▶ প্রশ্ন: সুদ বলতে কি বুঝায়? সুদ ও মুনাফার মধ্যে পার্থক্য আলোচনা করুন। সুদের কুফলতা কোরআন ও হাদিসের আলোকে আলোচনা করুন। ▶ বিষয়: IST-605 : Trade, Commerce and Business Studies in Islam ▶ কোর্স: এমএ ইন ইসলামিক স্টাডিজ (ফাইনাল)
সুদ বলতে কি বুঝায়? সুদ ও মুনাফার মধ্যে পার্থক্য আলোচনা করুন। সুদের কুফলতা কোরআন ও হাদিসের আলোকে আলোচনা করুন।
ভূমিকা
ঋণ গ্রহিতা মূলধন বা ঋণ ব্যবহার বাবদ ঋণ দাতাকে যে মূল্য প্রদান করে, তাকে সুদ বলে। কাজেই সুদ হলো ঋণ ব্যবহারের মূল্য। অন্যান্য উপকরণের ন্যায় মূলধনেরও উৎপাদন ক্ষমতা আছে। উৎপাদন ক্ষমতা থাকার কারণে মূলধনের প্রয়োজন পড়ে। মূলধনের উৎপাদন ক্ষমতা আছে বলেই মূলধন বাবদ সুদ দিতে হয়। সুদকে এভাবেও সংজ্ঞায়িত করা যায় যে − সুদ হলো অপেক্ষার পুরস্কার। অর্থাৎ বর্তমান ভোগ ত্যাগের বিনিময়ে ভবিষ্যতে যে প্রাপ্তি আশা করা হয়, তাই সুদ।
সুদ কাকে বলে
কুরআন ও হাদীসের পরিভাষায় সুদকে (ربا) ‘রিবা’ বলা হয়। এই শব্দের মূল ধাতু হল (ر ب و ) যার আভিধানিক অর্থ হল, বাড়, বৃদ্ধি, আধিক্য, স্ফীতি প্রভৃতি। رَبَاঅর্থাৎ বেড়েছে বা বৃদ্ধি পেয়েছে।
Click to see Ad
শরীয়তের ফিক্হবিদ্দের পরিভাষায় সুদের সংজ্ঞা হল, একই শ্রেণীভুক্ত দুটি জিনিসের পরস্পর আদান-প্রদান করার সময় একজনের অপরজনের নিকট এমন বেশী নেওয়া যাতে এ বেশী অংশের বিনিময়ে কোন জিনিস থাকে না।
ফতোয়া আলামগীরীতে সুদের সংজ্ঞা করা হয়েছে, এক মালের বদলে অন্য মালের আদান-প্রদানকালে সেই অতিরিক্ত (নেওয়া) মালকে সূদ বলা হয়; যার কোন বিনিমেয় থাকে না।
মূল থেকে যে পরিমাণ অংশ বেশী নেওয়া বা দেওয়া হবে সেটাকেই সুদ বলা হবে। সুতরাং সুদের সংজ্ঞা হলো, ‘ঋণে দেওয়া মূল অর্থের চেয়ে সময়ের বিনিময়ে যে অতিরিক্ত অর্থ শর্ত ও নির্দিষ্টরূপে নেওয়া হয় তার নাম হল সুদ।
সুদ ও মুনাফার মধ্যে পার্থক্য
আধুনিক বিশ্বে এমনকি আমাদের সমাজেও কেউ কেউ সুদ ও মুনাফাকে একই জিনিস মনে করে থাকে যা আইয়্যামে জাহেলিয়াতের যুগে করা হত। পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে, ‘‘তারা বলে ব্যবসাতো সুদেরই মত। অথচ আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল করেছেন, আর সুদকে করেছেন হারাম।’’ নিম্নে সুদ ও মুনাফার মধ্যে কয়েকটি মৌলিক পার্থক্য উল্লেখ করা হলো-
Click to see Ad
সুদ | মুনাফা |
অর্থ বা দ্রব্য ঋণ দানের বিপরীতে সময়ের ভিত্তিতে পুর্ব নির্ধারিত হারে ঋণ হিসেবে প্রদত্ত মূল অর্থ বা দ্রব্যের অতিরিক্ত নির্দিষ্ট যে অর্থ বা দ্রব্য গ্রহণ করা হয় তাকে সুদ বলা হয়। | উৎপাদন কিংবা ক্রয় বিক্রয়ের ফলে অথবা অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বিনিয়োগের ফলশ্রুতিতে মূলধন মূলধনের অতিরিক্ত উপার্জিত অর্থ বা সম্পদকে মুনাফা বলা হয়। |
