি মেদবহুল তাদের জন্য এ পদ্ধতিটি উপযুক্ত নয়। তাদের ক্ষেত্রে লাইপেকটমি বা অপারেশনের মাধ্যমে মেদ কাটার সঙ্গে লাইপোসাকশন একটি সহায়ক পদ্ধতি হতে পারে। তবে যাদের অল্প বা মাঝারি ধরনের মেদ রয়েছে, তাদের এ মেদ চমৎকারভাবে এ পদ্ধতিতে ঝেড়ে ফেলা সম্ভব।

👉 আরো পড়তে পারেন: ক্যালসিয়ামের উৎস | শরীরের চাহিদা পূরণে প্রাকৃতিক ক্যালসিয়াম

কী পদ্ধতিতে মেদ ঝেড়ে ফেলা হয়

মেদবহুল নারী বা পুরুষকে প্রথমে দাঁড় করিয়ে মেদপূর্ণ অংশ চিহ্নিত করা হয়। তারপর সার্জন ঠিক করেন কী পরিমাণ মেদ শুষে নেয়া হবে। মেদের স্থানের ত্বকে এক ইঞ্চির মতো একটি ছোট ক্ষত সৃষ্টি করে ধাতব কেনুলাটি ঢোকানো হয়। পরে নেগেটিভ প্রেসারের মাধ্যমে কেনুলাটি সামনে-পেছনে নেড়ে সেগুলো কেটে শুষে আনা হয়। প্রথমে একটি এনজাইম ইনজেকশনের মাধ্যমে মেদ গলানো হয়, তারপর শুষে নেয়া হয়। অতিরিক্ত মেদবহুল স্থানের জন্য দশ মিলিমিটার সাইজের কেনুলা এবং কম মেদবহুল স্থানের জন্য আট মিলিমিটার সাইজের কেনুলা ব্যবহার করা হয়। সর্বোচ্চ ৩০০ গ্রাম মেদ একবারে শুষে নেয়া সম্ভব হলেও সাধারণত ১৫০ গ্রাম মেদ প্রাথমিকভাবে শোষণ করা হয়। কারণ একেবারে বেশি মেদ শোষণ করলে বিপদের সম্ভাবনা থাকে, তবে কোনো অবস্থাতেই ৩০০০ গ্রামের বেশি মেদ শোষণ করা উচিত নয়। কারণ এতে রক্তচাপ হঠাৎ করে কমে যেতে পারে।

মেদ শোষণ করার পর কিছুদিন শরীর ম্যাসেজ করতে হয়। কেনুলা ঢোকানোর সময় যে ক্ষত সৃষ্টি হয় তা সাধারণত ১০ দিনের মধ্যে সেরে যায়।

Related Articles

Stay Connected

0FansLike
3,606FollowersFollow
0SubscribersSubscribe
- Advertisement -spot_img

Latest Articles