Sunday, February 23, 2025

শিশুদের বুদ্ধি বিকাশের জন্য টিপস

মানুষের বুদ্ধিবৃত্তির নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র হলো মস্তিষ্ক বা ব্রেইন। এটি অত্যাধুনিক কম্পিউটারের চেয়েও কয়েক লাখ গুণ অধিক কার্যকরী। মস্তিষ্কে থাকে কোটি কোটি নিউরন যা স্নায়ুতন্ত্রের একক। মাতৃগর্ভে থাকা অবস্থায়ই মস্তিষ্কের সব নিউরন তৈরি হয়ে যায়, পরে আর নতুন নিউরন তৈরি হয় না। তবে নতুন নতুন স্নায়ুসন্ধি তৈরির মাধ্যমে সব শারীরিক স্নায়ুব্যবস্থা ও মানসিক কাজকর্ম অর্থাৎ স্মৃতিশক্তি, বিচারবুদ্ধি, চিন্তাভাবনা ইত্যাদি বিকশিত হয় ও পরিণত লাভ করে। তাই পঞ্চইন্দ্রিয় দিয়ে দেখে-শুনে বিচার-বিশ্লেষণ করে জীবনে চলার পথে সিদ্ধান্ত নেয়াই হচ্ছে বুদ্ধি। এটা কখনোই বংশগত রোগের মতো বংশ পরম্পরায় প্রবাহিত হয় না। তাহলে আইজ্যাক নিউটন, আইনস্টাইনের মতো বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানীদের বংশধরেরা তাদের মতোই বুদ্ধিমান হতেন। বুদ্ধির বিকাশ অনেকটাই নির্ভর করে পরিবেশের ওপর।

এছাড়াও নির্ভর করে মস্তিষ্কের কোষের সংখ্যা এবং তাদের কার্যকারিতার ওপর। এসব কোষের পুষ্টি এবং কর্মদক্ষতা নির্ভর করে কয়েকটি বিষয়ের ওপর যেমন: রক্তের মাধ্যমে উপযুক্ত অক্সিজেন সরবরাহ, সুষম খাদ্য গ্রহণ ইত্যাদি। সুষম ও পুষ্টিকর খাবার শারীরিক বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বুদ্ধির বিকাশেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। অভাব থাকলে বুদ্ধিবৃত্তির বিকাশ ঠিকমতো হয় না।

👉 আরো পড়তে পারেন: নাসির গাজীর বুদ্ধিদীপ্ত ও শিক্ষণীয় গল্পসমূহ


থাইরয়েড হরমোনের তারতম্যের ওপর বুদ্ধির বিকাশ নির্ভর করে। নেশাযুক্ত পদার্থ যেমন: মদ, গাঁজা, হেরোইন ইত্যাদি বুদ্ধি বিকাশে অন্তরায়। বিশেষ কিছু ভিটামিন যেমন : ভিটামিন বি-১, বি-৩, বি-১২ ইত্যাদি বুদ্ধি বিকাশে অনেকটা সাহায্য করে। সেজন্য দৈনিক খাদ্য তালিকায় এসব ভিটামিনযুক্ত খাবার অবশ্যই রাখা উচিত । ভিটামিন বি- ১ যুক্ত খাবার পেতে হলে খেতে হবে ঢেঁকিছাঁটা চাল, আটার রুটি, অংকুরিত ছোলা, ডাল, বাদাম, মটরশুটি, শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, ইস্টসমৃদ্ধ পাউরুটি ইত্যাদি। ভিটামিন বি-৩ পাওয়া যায়—শস্যদানা, দুধ, টমেটো, ইস্ট, সবুজ পাতাবিশিষ্ট শাক-সবজি, মিষ্টি আলু, চিনাবাদাম ইত্যাদিতে। ভিটামিন বি-১২ পাওয়া যাবে—দুধ, মাছ, ডিম, পনির ইত্যাদিতে।

কিছু অসুখের জন্য ব্যবহৃত ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলেও বুদ্ধি বা স্মৃতিশক্তি লোপ পেতে পারে। এসব ওষুধ যথাসম্ভব এড়িয়ে নিয়ে মুখে মুখে ছোট ছোট গুণ-ভাগ-যোগ-বিয়োগ করলে ব্রেনের এক্সারসাইজ হয়—বুদ্ধি বাড়ে। মানসিক অস্থিরতা থেকে নিজেকে দূরে রাখতে হবে কেননা এটি ব্রেন সেলকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। যে কোনো বিষয়কে প্রখর চিন্তাশক্তি দিয়ে বিবেচনা করতে হবে। বুদ্ধি বিকাশে প্রয়োজন নিয়মিত অধ্যাবশায় এবং প্রত্যেকটি ঘটনা বা কাজকে মনেমনে পুনরাবৃত্তি করা। প্রতিদিন নতুন কিছু জানার চেষ্টা করা।

Related Articles

Stay Connected

0FansLike
3,606FollowersFollow
0SubscribersSubscribe
- Advertisement -spot_img

Latest Articles