সুদের নির্ধারক উপাদান হলো তিনটি; সময়, সুদের হার ও মূলধনের পরিমান। নির্দিষ্ট সুদের হারে ধার দেয়া কোন মূলধনের সুদ ঋণের সময় বদ্ধির সাথে সাথে আনুপাতিক হারে বদ্ধি পায়। | অপরপক্ষে মুনাফা হওয়া বা না হওয়া কিংবা কম বেশী হওয়া নির্ভর করে অনুকূল ব্যবসায়িক লেনদেন, ব্যয়, সাশ্রয় ও অনুকূল বাজার চাহিদার উপর। |
সুদের ভিত্তি হলো ঋণ। ঋণ থেকেই সুদের উৎপত্তি। অন্যকথায়, সুদমুক্ত ঋণ সম্ভব কিন্তু ঋণ ব্যতিরেকে সুদের উদ্ভব সম্ভব নয়। | মুনাফার ভিত্তি হলো প্রত্যক্ষভাবে দ্রব্য উৎপাদন ও বিক্রয় কিংবা লাভ-লোকসানে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে অর্থ ও সম্পদ বিনিয়োগ করা। |
সুদের বেলায় ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি প্রযোজ্য নয়। অর্থাৎ মালিক পুঁজি খোয়াবার ঝুঁকি বহন করে না। | মুনাফার বেলায় ক্ষতি হবার ঝুঁকি প্রযোজ্য। অন্য কথায় মালিক সম্পূর্ণ বা আংশিক পুঁজি খোয়াবার ঝুঁকি বহন করে। |
একটি ফার্মের মূলধন কাঠামোতে সুদযুক্ত ঋণের পরিমান যত বৃদ্ধি পায় ফার্মটি তত বেশী ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচিত হয়। নতুন বিনিয়োগকারীগণ ঋণ ভারাক্রান্ত ফার্মে বিনিয়োগ করতে নিরূৎসাহিত হয়। | লাভ লোকসানে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে যে কোন পরিমাণ বিনিয়োগ ফার্মের আর্থিক ঝুঁকি বৃদ্ধি করে না। |
প্রাপক ঋণদাতা নিজেই কেবল সুদের সুবিধা লাভ করে থাকেন। অর্থাৎ সুদের সব টাকাগুলো চলে যায় ঋণদাতার পকেটে। | অন্যদিকে ইসলামি বিনিয়োগ ব্যবস্থায় মুনাফা বাবদ উদ্যোক্তার মাঝে চুক্তি অনুপাতে বন্টন করা হয়। |
সুদের হার ও সময় পূর্ব নির্ধারিত বিধায় এক্ষেত্রে অনিশ্চয়তার কোন উপাদান নেই। ঋণদাতা নির্দিষ্ট পরিমাণ ঋণের বিপরীতে নির্দিষ্ট সময় শেষে সুদ পাবেন তা আগে থেকেই জানতে পারেন। | সময় যেহেতু মুনাফা নির্ধারণের কোন নিয়ামক উপাদান নয় এবং মুনাফার হার যেহেতু পূর্ব নির্ধারিত হয় না সেহেতু একজন বিনিয়োগকারী নির্দিষ্ট পরিমাণ বিনিয়োগে আদৌ মুনাফা পাবেন কি না অথবা কি হারে বা কি পরিমাণ পাবেন তার কোন নিশ্চয়তা লাভ করা সম্ভব হয় না। |
একটি মাত্র ঋণচুক্তির অধীনে ঋণদাতা দীর্ঘকালব্যাপী একই পরিমাণ সুদ বারবার পেতে থাকে। | পক্ষান্তরে ক্রয়-বিক্রয়ের ফলে অর্জিত মুনাফা একবারই পাওয়া যায় এবং বিনিয়োগ চুক্তির অধীনে মুনাফা অর্জন সাপেক্ষে পাওয়া যায় বিধায় একই ফল বারবার পাওয়ার প্রশ্ন আসে না। |
সুদ একটি স্থির ব্যয় হিসেবে বিবেচিত হয় বলে অনিবার্যভাবে দাম স্তরের বৃদ্ধি ঘটায় এবং ক্ষেত্রবিশেষে মূল্যস্ফীতির প্রসার ঘটায়। | অপরপক্ষে মুনাফা ব্যয় হিসেবে বিবেচিত হয় না বলে অনিবার্যভাবে দামের বদ্ধি ঘটায় না, ফলে মূল্যস্ফীতির প্রসারে সরাসরি কোন প্রভাব রাখে না। |
সুদ ইসলামে চুড়ান্তভাবে নিষিদ্ধ। কোনভাবেই সুদ বৈধ হওয়ায় কোন সুযোগ নেই। | অন্যদিকে মুনাফা ইসলামে অনুমোদিত। ইসলাম অবশ্যই স্বাভাবিক মুনাফা অর্জনে উৎসাহিত করে। |
