Saturday, November 16, 2024

নন্দলাল • দ্বিজেন্দ্রলাল রায়

নন্দলাল • দ্বিজেন্দ্রলাল রায়



নন্দলাল • দ্বিজেন্দ্রলাল রায়

নন্দলাল
দ্বিজেন্দ্রলাল রায়

নন্দলাল তো একদা একটা করিলো ভীষণ পণ-
স্বদেশের তরে, যা করেই হোক্‌, রাখিবেই সে জীবন।
সকলে বলিল, “আ-হা-হা করো কি, করো কি, নন্দলাল?,
আমি না করিলে কে করিবে আর উদ্ধার এই দেশ?
তখন সকলে বলিল—‘বাহবা বাহবা বহবা বেশ’

নন্দর ভাই কলেরায় মরে, দেখিবে তাহারে কেবা।
সকলে বলিল, “যাও না নন্দ, করো না ভাইয়ের সেবা।”
নন্দ বলিল, “ভাইয়ের জন্য জীবনটা যদি দিই-
না হয়– দিলাম--- কিস্তু অভাগা দেশের হইবে কি?
বাঁচাটা আমার অতি দরকার, ভেবে দেখি চারিদিক।
তখন সকলে বলিল—‘হাঁ হাঁ হাঁ তা বটে, তা বটে, ঠিক।’

নন্দ একদা হঠাৎ একটা কাগজ করিল বাহির,
গালি দিয়া সবে গদ্যে পদ্যে বিদ্যা করিল জাহির।
পড়িলো ধন্য দেশের জন্য নন্দ খাটিয়া খুন,
লেখে যতো তার দ্বিগুণ ঘুমায়, খায় তার দশগুণ।
খাইতে ধরিল লুচি ও ছোকা সন্দেশ থাল থাল,
তখন সকলে বলিল— ‘বাহবা বাহবা নন্দলাল।’

নন্দ একটা কাগজেতে এক সাহেবকে দেয় গালি;
সাহেব আসিয়া গলাটি তাহার টিপিয়া ধরিল খালি;
নন্দ বলিল, ‘আ-হা-হা! করো কি, করো কি, ছাড়ো না ছাই,
কি হবে দেশের, গলা টিপুনিতে আমি যদি মারা যাই?
বলো ক" বিঘৎ নাকে দিব খৎ যা বলো করিব তাহা”
তখন সকলে বলিল—‘বাহবা বাহবা বাহবা বাহা।’

নন্দ বাড়ির হতো না বাহির, কোথা কি ঘটে কি জানি;
চড়িতো না গাড়ি, কি জানি কখন উল্টায় গাড়িখানি,
নৌকা ফি-সন ডুবিছে ভীষণ রেলে “কলিশন” হয়,
হাটিতে সর্প, কুক্কুট আর গাড়ি চাপা-পড়া ভয়,
তাই শুয়ে শুয়ে কষ্টে বাঁচিয়ে রহিল নন্দলাল।
সকলে বলিল—‘ভ্যালা রে নন্দ বেঁচে থাক চিরকাল।’


নন্দলাল • দ্বিজেন্দ্রলাল রায়- Download

  • নন্দলাল • দ্বিজেন্দ্রলাল রায় ➜ PDF Download
  • নন্দলাল • দ্বিজেন্দ্রলাল রায় ➜ Image Download

নন্দলাল • দ্বিজেন্দ্রলাল রায়

অন্যান্য কবিতাসমূহ


Related Articles

Stay Connected

0FansLike
3,606FollowersFollow
0SubscribersSubscribe
- Advertisement -spot_img

Latest Articles