▶ প্রশ্ন: ইসলামের পরিচয় দিন। ইসলাম ও ঈমানের মৌলিক ভিত্তিগুলো কি কি লিখুন। ▶ বিষয়: IST-511 : Study of Religions (Islam, Buddhism, Hinduism, Judaism, Christianity) ▶ কোর্স: এমএ ইন ইসলামিক স্টাডিজ (১ম পর্ব)
ভূমিকা
শান্তির ধর্ম ইসলাম। পৃথিবীতে একমাত্র সত্য ধর্ম ইসলাম। যে ধর্ম পালনের মাধ্যমে মানুষের ব্যক্তিক, পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক জীবনে নিশ্চিত হয় শান্তির আগমন। বর্তমান অশান্ত পৃথিবীতে যে যেখানে যেভাবে ইসলাম ধর্মকে আড়কে ধরতে পেরেছে সে সেখানে সেভাবে ততবেশি শান্তি অর্জন করতে পেরেছে। ইসলামের আগমনে অশান্ত অন্ধকারে আচ্ছন্ন আরবে নেমে এসেছিল শান্তির সুবাতাস।
ইসলামের পরিচয়
ইসলাম ধর্মের মূল শিক্ষা হলো এক আল্লাহ ছাড়া আর কোন স্রষ্টা নেই এবং মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াল্লাম) হলেন আল্লাহর প্রেরিত সর্বশেষ নবী ও রাসূল। ইসলাম শিক্ষা দেয় আল্লাহ দয়ালু, করুনাময়, এক ও অদ্বিতীয় এবং একমাত্র ইবাদতযোগ্য স্বত্ত্বা।
মানবজাতিকে পথ প্রদর্শনের জন্য মহান আল্লাহ তায়ালা যুগে-যুগে অনেক নবী-রাসূল, আসমানী কিতাব এবং নিদর্শন পাঠিয়েছেন। ইসলামে প্রধান ধর্মগ্রন্থ হলো পবিত্র কুরআন যা স্বয়ং আল্লাহর বাণী। পবিত্র আল কোরআন হলো মানুষের সামগ্রিক জীবন বিধান। যে বিধান বা গাইড লাইনের মাধ্যমে পরিচালিত জীবন নিশ্চিতভাবে সফলকাম হবে। আল্লাহর পক্ষ থেকে পৃথিবীতে আগত অসংখ্য নবী রাসুলগণের মধ্যে সর্বশেষ নবী হলেন হযরত মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াল্লাম)। তিনি তার সমগ্র জীবন ব্যাপী মানুষকে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের কিভাবে তার জীবন পরিচালিত করতে হবে তার বাস্তব শিক্ষা দিয়ে গিয়েছেন। মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াল্লাম) এর কথা, কাজ ও মৌনসম্মতিকে বলা হয় সুন্নাহ। যা হাদিস নামে লিপিবদ্ধ রয়েছে। তবে সমস্ত সুন্নাহই হাদিস, কিন্তু সমস্ত হাদিস সুন্নাহ নয়।
বরকতময় নগরী সৌদি আরবের মক্কার কাবা শরিফ অবস্থিতয়। যেখানে সারা বিশ্বের লাখো মুসলিম একতার মাধ্যমে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যতার সাথে প্রার্থনা করে থাকেন। ইসলামের পবিত্র বিধায় হজ্জ পালন করার জন্য সেখানে যেতে হয়।
ইসলামী ধর্মগ্রন্থানুযায়ী এটি আল্লাহর নিকট একমাত্র গ্রহণযোগ্য পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। ইসলাম সর্বজনীন ধর্ম। ইসলাম শুধুমাত্র মক্কা-মদিনা বা আরবদেশগুলোর জন্য নয় বরং ইসলাম পৃথিবীর সকল বর্ণ, গোত্র, জাতি এবং ধনী-গরীব, সাদা-কালো ও আরব-অনারব সকলমানুষের জন্যই প্রেরিত।