মূলধন সংরক্ষণ সুদী ব্যবস্থায় মূলধন সর্বাবস্থায় সুরক্ষিত। অর্থাৎ ঋণগ্রহীতার ব্যবসায় উদ্যোগ ব্যর্থ হলেও ঋণদাতার মূলধনের উপর তার বিন্দুমাত্র আঁচড় লাগে না। | ব্যবসায় কিংবা লাভ-লোকসানে অংশীদারিত্বের বিনিয়োগের বেলায় লোকসান হলে বিনিয়োগকৃত মূলধন আনুপাতিক হারে হ্রাস পায়। |
সুদের কুফলতা
কুরআন ও সুন্নায় রিবা বা সুদ থেকে সতর্ক করা হয়েছে বারংবার। নিম্নে সুদের কুফলতা সম্পর্কে বিস্তারিত উল্লেখ করা হলো-
- আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যারা সুদ খায়, তারা তার ন্যায় (কবর থেকে) উঠবে, যাকে শয়তান স্পর্শ করে পাগল বানিয়ে দেয়। এটা এ জন্য যে, তারা বলে, বেচা-কেনা সুদের মতই। অথচ আল্লাহ বেচা-কেনা হালাল করেছেন এবং সুদ হারাম করেছেন। অতএব, যার কাছে তার রবের পক্ষ থেকে উপদেশ আসার পর সে বিরত হল, যা গত হয়েছে তা তার জন্যই ইচ্ছাধীন। আর তার ব্যাপারটি আল্লাহর হাওলায়। আর যারা ফিরে গেল, তারা আগুনের অধিবাসী। তারা সেখানে স্থায়ী হবে।’
- আল্লাহ তায়ালা পবিত্র আল কোরআনে বলেন, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সুদের যা অবশিষ্ট আছে, তা পরিত্যাগ কর, যদি তোমরা মুমিন হও। কিন্তু যদি তোমরা তা না কর তাহলে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের পক্ষ থেকে যুদ্ধের ঘোষণা নাও, আর যদি তোমরা তাওবা কর, তবে তোমাদের মূলধন তোমাদেরই থাকবে। তোমরা যুলম করবে না এবং তোমাদের যুলম করা হবে না।’
Click to see Ad
- আল্লাহ তাআলা সুদ হারাম করেন আর ইহুদিরা কৌশলের আশ্রয় নিয়ে সুদ বৈধ করার চেষ্টা করে, সেদিকে ইঙ্গিত করে মহান রব বলেন- ‘আর তাদের সুদ গ্রহণের কারণে, অথচ তা থেকে তাদেরকে নিষেধ করা হয়েছিল।’ ‘আর তোমরা যে সুদ দিয়ে থাক, মানুষের সম্পদে বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য তা মূলতঃ আল্লাহর কাছে বৃদ্ধি পায় না। আর তোমরা যে যাকাত দিয়ে থাক আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা করে (তাই বৃদ্ধি পায়) এবং তারাই বহুগুণ সম্পদ প্রাপ্ত।’
- জাবির রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সুদদাতা, গ্রহীতা এবং এর লেখক ও সাক্ষীদ্বয়কে অভিশাপ দিয়েছেন।’
- সামুরা বিন জুনদুব রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন- ‘রাতে আমি দেখলাম, দু’জন লোক এসে আমার কাছে এলো। তারা আমাকে এক পবিত্র ভূমির দিকে নিয়ে গেল। আমরা চলছিলাম, সহসা এক রক্ত নদীর পাড়ে গিয়ে উপস্থিত হলাম যার মাঝে দন্ডায়মান এক ব্যক্তি। নদীর মাঝখানে এক ব্যক্তিকে দেখা গেল। সামনে তার পাথর। মাঝের লোকটি নদী পেরুনোর জন্য যেই সামনে অগ্রসর হয়, পাথর হাতে দাঁড়ানো ব্যক্তি অমনি তার মুখে পাথর মেরে তাকে পূর্বের জায়গায় ফিরিয়ে দেয়। এভাবে যখনই সে নদী পেরিয়ে আসতে চায়, লোকটি তখনই তার মুখে পাথর মেরে পেছনে ঠেলে দেয়। আমি বললাম, ব্যাপার কী? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়া সাল্লাম বললেন, আমি যাকে নদীর মধ্যখানে দেখেছি সে সুদখোর।’
