Sunday, November 17, 2024

উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ আপনার হাতেই

হাইপারটেনশন বা উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে না রাখলে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। হাইপারটেনশন বা উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে প্রথমে এর কারণগুলো সম্বন্ধে ভালোভাবে জানা প্রয়োজন।

হাইপারটেনশন বা উচ্চরক্তচাপের প্রধান কারণসমূহ

৯৫% উচ্চরক্তচাপের প্রাথমিক এবং প্রধান কারণ হচ্ছে নিম্নরূপ

  • পারিবারিক ইতিহাস অর্থাৎ মা-বাবার উচ্চরক্তচাপ থাকলে সন্তানদের হাইপারটেনশন বা উচ্চরক্তচাপ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
  • অভ্যাসগত কারণ যেমন— বেশি লবণ খাওয়া, অ্যালকোহলে আসক্তি, মানসিক চাপ, শরীরের ওজন বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি।
  • মানুষের দেহে উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের যে স্থান সেখানে কোনো সমস্যা দেখা দিলে (যেমন Renin Angiotensin system)।

আরো পড়তে পারেন: শুধু হাড়ের জন্যই নয়, হার্টের স্বাস্থ্যেও ভূমিকা রাখে ক্যালসিয়াম


সেকেন্ডারি কারণসমূহ

সাধারণত মানুষের দেহের কোনো বিশেষ অঙ্গে সঠিক কার্যকলাপ হতে না পারলে এ সমস্যা হয়ে থাকে । যেমন:

  • কিডনির সমস্যা
  • এন্ডোক্রাইন বা হরমোনজনিত সমস্যা
  • হার্টের বা হৃৎপিণ্ডের সমস্যা
  • ওষুধ: কিছু ওষুধ যেমন জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি, স্টেরয়েড ইত্যাদির পাশ্বপ্রতিক্রিয়ায় উচ্চরক্তচাপ হতে পারে।
  • গর্ভাবস্থায়ও অনেকের উচ্চরক্তচাপ হয়ে থাকে । একে একলাম্পশিয়া ও প্রিএকলাম্পশিয়া বলে ।

উচ্চরক্তচাপের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

  • হার্ট অ্যাটাক
  • হার্ট ফেইলিওর
  • ব্রেইন স্ট্রোক
  • কিডনির অসুখ
  • কিডনি ফেইলিওর
  • চোখের অসুখ ।

উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ আপনার হাতেই

উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে করণীয়

  • কাঁচা লবণ ও অ্যালকোহল খাবেন না।
  • ধূমপান বর্জন করুন।
  • ফ্যাট জাতীয় খাবার যেমন তেল, ঘি, গরুর মাংস, খাসির মাংস, ডিমের হলুদ অংশ কম খাবেন ।
  • মুরগির মাংস, ছোট মাছ, সামুদ্রিক মাছ, শাক-সবজি, ফলমূল বেশি খাবেন।
  • ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
  • দৈনিক হাঁটার অভ্যাস করুন। এছাড়া সাঁতার কাটা এবং অন্যান্য
  • ব্যায়ামও করতে পারেন।
  • পারিবারিক ইতিহাস থাকলে আগে থেকেই সতর্ক হবেন।
  • আপনি উচ্চরক্তচাপের রোগী হয়ে থাকলে একজন চিকিৎসকের পরামর্শে থেকে নিয়মিত চিকিৎসা করাবেন।
  • প্রতিদিন রক্তচাপ মাপুন। নিজ বাড়িতে একটি রক্তচাপ মাপার যন্ত্র কিনে নেবেন।
  • চিকিৎসকের নির্দেশিত ওষুধ নিয়মিত সেবন করবেন। ‘আজ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আছে তাই ওষুধ খাব না’ এ মনোভাব বর্জন করুন। কারণ যে কোনো সময় আপনার রক্তচাপ বেড়ে গিয়ে ব্রেইন স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাকে আপনার মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

Related Articles

Stay Connected

0FansLike
3,606FollowersFollow
0SubscribersSubscribe
- Advertisement -spot_img

Latest Articles