ইসলাম ধর্ম শেষ বিচারের দিবসের কথা জানিয়েছেন। যেখানে সৎকর্মশীলরা পুরস্কার স্বরূপ জান্নাত পাবে আর পাপীরা জাহান্নামের সাজা পাবে। ধর্মীয় কর্মকাণ্ডের মধ্যে ইসলামে রয়েছে পঞ্চস্তম্ভ, যা পালন করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য আবশ্যকীয় কর্তব্য। তাদেরকে ইসলামি আইন বা শরিয়াহ্ মেনে চলতে হয়, যা প্রকৃতপক্ষে সমাজ ও জীবনের সকল ক্ষেত্র ও যাবতীয় কার্যকলাপকে নির্ধারণ করে দেয়।
ইসলামের মৌলিক ভিত্তি
ইসলামের মৌলিক ভিত্তি বা বিষয় ৫টি। বিষয়গুলো হলো-
- ঈমান বা এক এবং একমাত্র আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস
- সালাত বা নামাজ কায়েম করা
- আল্লাহ প্রদত্ত সম্পদের যাকাত আদায় করা
- পবিত্র রমজান মাসের রোজা বা সাওম পালন করা
- সম্পদশালীদের জন্য হজ্জ পালন করা
ইসলামের পাঁচটি মৌলিক বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-
- এক. কালেমা: লা ইলাহা ইল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুল্লাহ। যার অর্থ আল্লাহ্ ছাড়া ইবাদতের যোগ্য আর কোন সত্তা নেই। মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াল্লাম) আল্লাহর প্রেরিত রাসুল। এই বাক্য পাঠ করা এবং এই কথা মনে-প্রাণে বিশ্বাস করা এবং বাস্তবিক জীবনে এই কথার উপর প্রতিষ্ঠিত থাকা।
- দুই. নামায: প্রাপ্ত বয়স্ক মুসলিম নারী-পুরুষ এর জন্য দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামায কায়েম করা আবশ্যক বা ফরয বিধান। এই ফরয বিধান লংঘনকারীদের জন্য ভয়াবহ কঠিন শাস্তির কথা বর্ণিত হয়েছে ইসলামে।
- তিন. রোযা: প্রাপ্ত বয়স্ক ও শারীরিকভাবে সক্ষম সকল মুসলিম নারী-পুরুষ এর জন্য রমজান মাসে রোজা রাখা ফরয।
- চার. হজ্জ: শারীরিক ও আর্থিকভাবে সক্ষম নারী পুরুষ এর জন্য জিলহজ্জ মাসে নির্দিষ্ট স্থান সৌদি আরব গিয়ে হজ্জ পালন করা।
- পাঁচ. যাকাত: যাকাত এর অর্থ বছরে দৈনন্দিন ভরণপোষণের পর যদি নূন্যতম সারে বায়ান্ন তোলা স্বর্ণ অথবা রূপার পরিমাণ উদ্বৃত্ত সম্পদ থাকে তবে ঐ সম্পদের দুই দশমিক পাঁচ শতাংশ হারে যাকাত দিতে হবে।
ঈমানের মৌলিক ভিত্তি
আর ঈমানের মৌলিক বিষয় ৭টি। যেগুলো হলো-
- আল্লাহর উপর বিশ্বাস স্থাপন করা
- ফেরেশতা নামে আল্লাহর এক সৃষ্টি আছে তা বিশ্বাস করা
- আল্লাহর নাজিলকৃত আসমানী কিতাবসমূহের উপর বিশ্বাস করা
- আল্লাহ কর্তৃক প্রেরিত নবী-রাসুলগণকে বিশ্বাস করা
- কিয়ামতের দিবসকে বিশ্বাস করা
- তাকদীর তথা ভালো-মন্দ সবকিছু আল্লাহর পক্ষ থেকে হয় তা বিশ্বাস করা
- কিয়ামতের দিবসে পুনরায় জীবিত হওয়াকে বিশ্বাস করা