- আবু হোরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘ধ্বংসকারী সাতটি জিনিস থেকে বেঁচে থাক। সাহাবিরা বললেন, হে আল্লাহর রাসূল, সেগুলো কী কী? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, শিরক করা, যাদু করা, অনুমোদিত কারণ ছাড়া কাউকে হত্যা করা, সুদ খাওয়া, এতিমের মাল ভক্ষণ করা, জিহাদের ময়দান থেকে পলায়ন করা এবং সতী সরলা মুমিনা নারীকে ব্যাভিচারের অপবাদ দেয়া।’
- ইবনে মাসউদ রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন- ‘সুদের অর্থ দিয়ে যা-ই বৃদ্ধি করুক না কেন অল্পই কিন্তু তার শেষ পরিণাম।’
- সালমান বিন আমর তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- কে বিদায় হজে আমি বলতে শুনেছি, তিনি বলেন- ‘মনে রেখ জাহিলি যুগের সকল সুদ ভিত্তিহীন। তোমাদের জন্য শুধুই মূলধন। তোমরা জুলুম করবেও না এবং সইবেও না।’
- আবু হোরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন- ‘এমন এক সময় উপস্থিত হবে যখন লোকেরা পরোয়া করবে না সম্পদ হালাল নাকি হারাম উপায়ে অর্জিত।’
- আবি জুহায়ফা রা. তদীয় পিতা থেকে বর্ণনা করেন যে, ‘নবী সাললাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রক্ত ও কুকুরের মূল্য নিতে এবং দাসীর উপার্জন গ্রহণ করতে নিষেধ করেছেন। অভিশাপ দিয়েছেন উল্কি অঙ্কনকারী, উল্কি গ্রহণকারী এবং সুদ গ্রহীতা ও সুদদাতাকে। আরও অভিশাপ দিয়েছেন তিনি চিত্রাঙ্কনকারীকে।’
- আব্দুল্লাহ রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন- ‘সুদের তিয়াত্তরটি স্তর রয়েছে। সর্বনিম্নটি হলো নিজের মায়ের সঙ্গে জেনা করার সমতুল্য। আর অপর ভাইয়ের সম্মান নষ্ট করা সবচে’ নিকৃষ্ট সুদ।
- ফেরেশতা কর্তৃক গোসল করার সৌভাগ্যধন্য হানযালা তনয় আব্দুল্লাহ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন- ‘জেনে বুঝে এক দিরহাম পরিমাণ সুদ খাওয়া ছত্রিশবার জেনা করার চেয়েও বড় অপরাধ।
- ইবনে আববাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘যখন কোনো জনপদে সুদ ও ব্যভিচার ছড়িয়ে পড়ে তখন তারা নিজেদের ওপর আল্লাহর আজাব বৈধ করে নেয়।
উপসংহার
বর্তমানে কেউ কেউ সুদকে মুনাফা বলেও প্রচার করছে এবং কাগজপত্রে ‘সুদ’-এর স্থলে ‘মুনাফা’, ‘লাভ’ ইত্যাদি শব্দ ব্যবহার করে হারামকে নিজেদের মনগড়াভাবে হালাল বানানোর চেষ্টা চালাচেছ। তাদের বক্তব্য হচেছ, ‘সুদের অর্থ যেমন অতিরিক্ত, বেশী, বদ্ধি, তদরূপ ব্যবসার মাধ্যমে অর্জিত মুনাফাও তো অতিরিক্ত, বেশী বা বদ্ধি। কাজেই সুদ ও মুনাফা একই জিনিস।’’ অথচ সুদ ও মুনাফা কখনো এক জিনিস নয়। বাহ্যিক দৃষ্টিতে এক মনে হলেও এ দু’য়ের মধ্যে বিরাট পার্থক্য রয়েছে।
• IST-601 : Study of al Tafsir (Tafsir Ibn Kathir : Surah-al-Maieda verse 1 to 77) • IST-602 : Study of al-Fiqh • IST-603 : Philosophy of religion and Comparative Religion • IST-604 : History of Sufism in Bangladesh and some prominent • IST-605 : Trade, Commerce and Business Studies in Islam •