বৈশ্বিক বিপর্যয় করোনা মহামারীতে প্রায় থমকে গিয়েছে সারা বিশ্ব। এর প্রাদুর্ভাবে অনেকটাই থমকে গেছে সারা পৃথিবীর অর্থনীতি। অর্থনীতির প্রতিটি ক্ষেত্রেই পড়েছে এর নেতিবাচক প্রভাব। লক ডাউনে স্থবির হয়ে যায় মানুষের সাধারণ সাধারন জীবনযাপন।
ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি দেশ তাদের সীমানা পুনরায় চালু করেছে। নতুন করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে লকডাউন ধীরে ধীরে শিথিল করে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নিচ্ছে।
বিশ্ব ভ্রমণ পুনরায় নিরাপদে শুরু করার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নতুন নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে। সে অনুযায়ী প্রতিটি দেশ তাদের স্বাস্থ্য বিধি অনুযায়ী ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নিচ্ছে।
কতদিন এভাবে চলতে পারে? প্রশ্নটি সত্যিই গুরুত্বের। মানুষের জীবন এভাবে স্থবির হয়ে থাকতে পারে না। তাই সকলকে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে হচ্ছে। যেহেতু স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে হচ্ছে তাই প্রত্যেকেই নিজের নিরাপত্তা নিজে নিশ্চিত করা একজন বুদ্ধিমানের কাজ হবে। একজন সচেতন মানুষ হিসেবে আপনি নিচের নিরাপত্তা ব্যবস্থাগুলো মেনে নিরাপদে ভ্রমণ করুন:
০১. প্রথমত অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করুন। বাজারে বিভিন্ন ধরণের মাস্ক পাওয়া যায়। সেগুলো থেকে কিনে ব্যবহার করবেন। তবে অবশ্যই ওয়ান টাইম অর্থাৎ সার্জিক্যাল মাস্কগুলো একবারের জন্যই ব্যবহার করবেন। অনেকের এলার্জি সমস্যা থাকায় তাদের নিজের যে মাস্ক উপযোগী হয় সেটিই ব্যবহার করবেন।
০২. সাবান বা স্যানিটাইজার দিয়ে ঘন ঘন হাত ধোয়া। ভ্রমণের সময় যেখানে সাবান বা পানি ব্যবহারের সুযোগ থাকে না সেখানে আপনি হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে পারেন। কিছুক্ষণ পর পর স্যানিটাইজার আপনার দুই হাতে ভালভাবে মাখিয়ে নিবেন।
০৩. ভ্রমণকালে আপনি আপনার পাশের যাত্রী থেকে যতটুকু সম্ভব দূরত্বে অবস্থান করার চেষ্টা করুন। কমপক্ষে এক মিটার দূরত্ব বজায় রাখুন। যদি দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব না হয় তাহলে আপনার পাশের লোকের মুখ আপনার মুখের দিক থেকে বিপরীত দিকে রাখার চেষ্টা করুন।
০৪. যাদের কাশি বা হাঁচি বা ঠান্ডার সমস্যা রয়েছে তারা কাশি হাঁচি দেয়ার সময় মুখ ঢেকে রাখুন। রুমাল অথবা টিস্যু ব্যবহার করুন। এগুলো সম্ভব না হলে আপনার কনুই বাকিয়ে তার মধ্যে হাঁচি দিন। এর পর ব্যবহার করা টিস্যুগুলো অবশ্যই নির্দিষ্ট স্থানে ফেলুন। আর ব্যবহার করা রুমাল যথা সম্ভব বেশি বেশি ধুয়ে নিয়ে ব্যবহার করুন।
এইসমস্ত স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলুন। নিজের আশপাশ সবসময় খেয়াল রাখুন। সচেতন থাকুন।