ঈমানের সাতটি মৌলিক বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-
আল্লাহর প্রতি ঈমান
আল্লাহর প্রতি ঈমানের মূলকথা হচ্ছে আল্লাহর তাওহিদের প্রতি ঈমান আনা। তাওহিদ অর্থ একত্ববাদ। তাওহিদকে আলেমগণ বোঝানোর সুবিধার্থে ৩ ভাগে ভাগ করেছেন। ক. রুবুবিয়্যাহ, খ. উলুহিয়্যাহ, গ. আসমা ওয়াস সিফাত। এই তিন ক্ষেত্রেই মহান আল্লাহ তায়ালা এক ও অদ্বিতীয়।
- ক. রুবুবিয়্যাহ: এই প্রকার তাওহিদকে আবার দু’ভাগে বিন্যস্ত করা হয়। ক. তাকবিনি তথা সৃষ্টি ও প্রতিপালন, রিযিক প্রদান, সুস্থতা কিংবা জীবন ও মৃত্যুদানসহ মহাজাগতিক যেসমস্ত বিষয়াদি রয়েছে, যাতে আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও ক্ষমতা নেই। কোনো নবী-রাসুল বা কোনো ওলি-আওলিয়া কারোই এই বিষয়ে কোন এখতিয়ার নেই। খ. তাশরিয়ি তথা আইন প্রণয়ন, শরিয়াহ বা জীবনবিধান প্রদান, শাসন-কর্তৃত্ব, হাকিমিয়্যাহ, সার্বভৌমত্ব এসবই আল্লাহর অধিকার। এটাকে অনেকে তাওহিদ ফিত-তাশরি বা তাওহিদুল হাকিমিয়্যাহও বলে থাকেন।
- খ. উলুহিয়্যাহ: ইবাদাত ও আনুগত্য সংক্রান্ত যতগুলো বিষয় রয়েছে এই সবগুলোরই একচ্ছত্র অধিকার মহান আল্লাহর। যেমন ক. আলইসলাম তথা আত্মসমর্পণ করা। খ. আলইহসান তথা নিষ্ঠার সাথে কাজ করা। দয়া-দাক্ষিণ্য ও সহানুভূতি প্রদর্শন, উপকার সাধন করা। ঘ. আদ্দুয়া তথা প্রার্থনা, আহ্বান করা। ঙ. আল খাওফ তথা ভয়-ভীতি। চ. আররাজা তথা আশা-আকাঙ্ক্ষা। ছ. আততাওয়াক্কুল তথা নির্ভরশীলতা, ভরসা করা। জ. আররাগবাহ তথা অনুরাগ, আগ্রহ। ঝ. আররাহবাহ তথা ভয় ভীতি। ঞ. আলখুশু তথা বিনয়-নম্রতা। ট. আলখাশিয়াত তথা অমঙ্গলের আশংকা। ঠ. আলইনাবাহ তথা আল্লাহর অভিমুখী হওয়া, তাঁর দিকে ফিরে আসা। ড. আলইস্তিয়ানাহ তথা সাহায্য প্রার্থনা করা। ঢ. আলইস্তিয়াযাহ তথা আশ্রয় প্রার্থনা করা। ণ. আলইস্তিগাসাহ তথা বিপদ উদ্ধারের জন্য আশ্রয় প্রার্থনা। ত. আযযাবাহ তথা কুরবানি বা উৎসর্গ করা। থ. আননাযর তথা মান্নত করা ইত্যাদি।
- গ. আসমা ওয়াস সিফাত: তথা নাম ও গুণাবলির ক্ষেত্রে আল্লাহ এক। এ প্রকার তাওহিদের মূল কথা হচ্ছে, কুরআন ও সুন্নাহ এর মধ্যে আল্লাহ তায়ালার যেসমস্ত নাম ও গুণের বর্ণনা এসেছে, সেগুলো কোনো প্রকার বিকৃতিকরণ, বাতিলকরণ, ধরণ বর্ণনা, আকৃতি নির্ধারণ, সাদৃশ্য প্রদান ব্যতীত ঈমান আনা। এ সমস্ত নাম ও গুণের ওসিলায় দুয়া করা।
ফেরেশতাদের প্রতি ঈমান
ফেরেশতারা আল্লাহর বিশেষ সৃষ্টি। তাদের সৃষ্টি উপাদান হলো নুর। মানুষের যে সমস্ত চাহিদা রয়েছে ফেরেশতাদের সেসমস্ত চাহিদা নেই। যেমন তাদের খাওয়া-দাওয়া বা জৈবিক চাহিদা নেই। তারা মানবীয় সমস্ত দুর্বলতার ঊর্ধ্বে। তাদের বিভিন্ন স্তর রয়েছে। তারা আল্লাহর ক্ষমতায় অংশীদার নন, বরং আল্লাহর হুকুমের অনুসরণকারী মাত্র।
আসমানী কিতাবসমূহের প্রতি ঈমান
আল্লাহ তায়ালা যুগে যুগে মানুষের পথপ্রদর্শনের লক্ষ্যে নবী-রাসুল প্রেরণ করেছেন এবং তাদের প্রতি কিতাব অবতীর্ণ করেছেন। সেসমস্ত কিতাবে প্রত্যেক সম্প্রদায়ের আকিদাহ-ইবাদাত সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়াবলির দিক নির্দেশনা ছিল। সমস্ত কিতাব ও সহিফার প্রতি বিশ্বাস রাখতে হবে। বিশেষ করে চারখানা প্রধান কিতাব ও সহিফার প্রতি। আল্লাহ তায়ালা শেষ নবী হযরত মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সর্বশেষ আসমানী কিতাব পবিত্র কোরআন নাযিল করেছেন। তিনিই সর্বশেষ নবী এবং পবিত্র কোরআন সর্বশেষ আসমানী কিতাব।
নবী রাসুলগণের প্রতি ঈমান
নবী রাসুলগণের প্রতি ঈমান আনার অর্থ হলো- অন্তরে সুদৃঢ়ভাবে এই বিশ্বাস স্থাপন করা যে, আল্লাহ তায়ালা প্ৰত্যেক সম্প্রদায়ের জন্য তাদের মধ্য হতে একজনকে নবী হিসেবে প্রেরণ করেছেন। সকল নবী-রাসুল সত্যবাদী, সত্যায়নকারী, পুণ্যবান, সঠিক পথের দিশারী, তাকওয়াবান ও বিশ্বস্ত। আল্লাহ তাঁদেরকে যা কিছু দিয়ে প্রেরণ করেছেন তারা তা পরিপূর্ণভাবে তার উম্মতের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। কোন অংশ গোপন করেননি বা পরিবর্তন করেননি। নিজে থেকে কোন কিছু সংযোজন বা বিয়োজন করেননি। সমস্ত নবী-রাসুলদের দুনিয়ায় আগমনের তথা দাওয়াতের মূল বিষয় ছিল তাওহিদ। ইবাদাত-বন্দেগি ও আইন কানুনে বিভিন্ন নবী-রাসুলগণের মধ্যে কিছু পার্থক্য থাকলেও সবগুলোর মূল বিষয় ছিল এক।
পরকাল বা মৃত্যু পরবর্তী জীবনের প্রতি ঈমান
মৃত্যু ও এর পরবর্তী জীবন, কবরের শাস্তি বা শান্তি, পূনরুত্থান, হাশর, মিযান, হিসাব-নিকাশ, শাফায়াত, হাওযে কাওসার, পুলসিরাত, জান্নাত-জাহান্নাম ও মহান রবের দিদারসহ কুরআন ও হাদিসে বর্ণিত পরকাল সংক্রান্ত সকল বিষয়ের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন এবং সে অনুযায়ী নিজের জীবন পরিচালনা করাই হলো পরকালের প্রতি ঈমান। ঈমানের সবগুলো বিষয়ই শুধু অন্তরে বিশ্বাস করার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। বরং তা অন্তরে দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে সাথে বাস্তব জীবনে এর প্রতিফলনও জরুরি। প্রকৃতপক্ষে পরকালে বিশ্বাস এমন একটি ব্যাপার যা ব্যক্তিকে আল্লাহর খাঁটি বান্দায় পরিণত করে দেয়। এই বিশ্বাসের অনুপস্থিতিতে সমাজ কতটা জঘন্য হতে পারে আজকের পশ্চিমাবিশ্ব তার বাস্তব উদাহরণ।
তাকদির তথা ভাগ্যের ভালো-মন্দের প্রতি ঈমান
তাকদীরের ওপর ঈমান আনার অর্থ হচ্ছে, মনে-প্রাণে অটল বিশ্বাস রাখতে হবে যে, সমগ্র বিশ্বজগতে ভালো বা মন্দ যা কিছু হয়, সবই আল্লাহ তায়ালা পূর্ব হতেই জানেন, লাউহে মাহফুযে তা লিখে রেখেছেন এবং তিনি যেমন জানেন তেমনই হয়, তার মধ্যে কোন ব্যতিক্রম হয় না। আল্লাহই সবকিছুর সৃষ্টি কর্তা। তার ক্ষমতা সর্বব্যাপী । তার ক্ষমতা ছিন্ন করে বের হতে পারে, এমন কেউ নেই। তিনি সর্বজ্ঞ, আদি-অন্ত সবকিছুই তিনি সঠিকভাবে জানেন।
মানুষকে আল্লাহ তায়ালা ভাল-মন্দ বুঝবার এবং কাজ করার ক্ষমতা দান করেছেন এবং ইচ্ছাশক্তিও দান করেছেন। তার দ্বারা নিজ ক্ষমতায়, নিজ ইচ্ছায় সে পাপ ও পুণ্যের কাজ করে। পাপ কাজ করলে আল্লাহ তাআলা অসন্তুষ্ট হন এবং পুণ্যের কাজ করলে সন্তুষ্ট হন। কাজ করা ভিন্ন কথা, আর সৃষ্টি করা ভিন্ন কথা। সৃষ্টি তো সবকিছুই আল্লাহ তায়ালা করেন। কিন্তু নিজের ইচ্ছানুযায়ী কাজ করার ক্ষমতা আল্লাহ তায়ালা মানুষকে দান করেছেন।
মানুষ জীবনভর যতই ভাল বা মন্দ থাকুক না কেন, যে অবস্থায় তার ইনতিকাল হবে, সে হিসেবে শান্তি বা শাস্তি পাবে। যেমন, এক ব্যক্তি সারাজীবন মুমিন ছিল, কিন্তু মউতের পূর্বে ইচ্ছা পূর্বক কুফরী বা শিরকী কথা বললো বা ঈমান বিরোধী কাজ করলো, তাহলে সে কাফির সাব্যস্ত হবে। সুতরাং, দিলের মধ্যে আল্লাহর রহমতের আশা ও গযবের ভয় রাখা জরুরী। আল্লাহ তাআলা মানুষের অসাধ্য কোন হুকুম করেননি। যা কিছু আদেশ করেছেন বা নিষেধ করেছেন, সবই বান্দার আয়ত্তে ও ইখতিয়ারে।
উপসংহার
আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যত বিধান-আহকাম হাসিল করেছেন এবং অকাট্য দলীল দ্বারা তা প্রমাণিত হয়েছে তার কোন একটি বাদ না দিয়ে সব গুলোকে মনে প্রাণে বদ্ধমূল ভাবে বিশ্বাস করা। আল্লাহ তায়ালার আদেশ-নিষেধ সঠিকভাবে এবং পূর্ণভাবে আমল করার মাধ্যমে এ ঈমান শক্তিশালী হয়। আর আল্লাহর আদেশ নিষেধ পালনে ত্রুটি করলে ঈমান নাকেস বা দুর্বল হয়ে পড়ে এবং ঈমানের নূর-নষ্ট হয়ে যায়। এ অবস্থা দীর্ঘদিন চলতে থাকলে এবং তাওবা না করলে আল্লাহ না করুন ঈমান নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
সম্ভাব্য প্রশ্ন এবং উত্তরসমূহ (এমএ ইন ইসলামিক স্টাডিজ)
• IST-507 : Study of Al-Hadith (Al-Mishkat Al-Masabih: Al-Iman, AlILM and Al-Salat (Selected Hadith) • IST-508 : Principles and History of Hadith literature • IST-509 : Muslim Personal Law and Law of Inheritance in Islam • IST-510 : Banking and Insurance in Islam • IST-511 : Study of Religions (Islam, Buddhism, Hinduism, Judaism, Christianity) • IST-512 : Muslim Contribution to science and technology •